কয়েকলক্ষ টাকা পর্যন্ত ব্যাংক থেকে ঋন নেওয়ার নিয়ম
ব্যাংক থেকে ঋন নেওয়ার নিয়ম অনেকেই জানেন না এর ফলে ঋন নিতে অনেক ভগান্তি পোহাতে হয়। ব্যাংক থেকে ঋন নেওয়ার নিয়ম সঠিকভাবে জানা থাকলে খুব সহজেই ঋন পাওয়া যায়। তাহলে চলুন ব্যাংক থেকে ঋন নেওয়ার নিয়ম এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
কয়েকলক্ষ টাকা পর্যন্ত ব্যাংক থেকে ঋন নেওয়ার নিয়ম। |
সূচিপত্রঃ কয়েকলক্ষ টাকা পর্যন্ত ব্যাংক থেকে ঋন নেওয়ার নিয়ম
ভূমিকাঃ
ব্যবসা শুরুর আগে প্রয়োজন পুঁজির। কেউ নিজের পুঁজি দিয়ে শুরু করে পরে ঋণ নিয়ে ব্যবসা বড় করে। আবার কেউ সম্পূর্ণ ঋণের উপর নির্ভর করে। তবে উদ্যোক্তাদের ঋণ পাওয়া একটি বড় চ্যালেঞ্জ। আমাদের দেশে মনে করা হয় ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহ উদ্যোক্তা এবং ব্যবসায়ীদের ঋণ প্রার্থীতে সহায়তার পরিবর্তে অহেতুক জটিলতার সৃষ্টি করে।
বিষয়টি ঢালাওভাবে দেখা ঠিক নয়। আপনি একজন ভালো উদ্যোক্তা হলে যেমন ব্যবসা পরিচালনা করবেন নিয়ম-নীতি অনুসরণ করে, তেমনি আর্থিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠান পরিচালনার জন্য ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহকে পদ্ধতিগতভাবে নিয়মকানুন মেনে চলতে হয়।
কয়েক লক্ষ টাকা ঋণ কিভাবে দেওয়া হয়
একটি আলোচনায় বলা হয়েছে ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা কর্মকর্তা ভেদে কত টাকা ঋণ গ্রহণ করতে পারবে সেটার ব্যবস্থা করা হবে। সকল ব্যাংক বা সকল ঋণ গ্রহণকারীতা নিজেদের ইচ্ছেমতো ঋণ দিতে অথবা ঋণ গ্রহণ করতে পারবেন না। তাদের নিজেদের অবস্থান অনুযায়ী ঋণ দেওয়া হয়ে থাকে।
অনেক সময় অনেক ব্যাংক ও কর্মকর্তাদের ঋণ দেওয়ার একটি নির্দিষ্ট অংকের টাকা ঋণ দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়ে থাকে। যদি সে সেটি অমান্য করে তাহলে পরবর্তীতে তাকে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।
আবার যদি কোন কর্মকর্তায় বেশি দিন দিতে চান তাহলে তাকে অবশ্যই অনুমতি নিতে হবে। একজন ব্যবস্থাপক বা ম্যানেজার ১ থেকে ১০ কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণ দিতে পারবেন।এর থেকে বেশি ঋণ দিতে গেলে অবশ্যই তাকে অনুমতি নিতে হবে।
নুরুল আমিন বলেছেন, বাকি সবকিছু বোর্ড থেকে পাস করে নিতে হয়।কোন ব্যাংকের ম্যানেজমেন্ট কে এক থেকে পাঁচ কোটি টাকা আবার কোন ব্যাংক এক থেকে দশ কোটি টাকা পর্যন্ত লোন দিতে পারবে। এর থেকে বেশি দিতে চাইলে অবশ্যই তাকে বোর্ডের অনুমতি নিতে হবে।
নিয়ম অনুযায়ী যদি কেউ বড় অঙ্কের টাকা ঋণ নিতে চাই তাহলে তাকে বোর্ডের সাথে যোগাযোগ করতে হবে। বোর্ড সেখানে তার আর্থিক অবস্থা এবং পারিপার্শ্বিক সবকিছু যাচাই-বাছাই করে তাকে ঋণ দেবেন কিনা সেটি সিদ্ধান্ত নেবেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন,,যদি কোন ব্যক্তি ঋণ গ্রহণের প্রোপোজাল দিয়ে থাকেন তাহলে ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট অবশেষে যাচাই-বাছাই করে দেখবে।
এই সময় অবশ্যই যিনি দিন গ্রহণ করবেন তার ঋণ পরিশোধের ক্ষমতা, অতীত ঋণ গ্রহণের ইতিহাস, আর্থিক অবস্থা, ব্যবসায়িক অবস্থা,রিংকি তিনি কি জন্য গ্রহণ করবেন কোন কাজে লাগাবেন সেটি যাচাই-বাছাই করে নিতে হবে।
এরপর যদি সবকিছু ঠিক থাকে তাহলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ তাকে ঋণ প্রদান করে থাকে। আবার কিছু কিছু সময় এমন হয়ে থাকে,যদি ঋণের পরিমাণ বড় অংকের হয়ে থাকে তাহলে একাধিক ব্যাংক একত্রে ঋণ প্রদান করে থাকে।
তবে এভাবে ঋণ দিয়ে থাকলে অবশ্যই বোর্ডের অনুমতি নিতে হবে। মূলত এক্ষেত্রে একটি ব্যাংক প্রধান ভূমিকা পালন করে। তবে এ ধরনের ঋণের ক্ষেত্রে অনেক সময় অনেক সমস্যা থাকে এই অভিযোগ এসেছে। অনেক সময় ঋণ আগে দিয়ে দেওয়া হয়,তারপরে বোর্ড থেকে বিল পাস করানো হয়।
ব্যাংকে একাউন্ট খোলার নিয়ম
ব্যাংক একাউন্ট খোলার জন্য সর্বপ্রথম আপনার পছন্দমত একটি ব্যাংক নির্ধারণ করতে হবে। সেই ব্যাংকের একটি ফর্ম সংগ্রহ করে প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে ফরমটি পূরণ করে ব্যাংকে নির্দিষ্ট জায়গায় জমা দিতে হবে এরপরে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ থেকে আপনার একাউন্টি খুলে দেওয়া হবে।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
- দুই কপি পাসপোর্ট এর ছবি।
- প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন সনদ।
- ব্যাংক কর্তৃক সরবরাহকৃত ফরমে ব্যাংক একাউন্ট খোলার দরখাস্ত।
- হালনাগাদ ট্রেড লাইসেন্সের সত্যায়িত কপি।
- মেম্বার বা সরকার করতে অনুমোদিত সমিতি হতে নেওয়া সদস্য সার্টিফিকেট।
এছাড়াও আরো কিছু প্রয়োজনীয় কাগজ পত্রের দরকার হলে সেটি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হবে।
ঋণ তদারকিতে কি করে বাংলাদেশ ব্যাংক
বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আগে বড় অংকের টাকা ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে অন্যান্য ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি গ্রহণ করতেন। কিন্তু বর্তমানে এই নিয়ম চালু নেই।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, বাংলাদেশ ব্যাংক সরাসরি কিছু করেনা, কিছু গাইডলাইন রয়েছে,কত টাকা কিভাবে দেওয়া যাবে, এক্সপোর্ট এর লিমিট রয়েছে।কিন্তু সচরাচর বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো এইসব নিজেরাই করে থাকে।
তবে প্রতি মাসে বাংলাদেশ ব্যাংক একবার করে সকল ব্যাংক পরিদর্শন করে থাকেন। নুরুল আমিন বলেছেন,দৈনিকভাবে এই কাজগুলো দেখার কোনো ব্যবস্থা নেই প্রতি ১৫ দিন অথবা এক মাস পর পর দেখা হয়ে থাকে।
যদি কোন ব্যাংক অনিয়ম করে থাকে তাহলে সেটি অডিট এসে ধরা পড়লে তারপর সেটি নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়ে থাকে। সাবেক গভর্নর সালেহউদ্দিন বলেছেন,, ব্যাংকিং লাইনে বেশ কিছু অনিয়ম রয়েছে।
আমার সময়ও এইসব ছিল কিন্তু আমরা সেটি নিয়ে কথা বলেছি আলোচনা করেছি। বেশ কয়েক বছর যাবত ব্যাংকিং খাতে এইসব অনিয়ম দেখা যাচ্ছে। ব্যাংকাররা এর কোন স্টেটমেন্ট নেয়না এর জন্য অনেক সমস্যা হয়। আর রাজনৈতিক কারণ তো রয়েছেই।
ঋণ বিতরণের ক্ষেত্রে তদারকি কতটা জোরদার
আমরা অনেকেই জানতে চাই ঋণ বিতরণের ক্ষেত্রে সরকারি এবং বেসরকারি ব্যাংকগুলো কতটা জোরদার। সকল ব্যাংকি একই নিয়মে ঋণ বিতরণ করে থাকেন নাকি বিভিন্ন ব্যাংকে বিভিন্ন রকম নিয়ম রয়েছে।
সাধারণত যে ব্যক্তির ঋণ গ্রহণ করবেন তার আর্থিক অবস্থা, পরিষদের ক্ষমতা, পারিপার্শ্বিক অবস্থার উপর বিবেচনা করে ঋণ দেওয়া হয়ে থাকে। সেগুলো ব্যাংক কর্তৃপক্ষ পর্যালোচনা করে থেকে অনুমতি গ্রহণ করে ঝণ বিতরণ করে থাকেন।
বর্তমানে সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তারা বলেছেন, ঋণ গ্রহণের কাগজপত্র সকল নিয়ম কানুন এবং গাইডলাইন দেওয়া শর্তেও কিছু কিছু মানুষ সেগুলো পালন করে থাকেন না, সেগুলো অনুসরণ করেন না।
সাবেক ব্যাংকার নুরুল আমিন বলেছেন, ব্যাংক এবং বোর্ড যখন সমঝোতা এবং একটি বোঝাপড়ায় আসে তখন কোন নিয়ম থাকে না। এখানে অনিয়মের ব্যবস্থা নিয়ে কোনরকম অভিযোগ বাংলাদেশ ব্যাংকে এসেছে এমনটা এখনো হয়নি।
বড় অংকের টাকার ঋণে অনিয়ম হলে কি করে বাংলাদেশ ব্যাংক
আমরা ঋণ গ্রহণের নিয়ম সম্পর্কে ইতিমধ্যে জেনেছি। কিন্তু ঋণ গ্রহণের সময় যদি বড় অঙ্কের টাকা হয়ে থাকে তাহলে অনেক সময় অনেকে অনিয়ম করে থাকে।আর এই অনিয়ম করলে কি হতে পারে সম্পর্কে আমাদের অনেকেরই কোন ধারণা নেই।
আপনি যদি জানতে চান ঋণের ক্ষেত্রে অনিয়ম হলে বাংলাদেশ ব্যাংক কি করে থাকে তাহলে এটি পড়তে পারেন। এই ধরনের অনিয়ম হলে আন্তর্জাতিকভাবে বিভিন্ন রীতিনীতি রয়েছে। আবার যদি কোন অনিয়মের কথা গণমাধ্যমের জানানো হয় তাহলে সেটি সম্পর্কে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃপক্ষ কথা গ্রহণ করে থাকেন।
সাবেক গভর্নর সালেহাউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, যদি অনিয়মের কিছু হয় তাহলে প্রথমে সেটি তারা পর্যবেক্ষণ করে দেখবেন,তারপর কারণ জানতে চাইবেন, যদি তাদের যুক্তিতে সন্তুষ্ট না হন তারপর তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এমন কি এমডি কেউ বাতিল করে দিতে পারে। বর্তমানে বাংলাদেশে বিভিন্ন বেসরকারি ব্যাংক হয়ে গেছে। তাই সকল দিকে নজর রাখা সম্ভব না, কিন্তু তারপরও যদি অনিয়মের কোন অভিযোগ আসে তাহলে অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সম্প্রীতি ইসলামী ব্যাংকের বিরুদ্ধে এইরকম একটি অভিযোগ এসেছিল। বাংলাদেশ ব্যাংকে নিজস্ব কিছু গাইডলাইন এবং মনিটরিং সিস্টেম রয়েছে। কোনো ব্যাংকে এটির বাহিরে নয় তেমনি ইসলামী ব্যাংক ও এই সিস্টেমে আওতায় রয়েছে, আই অবশ্যই মনিটরিং করে সকল কিছু দেখা হবে।
ঋণ দেওয়ার জন্য কি কি বিষয় বিবেচনা করে
ঋণ দেওয়ার জন্য ব্যাংক বিভিন্ন বিষয়ে বিবেচনা করে থাকেন। বিবেচনা ছাড়া ব্যাংক ঋণ দিয়ে থাকেন না। সাবেক ব্যাংকের নুরুল আমিন বলেছেন, ঋণ দেওয়ার পূর্বে আমরা যিনি ঋণ গ্রহণ করবেন তার সম্পর্কে এবং তিনি সময়মতো ঋণের টাকা পরিশোধ করতে পারবেন কিনা সে সম্পর্কে যাচাই-বাছাই করা হয়ে থাকে।
পাশাপাশি তিনি কোন উদ্দেশ্যে ঋণ গ্রহণ করবেন সেটিও বিবেচনা করে দেখা হয় তারপর ঋণ দেওয়া হয়। সকল সরকারি এবং বেসরকারি কর্মকর্তাদের কাছ থেকে জানা গেছে ঋণ দেওয়ার পূর্বে বেশ কিছু শর্ত রয়েছে।
- ঋণ গ্রহণকারী বয়স অবশ্যই ১৮ বছরের উর্ধ্বে হতে হবে, কারণ একটি দেশের নাগরিক হিসেবে অবশ্যই ১৮ বছর পূর্ণ হতে হবে তাহলেই তিনি ঋণ গ্রহণ করতে পারবেন।
- ঋণ গ্রহণকারী কত টাকা ঋণ ভাবেন তা নির্ভর করে তার আর ব্যবস্থার ওপর, আর্থিক স্বচ্ছলতার ওপর।
- ধরা যাক একজন ব্যক্তির আই ৫০ হাজার টাকা, ইনি ইনকাম ট্যাক্স দিয়ে যদি ২৫ হাজার টাকা সুর টানতে পারেন তাহলে তাকে ঋণ দেওয়া যাবে।
- যে ব্যক্তি ঋণ গ্রহণ করবেন তার অতীত দিন গ্রহণের কোনো রেকর্ড আছে কিনা, ঋণ পরিশোধের ক্ষমতা, ইত্যাদির ওপর বিবেচনা করে ঋণ দেওয়া হয়ে থাকে।
- ব্যাংক থেকে যদি বাড়ি কেনার জন্য লোন না হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই তার মাসিক আয় ২৫ হাজার টাকা হতে হবে। বেসরকারি কর্মচারীদের ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা মাসিক ইনকাম হতে হবে।
কি ধরনের ঋণ দিয়ে থাকে ব্যাংকগুলো
আমাদের দেশে ব্যাংকগুলো বিভিন্ন ধরনের ঝণ দিয়ে থাকে। আপনি যদি জানতে চান ব্যাংকগুলো সাধারণত কি কি ধরনের ঋণ দিয়ে থাকে তাহলে এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে জানতে পারবেন। ব্যাংক বিভিন্ন ধরনের লোন দিয়ে থাকে।
যেমনঃ ব্যক্তিগত ঋণ, শিক্ষা ঋণ, চিকিৎসা ঋণ, ভ্রমণ ঋণ, বিবাহ ঋণ, গাড়ি কেনার ঋণ, বাড়ি বা এপার্টমেন্ট কেনার ঋণ। এছাড়াও আরো অনেক ঋণ দিয়ে থাকে কৃষি ঋণ,শিল্প কারখানার জন্য ঋণ ইত্যাদি।
সাধারণত ব্যক্তিগত ঋণের ক্ষেত্রে কি রকম ডকুমেন্ট নেয়া হয়ে থাকে না। তবে বাড়ি অথবা গাড়ি কেনার জন্য হয়ে থাকলে কিছু ডকুমেন্ট ব্যাংকে জমা দিতে হয়।
ঋণ পেতে হলে কি কি লাগে
একটি ব্যাংক থেকে ঋণ পেতে হলে অনেক রকমের নিয়ম-কানুন পালন করতে হয়। সেগুলো একটি কাগজে লেখা থাকে। প্রতিটি ব্যাংকের কাগজপত্র এবং নিয়ম কানুন আলাদা হয়ে থাকে। তবে যে ব্যাংক থেকে গ্রাহক ঋণ গ্রহণ করবেন সে ব্যাংকে অবশ্যই তার হিসাব থাকতে হবে।
ব্যাংক থেকে ঋণ গ্রহণের জন্য ছয় মাসের পে-স্লিপ, টিআইএন, সেলারি সার্টিফিকেট, চাকরির প্রমাণপত্র, জাতীয় পরিচয়পত্র, বাসার ঠিকানা, বিলের কপি ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের কাগজপত্র লাগে। এছাড়াও যে ব্যাংক থেকে ঋণ গ্রহণ করা হবে সেই ব্যাংক কর্তৃক নিজস্ব কিছু যদি ডকুমেন্ট লেগে থাকে সেগুলো জমা দিতে হবে।
ঋণের সুদের হার কিভাবে নির্ধারিত হয়
বর্তমানে বাংলাদেশ সরকার ঋণের সুদের হার ৬ থেকে ৯% করে দিয়েছে। বর্তমানে ব্যাংকগুলো বিভিন্ন পেশার উপর নির্ধারণ করে ব্যাংকগুলো সুদের হার কমবেশি করতে পারে। তবে কোন ব্যাংকে ৯ পার্সেন্টের বেশি সুদ দিতে পারবে না।
কিছু কিছু ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলে থাকে,তারা অনেক কম সুদ দিয়ে থাকে।তবে কাস্টমারের রেকর্ড ভালো হলে আরো কম স্যুট দিয়ে থাকে। একটি বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা বলে থাকেন যদি কোন ব্যক্তি পার্সোনাল ঋণ নিয়ে থাকেন তাহলে সেখানে সুদের হার একই থাকে সুদের হার বাড়ুক বা কমুক সেদিকে তেমন মাথা ঘামানো হয় না।
তবে সচরাচর দেখা যায় গাড়ি বা বাড়ি কেনার ক্ষেত্রে সুদের হার পরিবর্তন হয়ে থাকে। সাধারণত ব্যাংক থেকে যে চিঠি দেওয়া হয়ে থাকে সেখানে সুদের হার এবং নিয়মকানুন সকল কিছুই বর্ণনা করা থাকে।
পরিশেষে
আপনি যদি একজন উদ্যোক্তা হয়ে থাকেন তবে আপনি ঋন পেতে গেলে অনেক বাধাগ্রস্ত হতে হবে। এছাড়াও আপনি ব্যাংক থেকে ঋন নেওয়ার নিয়ম সম্পর্কে কিছু না জানেন সে ক্ষেত্রে তো আরো বেশি ভোগান্তি পোহাতে হবে।
ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ার আগে আপনি অবশ্যই সুদের হার এবং অন্যান্য বিষয় বিস্তারিত জেনে নিবেন। আর্টিকেলটি পরে আপনার যদি কোন মন্তব্য থাকে নিচে কমেন্ট বক্সে লিখবেন। এইরকম তথ্য পেতে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন।
জানবো আমরা ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url