ই-কমার্স ওয়েবসাইট কি? | ই-কমার্স ওয়েবসাইট কি বা কেন প্রয়োজন জেনে নিন।

ই-কমার্স ওয়েবসাইট কি এবং ই-কমার্স ওয়েবসাইট কেন প্রয়োজন তা আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। আপনার ব্যবসার ক্ষেত্রে ই-কমার্স ওয়েবসাইট কি ভূমিকা রাখবে তা এই আর্টিকেলটি পড়েই বুঝতে পারবেন। ই-কমার্স ওয়েবসাইট সম্পর্কে সম্পূর্ণ ধারণা পেলে আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন ই-কমার্স ওয়েবসাইট কেন প্রয়োজন।
ই-কমার্স ওয়েবসাইট কি? ই-কমার্স ওয়েবসাইট কেন প্রয়োজন জেনে নিন। জানবো আমরা। janbo amra
ই-কমার্স ওয়েবসাইট কি? ই-কমার্স ওয়েবসাইট কেন প্রয়োজন

সূচিপত্রঃ ই-কমার্স ওয়েবসাইট কি? ই-কমার্স ওয়েবসাইট কেন প্রয়োজন। 

ভূমিকাঃ 
বর্তমান বাংলাদেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশ হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশের এমন অনেক কিছু রয়েছে যার সম্পর্কে আমাদের অনেকেরই ধারণা নেই। তার মধ্যে ই-কমার্স ওয়েবসাইটও একটি।

আমরা ইতিমধ্যে ই-কমার্স ওয়েবসাইট এই নামটি শুনে এসেছি। অনেকে ই-কমার্স ওয়েবসাইট সম্পর্কে অবগত রয়েছে কিন্তু এমনও কিছু কিছু মানুষ রয়েছে যারা ই-কমার্স ওয়েবসাইট সম্পর্কে এখনো সঠিক ধারণা নেই।

আপনি যদি ই-কমার্স ওয়েবসাইট কি, কিংবা ই-কমার্স ওয়েবসাইটে কি জন্য প্রয়োজন এই সম্পর্কে না জেনে থাকেন তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ ভালোভাবে পরে আপনি আপনার সমস্যার সমাধান পেয়ে যাবেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক ই কমার্স ওয়েবসাইট কি বা কেন প্রয়োজন।

ই-কমার্স ওয়েবসাইট কি

আমাদের দৈনন্দিন জীবনে নিত্য ব্যবহার্য কিছু পণ্যের প্রয়োজন রয়েছে। যেগুলো আমরা সবসময় বাহিরে গিয়ে দোকান থেকে ক্রয় করতে পারিনা। সময়ের অভাবে আমরা সেগুলো ঠিক সময় বাড়িতেও নিয়ে আসতে পারি না।

কিন্তু ই-কমার্স এমন একটি ওয়েবসাইট আপনার এই সাইডে কোন অ্যাকাউন্ট থাকে তাহলে আপনি অতি সহজেই আপনার প্রয়োজনীয় জিনিসটি বাড়িতে আনিয়ে নিতে পারেন। সহজ করে বলতে গেলে আপনি যখন কোন পাড়ার দোকানে অথবা সুপার শপে যাবেন তখন আপনি দেখে শুনে অন্য ক্রয় করে থাকেন।

সেটাকে বলা হয় লোকাল। আর যখন আপনি অনলাইনে কোন পণ্য ক্রয় করবেন সেটা হচ্ছে ই-কমার্স বা ডিজিটাল দোকান। আপনি যদি একটি লোকাল দোকান তৈরি করতে চান তাহলে আপনাকে অনেক টাকা ব্যয় করতে হবে কিন্তু আপনি যদি একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইট তৈরি করেন তাহলে বেশি টাকা খরচ হয় না।

ই-কমার্স ওয়েবসাইটের মাধ্যমে যেমন আপনি পণ্য কিনতে পারবেন ঠিক তেমনি অনলাইনে নিজের একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইট তৈরি করে আপনি পণ্য বিক্রয় করতে পারবেন। বাংলাদেশে বর্তমানে ই-কমার্স এর চাহিদা খুবই বেশি।

ই-কমার্স ওয়েবসাইট তৈরি করতে লোকাল দোকানের মত অতিরিক্ত টাকা লাগেনা। সেখানে আপনি ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকার মধ্যে একটি ই কমার্স ওয়েবসাইট তৈরি করে আপনার নিজস্ব বিজনেস চালু করতে পারবেন। এতে করে আপনার সময় ও শ্রম দুটোই বেঁচে যাবে। আপনি ঘরে বসেই একটি বিজনেস প্রতিষ্ঠা করে ফেলতে পারবেন।

ই-কমার্স কিভাবে কাজ করে

আমরা ইতিমধ্যে জেনেছি ই-কমার্স একটি অনলাইন বিজনেস। ই-কমার্স মূলত একটি বিজনেস মডেল হিসেবে কাজ করে থাকে। মূলত অনলাইনে পণ্য বেচাকেনা হচ্ছে ই-কমার্স। ই-কমার্স আমাদের দৈনন্দিন জীবনে অতি প্রয়োজনীয় একটি জিনিস।

ই-কমার্স নিয়ে কাজ করার জন্য সর্বপ্রথম একটি ওয়েবসাইটের প্রয়োজন। যে ওয়েবসাইটে সকল পণ্যের দাম ও পণ্য সম্পর্কে ডিটেলস বর্ণনা করা থাকবে। যে সম্পর্কিত ওয়েবসাইটটি খোলা হবে সেই ওয়েবসাইটে সেই সম্পর্কিত পণ্য থাকবে।

যখন আপনি কোন লোকাল দোকান অথবা সুপারসপে যান তখন আপনি পণ্যটি হাতে নিয়ে দেখেশুনে ক্রয় করে থাকেন। যেহেতু অনলাইনে হাতে নিয়ে দেখে শুনে নেওয়ার ব্যবস্থা থাকে না সে কারণে পণ্যের নিচে নাম থেকে শুরু করে দাম, উৎপন্ন তারিখ, এছাড়াও পণ্য সম্পর্কে ভালো-মন্দ সকল কিছুই সেখানে বর্ণনা করা থাকে।

যেন কোন ক্রেতার মনে না হয় তিনি অনলাইন থেকে পণ্য ক্রয় করছেন। গেলে সকলের মনে হয় তিনি নিজ হাতে করে পণ্যটি ক্রয় করছেন।এসব বর্ণনা দেওয়া থাকলে ক্রেতাদের অন্যটি কিনতে অনেক সাহায্য হয়।

তারপর পছন্দের পণ্য কেনার জন্য একটি "Add to cart"বাটন থাকে।আপনি যদি সে পণ্যটি কিনতে চান তাহলে সেই বাটনের চাপ দিলে সরাসরি পেমেন্ট এই জায়গাতে নিয়ে যাওয়া হয়। এই ওয়েবসাইটে পেমেন্ট করার জন্য সকল প্রকার ডিটেলস দিয়ে দেওয়া থাকে।

আপনি পণ্যটি অনলাইনে ক্রয় করছেন আপনাকে সেখানে এড্রেস ডিটেলসও দিতে হবে। এতে করে কুরিয়ার বা ডেলিভারি ম্যান আপনাকে পণ্যটি আপনার দেওয়া নির্দিষ্ট স্থানে পৌঁছে দিতে সুবিধা হবে।

যেহেতু ই-কমার্স একটি বিজনেস মডেল হিসেবে কাজ করে সেহেতু সেখানে খারাপ বা নষ্ট পণ্য পাওয়া সম্ভবনা কম থাকে। এখানে ভোক্তা একটি বিশ্বাসের ওপর পণ্যগুলো ক্রয় করে থাকেন।বিক্রেতা এবং ক্রেতার মধ্যে একটি শক্তিশালী বন্ধন তৈরি করতে পারে ই কমার্স।

কিভাবে ই-কমার্স শুরু করব

ই-কমার্স কে যেহেতু একটি বিজনেস মডেল হিসেবে ধরা হয় অনেকেই কি কমার্সের প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করেন। ই-কমার্স একটি ব্যক্তির সময় ও শ্রম দুটোই রক্ষা করে থাকে।

বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ এখন ই-কমার্সের প্রতি বেশি আগ্রহী। কিন্তু অনেকেই এটি জানেন না কিভাবে ই-কমার্স তে হয়। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক কিভাবে ই-কমার্স শুরু করতে হবে।

পরিকল্পনা

যে কোন কাজ শুরু করার পূর্বে একটি সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা করা অতি প্রয়োজনীয়।কারণ কোন কাজ যদি আমরা পরিকল্পনা ছাড়া শুরু করি তাহলে সেই কাজে আমাদের ভুল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।

বলা হয়ে থাকে যদি কোন কাজ শুরুর পূর্বে আমরা সঠিকভাবে পরিকল্পনা করি তাহলে সেই কাজটি অর্ধেক শতাংশ অর্থাৎ ৫০% এগিয়ে থাকে।

শুরু করার পূর্বে একটি পরিকল্পনা করে নিতে হবে আমরা যে ওয়েবসাইট খুলব সেটি কি সম্পর্কিত হবে, এখানে কোন ধরনের পণ্য থাকবে, এলাকায় আমরা পণ্য গুলো পৌছে দিতে পারব, কত পরিমান টাকা বা পণ্য স্টকে থাকবে, ওয়্যারহাউস সেটআপ, মার্কেটিং, ওয়েবসাইট তৈরি, আফটার সেলফ সার্ভিসিং ইত্যাদি সকল কিছু পরিকল্পনা করে নিতে হবে।

এতে করে যখন আমরা ই-কমার্স এর কাজটি শুরু করব তখন আমরা সুন্দরভাবে কাজটি পরিচালনা করতে পারব।এজন্য কাজ শুরুর পূর্বে একটি সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার খুবই প্রয়োজন।

ইনভেস্টমেন্ট প্রক্রিয়াকরণ

একটি বিজনেস দাঁড় করাতে গেলে অবশ্যই ইনভেস্টমেন্টের প্রয়োজন। কারণ যখন কোন কাজ শুরু করব তখন যদি সঠিকভাবে ইনভেস্ট না করা হয় তাহলে সেই কাজটি শুরু হতে না হতেই থেমে যেতে পারে। আর মূলধন ছাড়া কখনোই একটি বিজনেস দাঁড় করানো সম্ভব না।

সেহেতু একটি কাজ শুরুর পূর্বে সেটি ছোট হোক কিংবা বড় অবশ্যই মূলধনের বিষয়টি লক্ষ্য রাখতে হবে। সঠিক পরিকল্পনা ও মূলধন সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারলে স্বল্প মূলধন থেকে একটি বড় বিজনেস তৈরি করা সম্ভব। বিজনেস বড় হলে দেশি বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ইনভেসমেন্ট আসবে।

আর যদি ভুল পন্থা অবলম্বন করা হয় তাহলে বিজনেসটি ক্ষতির সম্মুখীন হবে। আর যদি ইনভেসমেন্ট সঠিকভাবে প্রক্রিয়াকরণ করা হয়ে থাকে তাহলে বড় বড় কম্পিটিটারদেরও পিছে ফেলে সামনে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব। যা আমাদের ই-কমার্সের জন্য খুবই প্রয়োজন।

বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের ই-কমার্সের বিজনেস উদ্যোক্তাদের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই যাচ্ছে। এমন কিছু উদ্যোক্তা রয়েছেন যাদের ওপরিকল্পিত ইনভেসমেন্টের কারণে তাদের বড় বড় ব্যবসা গুলো এখন ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে।

আবার অনেকে তো ই-বিজনেস বন্ধ করে দিয়েছেন। অর্থাৎ বলা যায়,সঠিক বিনিয়োগ ও মূলধন প্রয়োগ করতে না পারলে ই-কমার্স লোকসানের মুখোমুখি হতে হবে এবং এখানে সফল হওয়া সম্ভব না।

ওয়েবসাইট তৈরি

ই-কমার্স বিজনেস শুরু করার পূর্বে সর্বপ্রথম একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে হবে। কারণ এখানে যাবতীয় যেসব কাজ হবে সব এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমেই হবে। যদি একটি সুপরিকল্পিত ওয়েবসাইট তৈরি করা না হয়ে থাকে তাহলে সেই ওয়েবসাইট দ্বারা বিজনেস করা অসম্ভব হয়ে পড়বে।

যদি একটি পরিকল্পিত ওয়েবসাইট আপনি তৈরি করতে না পারেন তাহলে সেখানে আপনি যত ইনভেস্ট করুন অথবা পণ্য রাখুন না কেন সেটি বিক্রয় হবে না। কাস্টমারদের কাছে সেই তথ্যটি পৌঁছাবে না। বর্তমানে অনেক ডেভেলপমেন্ট স্টার্ট - আপ কোম্পানি ই-কমার্স ওয়েবসাইট তৈরীর সার্ভিস দিয়ে থাকে।

সেখান থেকে আপনি ওয়েবসাইটটি কিনে নিতে পারেন অথবা নিজে ব্যক্তিগতভাবে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন। ওয়েবসাইট তৈরি করার সময় অবশ্যই আপনি লক্ষ্য রাখবেন একটি শক্তিশালী হোস্টিং কনফিগারেশনের দিকে।

কারণ যদি আপনি একটি শক্তিশালী কনফিগারেশন তৈরি করতে না পারেন তাহলে সেটি ক্রেতাদের কাছে পৌছাবেনা ধীরে কাজ করবে অথবা কখনো কখনো ওয়েবসাইটটি বন্ধ হয়ে যেতে পারে। যেটি অনলাইনে ই-কমার্স বিজনেসের জন্য খুবই ক্ষতিকর।

একটি শক্তিশালী ডেভিলপারকে ইনস্ট্রাকশন দিয়ে দেবেন তাহলে সেখানে প্রয়োজনীয় ফিচার আপনা আপনি থাকবে। তাহলে সেটি ক্রেতাদের কাছে দ্রুত পৌঁছাবে এবং আপনার বিজনেস দ্রুত গতিতে বাড়তে থাকবে।

মার্কেটিং

অনলাইনে যে কোন বিজনেসে সফলতার জন্য পেছনে মার্কেটিং ব্যাপকভাবে সাহায্য করে। সাধারণত সাধারণ মানুষের ইন্টারনেটের মাধ্যমে পণ্যের চাহিদা তৈরি করে যে মাধ্যম সেটি মূলত মার্কেটিং।ইন্টারনেটে ই-বিজনেসে মার্কেটিং খুবই কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।

আপনার ই-কমার্স বিজনেস টি সকলের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য এবং ক্রেতাদের কাছে সহজলভ্য করার জন্য মার্কেটিংয়ের কোন জুঁড়ি নেই। ইটিং মূলত অনলাইন এবং অফলাইন দুইভাবে করতে হয়। মার্কেটিং এর মাধ্যমে আপনি পর্ন্য টির সকল কিছু খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করে এখানে তুলে ধরতে পারেন।

অফলাইন মার্কেটিং মূলত বিভিন্ন ধরনের কনফারেন্স এবং পর্নের বিজ্ঞাপন ইত্যাদি। এগুলোতে অবশ্যই আপনাকে অংশগ্রহণ করতে হবে তাহলে আপনার বিজনেসের মার্কেটিং টা এভাবে চারিদিকে ছড়িয়ে পড়বে।

কোয়ালিটি নিয়ন্ত্রণ

যখন আপনি অনলাইনের মাধ্যমে একটি বিজনেস দাঁড় করাতে চাইবেন তখন অবশ্যই আপনাকে পণ্যটির কোয়ালিটি মেন্টেন করে চলতে হবে। কারণ যদি একটি পণ্যের কোয়ালিটি ঠিক না থাকে তাহলে এই পণ্যটি অন্যান্য ক্রেতারা ক্রয় করতে চাইবেন না।

কারণ অনলাইনে কোন পণ্য হাতে নিয়ে দেখা যায় না এ কারণে ক্রেতাদের বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জনের জন্য পণ্যের কোয়ালিটি টি ঠিকভাবে ধরে রাখতে হবে। এতে করে আপনার বিজনেস বড় হবে এবং ক্রেতা সংখ্যা দিন দিন বাড়তে থাকবে।

বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন

একটি বিজনেস সেটি অনলাইন হোক অথবা অফলাইন বিজনেসের দাঁড়িয়ে থাকে একজন ক্রেতার বিশ্বাসের ওপর। ধরা যাক একটি দোকান সেটি অফলাইন হোক কিংবা অনলাইন দোকানে কিছু পণ্য রয়েছে পণ্যটি যদি ভালো হয় কোয়ালিটি সম্পন্ন হয় তাহলে ক্রেতা সেখান থেকে পর্ণ্য ক্রয় করবে।

ক্রেতার বিশ্বাস হয়ে যাবে এই দোকানের অথবা এই ওয়েবসাইটের পণ্যগুলো ভালো হয়। তখন তিনি সেটি আরো তার বন্ধুবান্ধব আত্মীয়-স্বজন প্রিয়জনের সাথে সেটি শেয়ার করবে এতে করে সে দোকান অথবা ওয়েবসাইটটির মান বাড়বে এবং ক্রেতা বেশি হবে।

আপনি যদি ই বিজনেস শুরু করতে চান তাহলে আপনাকে ক্রেতার বিশ্বাস কিভাবে অর্জন করা যায় সে সম্পর্কে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হবে। এতে করে আপনার বিজনেস টি খুব ভালোভাবে রান করবে।

যদি অভিজ্ঞতা অর্জন না করে আপনি কি বিজনেস শুরু করেন তাহলে এই বিজনেস টি অনেকদূর নিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে না। ই-কমার্স একটি বিজনেস মডেল। কারণ সেদিন আর বেশি দূরে নয় যেদিন মানুষ আর সশরীলে দোকানে গিয়ে পণ্য ক্রয় করবে। মানুষ এখন অনলাইনে বেশি পণ্য ক্রয় করেন।

বাংলাদেশের ই-কমার্স ব্যবসা

দিন দিন বাংলাদেশে ই-কমার্স ব্যবসা বেড়েই চলেছে। বাংলাদেশের ছোট ছোট উদ্যোক্তারা এখন ই-কমার্স ব্যবসায়ের প্রতি বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন। বাংলাদেশের জনগণ এখন সশরীরে কোন দোকানে গিয়ে পণ্য ক্রয় করার থেকে অনলাইনে পণ্য ক্রয় করতে বেশি স্বাচ্ছন্দ বোধ করেন।

যে কারণে মানুষ এখন ই কমার্স ব্যবসার দিকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন। শুধু যে বাংলাদেশ তা না বিশ্বে বড় বড় দেশ উন্নয়নশীল এবং উন্নত দেশগুলোতেও ই-কমার্স ব্যবসা ব্যাপক জনপ্রিয়। যখন দেশে করোনা ভাইরাসের আক্রমণ বেড়ে গিয়েছিল তখন অনেক মানুষ চাকরি এবং ব্যবসা হারিয়ে বেকার হয়ে ঘরে বসে ছিলেন।

তখন থেকেই মানুষের মাথায় ই-কমার্সের বুদ্ধিটি বেশি করে প্রভাব বিস্তার করে। আর সেই সময় মানুষজন ঘর থেকে বেরোতে পারছিল না ফলে ক্রেতারা অনলাইনে পণ্য ক্রয় করা শুরু করেন। আমরা বর্তমানে দেখতে পাই দারাজ ইভ্যালি নামে একটি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান।

যেখানে লক্ষ্য করলে দেখা যাবে প্রতি বছর সেখানকার ক্রেতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।কিন্তু বর্তমানে বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষ ই-কমার্স এই বিষয় সম্পর্কে অবগত নয় এজন্য মানুষজন অনলাইনে পণ্য বিশ্বাসযোগ্যতার সাথে ক্রয় করতে পারে না।

ই-কমার্স ব্যবসায় যদি আরো উন্নত করতে হয় তাহলে বিশ্বের বুকে বাংলাদেশ একটি বড় ই-কমার্স ব্যবসায়ের দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত লাভ করবে।ই-কমার্স ব্যবসা বাড়ানোর জন্য ইন্টারনেটে সহজলভ্যতা এবং জনগণকে অবগত করা ও অনলাইন ব্যবসার ওপরে জনগণের আস্থা অর্জন করতে পারলেই ই-কমার্স ব্যবসা আরো দ্রুত বৃদ্ধি পাবে।

ই-কমার্স ব্যবসার গুরুত্ব

বর্তমান আধুনিক যুগে দাঁড়িয়ে ই-কমার্স ব্যবসার গুরুত্ব সম্পর্কে বলার তেমন কিছুই নেই।ই-কমার্স ব্যবসার গুরুত্ব অধিক। ই-কমার্স ব্যবসার মাধ্যমে বাংলাদেশের লক্ষ লক্ষ তরুণ এবং বেকার দের একটি ইনকামের পথ হয়েছে।

মানুষকে এখন আর ইনকামের জন্য বিভিন্ন জায়গায় যেতে হয় না এখন ঘরে বসেই অনলাইনের মাধ্যমে ইনকাম করা সম্ভব। আমরা ই-কমার্স ব্যবসায়ের মাধ্যমে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে পারি। বাংলাদেশের বর্তমান সময়ের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের একটি প্রথা হচ্ছে গার্মেন্টস।

যদি গার্মেন্টসের মতো করে ই-কমার্সের উদ্যোক্তাদের ট্রেনিং এবং বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা হয় তাহলে আমরা ই-কমার্স ব্যবসার মাধ্যমেও বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জন করতে পারব। তাই বলায় যাই বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন এবং বাংলাদেশের শত শত বেকার এবং তরুণদের উপার্জনের পন্থা হিসেবে ই-কমার্স একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

আমরা ই-কমার্স সেক্টরের মাধ্যমে বাংলাদেশের অভ্যন্তরের বিভিন্ন ব্যবসা-বাণিজ্য এবং বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ এমন কিছু কিছু পণ্য রয়েছে যেগুলো আমরা বিদেশের মাটিতে বিক্রয় করতে পারি।বাংলাদেশের প্রণীত এমন অনেক পণ্য রয়েছে যেগুলা সম্পর্কে বাংলাদেশের মানুষেরই কোন ধারণা নেই।

এই পণ্যগুলো যদি আমরা ই-কমার্স এর মাধ্যমে তুলে ধরতে পারি তাহলে সেই পণ্যগুলো বিক্রয়ের পাশাপাশি সেগুলো জনপ্রিয়তা লাভ করবে এবং বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশের ঐতিহ্য সম্পর্কে জানতে পারবে। এতে করে বাংলাদেশের জনপ্রিয়তা আরো বৃদ্ধি পাবে।

যেমনঃ ধরা যাক একজন চাষি আম চাষ করেন। সেই আম যখন তিনি তার নিজের এলাকায় বিক্রি করতে যান তখন উপযুক্ত মূল্য পান না। যখন ই-কমার্সের মাধ্যমে সেটি তিনি অনলাইনে বিক্রয় করবেন তখন সেই আমের উপযুক্ত দাম তিনি পাবেন এবং যারা আম ক্রয় করবেন তারা ফরমালিন মুক্ত আম খেতে পারবে।

অর্থাৎ আমরা বলতে পারি ই-কমার্স এর মাধ্যমে বেকার যুবকদের কর্মসংস্থান, এবং ছোট ছোট ব্যবসাহীদের উন্নতি করা সম্ভব। পাশাপাশি ই-কমার্সের উন্নতি হলে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জন করা সম্ভব হবে।

ই-কমার্স ব্যবসা পরিচালনা করার সুবিধা

ই কমার্স ব্যবসা পরিচালনা করার বেশ কিছু সুবিধা রয়েছেন। আপনি যদি সেগুলো সম্পর্কে অবগত না থেকে থাকেন জানতে চান ই-কমার্স ব্যবসা পরিচালনা করার সুবিধা তাহলে এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

স্বল্প মূলধন দিয়ে ব্যবসা করা

যেকোনো ব্যবসা করার পূর্বেই মূলধনের প্রয়োজন সেটি অল্প হোক কিংবা অধিক। আপনি তো আমরা যদি একটি অফিস তৈরি করতে চাই তাহলে আমাদের সেখানে টেবিল চেয়ার আরো প্রয়োজনীয় দ্রবাদের খরচ বহন করতে হবে সেখানে মূলধন বেশি ব্যয় করতে হবে।

কিন্তু যদি আমরা ই-কমার্স ব্যবসা শুরু করি তাহলে আমরা স্বল্প মূলধনে কাজ শুরু করে দিতে পারব ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা হলেই আমরা একটি অনলাইন প্লাটফর্মে ই-কমার্স ব্যবসা শুরু করতে পারি।যদি আমরা সঠিক পদ্ধতিতে মূলধন ব্যয় করি তাহলে আমাদের স্বল্প মূলধন থেকে একটি বড় ব্যবসা করা সম্ভব।এটি হচ্ছে ই-কমার্স ব্যবসার সুবিধার একটি দিক।

ঘরে বসে কাজ করার সুবিধা

ই-কমার্স ব্যবসার আরো একটি বড় সুবিধা হচ্ছে আমরা এটি ঘরে বসে বসেই পরিচালনা করতে পারব।যদি আমরা বাহিরে কোন অফিস কিংবা অন্য কোন জায়গায় কাজ করতে যেতাম তাহলে আমাদের প্রচুর সময় ব্যয় হতো এবং খাটনি বেশি হতো।

আবার যদি ঘরে বসে বসে ই-কমার্স ব্যবসা পরিচালনা করা হয়ে থাকে তাহলে আপনার নির্দিষ্ট কোন জায়গার প্রয়োজন হয় না উনি যে কোন স্থানে বসেই নিজের ইচ্ছেমতো পরিচালনা করতে পারবেন। তাই বলা হয় ই-কমার্সের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য সুবিধা হল এটি আপনি ঘরে বসেই পরিচালনা করতে পারবেন।

খুব অল্প সংখ্যক কর্মী দিয়ে বসে পরিচালনা করা

ইকমেন্ট ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে মালিক নিজেই এটি পরিচালনা করতে পারেন। যেমন ধরা যাক পণ্য ছবি আপলোড করা, ছবি এডিট করা, ছবি সম্বন্ধে ডিটেলস নিচে দিয়ে দেওয়া, পাওনা সম্পর্কে কেউ যদি কিছু জানতে চায় তার উত্তর নিজেই দেওয়া ইত্যাদি কাজগুলো মালিক নিজেই করতে পারে।

তবে যদি এই ই-কমার্স ব্যবসাটি বড় হয় তাহলে সে ক্ষেত্রে কিছু সংখ্যক কর্মী নিয়োগ দিতে হয়। তখন মালিকের সবদিকে একসাথে খেয়াল রাখা সম্ভব হয়ে ওঠে না।

ই-কমার্স ব্যবসা পরিচালনার অসুবিধা

সকল ব্যবসার সুবিধা এবং অসুবিধা দুটো দিক রয়েছে। আপনার ব্যবসাটি অনলাইন হোক কিংবা অফলাইন হোক আপনাকে অসুবিধার মুখোমুখি একবার না একবার হতেই হবে। তেমনই ই-কমার্স ব্যবসা পরিচালনারও কিছু অসুবিধার দিক রয়েছে।

সংকেত সমস্যা

অনলাইনে পণ্য কেনা বেচার সময় অনেক সময় ইন্টারনেট কানেকশনের সমস্যা হয়। আবার পেজ লোড নিতে সময় লাগে, এছাড়াও অনেক সময় প্রয়োজনের সময় অন্যটি অ্যাভেলেবল থাকে না।

পণ্যের গুণমানের সমস্যা

যেহেতু অনলাইনে কোন পণ্য ক্রয় করার সময় সেটি হাতে নিয়ে দেখা সম্ভব হয়না কেউ তো সেটি খারাপ নাকি ভালো আমরা বুঝতে পারি না। এজন্য অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় একটি পণ্য দেখানো হয় কিন্তু দিয়ে দেওয়া হয় অন্য একটি পণ্য।

বিশ্বাসগ্রস্থ সমস্যা

অনলাইনে পণ্য ক্রয় বিক্রয়ের সময় আমরা সেটি দেখে, কিংবা বিক্রেতার ফেস টু ফেস হয়ে সেই পণ্যটি আমরা ক্রয় করতে পারি না। ফলে আমাদের বিশ্বাস একটু নড়বড়ে হয়ে যায়।

ভয়

যদিও ই কমার্স অনেক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে তবুও পণ্য ক্রয় করার সময় একটি ভয় থেকে যায়।মনে সন্দেহ রয়ে যায়। যে পণ্য অর্ডার করেছি সেটি ঠিকভাবে আসবে কিনা পণ্য কেমন হবে কোয়ালিটি সম্পন্ন হবে কিনা এসব বিষয় নিয়ে ভয় রয়ে যায়।

ডেলিভারি গ্যারান্টি

অনেক ক্রেতা মনে করেন আমি যেই পণ্যটি ক্রয় করেছি এটি আসল হবে কিনা। আবার অনেকে মনে করেন আমি যেটি অর্ডার করেছি সেটি ঠিকভাবে ডেলিভারি পাব কিনা অথবা যেই পেজ থেকে অর্ডার করা হয়েছে সেই পেজটি জালিয়াত কিনা। এসব ভয় এবং দ্বিধা থেকে মানুষ ডেলিভারি গ্যারান্টি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।

প্রদানের সমস্যা

অনলাইনে অন্য কেনা বেচার সময় ট্রানজেকশনের সমস্যা দেখা দেয়। যেমন বিলিং সমস্যা, পেমেন্ট সমস্যা আবার অনেক সময় অর্থায়নের সমস্যা ও দেখা দেয়।

পরিবেশন সমস্যা

অনলাইনের মাধ্যমে কিছু কেনার পর সেটি যেহেতু কোরিয়া কিংবা ডেলিভারি ম্যামের মাধ্যমে আসে কেউ তো সেখানে বেশ কিছু সমস্যা থেকেই যায়। যেমন পণ্যের ভালো অবস্থা সমস্যা, সঠিক পরিমাণ, প্যাকেজিং এর সমস্যা ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের সমস্যার মুখে হতে হয।

বিজনেসের জন্য ই-কমার্স ওয়েবসাইট  কি খুব প্রয়োজন

বর্তমান সময়ে এসে ধরাই যেতে পারে একটি বিজনেস দাঁড় করানোর জন্য ই-কমার্স ওয়েবসাইটটি খুবই প্রয়োজন। কারণ এখন দেখা যাচ্ছে বেশিরভাগ বড় বড় প্রতিষ্ঠানগুলোর বিভিন্ন জায়গাতে বড় বড় শোরুম থাকা শর্তেও তারা একটি ওয়েবসাইট খোলা রেখেছেন।

যাতে করে দেশের বিভিন্ন জায়গার মানুষজন তাদের সবথেকে পণ্য কিনতে পারেন। এতে করে কি হয় তাদের শপের পণ্যটি যেমন বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে যাচ্ছে এবং ক্রেতারা সেটি সহজে ক্রয় করতে পারছেন এবং অফলাইনের যে দোকানগুলো রয়েছে সেটিতেও বিক্রি বেশি হচ্ছে।

এতে করে ব্যবসায়ীদের উভয় দিক থেকেই লাভ হচ্ছে। আমরা এই কমার্স যতটা সহজ মনে করছি আসলে এটি ততটা সহজ না। ধরুন আপনি একটি জুতার দোকানে গিয়েছেন। সেখানে গিয়ে দেখতে পেলেন অনেক রকমের জুতার ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখা রয়েছে।

সেখানে পণ্যের কোনো নাম বা বর্ণনা দেওয়া নেই কিংবা কোন বিক্রেতা নেই এটি বিক্রয় করার জন্য।তাহলে কি আপনি সেই দোকান থেকে জুতা ক্রয় করবেন। নিশ্চয়ই করবেন না। ঠিক সেই রকমই অনলাইনে কেনাকাটা অর্থাৎ ই কমার্স ওয়েবসাইটগুলোতেও এরকমভাবে পণ্য ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখা হয়ে থাকে।

কিন্তু সেখানে কোন সম্পর্কের ডিটেলস আলোচনা করা হয়।বা আপনি যদি এই সম্পর্কে আরো গভীরভাবে কিছু জানতে চান তাহলে সেখানে কথা বলার সুযোগ রয়েছে।

এভাবে আপনি পণ্যটি সম্পর্কে জানতে পারবেন এবং আপনার যদি পছন্দ হয় তাহলে সে পণ্যটি সেখান থেকে ক্রয় করে নিতে পারবেন। মূল কথা বলা যেতে পারে বিজনেস এর জন্য ই-কমার্স এর গুরুত্ব অপরিসীম।

পরিশেষেঃ ই-কমার্স ওয়েবসাইট কি? ই-কমার্স ওয়েবসাইট কি বা কেন প্রয়োজন 

আজকে আমাদের আর্টিকেলটির বিষয় ছিল ই-কমার্স ওয়েবসাইট কি এবং ই-কমার্স ওয়েবসাইট কেন প্রয়োজন। আপনি উপরের তথ্যগুলো বিস্তারিতভাবে পড়ে অবশ্যই এই বিষয় সম্পর্কে ধারণা লাভ করেছেন। 

এই আর্টিকেলটি সম্পর্কে আপনার যদি কোন মন্তব্য থাকে তাহলে নিচে কমেন্ট বক্সে লিখবেন। এইরকম তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করুন। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

জানবো আমরা ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url