বিনা পুঁজিতে বা বিনা টাকায় অনলাইনে কি কি ব্যবসা করা যায় জানুন
বিনা টাকায় অনলাইনে কি কি ব্যবসা করা যায় সেই মাধ্যমগুলোই আজকে আপনাদের সাথে আমি
আলোচনা করবো। টাকা ইনভেস্ট এর মাধ্যমে অনলাইনে বিভিন্ন ব্যবসা করা যায় কিন্তু
বিনা পুঁজিতে বা বিনা টাকায় অনলাইনে কি কি ব্যবসা করা যায় সেটা অনেকেই জানেন না।
আপনারা যারা বিনা পুঁজিতে বা বিনা টাকায় অনলাইনে ব্যবসা শুরু করতে চাচ্ছেন তাদের
জন্যই মূলত এই আর্টিকেল।
বিনা টাকায় অনলাইনে ব্যবসা। বিনা টাকায় অনলাইনে কি কি ব্যবসা করা যায় |
সূচিপত্রঃ বিনা টাকায় অনলাইনে ব্যবসা? বিনা টাকায় অনলাইনে কি কি ব্যবসা করা যায়?
আপনারা অনেকেই অনলাইনে ব্যবসা করতে চাচ্ছেন কিন্তু পারছেন না। কারন আপনারা অনলাইন ব্যবসা সম্পর্কে তেমন কিছুই জানেন না। আজকে আপনাদের বিনা টাকায় অনলাইন ব্যবসা সম্পর্কে জানাবো। চলুন তাহলে বিনা টাকায় অনলাইনে কি কি ব্যবসা করা যায় জানা যাক।
বিনা টাকায় অনলাইন ব্যবসা
এখন অনলাইনের মাধ্যমে বিনা টাকায় নানা রকম কাজ করে টাকা রোজগার করা যায়। এরমধ্যে অনলাইন ব্যবসা একটি। আমরা সারাদিন মোবাইলে নেটে ঘাটাঘাটি করে নানা কিছুই দেখে থাকি আবার অনেক সময়ও ব্যয় করে থাকি।
তাই এই সময়টা যদি আমরা মোবাইলের অন্যান্য কিছু না ঘাঁটাঘাটি করে নিজে কিছু একটা যদি অনলাইনের মাধ্যমে করে থাকি। সে ক্ষেত্রে আমাদের প্রয়োজনে কিছু টাকা ও আসতে পারবে এবং আমরা ঘরে বসেই আয় রোজগার করতে পারব এই অনলাইন ব্যবসার মাধ্যমে।
তাই বলা যায় আপনি যদি কোন টাকা ছাড়াই কোন ব্যবসা করতে চান সেক্ষেত্রে আপনি এই অনলাইন ব্যবসাটি করতে পারেন। আপনি মাত্র ৫০০ টাকারও কম খরচে আপনি এ ব্যবসাটি শুরু করতে পারবেন।
ব্যবসা যদি আপনার ঠিকমতো চলতে থাকে আস্তে আস্তে আপনি) সেখানে আরো কিছু টাকা এড করে আপনার ব্যবসা বড় করতে পারবেন এবং আপনি প্রতি মাসে নিম্নে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকার মত আয় করতে পারবেন।
বিনা টাকায় অনলাইনে ব্যবসা শুরু করার পদ্ধতি
এ ব্যবসা শুরু করার পদ্ধতি হলো আপনি আপনার খদ্দরটি জোগাড় করবেন এবং আপনি প্রোডাক্টটি জোগাড় করবেন। এ কাজের প্রথমে আপনাকে বিক্রেতাকে খুঁজতে হবে। তারপর আপনি অ্যাপস থেকে প্রোডাক্টটি নির্বাচন করবেন।
আপনি রিসাইনিংস অ্যাপস এর মত এপ্স গুলো থেকে আপনি প্রোডাক্ট নির্বাচন করতে পারবেন। আর এই প্রোডাক্ট নির্বাচনের পদ্ধতি গুলো হল প্রথমে আপনাকে দেখতে হবে যে কোন জিনিসটি সচারটার বাজারে পাওয়া যায় না।
যে জিনিসটি সচরাচর বাজারে পাওয়া যায় না সে জিনিসটি আপনাকে সেখান থেকে নির্বাচন করতে হবে। তারপর ওই প্রোডাক্টটি সঙ্গে আপনার লাভ যোগ করতে হবে। তারপর ওই প্রোডাক্টের ছবি বা ভিডিও ফেসবুক, instagram, ইউটিউব ইত্যাদি এগুলোতে আপনাকে প্রচার করার জন্য ছাড়তে হবে।
তারপর সেগুলো শর্ট ভিডিও বা সুন্দর করে সাজিয়ে আপলোড করতে হবে। এভাবে আপনি সেখানে লিখতে পারেন যে কেনার জন্য মেসেজ করুন। এভাবে আপনি আপনার প্রোডাক্ট এর প্রচারণা করবেন তাহলে আপনার খদ্দের বাড়বে।
আর আপনি ধীরে ধীরে ব্যবসা শুরু করতে পারবেন। তারপর আপনি আপনার খদ্দের যদি আপনার প্রোডাক্টটি কনফার্ম করে তখন আপনি তার নাম ঠিকানা এবং মোবাইল নাম্বার নিবেন।
তারপর আপনার খদ্দর কে ঠিকানায় আপনার প্রোডাক্ট টি ডেলিভারি করার জন্য অর্ডার দিতে হবে। আর এই পদ্ধতিতে আপনি এই ব্যবসাটি শুরু করতে পারবেন।
প্রতি মাসে ১৫ হাজারের অধিক আয়
ব্যবসা করার ক্ষেত্রে আপনাকে ভালো প্রোডাক্ট নির্বাচন করতে হবে আর এই ভালো প্রোডাক্ট নির্বাচন করার ক্ষেত্রে আপনি অধিক টাকা লাভ করতে পারবেন। বর্তমানে সবাই সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার করে অনেক টাকা উপার্জন করছে।
৫০০০০টাকারও বেশি উপার্জন করছে এখন মানুষ প্রতিমাসে অনলাইন কাজ করার মাধ্যমে। আপনি এ ব্যবসা পরিচালনা করার জন্য আপনাকে বিভিন্ন অ্যাপসের মাধ্যমে পরিচিত হতে হবে।
যেমন facebook, ইনস্টাগ্রাম ইত্যাদি আরও যে সকল সোশ্যাল মিডিয়া আছে সেগুলোর মাধ্যমে আপনাকে পরিচিত লাভ করতে হবে তাহলে আপনার ব্যবসা সামনের দিকে এগিয়ে যাবে। এভাবে আপনি অনলাইনের মাধ্যমে প্রতি মাসে ১৫ হাজারেরও অধিক টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
টাকায় অনলাইন ব্যবসার নাম হলো ড্রপ শিপিং। এই ড্রপ শিপিং এর মাধ্যমে আপনি টাকা ছাড়াই ব্যবসা শুরু করতে পারবেন। এটার কাজ হল আপনি খদ্দেরের কাছ থেকে অর্ডার নেবেন এবং বিক্রেতার কাছে তা অর্ডারটি দিবেন। এভাবেই আপনি লভ্যাংশ পাবেন।
বিনা টাকায় অনলাইনে কি কি ব্যবসা করা যায়
বিনা টাকায় অনলাইনে যে সকল ব্যবসাগুলো করা যায় সেগুলো হলঃ
- বিজনেস কোর্স
- ইবে স্টোর মালিক
- ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট
- টি-শার্টের অনলাইন স্টোর
- ড্রপ শিপিং ব্যবসা
- অনলাইন কনসালটেন্ট
- ভিডিও ব্লগিং ইত্যাদি
একটা প্রোডাক্ট আপনি খদ্দেরের কাছ থেকে ২০০ টাকা দাম নিবেন সেক্ষেত্রে আপনি প্রোডাক্টটি বাইরে থেকে ১০০ টাকা দাম দিয়ে কিনেছেন তাহলে আপনার লাভ হল ১০০ টাকা। এভাবেই আপনি কম টাকায় ব্যবসা আরম্ভ করতে পারবেন।
এই ব্যবসাটির নাম আবার রিসেলিং দেওয়া হয়েছে সে ক্ষেত্রে আপনি আপনার নিজের ইচ্ছামত লাভ রেখে খদ্দেরের জন্য তা অর্ডার করতে পারবেন। এভাবে আমি নানা রকম অ্যাপস এর মাধ্যমে রিসেলিং এর মত অ্যাপ ব্যবহার করে আপনি টাকা রোজগার করতে পারবেন কোন টাকা ছাড়াই।
ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট
তথ্যপ্রযুক্তির যুগে এখন মানুষ অফিস ছাড়াই অনলাইনের মাধ্যমে যে সকল ব্যবসা বা কাজকর্ম করে থাকে সেগুলোকেই ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট বলা হয়। অফিস ছাড়াই তারা এখন ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট অনলাইনের মাধ্যমে কাজ করায়ে থাকে।
যেমন ফোন কলের মাধ্যমে, কাস্টমারের ফোন রিসিভ বা বিভিন্ন সেবা দেওয়ার জন্য বা অন্যান্য যে সকল অনলাইনের মাধ্যমে করা হয়ে থাকে সে সকল কাজের জন্য এই ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট নেওয়া হয়ে থাকে।
প্রথমদিকে কাজটা যখন শুরু করা হয় তখন দুই একজনকে নিয়ে এ কাজ শুরু করা হয়। তারপর যখন আপনার ব্যবসা বা প্রতিষ্ঠানটি বড় হতে থাকে আপনার কাজের চাপ যখন আরও বাড়তে থাকে।
তখন আরো কিছু এসিস্ট্যান্ট নেওয়া হয়ে থাকে। এই অনলাইনের মাধ্যমে সকল কার্যক্রম এই ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট দ্বারা গ্রাহকদের বা কাস্টমারদের সেবা দিয়ে থাকে তারা।
বিজনেস কোর্স
আপনি এই বিজনেস কোর্স এর মাধ্যমে আপনার ব্যবসা নিয়ে বা যেকোনো ধরনের বিজনেস করেন না কেন তার আগে এই কোর্সটা যদি আপনি করে থাকেন সেক্ষেত্রে আপনার জ্ঞান অর্জন হবে। সে কাজটা সম্পর্কে ধারণা আসবে এজন্য এই কোর্সটা করলে আপনি ভালোভাবে আপনার কাজ সম্পন্ন করতে পারবেন।
কাজ সম্পর্কে সকল ধারণা থাকবে আপনার এবং আপনি ঠিকভাবে পরিচালনা করতে পারবেন। আবার আপনি এই কোর্স করে মানুষজন কেউ আপনি এই কোর্স শিখাতে পারবেন।
আপনি টাকা উপার্জন করতে পারবেন এর মাধ্যমে। এভাবে আপনি বিজনেসের বিভিন্ন ধরনের টিউটোরিয়াল তৈরি করেও আপনি টাকা উপার্জন করতে পারবেন।
টি-শার্টের অনলাইন স্টোর
এখন মানুষ টি-শার্টের ব্যবসা করে অনেক টাকা উপার্জন করছে। আর এই ব্যবসা অনলাইনের মাধ্যমে করলে তো কোন কথাই নেই এখন অনলাইনের মাধ্যমে টি-শার্ট অনেকেই কিনে থাকে। ভালো মানেরও পেয়ে থাকে এজন্য এখন মানুষ ঘরে বসেই অনলাইন থেকে জিনিসপত্র বেশি কেনে এতে তাদের সুবিধা হয়।
তাই এখন অল্প খরচেই অনেকগুলো টি শার্ট তৈরি করা যায় দেখে অনেকেই এখন এই বিজনেস অনলাইন এর মাধ্যমে করছে।
ফেসবুকের মাধ্যমে পেজ খুলে অনেক উন্নত মানের ডিজাইন সহকারে টি শার্ট তৈরি করে তারা তা আকর্ষনীয় করে মানুষদেরকে ইমপ্রেস করে এবং তা বিক্রয় করে। এভাবেই টি-শার্টের অনলাইন স্টোর বিজনেস করছে সবাই এবং টাকা উপার্জন করছে।
ভিডিও ব্লগিং
ভিডিও ব্লগিং অনেকেই এখন করছে এটা করা খুবই সহজ কারণ আপনাদের নিত্য নতুন দিনে আপনারা বাড়িতে বা বাইরে বা যেখানেই হোক যে সকল কাজগুলো করে থাকেন স্বাভাবিকভাবে শে সকল কাজ গুলি মানুষ ব্লগিং ভিডিওর মাধ্যমে তুলে ধরছে।
এগুলো ভিডিও করে মানুষ পোস্ট করছে বিভিন্ন ওয়েবসাইটের মাধ্যমে যেমন ফেসবুক ইউটিউব instagram ইত্যাদিতে টিক টক এগুলোতে। এভাবে অনেক মানুষ এখন ভিডিও ব্লগিং করে টাকা উপার্জন করছে মাসে প্রতিদিন।
অনলাইন কনসালটেন্ট
অনলাইন কনসালটেন্ট মূলত আনলাইনের মাধ্যমে আপনাকে তারা বিভিন্ন কাজ করার জন্য পরামর্শ দিয়ে থাকবে। এছাড়াও এটি বাইরের অফলাইনের মাধ্যমেও করা যায়।
কিন্তু অনলাইনের মাধ্যমে এখন সবাই করছে এতে করে আপনার জ্ঞান বাড়বে এবং আপনি অন্যান্য কাজে এগিয়েও যেতে অনুপ্রেরণা পাবেন। তাই বলা হয় অনলাইনে জনপ্রিয় পরামর্শদাতা এর মাধ্যমে আপনি পরামর্শ নিতে পারবেন।
ইবে স্টোর মালিক
অনলাইন বিজনেসের ক্ষেত্রে ইবে স্টোর খুব জনপ্রিয় একটি মাধ্যম। আপনার যদি এ সম্পর্কে ধারণা থাকে তাহলে আপনি খুব সহজে ইনকাম করতে পারবেন এর মাধ্যমে। এটা ভার্চুয়াল একটি মাধ্যম।
এই মাধ্যমে আপনি যেকোনো পণ্য বিশাল ছাড় দিয়ে বিক্রয় করতে পারবেন এবং লাভবান হতে পারবেন। এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আপনি কম দামে পণ্য কিনে বেশি দামে বিক্রি করতে পারবেন এবং স্বাভাবিক দামেও তা বিক্রি করে দিতে পারবেন কোন ঝামেলা ছাড়াই।
এজন্যই মাধ্যমিকে সবসময় নজর রাখতে হবে আপনার পণ্য কিনা বা বিক্রি করার দিকে। যে মূল্য দিয়ে পণ্যটি কিনছেন তার চেয়ে বেশি মূল্য দিয়ে বিক্রয় করবেন।
আর মূল্য ছাড় যদি কম হয়ে যায় সে ক্ষেত্রে স্বাভাবিক মূল্য দিয়েও বিক্রি করতে পারবেন। এভাবে আপনি এ মাধ্যমে যদি বিজনেস করে থাকেন তাহলে আপনার লস হবে না।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ইনফ্লুয়েঞ্জার
যদি আপনার অনলাইনের মাধ্যমে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে আপনার যদি অনেক ফলোয়ার থাকে সেক্ষেত্রে আপনি টাকা ইনকাম করতে পারবেন। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে একটি উপার্জনের পথ আপনাকে খুলে দিতে পারে।
সোশ্যাল মিডিয়াতে যে কোন পণ্য আপনি যদি আপলোড করেন সে ক্ষেত্রে সে পণ্যটিতে যদি আপনার অনেক ফলোয়ার লাইক কমেন্ট ইত্যাদি হয় সেক্ষেত্রে আপনি টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
এ্যাক্টিভ ফেসবুক ফলোয়ার নিতে চাইলে যোগাযোগ করুন।
এভাবেই আপনি বিনা টাকায় অনলাইন ব্যবসা করে টাকা উপার্জন করতে পারবেন। এজন্য আপনাকে আগেই দক্ষ হতে হবে এবং আপনাকে ধৈর্য সহকারে কাজটিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে তাহলে আপনি সফল হতে পারবেন।
পরিশেষেঃ বিনা টাকায় অনলাইনে ব্যবসা বা বিনা টাকায় অনলাইনে কি কি ব্যবসা করা যায়?
বিনা পুঁজিতে বা বিনা টাকায় অনলাইনে কি কি ব্যবসা করা যায় সেগুলো নিশ্চয়
ভালোভাবে পড়েছেন। আপনি এই উপায়গুলোর মধ্যে যেকোন একটি তে মোটামুটি দক্ষতা অর্জন
করে শুরু করে দিতে পারেন। আপনাকে অবশ্যই ধৈর্য্য সহকারে করতে হবে।
বিনা পুঁজিতে বা বিনা টাকায় অনলাইনে কি কি ব্যবসা করা যায়
এই সম্পর্কে আপনার কোন মন্তব্য থাকলে নিচের কমেন্ট বক্সে লিখবেন। এইরকম তথ্য পেতে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন।
জানবো আমরা ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url