কোন রাশি সবচেয়ে খারাপ এবং কার কোন রাশি কিভাবে জানবো
কোন রাশি সবচেয়ে খারাপ বা কার কোন রাশি কিভাবে জানবো এই বিষয়গুলো নিয়েই গুগলে সার্চ করেছেন নিশ্চয়। এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনাদের জানাবো কোন রাশি সবচেয়ে খারাপ এবং কার কোন রাশি কিভাবে জানবো। কোন রাশি সবচেয়ে খারাপ জানার পাশাপাশি জানবেন কোন রাশি সবচেয়ে বুদ্ধিমান, কোন রাশি সবচেয়ে শক্তিশালী, কোন রাশি সবচেয়ে ভাগ্যবান।
কোন রাশি সবচেয়ে খারাপ এবং কার কোন রাশি কিভাবে জানবো। |
সূচিপত্রঃ কোন রাশি সবচেয়ে খারাপ এবং কার কোন রাশি কিভাবে জানবো
ভূমিকাঃ
রাশির মধ্যে ভালো খারাপ সব রকমের রাশি রয়েছে। একটি রাশি যে শুধু ভালো দিক থাকবে এমনটি না আবার একটি রাশি যে শুধু খারাপ দিকে থাকবে এমনটি না। সকল রাশিরই ভালো-মন্দ সবদিক রয়েছে।
আপনি নিশ্চয়ই জানতে চান কোন রাশি সবচেয়ে খারাপ।
আজকের এই আর্টিকেলে শুধুমাত্র আমরা কোন রাশি সবচেয়ে খারাপ এটি ছাড়াও আরো আলোচনা করব;কোন রাশি সবচেয়ে বেশি বুদ্ধিমান, কার কোন রাশি কিভাবে জানব,কোন রাশি সবচেয়ে বেশি শক্তিশালী, কোন রাশি সবচেয়ে ভাগ্যবান।
মনোবিজ্ঞানীরা মনে করেন, একজন ব্যক্তি কখনোই সম্পূর্ণ খারাপ অথবা সম্পূর্ণ ভালো হন না। মানুষের মধ্যে অবশ্যই ভালো খারাপ দুইটি দিকই রয়েছে। ঠিক তেমনি রাশির ক্ষেত্রেও ভালো খারাপ দুটি রাশি রয়েছে। মানুষের মধ্যে অনেকগুলো রাশি দেখা যায়।
ভিন্ন ভিন্ন মানুষের ভিন্ন ভিন্ন রাশি হয়ে থাকে। যেমন রয়েছে মেষ রাশি, মিথুন রাশি, মকর রাশি, বৃষ রাশি, তুলা রাশি, সিংহ রাশি, কর্কট রাশি, কন্যা রাশি, বৃশ্চিক রাশি, ধনু রাশি, কুম্ভ রাশি, মীন রাশি। ভিন্ন ভিন্ন রাশির বৈশিষ্ট্য ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। কোন রাশির সাথে কোন রাশির বৈশিষ্ট্যের মিল থাকে না। চলুন জেনে নেওয়া যাক কোন রাশি সবচেয়ে খারাপ।
মেষ রাশি
মেষ রাশির জাতকরা খুব ভালো হয়ে থাকেন। কিন্তু এই রাশির জাতকরা আবার অনেক অহংকারী হন। তারা নিজেদের নিয়ে এবং নিজেদের জীবন যাপন নিয়ে অহংকারী হয়ে থাকেন। মেষ রাশির জাতকরা শান্ত স্বভাবের হলেও তারা মনে মনে কাউকে খুন করতে চান।
তারা মনে মনে খুন করার অনেক ফন্দি তৈরি করেন। কিভাবে খুন করা যায় তার একটি নকশা তৈরি করেন। যদিও তারা খুন করার একটি নকশা তৈরি করেন কিন্তু সত্যি সত্যি তারা খুন করেন না। মাঝেমধ্যে মেষ রাশির জাতকরা প্রতিবন্ধীদের খুন করার পরিকল্পনা করেন।
মিথুন রাশি
মিথুন রাশির জাতকদের মানবিক জ্ঞান খুব ভালো। তারা খুব সহজেই একটি বিষয় আয়ত্ত করতে পারে। মিথুন রাশির জাতকেরা বড় কোন অপরাধীর সাথে সাধারণত যুক্ত হতে চায় না কিন্তু এরা ছোটখাটো ভুল বা অপরাধীর সাথে নিজের ইচ্ছা না থাকা সত্ত্বেও যুক্ত হয়ে পড়ে।
এরা মাঝেমধ্যে ছোটখাটো চুরি করে থাকে কিন্তু বড় চুড়ি বা ডাকাতি থেকে এরা সব সময় এড়িয়ে চলে। মিথুন রাশির লোকেরা খুব সাংঘাতিক টাইপের হয়না। মিথুন রাশির জাতকেরা ছোটখাটো বিষয়ক জলদি কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারেনা।
মকর রাশি
মকর রাশির জাতকেরা খুব হিংস্র প্রকৃতির হয়ে থাকে। এই রাশির লোকেরা পুরাতনে বিশ্বাসী। এরা নিজে নতুন কিছু করেনা এবং অন্য কেউ নতুন কিছু করলে তা সহ্য করতে পারে না। মকর রাশির জাতকেরা ছোটখাটো পকেটমারি থেকে শুরু করে মানুষ হত্যা পর্যন্ত করতে পারে।
এরা খুব ভালোভাবে পরিকল্পনা করতে পারে। কিভাবে মানুষের ক্ষতি করা যায় মকর রাশির লোকেরা এটি খুব ভালো করে পরিকল্পনা করেন। কর্মস্থলেও এরা খুব আলসামী করেন। মকর রাশি যেসব জাতকের মধ্যে এসব নেগেটিভ দিক বেশি রয়েছে সেইসব লোকের সাথে না মেশাই উত্তম।
বৃষ রাশি
বৃষ রাশির লোকেদের সহজেই মাথা গরম হয়ে যায়। এরা সামান্য কিছু ব্যাপার নিয়ে হুটহাট রেগে যান। অন্যকে কিভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হয় বৃষ রাশির লোকেরা খুব ভালো করে জানেন। এই রাশির জাতকরা নিজেরা খুব বড় অপরাধ করেন না কিন্তু অন্যকে অপরাধ করতে প্রলোভন দেখান।
তুলা রাশি
অনেকে বলে থাকেন তুলা রাশি অনেক পাতলা রাশি। জ্বীন জাতির প্রভাব পড়ে তুলা রাশির জাতকদের ওপরে। এরা সাধারণত অপরাধ প্রবন লোক হয়ে থাকে। তুলা রাশির জাতকরা দলবদ্ধভাবে অপরাধ করতে পছন্দ করেন। এরা একা অপরাধী দক্ষ না।
তাই এরা সব সময় দলবদ্ধ ভাবে কাজ করতে পছন্দ করেন। এই রাশির লোকেরা অনেক আবেগপ্রবণ হয়ে থাকেন। এরা অনেক অলস প্রকৃতির এবং এরা কি জাতকদের মন বদলাতে সময় লাগে না।
সিংহ রাশি
সিংহ রাশির জাতকরা প্রথমত অনেক রাগী প্রকৃতির হয়ে থাকেন। এরা কি জাতকদের অল্পতেই মাথা গরম হয়ে যায়। মাথা গরম হয়ে গেলে লঘুগুরু জ্ঞান করেন না। এই রাশির জাতকদের অনেক আত্ম অহংকার থাকে। এরাসিক জাতকরা দাম্ভিক ও অহংকারী হয়ে থাকেন।
অতিরিক্ত মাথা গরম থাকে জন্য অনেক সময় এই রাশির জাতকদের মানসিক অসুখ থাকে। এ রাশির জাতকরা বিভিন্ন সময় অনেক অপরাধ মূলক কাজে জড়িয়ে যান। সাধারণত এরা ছোটখাটো অপরাধমূলক কাজ করেন না।
এরা অনেক বড় অপরাধ করে থাকেন যেন মানুষ তাদের খুব সহজেই চিনতে পারে। দশের মাঝে নিজেকে সেরা করার জন্য এরা বড় বড় অপরাধ করতেও পিছু হাটে না।
কর্কট রাশি
ছোট ছোট কারণে এদের মাথা গরম হয়ে যায়। মাথা গরম হয়ে গেলে কখন কোন কাজ করতে হবে সেটার হুশ থাকে না। মাথা গরম হয়ে গেলে কোন অপরাধ করতে এই রাশির জাতকেরা দুইবার ভাবেন না।
কিন্তু যখন মাথা গরম হয়ে যায় কেউ যদি এসে শান্তভাবে বিষয়টি বুঝিয়ে বলেন তাহলে মাথা ঠান্ডা করে আবার নতুন করে পরিকল্পনা শুরু করেন। কর্কট রাশির জাতকেরা সাধারণত খুব আত্ম অহংকারী হন। সব সময় সব জায়গায় নিজের মুখ বজায় রাখেন। অন্যের উপর ছোট ছোট বিষয় সন্দেহ করা এ রাশির জাতকদের স্বভাব।
কন্যা রাশি
তুলা রাশির মতো কন্যা রাশির অনেক পাতলা আসির হয়ে থাকে। এই রাশি লোকদের উপর ও জ্বীনের প্রভাব পড়ে থাকে। কন্যা রাশির লোকেরা সব সময় সাজানো গোছানো ভাবে চলতে পছন্দ করেন। তারা নিজে পরিপাটি থাকতে এবং অন্যকে পরিপাটি দেখতে পছন্দ করে।
সারাক্ষণ কিভাবে পারফেক্ট থাকা যায় এবং কোন জিনিসটি ভালো হবে সেটি খোঁজ করেন। নিজের দৃষ্টি দিয়ে অন্যদের বিচার করেন। যদি কেউ ওনার ভুল ধরিয়ে দেয় তাহলে তাদেরকে ঘৃণার দৃষ্টিতে দেখেন। তুলা রাশির জাতকেরা সব কাজ পারফেক্ট ভাবে করতে পছন্দ করেন।
যদি এই তুলা রাশির জাতকরা চুরিও করে থাকে তাহলে সেখানেও পারফেক্ট ভাবে করে থাকে। এ রাশি জাতকরা অপরাধ ও খুব ঠান্ডা মাথায় ভেবে চিন্তে করেন।
বৃশ্চিক রাশি
বৃশ্চিক রাশির জাতকেরা সব সময় বিখ্যাত হতে পছন্দ করেন। এরা চায় ১০ জনের মধ্যে একজন হতে। কেউ যদি এদের ছাড়িয়ে উপরে উঠে তাহলে এরা তাদের সহ্য করতে পারে না। নিজের উন্নতির জন্য এরা অপরের ক্ষতি করতে দুইবার ভাবে না।
এরা নিজেরা অপরাধ করে এবং অপরাধের সঙ্গী জোটাতেও পটু হয়ে থাকে। বৃশ্চিক রাশির জাতকরা ডমিনেটিং স্বভাবের হয়ে থাকে। এরা অন্যদের ম্যানুপুলেট করতে ওস্তাদ। শুধুমাত্র চাই সবাই তাকে নিয়েই আলোচনা করবে।
ধনু রাশি
এরা নিজেদের ভবিষ্যৎ নিয়ে অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসী এবং অতিরিক্ত উদাসীন হয়ে থাকে। এরা নিজেদের নাম বজায় রাখার জন্য অন্যের সাথে খারাপ ব্যবহার করতে দ্বিধাবোধ করে না। এরা অন্যের অর্জিত নাম ও কৃতিত্ব নিজের বলে চালিয়ে দেয়।
ধনু রাশির জাতকরা খুবই স্মার্ট হয়ে থাকে। ধনু রাশির জাতকরা যদি কোন অপরাধ করেও থাকে খুব সহজে আত্মগোপন করে নিতে পারে।এদেরকে ধরা অনেক কঠিন। ধনু রাশির জাতকরা অনেক ধূর্ত প্রকৃতির হয়ে থাকে।
কুম্ভ রাশি
কুম্ভ রাশির জাতকেরা প্রতিশোধ প্রবন হয়ে থাকে। এরা যেভাবেই হোক নিজেদের প্রতিশোধ নিয়েই থাকে। অনেক দিনের পুরাতন রাগ এরা মনের মধ্যে পুষে রাখে এবং সময় সুযোগ বুঝে প্রতিশোধ নেয়। কুম্ভ রাশির জাতকরা একঘেয়ে প্রকৃতির হয়ে থাকে।
এরা নিজেরা নিজেরা থাকতে পছন্দ করে। এই রাশির লোকেরা অত্যন্ত সৃজনশীল প্রকৃতির হয়। নতুন জিনিস উদ্ভাবন করার প্রবণতা দেখা যায়। এরা অপরাধ করতেও সৃজনশীল কিছু সৃষ্টি করে। তবে বড় কোনো অপরাধ যেমন কাউকে খুন করা বা ডাকাতি করার মতো অপরাধ থেকে নিজেকে সর্বদা বিরত রাখে।
মীন রাশি
মীন রাশির জাতকদের মাথা অল্পতেই গরম হয়ে যায়। এই রাশির জাতকরা ছোট ছোট বিষয় নিয়ে মাথা গরম করে ফেলেন। মীন রাশির জাতকদের মধ্যে মাদক নেওয়ার প্রবণতা দেখা যায়। এরা অন্যের ক্ষতি করার জন্য অপরাধী নকশা তৈরি করেন।
নিজের ইচ্ছা না থাকা সত্ত্বেও নিজে ভাল থাকা এবং অপরের ক্ষতি করার জন্য হলেও অপরাধ করেন। মীন রাশির জাতকরা অপরাধের প্রতি আকর্ষিত হন। উপরে বর্ণিত আলোচনা থেকে আশা করি আপনি জানতে পেরেছেন কোন রাশি সবচেয়ে খারাপ। আমরা আশা করি এই আর্টিকেলটি রাশি সম্পর্কে ধারণা পেতে আপনাকে অনেকভাবে সাহায্য করবে।
কার কোন রাশি কিভাবে জানবো
আমরা অনেকেই জানি না, আমরা কে কোন রাশির। হিন্দু শাস্ত্র মতে বলা হয়ে থাকে প্রত্যেক ব্যক্তি আলাদা আলাদা রাশি রয়েছে। যদি আপনি আপনার রাশি কিংবা রাশিফল সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা জানবো কার কোন রাশি এবং রাশি ফল কিভাবে বের করতে হয়। আমরা ইতিমধ্যে জেনেছি কোন রাশি সবচেয়ে খারাপ এখন জানবো কার কোন রাশি। জ্যোতিষ শাস্ত্র মতে রাশিফল বের করার অনেক পদ্ধতি ও নিয়ম রয়েছে।
আমাদের প্রত্যেকেরই নামের প্রথম অক্ষর দিয়ে একটি রাশি রয়েছে। আমরা যদি জানতে চাই কে কোন রাশির তাহলে অবশ্যই জন্মালোগনের সময় ও লগ্নের উপর গুরুত্ব দিতে হবে। কারণ জন্ম লগ্নের সময় ও লগ্ন ছাড়া রাশিফল বের করা কখনই সম্ভব না। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক আমরা কার কোন রাশি কিভাবে জানতে পারি।
মেষ রাশি
মেষ রাশির জাতকদের জন্ম মাস চৈত্র থেকে বৈশাখ মাস পর্যন্ত। এই রাশির জাতকদের নামে প্রথম অক্ষর সাধারণত অ,আ হয়ে থাকে। এ রাশি জাতকরা অত্যন্ত নির্ভীক প্রকৃতির হয়ে থাকে। এই রাশি জাতকরা সরল মনের এবং পরোপকারী হয়ে থাকে।
মেষ রাশির জাতকদের জন্য শুভ রং হলো :লাল, সাদা, গোলাপি প্রভৃতি। এই রাশির জাতকদের জন্য শুভ সংখ্যা হলঃ ৯,১৩,৪১,৬১ প্রভৃতি। মেষ রাশির সাথে কন্যা রাশি, সিংহ রাশি ও ধনু রাশির বিবাহ হলে শুভ হয়। এই রাশির শুভধাতু হলো লোহা জাতীয় সাথে ইস্পাত। মেষ রাশি জাতকদের জন্য মঙ্গলবার ও শনিবার শুভ দিন।
মিথুন রাশি
মিথুন রাশির জাতকদের জন্ম মাস জৈষ্ঠ্য থেকে আসার মাস পর্যন্ত। এই রাশি জাতকদের নামে প্রথম অক্ষর সাধারণত হ, ক, ঘ, ছ হয়ে থাকে। এই রাশির লোকেরা শান্ত স্বভাবের হয়ে থাকে। মিথুন রাশি জাতকদের জন্য শুভ রং :লাল, কমলা, সবুজ প্রভৃতি। এটা কি জাতকদের জন্য শুভ সংখ্যা হল :২।
মকর রাশি
মকর রাশির জাতকদের জন্ম মাস পৌষ থেকে মাঘ মাঘ। এই রাশির জাতকদের নামের প্রথম অক্ষর সাধারণত জ, খ, গ ইত্যাদি হয়ে থাকে। মকর রাশি জাতকদের জন্য শুভ রং :নীল, আকাশি, সাদা ইত্যাদি। এই রাশি শুভ ধাতু হল ইন্দ্রনীল জাতীয় ধাতু।
এই রাশি জাতকদের জন্য শুভ সংখ্যা হল :৬৪।এই রাশির সাথে কন্যা রাশি, বৃষ রাশির, বৃশ্চিক রাশি, মীন রাশির জাতকদের সাথে বিবাহ হলে শুভ হয়।
বৃষ রাশি
বৃষ রাশির জাতকদের জন্ম মাস বৈশাখ থেকে জৈষ্ঠ মাস। এর রাশির জাতকদের নামের প্রথম অক্ষর সাধারণত উ, দ, বো, ই, এ হয়ে থাকে। এই রাশির জাতকদের প্রিয় রং সাদা, কমলা, আকাশি প্রভৃতি। এই রাশির জাতকদের জন্য প্রিয় সংখ্যা :৬।
এর অ্যাসির জাতকেরা তামা ও ব্রোঞ্জ জাতীয় ধাতু ব্যবহার করতে পারেন। এই রাশির সাথে কর্কট রাশি, মকর রাশির বিবাহ হলে শুভ হবে।
কুম্ভ রাশি
কুম্ভ রাশির জাতকদের জন্ম মাস মাঘ হতে ফাল্গুন মাস। এই রাশি জাতকদের নামের প্রথম অক্ষর স, সা, গ, দ প্রভৃতি হয়ে থাকে। এই রাশির জাতকদের প্রিয় রং :বেগুনি, নীল, সাদা প্রভৃতি। কুম্ভ রাশির জাতকদের জন্য শুভ ধাতু হল নীলা ধাতু।
এই রাশির জাতকদের প্রিয় সংখ্যা হল :৭৯। এই রাশির সাথে তুলা রাশি ও মিথুন রাশির বিবাহ হলে শুভ হবে।
ধনু রাশি
এই রাশির জাতকদের জন্ম মাস অগ্রহায়ণ হতে পৌষ। এ রাশির জাতকদের নামের প্রথম অক্ষর ভ, ফ, য়, ধ প্রভৃতি হয়ে থাকে। ধনু রাশির জাতকদের প্রিয় রংঃ হলুদ, সাদা, কমলা প্রভৃতি। এই রাশির জাতকদের প্রিয় সংখ্যাঃ ৬২
মীন রাশি
মীন রাশির জাতকদের জন্ম মাস ফাগুন হতে চৈত্র। এই রাশির জাতকদের নামে প্রথম অক্ষর সাধারণত চ, চা, দ, ঝ হয়ে থাকে। এরাশি জাতকদের প্রিয় রং সাদা, কমলা, আকাশি, হলুদ, সবুজ। এ রাশির জন্য শুভ ধাতু হল পিতল জাতীয় ধাতু। এ রাশি প্রিয় সংখ্যা হলঃ৭৪। এই রাশি সাথে কর্কট রাশি ও বৃশ্চিক রাশির বিবাহ হলে শুভ হবে।
কর্কট রাশি
কর্কট রাশির জাতকদের জন্ম মাস আষাঢ় থেকে শ্রাবণ মাস। এই রাশি জাতকদের নামের প্রথম অক্ষর সাধারণত হ, হী, ড, ডো প্রভৃতি হয়ে থাকে। এই রাশি জাতকদের প্রিয় রং সবুজ, কমলা, সাদা। প্রিয় সংখ্যাঃ ২।
সিংহ রাশি
সিংহ রাশির জাতকদের জন্ম মাস শ্রাবণ হতে ভাদ্র মাস। নামের প্রথম অক্ষর সাধারণত ম, মে, ট, টা হয়ে থাকে। এই রাশির জাতকদের প্রিয় রংঃ সাদা কমলা সোনালী প্রভৃতি। এই রাশির জাতকেরা চুনী জাতীয় ধাতু ব্যবহার করতে পারেন।
বৃশ্চিক রাশি
বৃশ্চিক রাশি জাতকদের জন্ম মাস কার্তিক হতে অগ্রহায়ণ মাস। এই রাশির জাতকদের নামে প্রথম অক্ষর সাধারণত ল, ন, য দিয়ে শুরু হয়। এই রাশি জাতকদের প্রিয় রং লাল ও সাদা এবং শুভ সংখ্যাঃ ৩৮। এ রাশির জাতকরা শুভ ধাতু হিসেবে প্রবাল জাতীয় পদার্থ ধারণ করতে পারেন। এই রাশির সাথে কর্কট রাশি ও মীন রাশির বিবাহ হলে শুভ হবে।
তুলা রাশি
তুলা রাশির জাতকদের জন্ম মাস আশ্বিন হতে কার্তিক মাস। এই রাশি জাতকদের নামের প্রথম অক্ষর র, রা, ত, তে দিয়ে শুরু হয়। এই রাশির জাতকদের জন্য শুভ রং সাদা এবং প্রিয় সংখ্যা ৮৭। কুম্ভ রাশি ও মিথুন রাশির জাতকেরা এই রাশির জন্য শুভ সঙ্গী। এ রাশির জাতকেরা শুভ ধাতু হিসেবে হিরা জাতীয় ধাতু ধারণ করতে পারেন।
কন্যা রাশি
এদের জন্ম মাস ভাদ্র হতে আশ্বিন মাস। এই রাশির জাতকের নামের প্রথম অক্ষর প, ষ, ণ দিয়ে শুরু হয়ে থাকে। এ রাশি জাতকের জন্য শুভ রং সাদা কমলা সবুজ প্রভৃতি এবং শুভ সংখ্যা ৬৭। মকর রাশি ও বৃষ রাশির জাতকেরা এই রাশির জন্য শুভ সঙ্গী হয়ে থাকে।
কোন রাশি সবচেয়ে বুদ্ধিমান
এতক্ষণ আমরা আলোচনা করেছি কোন রাশি সবচেয়ে খারাপ। এখন আমরা জানবো ১২ টি রাশির মধ্যে কোন রাশি সবচেয়ে বুদ্ধিমান। সব রাশির লোকেরাই কমবেশি বুদ্ধিমান হয়ে থাকেন। কারণ কোন রাশির লোকেদের একেবারে খারাপ অথবা কোন রাশি লোকেদের একেবারে ভালো বলা যাবে না।
কারণ প্রতিটি রাশির মধ্যে ভালো-মন্দ উভয় দিকই রয়েছে। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক কোন রাশির লোকেরা বুদ্ধিমান হয়ে থাকে। জ্যোতিষ শাস্ত্র মতে, জ্যোতিষ শাস্ত্রবিদরা বলেছেন ১২ টি রাশির মধ্যে চারটি রাশির জাতকরা অন্যান্য রাশি থেকে বেশি বুদ্ধিমান হয়ে থাকে। সেই চারটি রাশি হল। মেষ রাশি, কর্কট রাশি, বৃচ্ছিক রাশি, বৃষ রাশি।
মেষ রাশি
মেষ রাশির লোকেরা অত্যন্ত বুদ্ধিমান এবং ধূর্ত প্রকৃতির হয়ে থাকে। এদেরকে বোকা বানানোর সহজ না। এদেরকে যদিও আপনি বিপদে ফেলে থাকেন তাহলে তো এরা বিপদে পড়ে ভেঙে পড়বে না উল্টে তীক্ষ্ণ বুদ্ধি খাটিয়ে বিপদ থেকে বের হয়ে আসবে।
জ্যোতিষ শাস্ত্রবিদরা বলে থাকেন মেষ রাশির জাতকরা যে কোন বিপদে খুব সহজেই নিজেদের তীক্ষ্ণ বুদ্ধি দিয়ে পরিস্থিতি নিজেদের আওতায় নিয়ে আসতে পারেন। আপনি যদি মনে করে থাকেন মেষ রাশির জাতকদের বোকা বানিয়ে চলে যাবেন তাহলে আপনার ধারণাটি সম্পূর্ণ ভুল।
এই রাশির লোকেরা যথেষ্ট পরিশ্রমী হয়। মেষ রাশির জাতকরা সহজেই আপনাকে বোকা বানিয়ে নিজেদের খাটনির কাজ আপনাকে দিয়ে করিয়ে নিবে। আর বলা হয় বাকি সব রাশি থেকে এই রাশির জাতকরা বেশি বুদ্ধিমান।
কর্কট রাশি
কর্কট রাশির জাতকরা বুদ্ধির তালিকায় প্রথম সারির দিকে না থাকলেও এদেরকে আপনি বোকা মনে করবেন না। এরা যথেষ্ট বুদ্ধিমান হয়ে থাকে। এরা অতিরিক্ত পরিশ্রমী হয়। কর্কট রাশির জাতকরা ভাগ্যে নয় পরিশ্রমে বিশ্বাসী। এই রাশির জাতকরা সফলতার সাথে কোন আপোস করে না।
এরা নিজেদের বুদ্ধি দিয়ে যেকোনো বিপদ অথবা কঠিন অবস্থা কাটিয়ে আসতে পারে। স হৃদয় আবেগপ্রবণ প্রকৃতির মানুষ হয়ে থাকেন কর্কট রাশির জাতকরা। এরা আবেগ দিয়ে সবকিছু বিচার করে থাকে। এই রাশির জাতকরা অত্যন্ত জেদি হয়।
বৃশ্চিক রাশি
বৃশ্চিক রাশির জাতকরা অত্যন্ত পরিশ্রমী ও আবেগ প্রবণ হয়ে থাকে। এরা পড়াশোনার বিষয়ে অত্যন্ত পরিশ্রমই হয়। এরা পরিশ্রমের মাধ্যমে নিজের ভাগ্য নিজেই গড়ে তোলে। এরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে একঘেয়ে ও নির্ভীক প্রকৃতির হয়ে থাকে।
আপনি যদি কখনো কোন বিপদে পড়েন তাহলে মনে হয় সবার আগে বিচ্ছিক রাশির জাতক বন্ধুবান্ধবদেরই খোঁজ করবেন। কারণ এরা সহজেই মানুষের মন বুঝতে পারে। এরা সেই জাতকদের কাছে আপনি কোন কিছুই লুকাতে পারবেন না।
আপনি যদি প্রতারিত হন অথবা কোথাও ঠকে যান তাহলে এই রাশির জাতকদের মাধ্যমে আপনি সাহায্য পেতে পারেন। এই রাশির জাতকেরা অনেক বিলাস বহুল জীবনযাপন করতে পছন্দ করে। এর রাশির জাতকের মানুষেরা আপনাকে সর্বদা সঠিক পথ দেখাতে সাহায্য করবে।
বৃষ রাশি
বৃষ রাশির জাতকদের বুদ্ধিমানের তালিকায় ধরা হয়। এরা অত্যন্ত বুদ্ধিমান প্রকৃতির মানুষ হয়। এরা অত্যন্ত আবেগপ্রবণ হয়ে থাকে। নিজেদের আবেগ কিভাবে অন্যকে বোঝাতে হয় সেটি খুব ভালোভাবে জানেন বিষ রাশির জাতকরা।
শুধু নিজের নয় অন্যের মন পড়ার ক্ষমতাও রয়েছে এই রাশি জাতকদের। এই রাশির জাতকরা বুদ্ধি দিয়ে সকল পরিস্থিতি বিচার করে থাকেন। এই রাশির জাতকরা জীবনে খুব একাগ্রতার সাথে কাজ করে। এরা কর্মক্ষেত্রে সাফল্য লাভ করে। এরা সব সময় সুস্থ থাকে।
এই জাতকদের কখনো টাকার অভাব হয় না। কিন্তু জ্যোতিষ শাস্ত্রবিদরা মনে করেন, সবচেয়ে বেশি বুদ্ধিমান রাশির জাতক হল কুম্ভ রাশির জাতকরা। এদের বুদ্ধিমত্তার কাছে অন্যান্য সকল রাশির জাতকরা হার মানে।
কোন রাশি সবচেয়ে শক্তিশালী
জ্যোতিষ শাস্ত্র মতে মোট ১২টি রাশি রয়েছে। ১২টি রাশির মধ্যে সবগুলো রাশি শক্তিশালী নয়। এর মধ্যে চারটি রাশি রয়েছে যেগুলো খুবই শক্তিশালী হয়ে থাকে। সেই চারটি রাশি হলঃ মেষ, বৃশ্চিক, কুম্ভ ও মকর রাশি। জ্যোতিষ শাস্ত্রে কিছু প্রাকৃতিক উপাদানের কথা উল্লেখ রয়েছে। প্রাকৃতিক উপাদান বলতে জলবায়ু অগ্নি ও পৃথিবীকে বোঝানো হয়েছে।
মেষ রাশি
মেষ রাশিকে শক্তিশালী রাশির মধ্যে প্রথম সারির রাশি ধরা হয়। জ্যোতিষ শাস্ত্র মতে কে মূলত অগ্নি প্রতীক হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। মেষ রাশির জাতকদের সবসময় প্রাণবন্ত ও প্রাণচ্ছ্বল দেখা যায়। এই রাশি লোকেরা নিজের কাজ নিজে করতে পছন্দ করেন অন্যদের ওপর বিশ্বাস খুবই কম।
এরা অনেক পরিশ্রমী। এরা নির্দিষ্ট একটি লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে। লক্ষ্মী না পৌঁছানো পর্যন্ত কে কি ভাবল সেটাতে পাত্তা দেয় না।
বৃশ্চিক রাশি
বারটি রাশির মধ্যে বৃশ্চিক রাশিকে শক্তিশালী রাশি সারিতে দ্বিতীয় ধরা হয়। বৃশ্চিক রাশির জাতকরা খুব দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে পারে। জ্যোতিষ শাস্ত্র মতে বৃশ্চিক রাশিকে জলের প্রতীক হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এই রাশির লোকেরা সাধারণত স্বাধীনচেতা ও দূরদর্শী হয়ে থাকে।
কুম্ভ রাশি
১২টি রাশির মধ্যে শক্তিশালী রাশির শাড়িতে তৃতীয় ধরা হয় কুম্ভ রাশি কে। কুম্ভ রাশির গোপন রাখার ক্ষমতা সবচেয়ে বেশি। জ্যোতিষ শাস্ত্র মতে বায়ু বা বাতাস হলো কুম্ভ রাশির প্রতীক। এরা যে কোনো কাজে অতিরিক্ত আবেগপ্রবণ হয়ে পড়ে না। এদের অনেক বুদ্ধি, বুদ্ধির জোরে এরা যেকোনো কাজে সফল হয়ে ফিরতে পারে।
মকর রাশি
মকর রাশি কে শক্তিশালী রাশির সাড়িতে চতুর্থ স্থান দেওয়া হয়েছ। শাস্ত্র মতে পৃথিবী হলো মকর রাশির প্রতীক। এরা সর্বদা ভাল কাজ করতে চায়,অন্যায় কাজ থেকে বিরত থাকে। অন্যান্য রাশির তুলনায় মকর রাশির শক্তি প্রখর হয়।
কোন রাশি সবচেয়ে ভাগ্যবান
আমরা ইতিমধ্যে জেনেছি কোন রাশি সবচেয়ে খারাপ, রাশি কিভাবে নির্ণয় করা যায়, কোন রাশি সবচেয়ে শক্তিশালী এইসব সম্পর্কে। এখন আপনি নিশ্চয় জানতে চান কোন রাশি সবচেয়ে ভাগ্যবান? আপনি যদি জানতে চান কোন রাশি সবচেয়ে ভাগ্যবান তাহলেই আর্টিকেলটি আপনার জন্য।
আসলে কোন রাশিকেই অধিক ভাগ্যবান বা অধিক শক্তিশালী বলা যাবে না। মানুষের মধ্যে যেমন ভালো খারাপ সব দিকে রয়েছে। রাশির তেমনি ভালো-মন্দ উভয় দিক রয়েছে। আর কথা না বারিয়ে চলুন জেনে নেওয়া যাক কোন রাশি সবচেয়ে ভাগ্যবান।
জ্যোতিষ শাস্ত্র মতে অনেক ভাগ্যবান লোকের কথা বলা হয়েছে। আবার এটুকু বলা হয়েছে কোন রাশির লোকেরা বেশি ভাগ্যবান হয়ে থাকে।
কুম্ভ রাশি
কুম্ভ রাশির জাতকরা অনেক পরিশ্রমী হয়ে থাকে। সাধারণত নিজেদের কাজ নিজেরাই করতে পছন্দ করে। নিজের কাজ অন্যের উপর চাপিয়ে দেওয়া বা নিজের কাজ অন্যকে দিয়ে করানো এই রাশির জাতকের পছন্দ করেন না।
কিন্তু অনেক সময় নিজের কাজ নিজে করতে গিয়ে নানা সমস্যায় পড়তে হয়। কুম্ভ রাশির জাতকরা যে কাজে হাত দেন সেই কাজেই সফলতা অর্জন করেন। এই রাশির লোকেরা খুব সুখী হয়ে থাকেন। এই রাশির জতকরা পারিবারিক এবং দাম্পত্য জীবনে সুখী হন। এই রাশি লোকদের অন্য লোকেরা সাহায্য করতে পছন্দ করেন।
সিংহ রাশি
সিংহ রাশির জাতকেরা অনেক রাগী প্রকৃতির হয়ে থাকে। এরা রেগে গেলে লঘুগুরু জ্ঞান করে না। এই রাশি জাতকেরা নিজেদের থেকে পরিবারের সদস্যদের বেশি ভালোবাসে। পরিবারের সাথে সাথে অতিরিক্ত বিশ্বাস করার জন্য মাঝেমধ্যে তাদের ঠকতে হয়।
আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধুবান্ধবরা সিংহ রাশির জাতকদের সাথে মিশতে খুব পছন্দ করেন। এই রাশির জাতকদের জীবনে অনেক উন্নতি আসে। সেটা বিশ্বাসই করতে পারেন না যেকোনো ব্যক্তির জীবনে এত উন্নতি আসতে পারে। কিন্তু এই রাশি জাতকদের একটু সাবধানতা অবলম্বন করে চলা উচিত।
কর্কট রাশি
কর্কট রাশির জাতকরা একটু উদার প্রকৃতির হয়ে থাকে। এরা সাধারণত শান্ত প্রকৃতির। থাকতে পছন্দ করে। কর্কট রাশি জাতকেরা বিয়ের পর খুবই ভাগ্যবান হন। এদের দাম্পত্য জীবন ও খুবই সুখকর হয়। এই রাশির ব্যক্তিরা একটু রাগী টাইপের হয়ে থাকেন।
কিন্তু রাগের বশবর্তী হয়ে কারো কোন ক্ষতি অথবা অপরাধমূলক কাজ করেন না। কর্কট রাশির জাতকরা কর্মক্ষেত্রে উন্নতি লাভ করেন। এরা জীবনে বেশিরভাগ সব কাজেই সফলতা পান।
জানবো আমরা ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url