সেভ করলে কি দাড়ি গজায়-দাড়ি গজানোর ক্রিম এর নাম
সেভ করলে কি দাড়ি গজায় এবং দাড়ি গজানোর ক্রিম এর নাম কি এই শিরোনামেই আজকের আর্টিকেল। আপনারা শুধু সেভ করলে কি দাড়ি গজায় বা দাড়ি গজানোর ক্রিম এর নাম কি এটাই জানবেন তা নয়। এগুলো জানার পাশাপাশি দাড়ি না গজানোর কারণ, চাপ দাড়ি গজানোর উপায়, দাড়ি গজানোর তেলের নাম ইত্যাদি বিষয়গুলো জানবেন।
সেভ করলে কি দাড়ি গজায়। দাড়ি গজানোর ক্রিম এর নাম। |
সূচিপত্রঃ সেভ করলে কি দাড়ি গজায়-দাড়ি গজানোর ক্রিম এর নাম।
ভূমিকাঃ
আপনার মুখ অনেক সুন্দর কিন্তু দাড়ি গজাচ্ছে না, আপনি কি মুখে দাড়ি গজানো নিয়ে চিন্তিত। তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য। আজকে আমরা এখানে চাপ দাড়ি গজানোর উপায় নিয়ে আলোচনা করব।
পাশাপাশি আরো থাকবে দাড়ি গজানোর উপায় ডাক্তারের পরামর্শ, চাপ দাড়ি গজানোর প্রাকৃতিক উপায়,সেভ করলে কি দাড়ি গজায়, দাড়ি গজানোর ক্রিম এর নাম, দাড়ি গজানোর তেলের নাম, দাড়ি গজাতে নারিকেল তেল।
অনেকেই ভাবেন সেভ করলে কি দাড়ি গজায় এটি সম্পর্কে সঠিক ধারনা আজকে আপনাদের আমি দিব। আপনার বয়স অনেক বৃদ্ধি পাচ্ছে কিন্তু বয়সের তুলনায় যথেষ্ট দাড়ি গজাচ্ছে না। আপনি কিভাবে চাপ দাড়ি গজাতে পারেন সেই বিষয় নিয়ে আজকের আলোচনা, চাপ দাড়ি গজানোর উপায়।
সাধারণত একজন পুরুষের বয়সন্ধিকালের বা বয়সন্ধিকালোত্তীর্ণ পুরুষ লোকদের দাড়ি গজায়। একজন পুরুষের প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার বয়স ১৩ থেকে ১৪ বছর,অর্থাৎ এই সময় একজন পুরুষের শরীরে বিভিন্ন রকমের পরিবর্তন দেখা যায়।
তার মধ্যে দাড়ি গজানো একটি। বর্তমান সময়ে অনেক পুরুষেরই এই সমস্যাটি হয় সঠিক সময়ে দাড়ি গজায় না। এক্ষেত্রে পুরুষ হরমোন টেস্টস্টেরনের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। টেস্টোস্টেরন পুরুষত্বের জন্য দায়ী প্রধান স্টেরয়েড হরমোন যা এন্ড্রোজেন গ্রুপের।
পুরুষের জন্য টেস্টোস্টেরন প্রজনন অঙ্গ যেমন শুক্রাশয় বর্ধনের পাশাপাশি গৌণ বৈশিষ্ট্য যেমন শরীরের লোম বৃদ্ধি মাংসপেশী বৃদ্ধি ইত্যাদিতে সহায়তা করে। নারীদের তুলনায় পুরুষের বিপাক হার ২০ গুণ বেশি। দাড়ি গজানোর উপায় জনার পাশাপাশি দাড়ি গজানোর ক্রিম এর নাম ইত্যাদি বিষগুলো নিয়ে আলোচনা করা যাক চলুন।
দাড়ি গজানোর বয়স
সেভ করলে কি দাড়ি গজায় এটি জানার আগে আমরা জেনে নিব দাড়ি গজানোর বয়স কত। দাড়ি গজানোর জন্য একটি নির্দিষ্ট বয়স রয়েছে। ছেলেরা যখন শৈশব থেকে কৈশরের পা দেয় অর্থাৎ ছেলেদের যখন বয়ঃসন্ধি শুরু হয় তখন থেকে দাড়ি গজানো শুরু হয়।
ছেলেদের ১৩ থেকে ১৪ বছরের মধ্যে বয়সন্ধিকাল শুরু হয়। এই সময়টাকেই বলা হয় দাড়ি গজানোর সময় বা এটিই দাড়ি গজানোর বয়স বলা যায়। বয়সন্ধিকাল এর আগে কোন ছেলেরই দাড়ি গজানো সম্ভব না।
অনেক বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন অনেক ছেলেদের দেরিতে বয়সন্ধিকাল কাজ শুরু হয়। তাদের শুরুতে দাড়ি গজাতে না লাগলেও সময়ের সাথে সাথে ধীরে ধীরে দাড়ি গজাতে শুরু করে। আপনারা দাড়ি গজানোর বয়স কত জানলেন এখন জানবেন দাড়ি না গজানোর কারণ মূলত কি।
দাড়ি না গজানোর কারণ
দাড়ি গজানোর ক্রিম এর নাম জানার আগে এখন আমরা জানবো দাড়ি না গজানোর কারণ কি। আমরা ইতিমধ্যে জেনেছি দাড়ি গজানোর বয়স সম্পর্কে। এখন নিশ্চয়ই আপনি জানতে চান দাড়ি না গজানোর কারণ কি। দাড়ি না গজানোর অনেক কারণ থাকতে পারে।
কিন্তু তার মধ্যে বিশেষ কারণ হলো হরমোনাল সমস্যা ও জেনেটিক প্রবলেম। যদি আপনার একান্তই জেনেটিক কোন প্রবলেম না থেকে থাকে তাহলে আপনি একজন হরমোন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার বা চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারেন।
এতে করে আপনি জানতে পারবেন আপনার কোন সমস্যার কারণে দাড়ি গজাচ্ছে না। ছেলেদের দাড়ি মূলত টেস্টস্টেরনের হরমোনের কারণে গজিয়ে থাক। যদি এই হরমোনটি নিঃসরনে কোন রকম বাধাপ্রাপ্ত হয় তখন দাড়ি গজাতে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়।
এই হরমোনটি শুধুমাত্র দাড়ি গজাতে নয় ছেলেদের বিভিন্ন শারীরিক পরিবর্তন করে থাকে। আশাকরি দাড়ি না গজানোর কারণ কি তা বুঝতে আপনার আর কোন সমস্যা নেই।
দাড়ি গজানোর উপায় ডাক্তারের পরামর্শ
বর্তমান সময়ে চাপ দাড়ি গজানোর উপায় অনেকেই জানেন না। চাপ দাড়ি গজানোর প্রাকৃতিক অনেক নিয়ম রয়েছে। এছাড়াও ডাক্তারের পরামর্শ নিয়েও এই সমস্যাটি সমাধান করা যায়। বর্তমানে দাড়ি নিয়ে ছেলেদের মধ্যে একটি কৌতুহল কাজ করে।
অনেক ছেলেরা ছোটবেলা থেকেই এইটা মনে করেন কবে কখন বাড়ি উঠবে। কিন্তু বয়ঃসন্ধিকালের পর থেকেই দাড়ি গজানো শুরু হয়। একটি নির্দিষ্ট বয়স থেকে ছেলেদের দাড়ি গজানো শুরু হয। আজকের আলোচনায় দাড়ি গজানোর উপায় ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে আলোচনা করব।
কোন হরমোনের জন্য দাড়ি গজায়, চাপ দাড়ি গজানোর উপায় ডাক্তারের পরামর্শের সমস্ত তথ্য আলোচনা করব। চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞদের মতে শৈশবে কোন ছেলেরই দাড়ি উঠবে না। দাড়ি ওঠার একটি নির্দিষ্ট বয়স রয়েছে যখন কোন ছেলে শৈশব থেকে বয়ঃসন্ধিকালে পদার্পণ করবে তখনই দাড়ি গজানোর সঠিক সময়।
বয়সন্ধিকালীন সময়ে ছেলেদের এন্ড্রোজেন টেষ্টোস্টেরন নামক হরমোন ছেলেদের শারীরিক বিভিন্ন পরিবর্তনের জন্য দায়ী। এই হরমোন নিঃসরণের ফলে ছেলেদের মধ্যে অনেক পরিবর্তন আসে যেমনঃ দাড়ি ওঠা, গলার সর পরিবর্তন, শারীরিক পরিবর্তন হয় যেমন বুক চওড়া হয়।
যাইহোক আজকে আমাদের আলোচনার বিষয় হলো চাপ দাড়ি গজানোর উপায় এবং দাড়ি গজানোর উপায় ডাক্তারের পরামর্শ। আর কথা না বাড়িয়ে চলুন জেনে নেওয়া যাক দাড়ি গজানো নিয়ে ডাক্তারদের দেওয়া কিছু পরামর্শ সম্পর্কে।
আপনি যদি দাড়ি সম্পর্কে যেকোনো তথ্য জানতে চান তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আপনার যদি দাড়ি গজানো নিয়ে কোন রকম সমস্যা থেকে থাকে তাহলে আপনি ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করতে পারেন।
দাড়ি গজানোর উপায় ডাক্তারের পরামর্শ চিকিৎসকের মতে আপনার যদি সঠিক সময়ে দাড়ি না গজায় তাহলে আপনি একটি হরমোন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছে থেকে পরামর্শ গ্রহণ করতে পারেন।
কারণ ছেলেরা যখন শৈশব ছেড়ে বয়সন্ধিকালে পদার্পণ করে তখন থেকে ছেলেদের ভেতরে হরমোনাল পরিবর্তন শুরু হয়। সেটি মূলত হয় গলার স্বর, চওড়া হওয়া,এবং দাড়ি গজানো নিয়ে। দাঁড়ি সম্পর্কে আমাদের আরও একটি তথ্য জেনে রাখা ভালো, দাড়ির গঠন একটি জেনেটিক বিষয়ও হতে পারে।
জেনেটিক বিষয়ের কারণে অনেক সময় দাড়ি গজায় না। কারণ জেনেটিক বা ডিএনএ একটি বিশেষ প্রক্রিয়া যা আপনি বংশপরম্পরায় পেয়ে থাকেন। যাইহোক দাড়ি গজানোর জন্য এন্ড্রোজেন হরমোন দায়ী।
চাপ দাড়ি গজানোর উপায় ডাক্তারের পরামর্শ মতে ভিটামিন বি কমপ্লেক্স উপাদানটির দারি গজানো বা ঘন করতে বিশেষ ভূমিকা রাখে।
মোটকথা হচ্ছে যদি আপনার জেনেটিক কোন সমস্যা না থেকে থাকে তারপরও যদি আপনার বয়সন্ধিকালীন সময়ে সঠিক শারীরিক পরিবর্তন না দেখতে পান তাহলে একজন হরমোন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের নিকট পরামর্শ নিতে পারেন।
দাড়ি গজানোর উপায় ডাক্তারের পরামর্শ কি জানলেন এরপর জানবেন চাপ দাড়ি গজানোর প্রাকৃতিক উপায় এবং বিভিন্ন উপায়।
চাপ দাড়ি গজানোর উপায়
চাপ দাড়ি গজানোর অনেকগুলো উপায় রয়েছে।চাপ দাড়ি গজানোর উপায় হিসেবে অনেকে ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করেন আবার অনেকে প্রাকৃতিকভাবে চাপ দাড়ি গজানোর উপায় খুঁজে বের করেন। অনেক ছেলেরই স্বপ্ন থাকে মুখভর্তি দাড়ি থাকবে।
কিন্তু বিভিন্ন সমস্যার কারণে তাদের দাড়ি ওঠেনা। দাড়ি হল ছেলেদের সৌন্দর্য।কাঙ্খিত দাড়ি পাবার আশায় অনেক ছেলেরা বাজারের বিভিন্ন তেল ও লোশন ব্যবহার করে। বাজারে বিভিন্ন কেমিক্যালযুক্ত তেল ও লোশান এরা দাবি করে কিছুদিনের মধ্যেই আপনি আপনার কাঙ্খিত দাঁড়ি পেয়ে যাবেন।
কাঙ্খিত দাড়ি পাবার আশায় অনেক ছেলেরা বাজারের সেইসব তেল বা লোশন ব্যবহার করে এতে করে তাদের আরও বেশি ক্ষতি হয়। ঘনঘন চুলদাড়ি কাটলে যে দাড়ি ঘন হবে এমন কোন কথা নেই।
চাপ দাড়ি গজানোর উপায় আলোচনা করা হলোঃ
হালকা গরম পানির ব্যবহারঃ
দাড়ি সঠিক বৃদ্ধির জন্য মুখের ত্বক পরিষ্কার রাখা জরুরি। মেয়েরা প্রতিদিনই মুখের ত্বক পরিষ্কার করে কিন্তু ছেলেরা সেই তুলনায় খুবই কম মুখে যত্ন নেই। সেজন্য হালকা গরম পানি দিয়ে দিনে ২ থেকে ৩বার মুখ দুধ ধুয়ে নিতে হবে। এতে করে নতুন দাড়ি গজানোর সহজ হবে। ফলে দাড়ি ঘনত্ব বৃদ্ধি পেতে পারে।
পেঁয়াজের রস ব্যবহারঃ
পেঁয়াজের রস চুল ঘন করতে খুবই উপকারী। সেজন্য বলা হয় পিয়াজের রস দাড়ি গজাতেও সাহায্য করে। কারণ পেঁয়াজের রসে থাকে সালফার। নিয়মিত পেঁয়াজের রস দাড়ির গোড়ায় ব্যবহার করতে পারলে দাড়ির ঘনত্ব বৃদ্ধি পাবে।
স্ক্রাব করুনঃ
স্ক্রাব করা আমাদের ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। শুধু ত্বকের জন্য নয় মুখের জন্য অনেক উপকারী। এটির ফলে মুখের মৃত কোষ গুলো দূর হবে, রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পাবে। দাড়ি গজানোর জন্য সপ্তাহে অন্তত একবার স্ক্রাব করা প্রয়োজন।
ম্যাসাজ করুনঃ
ম্যাসাজ আপনার মুখমন্ডলের জন্য খুব উপকারী।আপনার মুখে যদি কোকরানো দাড়ি থাকে তাহলে সেগুলো ছেঁটে ফেলতে পারেন। কারণ কোঁকড়ানো দাড়ি অন্য দাড়ি বৃদ্ধিতে বাধাপ্রাপ্ত করে। এছাড়াও দিনে ৫ থেকে ১০ মিনিট মুখে ম্যাসাজ করুন।
এতে আপনার মুখে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পাবে এবং দাড়ি গজাতে সহায়তা করবে। উপরে বর্ণিত উপায় গুলো ফলো করলে আপনি চাপ দাড়ি গজানোর উপায় সম্পর্কে জানতে পারবেন।
চাপ দাড়ি গজানোর প্রাকৃতিক উপায়
দাড়ি গজানোর তেলের নাম বা দাড়ি গজাতে নারিকেল তেল এর ব্যবহার সম্পর্কে নিচে জানবো তার আগে চাপ দাড়ি গজানোর প্রাকৃতিক উপায় জেনে নেই। ডাক্তারের পরামর্শ ব্যতীত চাপ দাড়ি গজানোর প্রাকৃতিক কিছু উপায় রয়েছে।
আপনি যদি চাপ দাড়ি গজানোর প্রাকৃতিক উপায় সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আপনি এই আর্টিকেলটি পুরোটা মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আশা করি এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনি চাপ দাড়ি গজানোর উপায়, চাপ দাড়ি গজানোর প্রাকৃতিক উপায় সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে পারবেন।
পুরুষের আসল সৌন্দর্য তার দাড়িতে। একজন পুরুষের সৌন্দর্য ফুটিয়ে তুলতে দাড়ি অপরিহার্য। সুন্দর গাল ভর্তি চাপা দাড়ি পুরুষের সৌন্দর্যের দ্বিগুণ বাড়িয়ে দেয়। চাপ দাড়ি গজানোর জন্য পুরুষেরা বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করে থাকে। বাজারে বিভিন্ন রকমের তেল ও লোশন পাওয়া যায়।
কিন্তু সেগুলোতে অধিক পরিমাণে কেমিক্যাল মিশ্রিত থাকে। সেগুলো যদিও ক্ষনিকের জন্য উপকারী হয়ে থাকে পরবর্তীতে সেটি আরো বেশি আমাদের মুখের ক্ষতি করে দেয়। চলুন জেনে নেওয়া যাক চাপ দাড়ি গজানোর প্রাকৃতিক উপায় সম্পর্কেঃ
লেবু আর দারচিনিঃ
যদি আপনি আপনার পছন্দমত গাল ভর্তি দাড়ি পেতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে মুখের ত্বক পরিষ্কার রাখতে হবে। ত্বকের বাহিরের কোষগুলো বহু মৃত কোষ দ্বারা আবৃত থাকে। এত মোটা কেন যদি এই মৃত কোষগুলো সরে না যায় তাহলে ছোট ছোট দাড়ি বেরিয়ে আসতে পারে না।
লেবু আমাদের মুখে ত্বক পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। লেবুর সাথে দারচিনি মিশিয়ে ব্যবহার করলে দাড়ির উন্নতি দ্রুত হয়। আরো ভালো ফল পেতে ৪ চামচ পাতিলেবুর রসের সাথে ২ চামচ পরিমাণ দারচিনি গুড়া মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করতে পারেন।
এই মিশ্রণটি দাড়িতে ভালোভাবে মাখুন তারপরে ২০ মিনিট রেখে দিয়ে ঠান্ডা পানিতে ধুয়ে ফেলুন।আরো ভালো ফল পেতে সপ্তাহে এই রেমিডিটির দুইবার ইউজ করতে পারেন।
এগ মাক্সঃ
ডিমের কুসুম আমাদের ত্বকের জন্য অনেক উপকারী।এগ মাক্স ব্যবহার করলে দাড়ি বৃদ্ধি দ্রুত হবে। ডিমের কুসুমের সাথে যদি নারিকেল তেল বাদাম তেল আমলা তেল ইত্যাদি ব্যবহার করতে পারেন তাহলে আরো দ্রুত উপকার পাবেন।
এই রেমিডিটির দাড়ির গোড়ায় ব্যবহার করলে সেখানে প্রোটিন সরবরাহ হয় এবং সুন্দর কাঙ্খিত দাঁড়িয়ে বৃদ্ধি পায়।
দাড়ি গজানোর ক্রিম এর নামঃ
সেভ করলে কি দাড়ি গজায় জানার আগে আমরা জানবো দাড়ি গজানোর ক্রিম এর নাম। আমরা ইতিমধ্যে চাপ দাড়ি গজানোর উপায় সম্পর্কে জেনেছি। কিন্তু অনেকেই জানতে চায় দাড়ি গজানোর ক্রিম এর নাম। বাজারে অনেক রকমের ক্রিম রয়েছে।
যারা দাবি করেন তাদের ক্রিম ব্যবহার করলে মাত্র কয়েক দিনের মধ্যে দাড়ি গজানো সম্ভব। কিন্তু ওইসব ক্রিম আমাদের মুখের ক্ষতি করতে পারে। দাড়ি একটি ছেলে সৌন্দর্য প্রকাশ করতে সাহায্য করে।
অনেকেই জানতে চান দাড়ি গজানোর ক্রিম এর নাম সম্পর্কে। দাড়ি গজানোর নির্দিষ্ট একটি কোন ক্রিম নেই।
আমাদের সমাজে পুরুষেরা নানা রকম সমস্যায় পড়ে থাকেন। তার মধ্যে একটি উল্লেখযোগ্য সমস্যা হল দাড়ি না গজানো। অনেক পুরুষের চান তারও গাল ভর্তি দাড়ি হবে কিন্তু তারা কাঙ্খিত দাড়ি পায় না। দাড়ি গজানোর সমস্যার অন্যতম কারণ হলো হরমোনের সমস্যা।
এছাড়াও জেনেটিক কারণে দাড়ি গজানোর সমস্যা দেখা দিতে পারে। বংশ-পরম্পরায় যদি দাড়ির ঘনত্ব কম থাকে তাহলে পরবর্তী জেনারেশন দাড়ি সমস্যা নিয়ে ভুগবেন। আমি আপনাদের নির্দিষ্ট কোন দাড়ি গজানোর ক্রিম এর নাম বলছিনা কারন একেক ক্রিমে একেকজনের সাইডইফেক্ট দেখা দিতে পারে।
তাই যারা দাড়ি গজানোর সমস্যা নিয়ে একান্তই ভুগছেন তারা চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে কোন ভালো ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন।
দাড়ি গজানোর তেলের নামঃ
আপনারা কি দাড়ি গজানোর তেলের নাম জানতে চাচ্ছেন। তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য। এই আর্টিকেলটি একটু মনোযোগ সহকারে পড়ুন। তাহলে আপনি চাপ দাড়ি গজানোর উপায় এবং দাড়ি গজানোর তেলের নাম সম্পর্কে জানতে পারবেন।
পুরুষের সৌন্দর্য তার দাড়িতে। পুরুষের মুখে ঘন কালো দাড়ি থাকবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু অনেকে বংশ পরম্পরা দাড়ি হয় না। কিন্তু তারা আশা করেন তাদের মুখ ভর্তি দাড়ি থাকবে। অনেকের মুখে কম দাঁড়ি এজন্য তাদেরকে দেখতে খারাপ লাগে।
কমদামির কারণে অনেক পুরুষই দুশ্চিন্তায় ভোগেন। বাজারে অনেক রকমের কেমিক্যালযুক্ত তেল রয়েছে। কিন্তু আপনি ঐসব টেল ব্যবহার না করে ঘরোয়া প্রাকৃতিক উপায়ে তেল বানিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। ঘরোয়া ভাবে তেল বানানোর জন্য আপনার বেশি কিছু রেমিডি লাগবেনা।
দাড়ি গজানোর জন্য আপনি ইউক্যালিপটাস তেল ব্যবহার করতে পারেন। দাড়ি গজানোর জন্য নারিকেল তেল অনেক উপকারী। যদি আপনি দাড়ি গজানোর জন্য একটি ভালো তেল খুঁজে থাকেন তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে তেল ব্যবহার করা নিরাপদ।
দাড়ি গজানোর তেলের নাম কিছু আলোচনা করা হলোঃ
আমলা তেলঃ
আমলা তেলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি এবং এন্টিঅক্সিডেন্ট থাক। এটি আমাদের দাড়ি গজাতে খুবই উপকারী। দাড়ি বৃদ্ধির জন্য এই উপাদান গুলো বেশ কার্যকর। প্রতিদিন যে কোন সময় আপনি পরিমাণ মতো তেল নিয়ে দাড়ির গোড়ায় মাখতে পারেন।
নারিকেল তেলঃ
অতীত কাল থেকে মানুষ বাড়ির গোড়ায় নারিকেল তেল ব্যবহার করে আসছেন। দাড়ির জন্য নারিকেল তেল খুবই উপকারী। আমাদের গালে থাকা চুলের ফলিকল গুলো নারিকেল তেল ব্যবহারের ফলে ময়েশ্চারাইজ হয়ে যায়।
যদি আরো ভালো ফল পেতে চান, তাহলে নারিকেল তেলের সাথে সামান্য একটু পেঁয়াজের রস ব্যবহার করে মুখে লাগিয়ে রাখুন। ৩০ থেকে ৬০ মিনিট পর মুখ ধুয়ে ফেলুন। নারিকেল তেল আমাদের চুলের জন্য উপকারী পাশাপাশি দাড়ি গজাতেও সাহায্য করে।
ইউক্যালিপটাস তেলঃ
এই তেলটি আমাদের রক্ত সঞ্চালন বাড়ায় এবং বাড়ির বৃদ্ধিকে উদ্দীপিত করে। আপনারা দাড়ির বৃদ্ধির জন্য এই তেলটি ব্যবহার করতে পারেন। অনেকেই এই তেলটিকে ফেসিয়াল ম্যাসাজ তেল হিসেবে ব্যবহার করে।
প্রতিদিন রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এই তেল ব্যবহার করলে অতি দ্রুত ফল পাবেন। এই তেলটি অলিভ অয়েলের সাথে মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন
সেভ করলে কি দাড়ি গজায়
অনেকেই মনে করেন ঘন ঘন শেভ করলে দাড়ি ঘন হবে। ঘনঘন শেভ করলে যে দাড়ি বৃদ্ধি পাবে এর কোন বৈজ্ঞানিক মতবাদ নেই। বহু বছর ধরে এই কথাটি প্রচলিত আছে ঘনঘন শেভ করলে দাড়ি বৃদ্ধি পায়। কিন্তু আসলে এই তথ্যটি ভুল।
শেভ করার কিছুদিন পরে যখন দাড়ি গজায় তখন মনে হয় দাড়ি ঘনত্ব বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে দাড়ি যখন বড় হতে থাকে তখন দেখা যায় তেমন কোন উন্নতই হয়নি। এ সম্পর্কে কোন বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ আপনি গ্রহণ করতে পারেন। কিন্তু এ কথাটি ভুল যে ঘনঘনে শেভ করলে দাড়ি ঘন হবে।
ভালো দাড়ি পেতে যা যা করতে হবে
দাড়ি গজানোর তেলের নাম এবং দাড়ি গজানোর বয়স সম্পর্কে জেনেছি এখন জানবো ভালো দাড়ি পেতে যা যা করতে হবে। দাড়ি ছেলেদের সৌন্দর্যে প্রকাশ করে। দুই এক দিনের ভিতরে দাড়ি সৌন্দর্য আনা সম্ভব না।
দাড়ি সৌন্দর্য আনতে এবং দাড়ি সৌন্দর্য বজায় রাখতে ছেলেরা নানা কাজ করে থাকে। আপনি যদি আপনার দাড়ি সৌন্দর্যে বজায় রাখতে চান তাহলে আপনি এই আর্টিকেলটি মেনে চলতে পারেন।
- দাড়ি একটি সৌন্দর্যের প্রতীক। এই দাড়িসহ শরীর সুস্থ ও সুন্দর রাখার জন্য পর্যাপ্ত ঘুমের প্রয়োজন।
- দাড়ি সুন্দর রাখার জন্য আমরা খাদ্য তালিকায় কিছু পরিবর্তন আনতে পারি। কিছু ভিটামিন রয়েছে যেগুলো আমাদের দাড়ি সুন্দর রাখতে সাহায্য করে। যেমন ভিটামিন এ, ভিটামিন বি,ভিটামিন কে, ভিটামিন ই ইত্যাদি।
- আমাদের অবশ্যই নিয়মিত প্রোটিন ও ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। শুধুমাত্র দাড়ি না আমাদের নিজেদের স্বাস্থ্যের দিকেও খেয়াল রাখতে হবে। কারণ স্বাস্থ্য যদি সুন্দর না থাকে তাহলে দাড়ি সুন্দর হবে না।
- আপনার দাড়ির গ্রোথ কেমন সেটি বোঝার জন্য একটানা কিছু সপ্তাহ দাড়ি রেখে দিন। দাড়িতে যদি কোন রকমের প্রবলেম হয় তাহলেও দাড়ি কেটে ফেলা যাবে না।
- দাড়ি সুন্দর করার জন্য অবশ্যই মুখমণ্ডয় সবসময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। এজন্য আপনি মুখের ম্যাসাজ এবং স্ক্রাবিং করতে পারে।
নিয়ম মেনে চললে অবশ্যই আপনার দাড়ি স্বাস্থ্যজ্জল এবং ঝলমলে হবে।
পরিশেষেঃ
সেভ করলে কি দাড়ি গজায় বা দাড়ি গজানো ব্যপারে আপনাদের আর কোন প্রশ্ন নেই। এইরকম ইনফরমেটিভ আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করুন।
জানবো আমরা ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url