ডিপ্লোমা করে কি কি চাকরি করা যায় ও ডিপ্লোমা করে কি ডিগ্রি করা যায়

ডিপ্লোমা করে কি কি চাকরি করা যায় এবং ডিপ্লোমা করে কি ডিগ্রি করা যায় এই বিষয়গুলো নিয়েই আজকের আর্টিকেল। আপনারা অনেকেই ডিপ্লোমা করার আগে ভাবেন যে ডিপ্লোমা করে কি কি চাকরি করা যায় এবং ডিপ্লোমা করে কি ডিগ্রি করা যায় কিনা বা অনার্স করা যায় কিনা। তাহলে চলুন জানা যাক ডিপ্লোমা করে কি কি চাকরি করা যায়।
ডিপ্লোমা করে কি কি চাকরি করা যায়। ডিপ্লোমা করে কি ডিগ্রি করা যায়। জানবো আমরা। janbo amra
ডিপ্লোমা করে কি কি চাকরি করা যায়। ডিপ্লোমা করে কি ডিগ্রি করা যায়।

সূচিপত্রঃ ডিপ্লোমা করে কি কি চাকরি করা যায় এবং ডিপ্লোমা করে কি ডিগ্রি করা যায়

ভূমিকাঃ
অনেকেরই ডিপ্লোমা করার ইচ্ছে আছে বা অনেকেই ডিপ্লোমা করছেন তবে আপনারা অনেকেই জানেন না এর ভবিষ্যত কি। অর্থাৎ ডিপ্লোমা করে কি কি চাকরি করা যায় সেটা জানেন না।

আবার অনেকেই ভাবেন যে ডিপ্লোমা করে কি বিসিএস করা যায় বা ডিপ্লোমা করে কি অনার্স করা যায় এবং ডিপ্লোমা করে কি ডিগ্রি করা যায়? এইরকম নানা ভাবনার সমাধান পাবেন এই আর্টিকেলের মাধ্যমে।

ডিপ্লোমা করে কি কি চাকরি করা যায়

অনেকি ডিপ্লোমা করে থাকেন কিন্তু জানেনই না যে এর ভবিষ্যত কেমন। ডিপ্লোমা করার আগে অবশ্যই আপনার জানা উচিত এটি শেষ করে কি কি করতে পারবেন বা কি কি চাকরি করতে পারবেন।

ডিপ্লোমা করে আপনি অনেক রকম চাকরি করতে পারবেন যেমনঃ বিভিন্ন ক্যাটাগরির ইঞ্জিনিয়ারং জব, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে জব, পুলিশের চাকরি আরো বিভিন্ন রকমের চাকরি করতে পারবেন।

এই চাকরি গুলো সম্পর্কে আমরা নিচে বিস্তারিত জানবো চলুন। ডিপ্লোমা করে কি কি চাকরি করা যায় জানলেন এইবার জানুন ডিপ্লোমা ইন কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং সম্পর্কে।

ডিপ্লোমা ইন কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং 

ডিপ্লোমা ইন কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং করার মাধ্যমে একজন ব্যক্তি বিভিন্ন দেশি-বিদেশি কম্পিউটার সফটওয়্যার কোম্পানিতে এসিস্ট্যান্ট প্রোগ্রামার হিসেবে যোগদান করতে পারে।

এছাড়াও বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে এসিস্ট্যান্ট নেটওয়ার্ক এডমিন পদে চাকরির একটি বড় সুযোগ রয়েছে। বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি ব্যংকগুলোতে আইটি কর্মকর্তা হিসেবে যোগদানের একটি বড় সুযোগ থাকছে ডিপ্লোমা ইন কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার সম্পন্নকারি চাকুরি প্রত্যাশীদের জন্য।

এছাড়াও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখযোগ্য প্রতিষ্ঠানে চাকরির সুযোগ রয়েছে যেমনঃ জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর হিসেবে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে,বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষকতা এবং অফিস সহকারী হিসেবে এবং সড়ক ও জনপদ বিভাগে চাকরির সুযোগ রয়েছে।

ডিপ্লোমা ইন কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং করে কি চাকরি হয় জানলেন এখন জানবেন ডিপ্লোমা ইন ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং করে কি চাকরি হয়।

ডিপ্লোমা ইন ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং

একজন ডিপ্লোমা সম্পন্নকারী ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ার সরকারি বিদ্যুৎ সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান, যেমনঃ বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডে চাকরি করতে পারেন।

এছাড়াও শিল্প প্রতিষ্ঠান ও কারখানার বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র সহ টেলিকম সেবাদানকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতে পারেন। ডিপ্লোমা করে কি কি চাকরি করা যায় তা আমরা দেখতে পারি ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ার এর কর্মক্ষেত্রের মাধ্যমে।

এ পেশায় নিয়োজিত একজন ব্যক্তি বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি, দেশি-বিদেশী প্রতিষ্ঠানে বৈদুতিক বিষয় রক্ষনাবেক্ষণ,পরিচালনা, নীতি নির্ধারন সহ প্রাতিষ্ঠানিক সকল প্রকার কাজ করতে পারেন। এছাড়াও বি.সি.এস, ব্যংক এবং সামরিক বাহিনীতেও চাকুরির ক্ষেত্রে রয়েছে বিশেষ গুরুত্ব।

এ সকল পেশায় নিয়োজিত একজন ব্যক্তি নিজ পরিবার, সমাজ এবং দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারেন। 

বর্তমান প্রতিযোগিতাপূর্ন চাকরি বাজারে ডিপ্লোমা ইন ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর গুরুত্ব দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। ডিপ্লোমা ইন ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং করে কি চাকরি হয় জানলেন এইবার জানুন ডিপ্লোমা ইন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং সম্পর্কে। 

 ডিপ্লোমা ইন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং

একজন ডিপ্লোমা সম্পন্ন কারী সিভিল ইঞ্জিনিয়ার সাধারণত দেশি-বিদেশে বিভিন্ন কোম্পানির নির্মাণ পরিকল্পনা, ডিজাই, কাঠামো রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করে থাকেন।

বর্তমান বাংলাদেশে একজন ডিপ্লোমা সম্পন্নকারী সিভিল ইঞ্জিনিয়ারের রয়েছে বিশেষ গুরুত্ব, সরকারি বহু প্রতিষ্ঠানে একজন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারের বিভিন্ন পদ রয়েছে। যেমনঃ
  • সড়ক ও জনপদ বিভাগ 
  • স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর 
  • গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় 
ডিপ্লোমা করে কি কি চাকরি করা যায় তার একটি আদর্শ উদাহরণ আমরা সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এর ক্ষেত্রে দেখতে পাচ্ছি। এছাড়াও একজন ডিপ্লোমা সম্পন্নকারী সিভিল ইঞ্জিনিয়ার বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী তথা সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীতে ইঞ্জিনিয়ারিং কোরে সরাসরি কমিশন অফিসার হিসেবে যোগদান করতে পারেন।

এছাড়াও থাকছে দেশ ও বিদেশের বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের সাথে কাজ করার সুযোগ, আন্তর্জাতিক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাথে কাজ করার ক্ষেত্রে একজন ডিপ্লোমা সম্পন্নকারী ইঞ্জিনিয়ার পাচ্ছেন দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক সুযোগ-সুবিধা এবং সহায়তা।

ডিপ্লোমা ইন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এর চাকরি সম্পর্কে জানলেন এইবার জানবেন ডিপ্লোমা ইন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং করে কি চাকরি করা যায়।

ডিপ্লোমা ইন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং

আপনাদের বর্তমান ডিপ্লোমা সম্পন্নকারী টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারদের চাকুরীর একটি বড় খাত হলো দেশের সিংহভাগ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত গার্মেন্টস হোটেল খাত। বর্তমানে বাংলাদেশ সরকার টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারদের বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানে উচ্চ পর্যায়ে চাকরির সুযোগ দিচ্ছে। যেমনঃ
  • বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস কর্পোরেশন 
  • বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট 
  • সরকারি বিভিন্ন টেক্সটাইল কলেজ 
  • কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর 
  • বস্ত্র অধিদপ্তর 
একজন ডিপ্লোমা সম্পন্নকারী টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারের দেশের বাইরের প্রতিষ্ঠানেও কাজ করার সুযোগ থাকছে, যেমনঃ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক কোম্পানির ফ্যাশন ডিজাইনিং, মেশিন রক্ষণাবেক্ষণ, মেশিন ডিজাইন ও বিপণন পর্যায়ে।

সুতরাং একজন ডিপ্লোমা সম্পন্নকারী টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার কে ডিপ্লোমা করে কি কি চাকরি করা যায় সেটা নিয়ে কখনোই চিন্তা করতে হয় না।

যেহেতু পোশাক খাত আমাদের দেশের সার্বিক উন্নয়ন এবং বৈদেশিক মুদ্রা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে সেহেতু একজন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে তার গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারেন। ডিপ্লোমা ইন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এর চাকরি সম্পর্কে জানলেন এরপর জানাবো ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের বেতন কেমন।

ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের বেতন কেমন 

বর্ধমান চাকরিবাজারে সবচেয়ে পছন্দের চাকরি হচ্ছে সরকারি চাকরি। একজন ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার যদি সরকারি কর্মক্ষেত্রে তার চাকরিজীবন শুরু করেন তাহলে তার মূল বেতন হবে ৮ হাজার টাকা যা সর্বসাকুল্যে ১৬৫৪০ টাকা যা ক্রমশ বৃদ্ধি পেয়ে প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তার বেতনের সমতুল্য হতে পারে।

যদি কোন সাধারণ শিক্ষার্থী উক্ত বেতনে তার চাকরিজীবন শুরু করতে চায় তাহলে তাকে ন্যূনতম বিএসসি অথবা মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করতে হবে। ডিপ্লোমা সম্পন্নকারি একজন ইঞ্জিনিয়ারের চাকরির অন্যতম ক্ষেত্র হলো প্রাইভেট সেক্টর।

প্রাইভেট সেক্টরে যদি কোনো ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার তার চাকুরি জীবন শুরু করেন তাহলে তার বেতন শুরু হয় সাধারনত ১৫ হাজার থেকে ২০ হাজার টাকার মধ্যে।

ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের বেতন কেমন এবং ডিপ্লোমা করে কি কি চাকরি করা যায় এ নিয়ে ডিপ্লোমা সম্পন্নকারী ইঞ্জিনিয়ারদের চিন্তা করতে হয় না। কারণ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের চাকরির অন্যতম প্রধান ক্ষেত্র হলো বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান।

যেখানে তারা বৈদেশিক মুদ্রায় একটি আদর্শ বেতন সহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সুযোগ সুবিধা পেয়ে থাকেন। ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের বেতন কেমন জেনেছেন এইবার জানবেন কৃষি ডিপ্লোমা করে কি কি চাকরি করা যায়। 

কৃষি ডিপ্লোমা করে কি কি চাকরি করা যায়

মূলত বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কর্তৃক পরিচালিত চার বছর মেয়াদী ডিপ্লোমা ইন এগ্রিকালচার ডিগ্রী সম্পন্নকারী একজন চাকুরী প্রার্থী সরকারি এবং বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতে পারেন।

যেমনঃ সরকারি পরিচালক হিসেবে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে , ঊর্ধ্বতন খামার সহকারী হিসেবে বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউটে, বীজ পরীক্ষক হিসেবে বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটে যোগদান করতে পারেন।

এছাড়াও একজন কৃষি ডিপ্লোমাধারী চাকুরী প্রার্থী বি.সি এস ক্যাডার,ব্যাংকার এবং গবেষক হিসেবে চাকুরী জীবন শুরু করতে পারেন। এ কারণে তাকে ডিপ্লোমা করে কি কি চাকরি করা যায় তা নিয়ে চিন্তা করতে হয় না।

বাংলাদেশ একটি কৃষি প্রধান দেশ তবে এদেশের কৃষির উন্নয়নের ক্ষেত্রে দক্ষ মানব সম্পদ এবং উন্নত প্রযুক্তির যথেষ্ট অভাব রয়েছে।

এমন অবস্থায় একজন কৃষি ডিপ্লোমাধারী, গবেষক এবং মাঠ পর্যায়ের প্রশিক্ষক হিসেবে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি এবং মান উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন। আপনারা জানলেন কৃষি ডিপ্লোমা করে কি কি চাকরি করা যায় এখন আলোচনা করবো ডিপ্লোমা করে কি ডিগ্রি করা যায় কিনা।

ডিপ্লোমা করে কি ডিগ্রি করা যায়?

ডিপ্লোমা শেষ করে একজন ব্যক্তি ডিগ্রী করতে পারবে কিনা তারা মূলত নির্ভর করে তিনি এসএসসি পাশ করে ডিপ্লোমা করেছেন নাকি এইচএসসি পাশ করে ডিপ্লোমা করেছেন।

যদি কোন ব্যক্তি এইচএসসি পাস করে ডিপ্লোমা করে থাকেন সেক্ষেত্রে ডিগ্রি করার সুযোগ রয়েছে তবে যদি কোন ব্যক্তি এসএসসি পাস করে ডিপ্লোমা করে থাকেন তাহলে তার ডিগ্রী করার সুযোগ থাকে না।

যে সকল শিক্ষার্থী এইচ এস সি পাস করে ডিপ্লোমা করেছেন তারা ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে দেশের সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্ভুক্ত কলেজ গুলোতে ডিগ্রী সম্পন্ন করতে পারেন।

ডিগ্রি সম্পন্ন কারী একজন ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার কে চাকুরী বাজারে ডিপ্লোমা করে কি কি চাকরি করা যায় এই নিয়ে চিন্তা করতে হয় না। ডিপ্লোমা করে কি ডিগ্রি করা যায় জানলেন এইবার জেনে নিন ডিপ্লোমা করে কি বিসিএস করা যায়?

ডিপ্লোমা করে কি বিসিএস করা যায়?

ডিপ্লোমা সম্পন্ন করে একজন চাকরিপ্রার্থী অবশ্যই বিসিএস পরীক্ষায় আবেদন করতে পারবেন। তবে একজন ডিপ্লোমা সম্পন্নকারী চাকরিপ্রার্থীর বিসিএসে আবেদন নির্ভর করে তার ডিপ্লোমাটি চার বছরের নাকি তিন বছরের।

যদি তিনি চার বছরে ডিপ্লোমা সম্পন্ন করে থাকেন তাহলে সরাসরি বিসিএস পরীক্ষায় আবেদন করতে পারবেন আর যদি তিনি তিন বছরের ডিপ্লোমা সম্পন্ন করে থাকেন তাহলে তাকে দুই বছরের মাস্টার্স করতে হবে তারপর তিনি বিসিএস পরীক্ষায় আবেদন করতে পারবেন।

যদি একজন চাকরি প্রার্থীর লক্ষ্য থাকে বিসিএস ক্যাডার, সেক্ষেত্রে তার ডিপ্লোমা করে কি কি চাকরি করা যায় এই বিষয় নিয়ে চিন্তা করার কোন প্রয়োজন নাই। বর্তমানে অনেকেই ডিপ্লোমা সম্পন্ন করে বিসিএসের বিভিন্ন ক্যাডারের সুপারিশ প্রাপ্ত হচ্ছেন।

যেমনঃ বিসিএস প্রশাসন, বিসিএস পুলিশ এবং বিসিএস কাস্টমস সহ প্রায় সকল ক্যাডারে রয়েছে বর্তমানে ডিপ্লোমা সম্পন্নকারী উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তাগন। ডিপ্লোমা করে কি বিসিএস করা যায় কিনা জেনেছেন চলুন এখন ডিপ্লোমা করে কি অনার্স করা যায় কিনা যাক। 

ডিপ্লোমা করে কি অনার্স করা যায়?

ডিপ্লোমা সম্পন্ন কারী একজন করে একজন সাধারণত অনার্সে ভর্তি হতে পারেন না। তবে কোন প্রার্থী যদি এইচএসসি পাশ করে ডিপ্লোমা ভর্তি হন সেক্ষেত্রে তার ডিগ্রী কোর্সে ভর্তি হওয়ার সুযোগ থাকবে।

ডিপ্লোমার সার্টিফিকেট মূলত এইচ এস সি এর সমমান। তবে এইচএসসি সম্পূর্ণ করার পর একজন সাধারণ শিক্ষার্থী যে সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্ভুক্ত কলেজগুলোতে ভর্তি হতে পারে।

ডিপ্লোমা করার পর একজন শিক্ষার্থী সাধারনত তো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্ভুক্ত কলেজগুলোতে ভর্তি সুযোগ পায় না।

সুতরাং ডিপ্লোমা এবং এইচএসসি সমমূল্যের বিবেচনা করা হলেও সকল জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় অনার্স করার ক্ষেত্রে তা সমানভাবে গ্রহণযোগ্য নয়। ডিপ্লোমা করে কি অনার্স করা যায় জানলেন এইবার জানুন ডিপ্লোমা করে কি পুলিশ হওয়া যায় কিনা। 

ডিপ্লোমা করে কি পুলিশ হওয়া যায়?

অনেকেরি পুলিশ হওয়ার ইচ্ছে থাকে কিন্তু ডিপ্লোমা করে কি পুলিশ হওয়া যায় কিনা সেই বিষয়টি আপনারা অনেকেই জানেন না। ডিপ্লোমা শেষ করে একজন চাকরি প্রার্থী পুলিশ কনস্টেবল হিসেবে যোগদান করতে পারেন পুলিশ কনস্টেবল পদে আবেদনের জন্য একজন চাকুরী প্রার্থীকে এসএসসি পরীক্ষায় নূন্যতম ২.৫ পেতে হবে।
আরো পড়ুনঃ 
বাংলাদেশের স্থায়ী নাগরিক এবং শারীরিকভাবে সম্পূর্ণ সুস্থ হতে হবে। ছয় মাস মেয়াদী মৌলিক প্রশিক্ষণ শেষে একজন কনস্টেবল হিসেবে বাংলাদেশ পুলিশে যোগদান করতে পারেন পরবর্তীতে তার চাকরির মেয়াদ এবং দক্ষতার ভিত্তিতে পদোন্নতি প্রদান করা হবে।

এ পদে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পদোন্নতি হলোঃ
  • এসিস্ট্যান্ট সাব-ইন্সপেক্ট
  • সাব ইন্সপেক্টর
  • ইন্সপেক্টর
এছাড়াও ডিপ্লোমা সম্পন্নকারী একজন চাকরিপ্রার্থী বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশ পুলিশের সহকারী কমিশনার হিসেবে যোগদান করতে পারেন। পরবর্তীতে তার চাকরির মেয়াদ এবং দক্ষতার ভিত্তিতে সিনিয়র সহকারী কমিশনার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এবং পুলিশ সুপার হওয়ার সুযোগ পাবেন।

পরিশেষেঃ

আশাকরি আপনারা বুঝতে পেরেছেন ডিপ্লোমা করে কি কি চাকরি করতে পারবেন সেই বিষয়গুলো। এইরকম তথ্য পেতে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

জানবো আমরা ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url