আমরা ইতিমধ্যে আলোচনার মাধ্যমে জানতে পেরেছি রাখি বন্ধন উৎসব প্রথম কবে পালিত হয় আবার এটাও জেনেছি রাখি বন্ধন উৎসব কি। কিন্তু আমরা এটা অনেকেই জানিনা রাখি বন্ধন উৎসবের নেতৃত্ব প্রথমে কে দেন? আপনি নিশ্চয়ই জানতে চান রাখি বন্ধনের নেতৃত্ব প্রথম কে দেয়।

তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক রাখি বন্ধন উৎসবের নেতৃত্ব প্রথম কে দেন। রাখি বন্ধন উৎসব অনেক প্রাচীন উৎসব। এই উৎসবের প্রথম নেতৃত্ব দেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। সব পাঁচ সালে বঙ্গভঙ্গ কে রথ করার জন্য মূলত রাখি বন্ধন উৎসব চালু করা হয়।

রাখি বন্ধন উৎসবের প্রথম উদ্দেশ্য ছিল হিন্দু মুসলিম কোন জাতিভেদ না করে সকলের মাঝে ভ্রাতৃত্ববোধ জাগ্রত করা। সেই সময় রবীন্দ্রনাথ সকলের হিংসা ভুলে ভাই বোন হওয়ার আহ্বান করেছিলেন।

মনুষ্য ধর্ম যে বড় ধর্ম সেই কথা তিনি সকলকে বোঝাতে চেয়েছিলেন এই উৎসবের মাধ্যমে। সেই সময় মানুষ নিজেদের মধ্যে ভেদাভেদ করতো। এই সময় রবীন্দ্রনাথ সকলকে হিংসা ভুলে একসাথে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার জন্য আহ্বান করেছিলেন এবং সকলে তার মতামত কে সমর্থন করেছিল।

তিনি প্রথম রাখি বন্ধন উৎসবের কথা চালু করেন। সেই সময় থেকে আজ পর্যন্ত রাখি বন্ধন উৎসব পালিত হয়ে আসছে।

রাখি বন্ধন যদিও প্রাচীন উৎসব এখনো এই উৎসবটি প্রতি বছর ঘরে ঘরে পালিত হয়ে আসছে। কিন্তু আপনারা কি জানেন রাখি বন্ধন হিন্দুদের উৎসব কিনা। যদিও ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গ রদ করার উদ্দেশ্যে রাখি বন্ধন কোথা থেকে চালু করা হয়।

সেই সময় হিন্দু মুসলিম কোন ভেদাভেদ ছিল না। হিন্দু মুসলিম সবাই ভাই ভাই ছিল। কিন্তু এখন ধরা হয় রাখি বন্ধন শুধুমাত্র হিন্দুদের উৎসব। কারণ প্রাচীনকাল থেকে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকেরা রাখি বন্ধন উৎসবটি পালন করে আসছে। রাখি বন্ধন উৎসবটি ভারতবর্ষে বেশি পালন করা হয়।

এটির প্রচলন বাংলাদেশেও রয়েছে। রাখি বন্ধন উৎসব মূলত ভাই বোনের সম্পর্ককে সম্মান করার জন্য পালন করা হয়। বোনেরা তাদের ভাইদের হাতে রাখি পরিয়ে দেয়। রাখিকে মূলত প্রতিরক্ষা মূলক বন্ধন হিসেবে ধরা হয়। এটি একটি সুরক্ষার প্রতীক।

রাখি বন্ধন শ্রাবণ মাসের পূর্ণিমা তিথিতে পালন করা হয়। এই সময় এই ওসব টি পালন করার জন্য অনেক কিছুর প্রয়োজন হয়। সাধারণত একটি থালিতে কিছু জিনিসপত্র রাখা হয়ে থাকে। আপনি যদি জানতে চান রাখি পূজার সময় থালিতে কি কি জিনিস থাকে তাহলে এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

রাখি পূজার সময় থালিতে যে যে উপকরণ রাখা হয় তা হলোঃ ফুল,নারিকেল, ঘিয়ের প্রদীপ,লাল সিঁদুর, হলুদ অক্ষত, রক্ষা সূত্র বা রাখি। আর অবশ্যই মিষ্টি রাখতেই হবে। এ সমস্ত উপকরণ দিয়ে সুন্দরভাবে বরণডালা সাজিয়ে বোনেরা প্রথমে ভাইকে বরণ করে পরে ভাইদের হাতে রাখি পরিয়ে দেয়। এবং সর্বশেষ মিষ্টি খাইয়ে দেয়।

রাখি বন্ধন উৎসব অনেক প্রাচীন একটি উৎসব। অনেক যুগ আগে থেকেই রাখি বন্ধন উৎসবটি পালন করা হয়ে থাকে। মূলত ভারতবর্ষে এই উৎসবটি অতি ধুমধাম করে পালন করা হয়।তবে বাংলাদেশের এই উৎসবটি পালন করা হয়ে থাকে।

আপনারা নিশ্চয়ই এতক্ষণে জানতে পেরেছেন রাখি বন্ধন উৎসব প্রথম কবে পালিত হয়। কিন্তু আপনারা কি জানেন রাখি বন্ধন উৎসবের মূল কারণ কি ছিল। যদি না জেনে থাকেন তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

রাখি বন্ধন উৎসবটি চালু করেছিলেন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গ করার জন্য এই প্রথা চালু করা হয়। মূলত সেই সময় ইংলিশ শাসকদের বিরুদ্ধে হিন্দু মুসলিম সকল ভাইকে এক করার তাগিদে রাখি বন্ধন উৎসব কি চালু করা হয়।

হিন্দু ও মুসলিম ধর্মের ভাইয়েরা প্রথাকে সমর্থন করেন।তারা নিজেদের মধ্যে কোনরকম জাতি ধর্ম ভেদাভেদ না করে ভাই ভাই হয়ে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে থাকে। মূলত এটি ছিল রাখি বন্ধনের প্রধান উদ্দেশ্য। রাখি বন্ধন মানে হচ্ছে সকলের সাথে ভালোবাসার গভীর সম্পর্ক অটুট রাখা।

আমরা অনেকেই জানি রাখি বন্ধন উৎসব প্রথম কবে পালিত হয়।আবার রাখি বন্ধনের ইতিহাস সম্পর্কে টুকিটাকি জানি। কিন্তু রাখি বন্ধন উৎসবে পৌরাণিক বা আসল কাহিনী আমরা কি জানি? আপনি কি রাখি উৎসবের ইতিহাস সম্পর্কে জানতে চান?

আপনি যদি রাখি উৎসবের ইতিহাস সম্পর্কে জানতে চান, তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য। যদি আপনি এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে রাখি উৎসবের ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পারবেন।

অনেকেই মনে করেন ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গ রদের কারণে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর যে উৎসবের কথাটি চালু করেন সেটি হচ্ছে রাখি বন্ধন।আর তখন থেকে শুরু হয় রাখি বন্ধন প্রথার। কিন্তু রাখি বন্ধন সম্পর্কে পৌরাণিক কিছু কাহিনী রয়েছে।সেটাকেই মূলত রাখি বন্ধনের ইতিহাস বলা হয়ে থাকে।

রাখি বন্ধনের প্রাচীন ইতিহাস হল দ্বাপর যুগে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের আত্মীয় দ্রৌপদী হলেও তিনি দ্রৌপদীকে ভগ্নিরূপে দেখতে।তখন তিনি দ্রৌপদীকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তার যেকোনো বিপদ আপদ থেকে তাকে রক্ষা করার এবং সুখে দুঃখে তার পাশে থাকার।

তারপর মহাভারতে যখন পঞ্চপান্ডব পাশা খেলায় হেরে যায় তখন দুর্যোধন ও দুঃশাসন দ্রৌপদীর বস্ত্রহরণের ফন্দি আটে।তখন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ দ্রৌপদীকে রক্ষা করেন। ভগবান তার দেওয়া প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেন। আর সেই যুগ থেকেই শুরু হয় রাখি বন্ধনের প্রথা।তখন থেকেই সনাতন ধর্মালম্বীর মানুষেরা রাখি উৎসব পালন করে আসছে।

আমাদের কমবেশি সকলেরই রাখি বন্ধন সম্পর্কে ধারণা রয়েছে।আমরা জানি রাখি বন্ধন উৎসব প্রথম কবে পালিত হয়। এটাও জানি রাখি বন্ধন উৎসবের নেতৃত্ব কে দেন। কিন্তু অনেকে এইটা জানিনা রাখি বন্ধন উৎসব প্রথম কে প্রচলন করে।

আপনি নিশ্চয়ই জানতে চান রাখি বন্ধন উৎসব প্রথম কে প্রচলন করেন। তাহলে আর দেরি না করে চলুন জেনে নেওয়া যাক রাখি বন্ধনের পেছনের কাহিনী এবং রাখি বন্ধন উৎসব প্রথম কে প্রচলন করেন। রাখি বন্ধন প্রথম প্রচলন হয় দ্বাপর যুগে।

পৌরাণিক কাহিনী থেকে জানা যায় রাখি বন্ধন দ্বাপর যুগ থেকেই প্রচলিত রয়েছে। দ্বাপর যুগে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ স্বয়ং অবতার হয়েছিলেন। তিনি দুষ্টু কংসকে বট করার জন্য ধরায় নেমে আসেন। দ্বাপর যুগের মহাভারতের কাহিনী আমরা সবাই জানি। সেই সময় পাঞ্চাল নগরীতে জন্মগ্রহণ করেন দ্রৌপদী।

তাকে অনেকে পাঞ্চালি নামেও চেনেন। পাঞ্চালি ছিলেন শ্রীকৃষ্ণের আত্মীয়। যদিও তিনি শ্রীকৃষ্ণের আত্মীয় ছিলেন কিন্তু শ্রীকৃষ্ণ তাকে বিশ্ববাসীর কাছে বোন হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন। তিনি দ্রৌপদীকে নিজের বোন হিসেবে স্বীকৃতি দেন এবং রাখি উৎসবের কথা ঘোষণা করেন।

সেই সময় তিনি দ্রৌপদীকে ভাই হিসেবে প্রতিশ্রুতি দান করেছিলেন। সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে পঞ্চপান্ডব যখন পাশা খেলাতে হেরে যায় তখন দূর্যোধন ও দুঃশাসন দ্রৌপদীর বস্ত্রহরণের চেষ্টা করে। তখন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ ভাই হয়ে দ্রৌপদীর সম্মান হানি হাত থেকে রক্ষা করে।

ভরা সবাই শ্রীকৃষ্ণ সবার সামনে দ্রৌপদীকে সম্মানহানি হতে রক্ষা করেন। এই হচ্ছে পৌরাণিক যুগের রাখি বন্ধন এর কাহিনী। ধরা হয় তখন থেকেই প্রথম রাখি বন্ধন উৎসবের প্রচলন হয়। আশা করি আপনারা এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে জানতে পেরেছেন প্রথম রাখি বন্ধন উৎসবের প্রচলন হয় কবে।

ইতিহাসে দেখা যায় রাখি বন্ধন রাখি বন্ধন সনাতন ধর্মালম্বীদের একটি অনুষ্ঠান। মূলত ভাই বোনের সম্পর্ক অটুট রাখতে রাখি বন্ধন উৎসব পালন করা হয়। রাখি বন্ধন যে শুধুমাত্র ভাই বোনের সম্পর্কের জন্য তা নয় এটি আত্মীয়-স্বজন বন্ধু বান্ধব সকলের সাথে সম্পর্ক অটুট রাখার জন্য পালন করা হয়।

রাখি পূর্ণিমা তিথিতে রাখি বন্ধন উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।সাধারণত ভারতবর্ষে রাখি বন্ধন উৎসব ধুমধাম করে পালিত হয়।আমরা অনেকেই রাখি বন্ধন উৎসব পালন করে থাকি কিন্তু সঠিক জানিনা রাখি বন্ধন উৎসব প্রথম কবে পালিত হয়।

আপনারা নিশ্চয়ই জানতে চান রাখি বন্ধন উৎসব প্রথম কবে পালিত হয়। আপনারা যদি জানতে চান রাখি বন্ধন উৎসব প্রথম কবে পালিত হয় তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য। তাহলে চলুন আর দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক রাখি বন্ধন উৎসব প্রথম কবে পালিত হয়।

ইতিহাস থেকে জানা যায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সর্বপ্রথম রাখি বন্ধন উৎসব চালু করেছিলেন। রাখি বন্ধন উৎসবটি অনেক প্রাচীন একটি উৎসব। এটি মূলত ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গের সময় বঙ্গভঙ্গ কে রোধ করার উদ্দেশ্যে শুরু করা হয়েছিল রাখি বন্ধনের উৎসব।

তখন থেকেই রাখি বন্ধন উৎসবটি চালু হয়েছে। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কলকাতা সহ বাংলাদেশের ঢাকা বিভাগের আর সিলেট এবং চট্টগ্রামসহ বিভাগের হাজার হাজার হিন্দু ও মুসলিম ভাইবোনদের নিয়ে একাতারে একটি লক্ষ্যে রাখি বন্ধনের উৎসব প্রথা চালু করেন।

বঙ্গভঙ্গের সময় ধর্ম নিয়ে নানা মতবাদ ছিল।তাই সকলকে ঐক্যবদ্ধ করে রাখার জন্য রাখি বন্ধনের উৎসব প্রথা চালু করা হয়। এবং পরবর্তী সময়ে এই পন্থা স্থায়ীভাবে চালু করা হয়। সেই সময় থেকে শ্রাবণ মাসের প্রথম দিকে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষেরা রাখি বন্ধন উৎসবটি পালন করে আসছে।

রাখি বন্ধন এর মাধ্যমে ভাই বোনের সম্পর্ক অটুট হয়।কি বন্ধন উৎসবে বোন তার ভাইয়ের হাতে রাখি বেঁধে দেয়,যেন ভাই তার বোনের সারা জীবন রক্ষা করতে পারে।এই দিনে ভাই বোনকে এবং বোন ভাইকে উপহার দেয়।