অনলাইনে শেয়ার ব্যবসা করার নিয়ম-শেয়ার ব্যবসা করতে কত টাকা লাগে

অনলাইনে শেয়ার ব্যবসা করার নিয়ম বা শেয়ার ব্যবসা করতে কত টাকা লাগে এই বিষয়গুলো নিয়েই সার্চ করছেন নিশ্চয়। এই আর্টিকেলে আপনি অনলাইনে শেয়ার ব্যবসা করার নিয়ম এবং শেয়ার ব্যবসা করতে কত টাকা লাগে জানতে পারবেন। এছাড়াও জানবেন শেয়ার ব্যবসা কি, কিভাবে শেয়ার ব্যবসা শুরু করা যায়, শেয়ার বাজার কি, শেয়ার ব্যবসা টেকনিক্যাল বিশ্লেষণ ইত্যাদি বিষয়গুলো।
অনলাইনে শেয়ার ব্যবসা করার নিয়ম। শেয়ার ব্যবসা করতে কত টাকা লাগে। জানবো আমরা। janbo amra
অনলাইনে শেয়ার ব্যবসা করার নিয়ম। শেয়ার ব্যবসা করতে কত টাকা লাগে।

সূচিপত্রঃ অনলাইনে শেয়ার ব্যবসা করার নিয়ম। শেয়ার ব্যবসা করতে কত টাকা লাগে।

ভূমিকাঃ

শেয়ার ব্যবসা এমন এক পেশা আছে যা ছেলে বুড়ো সবাই করতে পারেন। শুধু তাই নয় অন্য পেশায় থেকেও এ পেশায় নিয়োজিত থাকা যায়। তবে কিভাবে এ পেশায় যুক্ত হওয়া যায় এবং লভ্যাংশ নিয়ে ঘরে ফেরে যায় এর জন্য আছে কিছু নিয়ম ও কৌশল।

আসুন অল্প কথায় জেনে নেওয়া যাক শেয়ার ব্যবসা কি, শেয়ার বাজার কি, শেয়ার ব্যবসার কৌশল, অনলাইনে শেয়ার ব্যবসা করার নিয়ম, কিভাবে শেয়ার ব্যবসা শুরু করা যায়, শেয়ার ব্যবসা করতে কত টাকা লাগে ইত্যাদি বিষয়সমূহ।

শেয়ার কি

শেয়ার বাজার কি জানার আগে জেনে নিই শেয়ার কি। শেয়ার ইংরেজি শব্দ যার অর্থ হলো অংশ। তবে ব্যবসার ক্ষেত্রে শেয়ার হলো কোন প্রতিষ্ঠানের মালিকানার একটি অংশ।

অর্থাৎ কোন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান তার ব্যবসাকে চালিয়ে রাখার জন্য অন্য কাউকে যুক্ত করে মালিকানার একটা অংশ প্রদান করে অথবা সরকার বা বিশেষ কোনো সংস্থা জনসাধারণকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত করে শেয়ার এর মাধ্যমে। শেয়ার কি নিশ্চয় বুঝতে পারলেন এইবার আলোচনা করবো শেয়ার বাজার কি।

শেয়ার বাজার কি

সাধারণ অর্থে যেখানে শেয়ার কেনাবেচা হয় তাকে শেয়ার বাজার বলে। এখান থেকে বিও অ্যাকাউন্টধারী যে কেউ শেয়ার কেনাবেচা করতে পারেন। যদিও শেয়ারকে আমরা একটি পণ্য হিসেবে মনে কর, প্রকৃতপক্ষে এটি দৃশ্যমান কোন বস্তু নয়।

শুধু টাকার বিনিময়ে মালিকানা পরিবর্তনের দৃশ্যই চোখে পড়ে। শেয়ার কেনাবেচার জন্য বাংলাদেশে দুটি বাজার আছে একটি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ অপরটি চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ। আবার এই দুটি বাজারকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য রয়েছে একটি সংস্থা, সিকিউরিটি এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন বা এসইসি।

এসইসির কাজ হলো শেয়ার বাজার পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণ, প্রয়োজনে আইন প্রণয়ন, সংশোধন, পরিমার্জন, বিনিয়োগকারীদের প্রয়োজনীয় নিরাপত্তাসহ অনিয়ম প্রতিরোধ ও যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা। শেয়ার বাজার কি তা বুঝতে নিশ্চয় আর কোন সমস্যা নেই আপনার। 

বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) একাউন্ট

স্টক এক্সচেঞ্জগুলোর অনুমোদিত বহু এজেন্ট রয়েছে, এগুলো ব্রোকারেজ হাউস নামে পরিচিত। এসব হাউসে আপনি বেনিফিশিয়ারি ওনার্স অ্যাকাউন্ট বা বিও অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন। যাদের বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হয়েছে এবং যাদের ব্যাংক একাউন্ট আছে তারাই বিও একাউন্ট করতে পারবেন। বিও একাউন্ট অনেকটা ব্যাংক একাউন্ট এর মতই।

একাউন্ট কারীর দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি, নমিনির এক কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি, জাতীয় পরিচয়পত্র বা ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি অথবা পাসপোর্ট এর ফটোকপির সঙ্গে ব্রোকারেজ হাউসের নির্ধারিত ফি জমা দিলেই আপনি দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে আপনার বিও একাউন্ট নম্বর এবং গ্রাহক পরিচিতি নম্বর পেয়ে যাবেন।

গ্রাহক পরিচিতি নম্বর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শেয়ার লেনদেন বা কেনাবেচা করতে পারবেন । আপনি যে ব্রোকারেজ হাউসের মাধ্যমে বিয়েও খুলেছেন সে হাউসের মাধ্যমে লেনদেন করতে হবে। বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) একাউন্ট কি জানলেন এইবার জানবেন শেয়ারের ধরন কয়টি।

শেয়ারের ধরন

অনলাইনে শেয়ার ব্যবসা করার নিয়ম জানার আগে চলুন এখন জেনে নেওয়া যাক শেয়ারের ধরন কয়টি। শেয়ার বাজারে দুই ধরনের শেয়ার দেখা যায় প্রাইমারি শেয়ার আর সেকেন্ডারি শেয়ার। প্রাইমারি শেয়ার ইনিশিয়াল পাবলিক অফার বা আইপিও নামে পরিচিত।

প্রাইমারি শেয়ার কিনতে আগ্রহীদের পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে দরখাস্ত আহবান করে সংশ্লিষ্ট কোম্পানি। বর্তমানে দেখা যায় কোম্পানির প্রয়োজনীয় শেয়ার লটের চেয়ে প্রায় ৫০ থেকে ৬০ গুণ এমনি ১০০ গুন পর্যন্ত বেশি দরখাস্ত জমা পড়ে।

সেজন্য সংশ্লিষ্ট কোম্পানির লটারির মাধ্যমে প্রয়োজনীয় শেয়ার লট সংগ্রহ করে থাকে। যারা লটারির মাধ্যমে প্রাইমারি শেয়ার জয়ী হন, তাদের শেয়ারগুলোই সেকেন্ডারি শেয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

প্রাইমারি শেয়ার বাজারে এলে বিও অ্যাকাউন্টধারী যে কেউ এই শেয়ার কেনাবেচা করতে পারে। শেয়ারের ধরন জানলেন এইবার অনলাইনে শেয়ার ব্যবসা করার নিয়ম সম্পর্কে আরো জরুরী বিষয় জানবেন।

অনলাইনে শেয়ার ব্যবসা করার নিয়ম সম্পর্কে যা জানা জরুরী

শেয়ার ব্যবসা করতে কত টাকা লাগে জানার আগে জেনে নিন অনলাইনে শেয়ার ব্যবসা করার নিয়ম সম্পর্কে জরুরী তথ্য। যারা প্রাইমারি শেয়ার জয়ী হন সাধারণত তারাই বেশি লাভবান হয় এবং ক্ষতির শঙ্কা নেই বললেই চলে।

প্রাইমারি শেয়ার জয়ীদের লাভ এমনই বেশি হয় যে ১০ টাকার একটি শেয়ার বাজারে আসার প্রথম দিনেই ১০ থেকে ২০ গুণও হয়, যেমনটা আমরা গ্রামীণফোনের শেয়ারের ক্ষেত্রে দেখেছি।

প্রাথমিক শেয়ার লটারির মাধ্যমে নির্বাচনের ফলে ভালো খারাপ বিচার বিবেচনার সুযোগ কম কিন্তু সেকেন্ডারি শেয়ারে এমন সুযোগ না থাকায় কেনাবেচার ক্ষেত্রে কয়েকটি বিষয় ভালোভাবে জানতে হবে।

যেমন পিই রেশিও, নেট অ্যাসেট ভ্যালু বা প্রকৃত সম্পদ মূল্য, আর্নিং পার শেয়ার, রেকর্ড ডেট, রাইট শেয়ার, অনুমোদিত মূলধন ও পরিশোধিত মূলধন, ইয়ারএন্ড বোনাস ইত্যাদি।

আর্নিং পার শেয়ার|শেয়ার ব্যবসা করতে কত টাকা লাগে

আর্নিং পার শেয়ার হলো একটি শেয়ারের ফেস ভ্যালু বা প্রাথমিক মূল্য দিয়ে বছরে কত টাকা আয় করে তাকেই বুঝায়। দশ টাকার একটি শেয়ার দিয়ে বছরে যদি ১০ টাকা আয় করা হয় তবে আয়ের এ ১০ টাকায় হবে ইপিএস বা আর্নিং পার শেয়ার। ইপিএস যত বেশি হয়, ধরে নিতে হবে সেই কোম্পানির অবস্থা তত ভালো।

বোনাস ও লভ্যাংশ|শেয়ার ব্যবসা শিক্ষা

শেয়ার বাজারে আসা প্রতিটি কোম্পানি বছর শেষে তাদের আয় ব্যায় হিসাব করে। বার্ষিক হিসাবের পর যদি কোম্পানির আয় হয় তাহলে সেই আয়ের একটা অংশ শেয়ার হোল্ডারদেরকে দেয় তাকেই লভ্যাংশ বলে। কোম্পানি এ লভ্যাংশকে বোনাস শেয়ার হিসেবে অথবা নগদ টাকায় প্রদান করে থাকে।

যেমন ধরুন সামিট পাওয়ার কোম্পানি বছর শেষে ২৫ শতাংশ বোনাস ঘোষণা করেছে। আর সামিট পাওয়ার কোম্পানি যখন বাজারে প্রিমিয়ার ছেড়েছে তখন তার ফেইস ভ্যালু ছিল ১০০ টাকা। তাহলে ১০০ টাকার লভ্যাংশ হিসেবে আপনার শেয়ারের সঙ্গে আরো ২৫ টাকা যুক্ত হবে।

তাহলে প্রতিটি শেয়ারের মূল্য দ্বারায় ১২৫ টাকা। এক্ষেত্রে আপনি ১০০ প্রিমিয়ারের শেয়ার যদি সেকেন্ডারি বাজার থেকে ১৫০০ বা ২০০০ টাকা দরেও কিনে থাকেন তাহলেও ১০০ টাকা হারেই আপনি বোনাস পাবেন।

রাইট শেয়ার কি|অনলাইনে শেয়ার ব্যবসা করার নিয়ম

কোম্পানি যখন তার মূলধন বাড়াতে চায় তখন সিকিউরিটি এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের অনুমতি নিয়ে বাজারে যে শেয়ার ছাড়ে তাকেই রাইট শেয়ার বলে। এ শেয়ার সবাই কিনতে পারেন না। যেসব শেয়ার হোল্ডার আগেই ওই কোম্পানির শেয়ার কিনেছেন তারাই শুধু রাইট শেয়ার কিনতে পারেন।

শেয়ার হোল্ডারদের কাছে এই শেয়ার অনেক মূল্যবান। কারণ বাজারের প্রকৃত মূলের চেয়ে এই শেয়ারের দাম অনেক কম থাকে।

ইয়ার এন্ড বা বর্ষ শেষ

সাধারণত কোম্পানিগুলো তাদের শেয়ারহোল্ডারদের বছর শেষে লভ্যাংশ ও বোনাস দিয়ে থাকে। জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সাধারণ অর্থ বছর হলেও কোন কোন কোম্পানির অর্থ বছর শুরু এবং শেষ হয় বছরের বিভিন্ন মাসে।

বছরের যে মাস থেকে অর্থ বছর গণনা করা হয় তার ঠিক এক মাস পেছনের মাসকেই ইয়ার এন্ড ধরা হয়। যেমন জুলাই মাস থেকে বছর গণনা শুরু হলে শেষ হবে পরবর্তী বছরের জুন মাসে।

যে মাসে বর্ষ শেষ ঘোষণা করা হয় সে মাসে শেয়ারের দাম তুলনামূলক বেশি থাকে। কোন কোম্পানি সম্পর্কে জানতে স্টক এক্সচেঞ্জ এর ওয়েবসাইটে কোম্পানি প্রোফাইলে ক্লিক করতে পারেন।

রেকর্ড ডেট কি-শেয়ার ব্যবসা করতে কত টাকা লাগে

কোম্পানি বার্ষিক সাধারণ সভা, বিশেষ সাধারণ সভা, বোনাস লভ্যাংশ ও রাইট শেয়ার যখন ঘোষণা করে সেই সঙ্গে রেকর্ড ডেটকেও নির্ধারণ করা হয়। আর রেকর্ড ডেটের সময় যাদের কাছে উক্ত কোম্পানির শেয়ার থাকে তারাই বোনাস, লভ্যাংশ ও রাইট শেয়ার পান।

যেমন ধরুন রেকর্ড ডেট এর আগের দিন কেউ উক্ত কোম্পানির শেয়ার কিনলেন এবং রেকর্ড ডেট এর পরের দিন বিক্রি করে দিলেন। আগের দিন কিনে এবং পরের দিন বিক্রি করে দেয়ার পরেও ওই ব্যক্তি কোম্পানির বোনাস লতাংশ পাবেন এবং রাইট শেয়ার কিনতে পারবেন। তাই কোন শেয়ার কেনার আগে রেকর্ড ডেট সম্পর্কে জানা জরুরী।

অনুমোদিত ও পরিশোধিত মূলধন কি-শেয়ার ব্যবসার কৌশল

প্রত্যেক কোম্পানির একটি নির্দিষ্ট মূলধন অনুমোদন করতে হয়। কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের সভায় এ অনুমোদনের প্রস্তাব গৃহীত হয় এবং পরে তা চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে পাঠানো হয়। এসইসির অনুমোদন পাওয়ার পর তা কার্যকর হয়।

এটি অথোরাইজড ক্যাপিটাল বা অনুমোদিত মূলধন বলে বিবচিত হয়। আর এ অনুমোদিত মূলধনের পেছনে বর্তমানে কত টাকা আছে তাই হচ্ছে পরিশোধিত মূলধন বা পেইডআপ ক্যাপিটাল।

কোন কোম্পানির অনুমোদিত মূলধন যদি হয় ৫০০ কোটি টাকা, সেই কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন ২০০ কোটি টাকাও হতে পারে। যে কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন কম থাকে, সেই কোম্পানির শেয়ার কিনে লাভবান হওয়া যায় বলে মত দিয়েছেন শেয়ারবাজার বিশেষজ্ঞরা।

কারণ যে কোম্পানির পেইড আপ ক্যাপিটাল কম, সেই কোম্পানি বাজারে বেশি বেশি রাইট শেয়ার ছেড়ে মূলধন বাড়ায়। সেজন্য অনুমোদিত ও পরিশোধিত মূলধন সম্পর্কে জেনে শেয়ার কেনাবেচা করতে হবে। আশাকরি আপনার শেয়ার ব্যবসার কৌশলগুলো আস্তে আস্তে আয়ত্ত করতে পারছেন।

অনলাইন ট্রেডিং কি-অনলাইনে শেয়ার ব্যবসা করার নিয়ম

শেয়ার ব্যবসাকে আরও সহজ করার জন্য এখন চালু হয়েছে অনলাইনে শেয়ার কেনাবেচা। আগের মতো ব্রোকারেস হাউসের নির্দিষ্ট কক্ষে বসে শেয়ার কেনাবেচা করতে হবে না। গ্রাহক চাইলেই ইন্টারনেটের মাধ্যমে শেয়ার কেনাবেচা করতে পারেন।

তবে সেজন্য প্রয়োজন হবে একটা নির্দিষ্ট পাসওয়ার্ড। ইন্টারনেটে কেনাবেচার সুবিধা থাকার ফলে ব্রোকার হাউসে অর্ডার দিয়ে কেনাবেচা করতে হয় না।

আপনার প্রয়োজনে-শেয়ার ব্যবসার কৌশল

শেয়ার বাজারের সঙ্গে ওতোপ্রোতভাবে জড়িত টাকা বা পুঁজি। অনেকেই দেখা গেছে খুব অল্প পুঁজি নিয়ে এই ব্যবসায় নেমে অনেক টাকাকরি কামিয়েছেন। আবার অনেক পুঁজি বিনিয়োগ করেও কেউ কেউ ফতুর হয়েছেন।

তবে এ ব্যবসার সাফল্য নির্ভর করে বুঝে শুনে ব্যবসা পরিচালনার উপর। কোনক্রমেই গুজবে কান দেয়া যাবে না। পর্যাপ্ত তথ্য, নিজের প্রজ্ঞা এবং বিশেষজ্ঞদের মতামতের সমন্বয়ে শেয়ার ব্যবসা চালিয়ে রাখতে হবে। তা না হলে আপনার পুঁজি হারানোর ভয় তো আছেই, পাশাপাশি শেয়ারবাজারও অস্থিতিশীল হয়ে যেতে পারে।

শেয়ার ব্যবসা করতে কত টাকা লাগে

শেয়ার ব্যবসা কি, শেয়ার বাজার কি এবং অনলাইনে শেয়ার ব্যবসা করার নিয়ম সম্পর্কে নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন। এখন আপনার মনে হতে পারে শেয়ার ব্যবসা করতে কত টাকা লাগে। এই প্যারাটি ভালো করে পড়লে আপনি বুঝতে পারবেন শেয়ার ব্যবসা করতে কত টাকা লাগে।

৫০০০ থেকে ৬০০০ টাকা বিনিয়োগ করা ভালো প্রাইমারি শেয়ার মার্কেটে বিনিয়োগ করার ক্ষেত্রে। সেকেন্ডারি শেয়ার মার্কেটের ক্ষেত্রে ২০,০০০ থেকে ৩০,০০০ টাকা বিনিয়োগ করা ভালো।

সেকেন্ডারী শেয়ার মার্কেটে বিনিয়োগ করার ক্ষেত্রে অবশ্যই শেয়ার মার্কেট সম্পর্কে ভালো ধারণা বা জ্ঞান থাকতে হবে আপনার। শুরুর দিকে আপনার অবশ্যই কম পুঁজি দিয়ে শুরু করাটাই বেশি ভালো হবে। এরপর আস্তে আস্তে অভিজ্ঞতা বাড়লে আপনি বিনিয়োগের পরিমাণও বাড়াবেন। বেশি বিনিয়োগে লাভ টাও বেশি পাবেন।

পরিশেষেঃ

আশাকরি আপনারা এই আর্টিকেল পড়ে শেয়ার ব্যবসা শিক্ষা বা অনলাইনে শেয়ার ব্যবসা করার নিয়ম এবং শেয়ার ব্যবসা করতে কত টাকা লাগে বা কিভাবে শেয়ার ব্যবসা শুরু করব এগুলো সম্পর্কে আর কোন প্রশ্ন নেই আপনাদের। এইরকম তথ্য পেতে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

জানবো আমরা ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url