সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স শিক্ষা বীমা-শিক্ষা বীমা কি-বঙ্গবন্ধু শিক্ষা বীমা 2024

শিক্ষা বীমা কি ও সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স শিক্ষা বীমা এবং বঙ্গবন্ধু শিক্ষা বীমা 2024 সম্পর্কে আপনারা অনেকেই তেমন জানেন না। এই আর্টিকেলে সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স শিক্ষা বীমা ও শিক্ষা বীমা কি এবং বঙ্গবন্ধু শিক্ষা বীমা 2024 সম্পর্কে জানতে পারবেন। তাহলে চলুন বঙ্গবন্ধু শিক্ষা বীমা 2024 ও শিক্ষা বীমা কি এবং সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স শিক্ষা বীমা ছাড়াও শিক্ষা বীমা সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাক।
সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স শিক্ষা বীমা। শিক্ষা বীমা কি। বঙ্গবন্ধু শিক্ষা বীমা 2024। জানবো আমরা। janbo amra
সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স শিক্ষা বীমা। শিক্ষা বীমা কি। বঙ্গবন্ধু শিক্ষা বীমা 2024।
আজকের আর্টিকেলে বঙ্গবন্ধু শিক্ষা বীমা 2024 ও শিক্ষা বীমা কি এবং সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স শিক্ষা বীমা সম্পর্কে জানার পাশাপাশি আরো অনেক বিষয় জানতে পারবেন। এগুলো জানার পাশাপাশি জানবেন মেটলাইফ শিক্ষা বীমা, শিশু শিক্ষা বীমা, সোনালী ব্যাংক শিক্ষা বীমা, জীবন বীমা কর্পোরেশন শিক্ষা বীমা এই বিষয়গুলোও জানতে পারবেন।

সূচিপত্রঃ সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স শিক্ষা বীমা। শিক্ষা বীমা কি। বঙ্গবন্ধু শিক্ষা বীমা 2024। 

ভূমিকাঃ 
আপনারা অনেকেই আপনার বাচ্চার জন্য শিক্ষা বীমা করতে চাচ্ছেন কিন্তু শিক্ষা বীমা সম্পর্কে তেমন কিছুই জানেন না। এই আর্টিকেল ভালোভাবে পড়ার মাধ্যমে শিক্ষা বীমার সুবিধা, শিক্ষা বীমা কি জায়েজ, ডাক শিক্ষা বীমা ও শিক্ষা সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য জানতে পারবেন। তাহলে চলুন প্রথমেই জেনে নেওয়া যাক শিক্ষা বীমা কি এবং শিশু শিক্ষা বীমা কি।

শিক্ষা বীমা কি

শিক্ষাবীমা হল টাকার অভাবে অল্প বয়সী শিক্ষার্থীরা যাতে লেখাপড়ার বা শিক্ষাজীবনে কোন ক্ষতি না হয় সেজন্য সরকার একটি বীমা চালু করেছে তার নামে শিক্ষাবীমা। এ বীমা পলিসি প্রিমিয়াম হবে মাসে ৩০ টাকা করে এবং সে হবে ৩০০ টাকা।

এই বিমার মোট অংক ধরা হয়েছে এক লক্ষ টাকা। এই বিমার আওতায় আসবে ৫ থেকে১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীরা। যদি কোন শিক্ষার্থীর এই বীমা চলাকালীন মা বাবা মারা যায় তাহলে শিক্ষার্থী প্রতিমাসে এক হাজার করে টাকা পাবে।

এই বীমা পলিউসির মেয়াদ হল এক থেকে বারো বছর। আর শিক্ষার্থীর মেয়াদ উত্তীর্ণ হবে যদি তার বয়স ১৮ বছর বয়স হয়ে যায় তখন। এই বিমার মাধ্যমে শিক্ষার্থী উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হতে পারে। এই বিমার মাধ্যমে নিশ্চয়তা থাকে একজন শিক্ষার্থীর।

যেসব আর্থিক প্রতিষ্ঠান শিক্ষার বীমা পলিসি করে সেসব হল সোনালী ব্যাংক শিক্ষাবিমা, ডাস বাংলা ব্যাংক শিক্ষা বীমা, জনন বীমা শিক্ষা বীমা ইত্যাদি। শিক্ষা বীমা কি জানলেন এইবার চলুন শিশু শিক্ষা বীমা সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

শিশু শিক্ষা বীমা

শিক্ষাবীমা সন্তানের জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। একজন সন্তান এর সর্বোত্তম শিক্ষা নিশ্চিত করতে পরিকল্পনার প্রয়োজন তা এই শিক্ষা বিমার মাধ্যমেই করা যায়। শিক্ষা বিমার সন্তান এর ভবিষ্যৎ কে আর্থিক শয়তান নিশ্চিত করে।
শিশু শিক্ষা বীমা যেভাবে করা যায় তা নিচে লেখা হলঃ
  • জুনিয়র শিক্ষা বীমা করে যেসব প্রতিষ্ঠান, সেসব প্রতিষ্ঠানে খোঁজ নিতে হবে।
  • নিজের প্রয়োজনীয় কাগজ ন্যাশনাল আইডি কার্ডের ফটোকপি, দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি লাগবে।
  • বীমার প্রতিষ্ঠান থেকে ফর্ম সংগ্রহ করতে হবে এবং সকল তথ্য সম্পর্কে জানতে হবে।
  • যার জন্য বীমা করবেন তার বয়স ন্যূনতম ১৫ বছরের বেশি যেন না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে এবং নূন্যতম বয়সসীমা ১ মাস।
  • শিশুর অভিভাবক যিনি থাকবেন তার বয়স সর্বোচ্চ ৫৫বছর এবং ন্যূনতম ২১ বছর।
  • শিশুর শিক্ষা বিমার সময়সীমা আপনি ১০ থেকে২৫ বছর এর মধ্যে নিতে পারেন যার যেরকম সুযোগ-সুবিধা শেষে এরকম সময় নির্ধারণ করতে পারে।
  • প্রতিমাসের ১ থেকে ১৫ তারিখের মধ্যে এ টাকা জমা দিতে হয়।
শিশু শিক্ষা বীমার মাধ্যমে একজন শিশু যেসব সুবিধা পাবে সেগুলো হলঃ 

শিশুর অভিভাবক যদি পুরোপুরি পঙ্গুত্ববরণ করে তাহলে তাকে আর কোন প্রিমিয়াম জমা দিতে হবে না। সে শিশু এক শতাংশ হারে মেয়াদ পূর্তি পর্যন্ত শিক্ষাবৃত্তি পাবে। বীমা করার আগে বীমা বিষয়ে সকল তথ্য ভালোভাবে জেনে নিতে হবে।

বেশকিছু শিশু শিক্ষা বীমা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের করা হয় মধ্যে একটি হল ডাচ বাংলা ব্যাংক। শিক্ষা বীমা কি ও শিশু শিক্ষা বীমা সম্পর্কে জানলেন এইবার জানবেন ডাক শিক্ষা বীমা সম্পর্কে।

ডাক শিক্ষা বীমা

ডাক শিক্ষা বীমা যারা করতে পারেন তারা হল ১৯ থেকে ৫৫ বছর বয়সী সকল শ্রেণীর ও পেশার মানুষ।শিক্ষাবিমা শিক্ষার্থীরা খুব কমই করে কারণ এখানে প্রাপ্তবয়স্ক মানুষটা বেশি এই বীমা কাজ করে। ডাক জীবন বীমা ডাক বিভাগে পরিচালনায় একটি সরকারি জীবন বীমা প্রতিষ্ঠান।

ডাক জীবন বীমা রয়েছে ছয় ধরনের আজীবন বীমা, মেয়াদ বীমা, শিক্ষা বীমা বিবাহ বীমা যৌথ বীমা ও প্রতিরক্ষা বীমা। ডাক শিক্ষা বীমা সম্পর্কে জানলেন এইবার জানবেন মেট লাইফ শিক্ষা বীমা ও সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স শিক্ষা বীমা সম্পর্কে।

মেট লাইফ শিক্ষা বীমা

সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স শিক্ষা বীমা জানার আগে মেট লাইফ শিক্ষা বীমা সম্পর্কে জেনে নিন। টাকার অভাবে অল্পবয়সী শিক্ষার্থীরা শিক্ষা জীবনে যাতে ঝরে না যায় পড়াশোনার যেন কোন ক্ষতি না হয় সেজন্য সরকার একটি বীমা চালু করেছে সেই শিক্ষাকেই শিক্ষা বীমা বলা হয়।

এই এই বিমার মাধ্যমে থাকছে একজন শিক্ষার্থীর জীবন নিশ্চয়তা এবং উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত করার সুযোগ। তাই শিক্ষা বীমা একদিন শিক্ষার্থীর জীবনে খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। মেট লাইফ শিক্ষা বিমান নাম হল মাই চাইল্ড এডুকেশনস প্রটেকশন্স প্ল্যান।

এই শিক্ষা বীমার মাধ্যমে থাকছে একজন শিক্ষার্থীর জীবনে অনিশ্চিতা থেকে রক্ষা করার পাশাপাশি তাদের উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত করার সুযোগ। মেট লাইফ শিক্ষাবিমার মাধ্যমে একজন সন্তানের জীবনের সেরা সূচনা করার সুযোগ করে দেয়।

শিক্ষা সংক্রান্ত যত খরচ আছে সবই মেটলাইফ শিক্ষা বিমার মাধ্যমে সুযোগ সুবিধা পাওয়া যায়। মেট লাইফ শিক্ষা বিমান নিয়ে এসেছে বাংলাদেশে আদর্শ জীবন বীমা পলিসি।

যেখানে সুযোগ সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে একজন সন্তানের জন্য উচ্চ শিক্ষায় নিশ্চিত করার সুযোগ জীবনের অনিশ্চয়তা থেকে রক্ষা করার সুযোগ। মেট লাইফ শিক্ষা বীমা সম্পর্কে জানলেন এইবার জেনে নিন সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স শিক্ষা বীমা এবং বঙ্গবন্ধু শিক্ষা বীমা সম্পর্কে।

সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স শিক্ষা বীমা

বঙ্গবন্ধু শিক্ষা বীমা সম্পর্কে জানার আগে সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স শিক্ষা বীমা সম্পর্কে জেনে নিন। সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ২০১৩ সালে।

সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স এর ভিত্তি গঠিত হয়েছিল ৩০ বছর আগে। সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স এর লক্ষ্য হলো আর্থিক সুবিধা এবং অবসর গ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় আয়ের সুযোগ সুবিধা, বিনিয়োগ এবং সুরক্ষা প্রদান।

সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স শিক্ষা বীমা একটি যৌথ বীমা। পিতা বা মাতার জীবনের সাথে সন্তানের জীবনের উপর একত্রে বীমাপত্র গ্রহণ করা যায়। একজনের মৃত্যুতে অন্যজন বিমার সুবিধা ভোগ করে থাকেন।

এই বীমার মেয়াদ সাধারণত পাঁচ বছর থেকে শুরু হয় এবং সর্বোচ্চ ১৫ বছর পর্যন্ত চালিয়ে যেতে পারবেন। এই বীমায় মহিলাদের ক্ষেত্রে বীমা গ্রহিতার বয়স হবে ১৮-৫২ বছর এবং বীমা গ্রহিতার বয়স ৬৭ বছর পর্যন্ত বীমাটি সচল থাকবে।

পুরুষের ক্ষেত্রে বয়স হবে ২০ থেকে ৯৫ বছর পর্যন্ত এবং দুই মাস হতে থাকবে ৭০ বছর পর্যন্ত। এই বীমায় আপনি প্রিমিয়াম ত্রৈমাসিক, মাসিক, ষাণ্মাসিক এবং বার্ষিক পদ্ধতিতে দিতে পারবেন। নূন্যতম মাসিক প্রিমিয়াম ১০০০ টাকা।

ত্রৈমাসিক প্রিমিয়াম ২,৫৫০ টাকা ষান্মাসিক প্রিমিয়াম ৪,৮০০ টাকা। বার্ষিক প্রিমিয়াম ৯০০০ টাকা। যদি কোন কারনে পলিসিতে উল্লেখিত সন্তানের জন্য অর্থের প্রয়োজন না হয় সেক্ষেত্রে অন্য কোন সন্তানের কাছে পলিসি প্রতিপাপ্য হস্তান্তর করা যাবে।

অথবা বৃত্তির টাকা কোম্পানির নির্ধারিত নগদ মূল্যের বিনিময়ে সমর্পণ করা যাবে। বৃত্তির মেয়াদ ১০ বছর, বীমার মেয়াদ শেষে ১০ বছর পর্যন্ত ত্রৈমাসিক কিস্তিতে বৃত্তির টাকা প্রদেয়। 

মেয়াদ শেষে পরবর্তী ১০ বছর পর্যন্ত প্রতিশ্রুত বৃত্তি প্রদান করা হবে। অর্জিত বোনাসের টাকার বৃত্তি আকারে প্রদান করা হবে।সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স শিক্ষা বীমা সম্পর্কে জানলেন এইবার জেনে নিন বঙ্গবন্ধু শিক্ষা বীমা সম্পর্কে। 

বঙ্গবন্ধু শিক্ষা বীমা

বঙ্গবন্ধু শিক্ষা বীমা হল শিক্ষার্থীদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হতে ঝরে পড়া রোধে গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ সরকার সরকারের বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু শিক্ষা বীমা পরিকল্পনা।

এই শিক্ষা বীমার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের ঝুঁকিমুক্ত শিক্ষা জীবনে ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে বঙ্গবন্ধু শিক্ষা বীমা পরিকল্পনাটি বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অগ্রাধিকার বৃত্তি প্রচলন করা প্রয়োজন।

এ শিক্ষা বীমার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবনে আর্থিক ঝুকিমুক্ত রাখা যাবে। এবি মার বয়স সীমা ১ থেকে ১৫ বছর। এই মাস শুধু শিক্ষার্থীরাই করতে পারবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এ বীমা কার্যক্রম হয়েছে।

শিক্ষার্থীদের বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হওয়া পর্যন্ত এই বীমা চলতে থাকে। বঙ্গবন্ধু শিক্ষা বীমা সম্পর্কে জানলেন এইবার জেনে নেওয়া যাক সোনালী ব্যাংক শিক্ষা বীমা সম্পর্কে।

সোনালী ব্যাংক শিক্ষা বীমা

বাংলাদেশে অন্যতম বৃহৎ সরকারি ব্যাংক সোনালী ব্যাংক। প্রতিবছর এবং ব্যাংক থেকে শিক্ষাবৃত্তি দেওয়া হয় শিক্ষার্থীদের কে।

প্রতিবছরের মতো এবারও শিক্ষাবৃত্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কর্পোরেট সামাজিক দায়িত্ব কার্যক্রমে অংশ হিসেবে দেশের বৃহৎ জনগোষ্ঠীর মধ্যে বিরাজমান অসাম্য, বঞ্চনা, দারিদ্র দূরীকরণ, সুবিধা বঞ্চিত জনসাধারণের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে শিক্ষার গুরুত্ব বিবেচনা করে দারিদ্র মেধাবি শিক্ষার্থী, অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধা মেধাবী পুত্রকন্যা এবং প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের শিক্ষাবৃত্তি দেওয়া হয়।

সোনালী ব্যাংক শিক্ষা বীমা সম্পর্কে জানলেন এইবার জেনে নেওয়া যাক জীবন বীমা কর্পোরেশন শিক্ষা বীমা সম্পর্কে।

জীবন বীমা কর্পোরেশন শিক্ষা বীমা

এই বীমা পরিকল্পনার মাধ্যমে অভিভাবকগণ তাদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই বিমার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের আর্থিক সচ্ছলতা বজায় থাকে এবং উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করে তোলে।

বিবাহ কালীন আর্থিক দুশ্চিন্তা তাদের মুক্ত রাখে। এই পরিকল্পনার বীমা কারীর অর্থ কেবল বীমার মেয়াদ অতিক্রান্ত হওয়ার পরেই পাওয়া যায়।

বীমা গ্রাহকের মেয়াদকালীন অকাল মৃত্যু হলে বীমা কারিকে কোন প্রিমিয়াম দিতে হয় না। তাই বলা যায় জীবন বীমা জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। জীবন বীমা কর্পোরেশন শিক্ষা বীমা সম্পর্কে জানলেন এইবার জেনে নিন শিক্ষা বীমার সুবিধাগুলো কি কি।

শিক্ষা বীমার সুবিধা

একজন সন্তানের শিক্ষা নিশ্চিত করতে শিক্ষা বীমা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এজন্য একজন অভিভাবকের তার সন্তানের জন্য শিক্ষা বীমা করে রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজ বলে আমি মনে করি। কারন প্রকৃত শিক্ষিত সন্তানের বড় সম্পদ। 

শিক্ষার কোন বিকল্প নেই। আগামী প্রজন্ম যেন ভবিষ্যতে প্রতিযোগিতামূলক পৃথিবীতে নিজেদের স্থান সুধীর করে নিতে পারে এজন্য একজন সন্তানের উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। 

কিন্তু শিক্ষা খাতে বিভিন্ন খরচ যেমন কলেজ কি স্কুল ফি ইত্যাদি নানারকমের খরচ প্রয়োজন হয় এটা অর্থের প্রয়োজন হয় অনেক সময় এই অর্থের কারণে অনেক শিক্ষার্থী ঝরে পড়ে। এগুলোর জন্য অনেক পরিবার সন্তানের খরচ নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভুগছে। 

তাই আমাদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ চিন্তা করেই প্রভৃতি লাইফ এই শিক্ষা বীমা কার্যক্রম চালু করেছে। এই বিমার মাধ্যমেই নিয়মিত সঞ্চয় করে একজন সন্তানদের ভবিষ্যৎ সুনিশ্চিত করা যায় এতে পরিবার দুশ্চিন্তা মুক্ত হতে পারে। 
কোন কারনে কোন শিক্ষার্থীর অভিভাবক মারা গেলে কেন ওই শিক্ষার্থীর শিক্ষা গ্রহণের ব্যর্থ না হয় সেজন্যই একজন আদর্শ অভিভাবক হিসেবে শিক্ষা বীমা করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজ। আপনার জীবনকে সহজ করে সব রকমের অর্থনৈতিক সুরক্ষায় সময় সব সময় পাশে থাকবে শিক্ষা বীমা কার্যক্রম।
  • এ পরিকল্পনার মাধ্যমে বার্ষিক বৃত্তির ব্যবস্থা থাকা শিক্ষার্থীরা পড়াশোনায় উদ্দীপ্ত হবে।
  • ভালো রেজাল্ট করার চেষ্টা করবে। 
  • এই বিমাই গ্রাহক ইচ্ছাকৃতভাবে বৃত্তির পরিমাণ বাড়াতে পারে এবং কমাতে পারে।
  • প্রিমিয়ামের হার সেই অনুযায়ী পরিবর্তন হবে।
শিক্ষা বীমা বাধ্যতামূলক করা হবে। প্রতিটি জেলা হলে প্রাথমিক শিক্ষা গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাধ্যমিক উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগ হতে, কারিগরি মাদ্রাসা শিক্ষাবিভাগ নেতাজি সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালু করার হবে। শিক্ষা বীমার সুবিধা সম্পর্কে জানলেন এইবার জানবেন শিক্ষা বীমা কি জায়েজ। 

শিক্ষা বীমা কি জায়েজ

শিক্ষা বীমার সুবিধাসমূহ জেনেছেন এইবার জেনে নিন শিক্ষা বীমা কি জায়েজ। বাংলাদেশের বীমা একটি হারাম কাজ। বীমা সংস্থাগুলি নির্দিষ্ট অংকের মুনাফা দেয় বলে যা তা একটি সুদের রূপ এবং সেটি হারাম।

ইসলামের দৃষ্টিতে শুটকি হারাম বলে দাবি করা হয়েছে এজন্য মুনাফা বলে এই যে অংকটি পাওয়া যায় সেটিকে সুখ বলে ধরা হয়েছে।। এছাড়া ও বীমা সংস্থান গুলি বিভিন্ন ব্যাংকে টাকা রেখে শুধু উপার্জন করে সেটাই গ্রাহকদের দেয় যা কিনা সম্পূর্ণ হারাম।
তাই বলা যায় ইসলামিক দৃষ্টিতে শিক্ষাবিমার যে মুনাফা পাওয়া যায় এটা সুদ বলে ধরা হয়েছে আর ইসলামের দৃষ্টিতে সুদ হল হারাম। তাই ইসলামের দৃষ্টি থেকে বলা যায় যে শিক্ষা বীমা জায়েজ নয়। আশা করি বুঝতে পারলেন শিক্ষা বীমা কি জায়েজ কিনা।
পরিশেষেঃ
সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স শিক্ষা বীমা এবং শিক্ষাবীমা সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য আপনাদের জানানোর চেষ্টা করেছি। এইরকম তথ্য পেতে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

জানবো আমরা ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url