বিদেশ থেকে ব্যাংকে টাকা পাঠানোর নিয়ম 2024 বা বিদেশ থেকে বিভিন্ন ব্যাংক একাউন্টে টাকা পাঠানোর নিয়ম
বিদেশ থেকে ব্যাংকে টাকা পাঠানোর নিয়ম 2024 বা বিদেশ থেকে বিভিন্ন ব্যাংক একাউন্টে টাকা পাঠানোর নিয়ম নিয়েই আজকের আর্টিকেল। বিদেশ থেকে বিভিন্ন ব্যাংক একাউন্টে টাকা পাঠানোর নিয়ম অর্থাৎ বিদেশ থেকে ব্যাংকে টাকা পাঠানোর নিয়ম জানার জন্য আপনাকে সম্পূর্ণ আর্টিকেল পড়তে হবে।
বিদেশ থেকে ব্যাংকে টাকা পাঠানোর নিয়ম 2024 বা বিদেশ থেকে বিভিন্ন ব্যাংক একাউন্টে টাকা পাঠানোর নিয়ম। |
বিদেশ থেকে ব্যাংকে টাকা পাঠানোর নিয়ম বা বিদেশ থেকে বিভিন্ন ব্যাংক একাউন্টে টাকা পাঠানোর নিয়ম শুধু জানবেন তা কিন্তু না। পাশাপাশি বিদেশ থেকে ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম, বিদেশ থেকে অগ্রণী ব্যাংকে টাকা পাঠানোর নিয়ম, বিদেশ থেকে জনতা ব্যাংকে টাকা পাঠানোর নিয়মগুলোও জানবেন।
সূচিপত্রঃ বিদেশ থেকে ব্যাংকে টাকা পাঠানোর নিয়ম 2024 বা বিদেশ থেকে বিভিন্ন ব্যাংক একাউন্টে টাকা পাঠানোর নিয়ম।
ভূমিকাঃ
আপনারা অনেকেই ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে টাকা পাঠানোর নিয়মকানুন জানেন না। এই আর্টিকেলে বিষয়গুলো ভালোভাবে জানবেন এবং বিদেশ থেকে ডাচ বাংলা ব্যাংকে টাকা পাঠানোর নিয়ম, বিদেশ থেকে ইসলামী ব্যাংকে টাকা পাঠানোর নিয়ম ও বিদেশ থেকে ব্যাংকে টাকা পাঠালে বোনাস এগুলোও জানবেন।
এছাড়াও বিদেশ থেকে ব্যাংকে টাকা আসতে কত সময় লাগে ও বিদেশ থেকে টাকা পাঠানোর জন্য কোন ব্যাংক ভালো এবং বিদেশ থেকে সোনালী ব্যাংকে টাকা পাঠানোর নিয়মও জানবেন। তাহলে চলুন বিদেশ থেকে ব্যাংকে টাকা পাঠানোর নিয়ম 2024 বা বিদেশ থেকে বিভিন্ন ব্যাংক একাউন্টে টাকা পাঠানোর নিয়মসমূহ জেনে নেওয়া যাক।
বিদেশ থেকে ব্যাংকে টাকা পাঠানোর নিয়ম
বিদেশ থেকে তিনটি মাধ্যমে টাকা পাঠানো যায় এই তিনটি মাধ্যমে নাম হল ব্যাংক একাউন্ট এর মাধ্যমে, বিভিন্ন মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে, অনুমোদিত মানি এক্সচেঞ্জ হাউজের মাধ্যমে।
আপনি যদি বিদেশ থেকে বেশি টাকা পাঠাতে চান সেক্ষেত্রে আপনি দেশের যে ব্যাংকে আপনি টাকা পাঠাবেন বিদেশে অবস্থানরত সেই ব্যাংকের যেকোনো মানি এক্সচেঞ্জ অফিসে চলে যাবেন। তারপর আপনি সেখানে টাকা জমা দিবেন এবং তাদের দ্বারা একটি ফরম পূরণ করলেই হবে।
ফর্মটিতে আপনার ব্যক্তিগত কিছু ইনফরমেশন সেখানে দিতে হবে যেমন আপনার পাসপোর্ট বা ভিসা পারমিট তথ্য, আপনি যে ব্যাংকে টাকা পাঠাতে চান সেই ব্যাংকের ইনফরমেশন, ব্যাংক নাম্বার, ব্যাংকের ব্রাঞ্চ নাম্বার, লোকেশন ইত্যাদি দিতে হবে।
তারপর অনেক ব্যাংক একটি গোপন পিন নাম্বার দিয়ে থাকে আপনি যাকে টাকা পাঠাবেন তাকে সেই গোপন পিন নাম্বারটা দিবেন এবং শে সেই গোপন পিন নাম্বারটা বসিয়ে টাকা উঠায় নিবে।
এইভাবে খুব অল্প সময়ে আপনি বিদেশ থেকে ব্যাংকে টাকা পাঠাতে পারবেন। বিদেশ থেকে ব্যাংকে টাকা পাঠানোর নিয়ম জানলেন এখন জানুন বিদেশ থেকে ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম।
বিদেশ থেকে ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম
বিদেশ থেকে দেশে একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে আপনাকে যে পদক্ষেপ গুলো নিতে হবে সেগুলো হলঃ
প্রথমে একটি ব্যাংক বেছে নিতে হবে
বাংলাদেশে অনেক ব্যাংক রয়েছে যেখানে আপনি বিদেশ থেকে টাকা পাঠাতে পারবেন। আপনি বিদেশ থেকে একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন খুব সহজেই ঘরে বসেই। সে ক্ষেত্রে আপনাকে একটি এমন ব্যাংক বেছে নিতে হবে।
প্রয়োজনীয় নথি সংগ্রহ করুন
পাসপোর্ট এর ফটোকপি, দুই কপি ছবি, মোবাইল নাম্বার, আপনার একজন নমনী সিলেক্ট করতে হবে, নমনীর আইডি কার্ডের ফটোকপি, নমনির দুই কপি ছবি, নমনির মোবাইল নাম্বার। এখানে ডকুমেন্ট হিসেবে পাসপোর্ট, ভিসা, ঠিকানার প্রমাণ এবং আয়ের প্রমাণ ছাড়া ও আরো অনেক কিছু ও চাইতে পারে সে ক্ষেত্রে আপনাকে সকল তথ্যই ঠিক ভাবে দিতে হবে।
আবেদনটি পূরণ করুন
ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার আবেদনটি সম্পূর্ণ পূরণ করতে হবে এবং আপনার ব্যক্তিগত বিবরণ, যোগাযোগের তথ্য এবং আয়ের উৎস সহ সমস্ত তথ্য প্রদান করতে হবে। এই আবেদনটি ফরমটি আপনি অনলাইনে সংগ্রহ করতে পারবেন ব্যাংকের ওয়েবসাইটের মাধ্যম থেকে।
অতিরিক্ত তথ্য প্রদান
অনেক ব্যাংক আছে যারা অতিরিক্ত আরো তথ্য নিয়ে থাকে সে ক্ষেত্রে যে অতিরিক্ত তথ্যগুলো নেওয়া হয় রেফারেন্স বা ব্যবসায়িক নথি।
নথি নোটারাইজ
কিছু নথি নোটারাইজ করা বা পাবলিক নোটারি বা দূতাবাস দ্বারা প্রত্যয়িত করা প্রয়োজন হতে পারে। সেগুলো দূতাবাসে যোগাযোগ করে নোটারাইজ করে নিতে হবে।
আবেদন জমা
ব্যাংকের নির্দেশিকা অনুযায়ী ব্যক্তিগতভাবে বা অনলাইনে, বা ই মেইলে, ব্যাংকে আপনার সম্পূর্ণ আবেদন এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে হবে। দূতাবাসের মাধ্যমেও কিছু ব্যাংকের আবেদন জমা করা যেতে পারে।
একাউন্ট সক্রিয়
ব্যাংক আপনার আবেদন পর্যালোচনা করবে এবং আপনার অ্যাকাউন্ট অনুমোদিত এবং সক্রিয় হয়েছে কিনা তা জানাতে আপনার সাথে মোবাইল বা মেসেজের মাধ্যমে যোগাযোগ করে থাকবে।
এভাবেই আপনি ব্যাংক একাউন্ট খুলতে পারবেন। বিদেশ থেকে ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়মসমূহ জেনে নিলেন এখন বিদেশ থেকে ব্যাংকে টাকা পাঠালে বোনাস কত তা জেনে নেওয়া যাক।
বিদেশ থেকে ব্যাংকে টাকা পাঠালে বোনাস
বিদেশ থেকে রেমিটেন্স আনতে সরকারের দেওয়া বিদ্যমান আড়াই শতাংশের সঙ্গে নিজস্ব তহবিল থেকে আরো আড়াই শতাংশ হারে প্রনোদনা দিতে পারে বাণিজ্যিক ব্যাংক। ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিটেন্স পাঠালে প্রবাসীরা প্রতি ডলারে ১১৫ টাকা ৫০পয়সা পাবেন।
বর্তমান প্রবাসীদের আয়ের ব্যাংকের এক মার্কিন ডলারের দাম ১১০ টাকা ৫০ পয়সা। এর উপর সরকার আরো আড়াই শতাংশ প্রনোদন দেয়। ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিটেন্স পাঠালে প্রতি ১০০ টাকায় দুই টাকা করে নগদ প্রণোদন পাচ্ছেন প্রবাসীর সজনরা।
বিদেশ থেকে দেশে বিভিন্ন অ্যাপসের মাধ্যমে যদি আপনি টাকা পাঠিয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে আপনি বোনাস পেয়ে থাকবেন।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে দেশে টাকা পাঠাতে পারবেন খুব সহজেই ঘরে বসে মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে বিকাশ অ্যাপস ব্যবহার করে এর মাধ্যমে টাকা পাঠানো খুবই সহজ এবং টাকা পাঠালেই বোনাস পাওয়া যায়।
এর মাধ্যমে নিজের সুবিধা মতই প্রিয়জনদের কাছে টাকাটা পাঠাতে পারবেন এবং প্রিয়জনরা তাদের সুবিধা মতই টাকাটা উঠায় নিতে পারবে।
এভাবে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন রেমিটেন্স দিয়ে থাকে আপনি যে ব্যাংকে টাকা পাঠাবেন সেই রেমিটেন্সার আগে জেনে নিবেন সে ক্ষেত্রে আপনার জন্য সুবিধা হবে।
এভাবে বিদেশ থেকে ব্যাংকে টাকা পাঠালে আপনি বোনাস পেয়ে থাকবেন। বিদেশ থেকে ব্যাংকে টাকা পাঠালে বোনাস কত পড়লেন এইবার পড়ুন বিদেশ থেকে ব্যাংকে টাকা আসতে কত সময় লাগে।
বিদেশ থেকে ব্যাংকে টাকা আসতে কত সময় লাগে
বিদেশ থেকে ব্যাংক একাউন্টে টাকা আসতে সময় লাগে সাত দিনের মধ্যেই। সে ক্ষেত্রে আপনাকে ৭ দিন ওয়েট করতে হবে।
তার পরেও সাতদিন অপেক্ষা করার পর যদি না আসে সেক্ষেত্রে আপনি ব্যাংকের ব্রাঞ্চের সাথে বাজে পাঠিয়েছে টাকা তার সাথে ভালো করে কথা বলে নীন কারন অনেক সময় বাউন্স ও হতে পারে যদি কিছু ভুল হয়ে থাকে।
বিদেশ থেকে কেউ টাকা পাঠালে সেটা ডলার হিসেবে একাউন্টের মাধ্যমে দেশে আসে। বিদেশ থেকে ব্যাংকে টাকা আসতে কত সময় লাগে বুঝতে পারলেন নিশ্চয় এইবার বিদেশ থেকে টাকা পাঠানোর জন্য কোন ব্যাংক ভালো জেনে নেওয়া যাক।
বিদেশ থেকে টাকা পাঠানোর জন্য কোন ব্যাংক ভালো
বিদেশ থেকে টাকা পাঠানোর জন্য কোন ব্যাংক ভালো তা আমার বলা ঠিক হবেনা। আপনি বিভিন্ন ব্যাংকের সেবা সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করবেন। এরপর দেখবেন আপনি কোন ব্যাংক থেকে বেশি সুবিধা পাচ্ছেন।
যে ব্যাংক থেকে বেশি সুবিধা পাবেন সেই ব্যাংকটাই বিদেশ থেকে টাকা পাঠানোর জন্য ভালো হবে। বিদেশ থেকে টাকা পাঠানোর জন্য কোন ব্যাংক ভালো জানলেন বিদেশ থেকে ইসলামী ব্যাংকে টাকা পাঠানোর নিয়মটি জেনে নিন এখন।
বিদেশ থেকে ইসলামী ব্যাংকে টাকা পাঠানোর নিয়ম
আপনি অতি সহজেই বিদেশ থেকে আপনার আত্মীয়-স্বজনের কাছে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা পাঠাতে পারবেন। বর্তমানে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশের মধ্যে খুবই জনপ্রিয় একটি ব্যাংক হিসেবে পরিচিত লাভ করেছে।
তবে বিদেশ থেকে টাকা পাঠাতে হলে ইসলামী ব্যাংকে আপনার একটা একাউন্ট থাকতে হবে। আর টাকা পাঠানোর জন্য ইসলামী ব্যাংকে আপনার একটা একাউন্ট থাকতে হবে।
বিদেশ থেকে ইসলামী ব্যাংকে টাকা পাঠাতে হলে আপনাকে প্রথমে বিদেশে অবস্থানরত মানি এক্সচেঞ্জ গ্লোবাল পার্টনার অফিসগুলো খুঁজতে হবে।
সেখান থেকে আপনি আপনার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে গেলে তারা আপনার কাগজপত্র দেখে আপনাকে একটা ব্যাংক একাউন্ট খুলে দিবে। তারপর আপনি সেখান থেকে টাকা পাঠাতে পারবেন রেমিটেন্সের লাভ সহ। আবার ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে পাঠানো যায় যেমনঃ
মোবাইল ব্যাংকিং
ইসলামী ব্যাংক এখন মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাপ এর মাধ্যমে আন্তর্জাতিক টাকা হস্ত মন্তরের সুযোগ করেছে।
SWIFT
এই পদ্ধতিটি হল আন্তর্জাতিক পদ্ধতির একটি টাকা হস্তান্তরের সাধারণ পদ্ধতি।
ওয়্যার ট্রান্সফার
এই পদ্ধতিতে একটু টাকা বেশি লাগতে পারে কিন্তু SWIFT এর একটি দ্রুততম মাধ্যম এবং বিকল্প মাধ্যম হলো এটি।
এভাবে আপনি বিদেশ থেকে ইসলামী ব্যাংকে টাকা পাঠাতে পারবেন। বিদেশ থেকে ইসলামী ব্যাংকে টাকা পাঠানোর নিয়ম বুঝতে পারলেন নিশ্চয় এখন জানা যাক ইসলামী ব্যাংকে একাউন্ট খোলার নিয়ম।
ইসলামী ব্যাংকে একাউন্ট খোলার নিয়ম
ইসলামী ব্যাংকে সাধারণত অনেক ধরনের একাউন্ট খোলা যায়। তার মধ্যে সেভিং একাউন্ট অন্যতম। যদি আপনি সেভিং একাউন্ট খুলতে চান তাহলে সঞ্চয় একাউন্ট অথবা মেয়াদী সঞ্চয় একাউন্ট খুলতে হবে সে ক্ষেত্রে আপনাকে কিছু ডকুমেন্ট সাবমিট করতে হবে। যেমনঃ
- আপনার একটি বৈধ জাতীয় পরিচয় পত্র অথবা পাসপোর্ট অথবা ড্রাইভিং লাইসেন্স যেকোনো একটি প্রয়োজন হবে।
- যিনি একাউন্ট খুলবেন তার শুদ্ধ তোলা পাসপোর্ট সাইজের সত্যায়িত করা ছবি
- যাকে একাউন্টের নমনী করবেন তার জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি, তার শুদ্ধ তোলা পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
- ইসলামী ব্যাংক কর্তৃপক্ষ কর্তৃক আপনার ছবির সত্যায়িত করতে হবে।
- যে একাউন্ট খুলবে তার ফ্রম স্বাক্ষর দিতে হবে যে স্বাক্ষর তিনি সব সময় ব্যবহার করেন।
- সর্বনিম্ন একাউন্টে ১০০০ টাকা ডিপোজিট করে রাখতে হবে।
এভাবে আপনি ইসলামী ব্যাংকে একটি অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন। অ্যাকাউন্ট খুলতে ব্যাংক কিছুদিন সময় নিতে পারে আপনার সকল তথ্য যাচাই-বাছাই করতে। তারপর আপনাকে ফোনে অথবা এসএমএস এর মাধ্যমে জানায় দিবে আপনার একাউন্ট খোলা হয়ে গেছে। এভাবে আপনি অ্যাকাউন্ট খুলে বিদেশ থেকে ইসলামী ব্যাংকে টাকা পাঠাতে পারবেন।
বিদেশ থেকে সোনালী ব্যাংকে টাকা পাঠানোর নিয়ম
বিদেশ থেকে সোনালী ব্যাংকে টাকা পাঠাতে কিছু নিয়ম অবলম্বন করতে হয়। নিয়মগুলো হলোঃ
- প্রথমে সোনালী ব্যাংকে একটি একাউন্ট খুলতে হবে।
- নিকটস্থ একটি ম্যানি ট্রান্সফার প্রতিষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে হবে।
- লেনদেনের পূর্বে তাদের চার্জ ও সেবা সম্পর্কে ভালোভাবে সকল তথ্য জেনে নিতে হবে।
- মানি ট্রান্সফার হাউসের উপস্থিত হয়ে প্রয়োজনীয় সকল তথ্য সঠিকভাবে প্রদান করতে হবে এবং একটি ফরম পূরণ করতে হবে। কিংবা তাদের অনলাইনের মাধ্যমে সেবা গ্রহণ করার সুযোগ থাকলে অনলাইনের মাধ্যমেই সম্পূর্ণ করা যাবে।
- ফর্মে আপনি যার কাছে টাকা পাঠাবেন তার নাম ঠিকানা অ্যাকাউন্ট নাম্বার এবং আপনার নাম আপনার প্রয়োজনীয় সকল তথ্য ভালোভাবে সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে।
- যার কাছে টাকা পাঠাবেন তার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট সিলেক্টের সময় সোনালী ব্যাংক সিলেক্ট করে একটা অ্যাকাউন্ট নম্বর আসবে সেই অ্যাকাউন্ট নম্বর এবং সুইফট কোড দিতে হবে।
- টাকার পরিমান উল্লেখ করে দিতে হবে।
- টাকা পাঠানো সম্পূর্ণ হলে মানি ট্রান্সফার হাউস থেকে লেনদেন রশিদটি সংগ্রহ করতে হবে। সেখানে আপনার রেমিটেন্স পিন দেওয়া থাকবে।
এভাবে আপনি বিদেশ থেকে সোনালী ব্যাংকে টাকা পাঠাতে পারবেন। বিদেশ থেকে সোনালী ব্যাংকে টাকা পাঠানোর নিয়ম টা শিখলেন এইবার বিদেশ থেকে অগ্রণী ব্যাংকে টাকা পাঠানোর নিয়ম শিখে নিন।
বিদেশ থেকে অগ্রণী ব্যাংকে টাকা পাঠানোর নিয়ম
বিদেশ থেকে অগ্রণী ব্যাংকে টাকা পাঠানোর জন্য প্রথমে আপনাকে অর্থ হস্তান্তরের মাধ্যমে তথা ওয়েস্ট ইউনিয়ন, মানি ট্রান্সফার, মানিগ্রাম, ব্যাংক ট্রান্সফারের মত সবগুলো নিশ্চিত করতে হবে। তারপর প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস ও সেখানকার চার্জ প্রদান করে টাকা ট্রান্সফার করতে পারবেন। আরো কিছু জানা যাক চলুন।
- প্রথমে প্রাপকের একটি অগ্রণী ব্যাংকে একাউন্ট থাকতে হবে।
- আপনি যে দেশে অবস্থান রয়েছেন সে দেশ থেকে অর্থ হস্তান্তরের মাধ্যম নির্বাচন করতে হবে তারপর মানি ট্রান্সফার,ওয়েস্ট ইউনিয়ন, ব্যাংক ট্রান্সফার ইত্যাদি করতে হবে। যেটি আপনার জন্য বিশ্বস্ত ও সাশ্রয়ী হয়।
- অবশ্যই লেনদেনের পূর্বে তাদের চার্জ ও সেবা সম্পর্কে তথ্য জেনে নিতে হবে।
- মানি ট্রান্সফার হাউসে উপস্থিত হয়ে প্রয়োজনীয় সকল তথ্য সঠিকভাবে প্রদান করতে হবে অথবা তাদের অনলাইনের মাধ্যমে সেবা গ্রহণ করার সুযোগ থাকলে অনলাইনের মাধ্যমে এই প্রসেসটি সম্পন্ন করতে পারবেন।
- প্রাপকের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট সিলেক্ট এর সময় অগ্রণী ব্যাংক সিলেক্ট করে অ্যাকাউন্ট নাম্বার ও সুইচ কোড দিতে হবে। যখন সুইচ কোড বসাবেন তখন সুইসকোড এর জায়গায় অগ্রণী ব্যাংকের নির্দিষ্ট শাখার সুইস কোড বসিয়ে দিবেন।
- টাকা পাঠানো সম্পূর্ণ হলে মানি ট্রান্সফার হাউস থেকে লেনদেন রসিদটি সংগ্রহ করবেন।
এভাবে বিদেশ থেকে অগ্রণী ব্যাংকে টাকা পাঠানো যায়। বিদেশ থেকে অগ্রণী ব্যাংকে টাকা পাঠানোর নিয়ম টা জানলেন এখন জেনে নিন বিদেশ থেকে জনতা ব্যাংকে টাকা পাঠানোর নিয়ম।
বিদেশ থেকে জনতা ব্যাংকে টাকা পাঠানোর নিয়ম
বিদেশ থেকে জনতা ব্যাংকে টাকা পাঠানোর জন্য তুমি জনতা ব্যাংকে একটি অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে। তারপর সে একাউন্ট থেকে আপনি বেশি টাকা পাঠাতে পারবেন সে ক্ষেত্রে আপনাকে কিছু নিয়ম মেনে টাকা পাঠাতে হবে।আবার অনলাইনের মাধ্যমেও আপনি টাকা পাঠাতে পারবেন।
অনলাইন জনতা ব্যাংক একাউন্ট চালু করার ক্ষেত্রে প্রথমে আপনাকে জনতা ব্যাংকের ওয়েবসাইটে যে চালু করতে হবে। তারপর ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে আপনার যে সকল ডকুমেন্টস চাইবে সব পূরণ করতে হবে সঠিকভাবে।
তারপর জনতা ব্যাংকে নিজস্ব ওয়েবসাইট থেকে একাউন্ট চালু করতে হবে। তারপর ফর্মে যতগুলা তথ্য চাইবে সব নির্ভুল ভাবে পূরণ করতে হবে।
তারপর অ্যাকাউন্ট চালু করার বিষয়ে আপনাকে একটি মেসেজের মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে এভাবে আপনি অ্যাকাউন্ট খুলে বিদেশ থেকে খুব সহজে টাকা পাঠাতে পারবেন। বিদেশ থেকে জনতা ব্যাংকে টাকা পাঠানোর নিয়মগুলো জেনে নেয়েছেন বিদেশ থেকে ডাচ বাংলা ব্যাংকে টাকা পাঠানোর নিয়ম জেনে নেওয়া যাক তাহলে এখন।
বিদেশ থেকে ডাচ বাংলা ব্যাংকে টাকা পাঠানোর নিয়ম
আপনার যদি একটি ডাচ বাংলা ব্যাংকে একাউন্ট থেকে থাকে তাহলে আপনি খুব সহজেই বিদেশ থেকে টাকা পাঠাইতে পারবেন মুহূর্তের মধ্যে।
- প্রথমে আপনি আপনার ডাচ বাংলা ব্যাংকের অধীনস্থ একাউন্ট নাম্বার, যার কাছে টাকা পাঠাবেন সেই একাউন্ট হোল্ডারের নাম এবং সেই সাথে ডাচ বাংলা ব্যাংকের যে শাখায় পাঠাবেন তা জমা দিতে হবে ডাচ বাংলা ব্যাংকের যেকোনো এক্সচেঞ্জ হাউজের অফিসে।
- এক্সচেঞ্জ হাউজের আপনার প্রেরিত টাকা আপনার বায়োমেট্রিক্স একাউন্ট যুক্ত হবে।
- যার একাউন্টে টাকা পাঠাবেন সেই ব্যক্তির একাউন্টের টাকা যুক্ত হলে এসএমএস মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে।
- সেই ব্যক্তি এসএমএস হাতে পাওয়ার পর পরই ডান্স বাংলা ব্যাংকের যেকোনো শাখা, এটিএম বুথের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করতে পারবেন।
এভাবে বিদেশ থেকে ডান্স বাংলা ব্যাংকে সহজেই টাকা পাঠাতে পারবেন। বিদেশ থেকে ডাচ বাংলা ব্যাংকে টাকা পাঠানোর নিয়ম অর্থাৎ বিদেশ থেকে ব্যাংকে টাকা পাঠানোর নিয়মগুলো জেনে নিলেন।
পরিশেষেঃ বিদেশ থেকে ব্যাংকে টাকা পাঠানোর নিয়ম 2024 বা বিদেশ থেকে বিভিন্ন ব্যাংক একাউন্টে টাকা পাঠানোর নিয়ম
আশাকরি বিদেশ থেকে ব্যাংকে টাকা পাঠানোর পদ্ধতিগুলো ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন। এইরকম তথ্য পেতে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন।
জানবো আমরা ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url