বিদেশ থেকে তালাক দেওয়ার নিয়ম ২০২৪ ও ভয় দেখানোর জন্য তালাক বললে কি তালাক হবে

বিদেশ থেকে তালাক দেওয়ার নিয়ম ও ভয় দেখানোর জন্য তালাক বললে কি তালাক হবে এই বিষয়গুলো নিয়েই আজকের আর্টিকেল। ভয় দেখানোর জন্য তালাক বললে কি তালাক হবে ও বিদেশ থেকে তালাক দেওয়ার নিয়ম জানার জন্য সম্পূর্ন আর্টিকেল আপনাকে পড়তে হবে। তাহলে চলুন বিদেশ থেকে তালাক দেওয়ার নিয়ম ২০২৪ জানা যাক। 
বিদেশ থেকে তালাক দেওয়ার নিয়ম ও ভয় দেখানোর জন্য তালাক বললে কি তালাক হবে। জানবো আমরা। janbo amra
বিদেশ থেকে তালাক দেওয়ার নিয়ম ও ভয় দেখানোর জন্য তালাক বললে কি তালাক হবে।
বিদেশ থেকে তালাক দেওয়ার নিয়ম ও ভয় দেখানোর জন্য তালাক বললে কি তালাক হবে এটাই শুধু জানবেন তা কিন্তু না। একসাথে তিন তালাক দিলে কি তালাক হবে ও ডিভোর্স দিতে কত টাকা খরচ হয় এবং ডিভোর্স হয়েছে কিনা কিভাবে বুঝবো এগুলোও জানবেন। 

সূচিপত্রঃ বিদেশ থেকে তালাক দেওয়ার নিয়ম ও ভয় দেখানোর জন্য তালাক বললে কি তালাক হবে।

ভূমিকাঃ
বিদেশে যাবার পর অনেক প্রবাসিদেরই পারিবারিক অশান্তি দেখা দেয়। অনেক সময় তালাক দেওয়ারো প্রয়োজন পড়ে। বিদেশ থেকে তালাক দেওয়ার ক্ষেত্রে কিছু নির্দেশনা মানতে হয়।

এই আর্টিকেল থেকে বিদেশ হতে তালাক প্রদানের পূর্বে যেসব বিষয় জানতে হবে ও ভারতে বিদেশে থাকার সময় কীভাবে তালাক দেওয়া যায় তা জানবেন। এছাড়াও স্বামী বিদেশে থাকা অবস্থায় স্ত্রীকে তালাক দিলে স্ত্রীর কি ইদ্দত পালন করতে হবে কিনা তাও জানতে পারবেন। তাহলে চলুন বিদেশ থেকে তালাক দেওয়ার নিয়ম ২০২৪ জানা যাক।

বিদেশ থেকে তালাক দেওয়ার নিয়ম

বিবাহিত জীবনের অন্যতম কারণ সমূহের মধ্যে নানা রকমের ঝামেলার কারণে এসব বিবাহ বিচ্ছেদ এখন অহরহ হয়ে থাকছে। এই বিবাহ বিচ্ছেদের অন্যতম কারণ সমূহের মধ্যে রয়েছে যৌতুক, পরকীয়া, নির্যাতন ও আকাশ সংস্কৃতি।

আবার অনেক সময় দেখা যায় স্বামী স্ত্রীর মধ্যে বোঝাপড়া, মিল মহব্বত ও আর্থিক সমস্যার কারণে অনেক সময় যো ঝামেলা লেগেই থাকে সেক্ষেত্রে পরিবারের ঝামেলা লেগে থাকার কারণে তারা দুজন দুজনে ঠিক করে বিচ্ছেদের।

বিদেশে অবস্থানরত অনেক পুরুষ তাদের স্ত্রীকে দীর্ঘদিন দেশে রেখে যাওয়াই স্ত্রী জৈবিক ঘোড়ার নিবারণের জন্য পুরুষ বন্ধু দেখে নিচ্ছে। তথ্য অনুযায়ী দেখা গিয়েছে যে শতকরা ৪৩ ভাগনারীই পরকীয়ার মধ্যে জড়িয়ে পড়েছে।

আর এটার অন্যতম কারণ হলো স্বামীর চাকরি ব্যবসা অন্য কাজে ঘরে বছরে ১০থেকে ১১ মাসি ঘরের বাইরে থাকা। ফলে বিদেশে থাকা অনেক পুরুষ দেশে থাকাই স্ত্রীকে তালাক দিতে চায়। বিদেশ থেকে এই তালাক দেওয়ার নিয়ম গুলি হলঃ

প্রথমে আপনাকে বিদেশ থেকেই আপনার দেশে একটা আইনজীবীর সাথে আপনাকে যোগাযোগ করতে হবে।

তারপরে আপনি আপনার আইনজীবীর মাধ্যমে আপনার তালাকের নোটিশটি ভালোভাবে প্রস্তুত করে নিতে হবে আপনাকে।

তারপর আইনজীবীর মাধ্যমে আপনাকে একটা আমমোক্তারনামা টি প্রস্তুত করে নিতে হবে।

তারপর আপনাকে আমমোক্তারনামা আপনার কাছে পৌঁছালে আপনাকে সেখানে স্বাক্ষর করতে হবে এবং আপনার যে তালাকের নোটিশ প্রস্তুত হয়েছে সেখানেও আপনাকে স্বাক্ষর করতে হবে।

কিন্তু আপনি যেহেতু বিদেশে আছেন সে ক্ষেত্রে আপনাকে এ কাজটি করতে হবে বিদেশি নোটারী পাবলিক, আদালতের বিচারক অথবা ম্যাজিস্ট্রেট বা বাংলাদেশ দূতাবাসের বাণিজ্যদুত বা ক্ষমতাপ্রাপ্ত প্রতিনিধির সম্মুখে।

তারপর আপনাকে তার দ্বারা আমমোক্তারনামা টি পাঠাতে হবে এবং সেটি নিজ দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে সত্যায়িত করতে হবে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসনের কার্যালয় হতে স্টাম যুক্ত হতে হবে।

এরপর আমমোক্তারদাতা ১৯৬১ সালের আইন অনুযায়ী মুসলিম পরিবারের আইনের ৭/১ ধারার বিধান অনুযায়ী বিদেশে স্থানরত স্বামীর পক্ষ থেকে স্ত্রীর কাছে স্ত্রী যে এলাকায় বসবাস করে সেখানে সেই এলাকার চেয়ারম্যান কাউন্সিলর সিটি মেয়র কে ওই তালাকের নোটিস রাষ্ট্রীয় ডাকযোগ্য যুগের মাধ্যমে সেখানে পৌঁছায় দিবেন।

তারপর আপনার স্ত্রী উক্ত নোটিশের নকল প্রদান করতে হবে। সে ক্ষেত্রে আপনাকে এখানে উল্লেখ করতে হবে যে কতদিনের মধ্যে আপনি সেখানে পাঠাবেন সময় নির্ধারণ করে দিতে হবে। আইনে বলা আছে তখনই প্রত্যাশীঘ্রই সম্ভব তাড়াতাড়ি করতে হবে।

তারপর আপনার তালাকের মেয়াদ শুরু হয়ে যাবে। তারপর ৯০ দিনের মধ্যে আপনার তালাক টি কার্যকর হবে। এভাবেই আপনি বিদেশ থেকে এই নিয়মের মাধ্যমে তালাক দিতে পারবেন। বিদেশ থেকে তালাক দেওয়ার নিয়ম জেনে নিলেন ভয় দেখানোর জন্য তালাক বললে কি তালাক হবে কিনা তা এখন জানুন।

ভয় দেখানোর জন্য তালাক বললে কি তালাক হবে

ইসলামের শরীয়তে অনুযায়ী স্ত্রীকে ভয় দেখানোর জন্য ১ তালাক দেওয়ার অনুমতি আছে। স্ত্রীকে শায়েস্তা করার জন্য অথবা ভয় দেখানোর জন্য আপনি যদি তালাকের কথা বলে থাকেন তাহলে অবশ্যই তালাক হয়ে যাবে।

কারণ ইসলাম কখনো তালাক শব্দটি পছন্দ করে না এজন্য কোনোভাবেই কোন কারণ নেই মুখ দিয়ে তালাক শব্দটি উচ্চারণ করা উচিত নয় ভুলক্রমে করে ফেললে তালাক হয়ে যায়। সেক্ষেত্রে আপনাদের সম্পর্কটি পরবর্তীতে জায়েজ থাকে না।

স্বামীর উদ্দেশ্য ভয় দেখানো হোক বা সত্যিকারের তালাক দেওয়ার ইচ্ছেতেই হোক। তখন ওই ব্যক্তির স্ত্রীর উপরে এক তালাকে রাজয়ি পতিত হয়ে গিয়েছে।

এজন্য বলা যায় যে ভয় দেখানোর জন্য মুখে কথা নয় তালাক শব্দটি কোন কারণে উচ্চারণ করা যাবে না। ভয় দেখানোর জন্য তালাক বললে কি তালাক হবে এই বিষয়টি জানলেন বিদেশ হতে তালাক প্রদানের পূর্বে যেসব বিষয় জানতে হবে তা বিস্তারিত জানুন এখন।

বিদেশ হতে তালাক প্রদানের পূর্বে যেসব বিষয় জানতে হবে

বিদেশ থেকে তালাক দেওয়ার পূর্বে আপনাকে আগে কিভাবে কি করলে কার মাধ্যমে করলে আপনি ঠিকভাবে এ কাজটি সম্পন্ন করতে পারবেন তা সবকিছু আগে জেনে রাখলে আপনার তালাক দিতে সহজ হবে সেজন্য আগে জেনে নেওয়া উচিত। তালাকের কার্যাবলী সম্পাদনের ভাবসাম্য গুলো আগে জানতে হবে সেগুলো হলঃ

আপনি নিজে অথবা আপনার আত্মীয়-স্বজন বা প্রতিনিধির মাধ্যমে আইনজীবীর সাথে যোগাযোগ করুন। আপনাদের সকল কাগজপত্র সম্পাদনের জন্য আইনজীবী সাথে পরামর্শ করুন তারপর কিভাবে তালাকের নোটিশটি প্রস্তুত করবেন একটা ভালো করে জানি এবং তা প্রস্তুত করুন।

তারপর আইনজীবীর মাধ্যমে আপনাকে আমমোক্তারনামা /ক্ষমতাপত্র প্রস্তুত করতে হবে।

তারপর আমমোক্তারনামা ক্ষমতা পত্রটি ও তালাকের নোটিশটি বিদেশে যিনি অবস্থান করছেন তার কাছে পৌঁছাবে বা তার কাছে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করতে হবে।

আমমোক্তারনামা ক্ষমতা পত্রটি যখন তালাকের নোটিশটি যখন বিদেশে পৌঁছাবে তখন যিনি তালাক দিবেন তার হাতে পৌঁছাবে তাকে সেখানে স্বাক্ষর করতে হবে।

বিদেশে নটারী পাবলিক, আদালতের বিচারক, ম্যাজিস্ট্রেট বা বাংলাদেশের বাণিজ্যিক দূতাবাসের বাণিজ্যদুত বা ক্ষমতা প্রাপ্ত প্রতিনিধি সম্মুখে আপনাকে সেখানে স্বাক্ষর করতে হবে। তারপর ক্ষমতাপত্রটি প্রত্যয়ন করে পাঠাতে হবে নিজ দেশে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে তা সত্যায়িত করাতে হবে।

তারপর জেলা প্রশাসনে সেখানে স্ট্যাম্প যুক্ত হতে হবে। তারপর আমমোক্তারনামা মুসলিম পরিবারের আইনের ধারা অনুযায়ী এলাকায় ডাক বিভাগের মাধ্যমে স্থির কাছে এই নোটিশটি পৌঁছায় দিবে । সাথে সাথে সেখানে পৌঁছায় দিবে।

সাথে সাথে আপনার তালাকের মেয়াদ শুরু হয়ে যাবে। ৯০ দিনের পর আপনার তালাশ টি কার্যকর হবে। এ সকল বিষয় আপনার আগেই জানতে হবে। তাই বলা যায় বিদেশ থেকে তালাক দেওয়া অনেক ঝামেলার কাজ তাই আপনি যদি দেশে এসে এ কাজটি করেন খুব সহজেই এ কাজটি সম্পন্ন করতে পারবেন।

তাই বলা যায় বিদেশে বসে তালাক না দেওয়াই ভালো। বিদেশ হতে তালাক প্রদানের পূর্বে যেসব বিষয় জানতে হবে তা জানালাম আপনাদের ভারতে বিদেশে থাকার সময় কীভাবে তালাক দেওয়া যায় তা এখন জেনে নিন।

ভারতে বিদেশে থাকার সময় কীভাবে তালাক দেওয়া যায়

সে ক্ষেত্রে পারস্পরিক সম্মতিতে বিবাহ বিচ্ছেদের আবেদন করতে হবে তারপর সেই দম্পতি যে দেশে থাকবে সেই দেশের আইন অনুযায়ী আবেদন করতে হবে। এজন্য বলা যায় যে বিদেশি আদালতের সাথে ভারতীয় আইন প্রযোজ্য হবে না।

বিদেশি আদালত তখন তাদের পদ্ধতি অনুযায়ী বিবাহ বিচ্ছেদের স্বীকৃতি দেবে এবং তাদের নিয়ম অনুযায়ী তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ করাবে।

আবার আপনি এভাবেও করতে পারেন স্বামী স্ত্রী আপনারা পারিবারিক আইনের অ্যাটনি নিয়োগ করাতে হবে তারপর উপযুক্ত এখতিয়ারে একটি বিশদ পিটিশন দাখিল করাতে হবে, নোটিশের পরিষেবা নিশ্চিত করাতে হবে। বিবাহ বিচ্ছেদের ভিওি ও সমর্থনকারী প্রমাণ সরবরাহ করতে হবে।

আদালতের সুনামিতে উপস্থিত থাকতে হবে। তারপর তালাকের ডিগ্রি নিতে হবে। এভাবেই ভারতে বিদেশে থাকার সময় সেখানকার নিয়ম অনুযায়ী তালাক দিতে হবে। এখন চলুন ডিভোর্স দিতে কত টাকা খরচ হয় তা জানা যাক।

ডিভোর্স দিতে কত টাকা খরচ হয়

মুসলিম বিয়ের ক্ষেত্রে দেনমোহরের উপর ভিত্তি করে বিয়ের রেজিস্ট্রেশন ফ্রি ধার্য করা হয়। এক্ষেত্রে গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ সরকার তালাক নিবন্ধন এর বিধিমালা দিয়েছে। তালাক বিধিমালা অনুযায়ী তালাক নিবন্ধন এর জন্য ৫০০ টাকা ফ্রি গ্রহণ করতে পারবেন রেজিস্ট্রার।

নকল প্রাপ্তি ফ্রী ৫০ টাকা যাতায়াত বাবদ প্রতি কিলোমিটার ফি ১০ টাকা আবার তল্লাশি ফী হিসেবে নেওয়া হয় দশ টাকা গ্রহণ করতে পারবেন। এই খরচ গুলোই হয়ে থাকে।

অত্র আইন মোতাবেক তালাক রেজিস্ট্রি জন্য যদি দেনমোহর চার লাখ টাকার মত হয় সে ক্ষেত্রে যিনি তালাক রেজিস্ট্রেশন থাকবে সে প্রতি১হাজারে ১২.৫০ টাকা হারে ফি আদায় করতে পারবে।

আর দেনমোহর যদি চার লাখ টাকার ও বেশি হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে ১০০ টাকা হারেও আদায় করতে পারে।তবে দেনমোহরের পরিমাণ যাই হোক না কেন সর্বনিম্ন ফ্রি ২০০ টাকার আর কম হবে না। সরকার পর্যায়ক্রমে এই ফি পরিবর্তন করে থাকে তাই এর নির্ধারিত কিছু নেই।
দেশ থেকে ডিভোর্স দেওয়ার খরচঃ 

মুসলিমদের ক্ষেত্রে তালাক দিতে যে খরচ হয় সেটা হলঃ

তালাকের জন্য আবেদন ফ্রি ১০০০, তালাকের নোটিশ বাবদ ৫০০, তালাকের সনদপত্র বাবদ ১০০০।

হিন্দু বিবাহ বিচ্ছেদের জন্য আবেদন ফ্রি ৫০০০, বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা ফি ২০০০০, বিবাহ বিচ্ছেদের ডিগ্রী ফি ৫০০০ ইত্যাদি এই খরচ গুলো হয়ে থাকে ডিভোর্স দেওয়ার ক্ষেত্রে। ডিভোর্স দিতে কত টাকা খরচ হয় তা জানলেন ডিভোর্স হয়েছে কিনা কিভাবে বুঝবো তা জানুন এখন।

ডিভোর্স হয়েছে কিনা কিভাবে বুঝবো

আপনি ইতিমধ্যেই বিবাহ বিচ্ছেদ করেছেন কিনা তা আপনার জানার জন্য বা পরীক্ষা করার জন্য আপনাকে প্রথমে কাউন্টির ক্লাবের উচ্চ আদালতে অফিসে যোগাযোগ করতে পারেন সেখানেই আপনি জানতে পারবেন আপনার বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটেছে কিনা।

যদি ঘটে থাকে সেখান থেকেই জানতে পারবেন। আবার অনেক সময় ডিভোর্স হয়েছে এটা নিজেদের মধ্যে থেকেও বোঝা যেতে পারে সে ক্ষেত্রে আপনাকে অনেক দিকেই লক্ষ্য রাখতে হবে আবেগত ভাবে প্রত্যাহার করা, সাধারণত দূরে দেখা আপনার স্ত্রী বা স্বামী বিবাহ বিচ্ছেদ করছে এমন লক্ষ্য হতে পারে।

স্নেহ ভালোবাসা এড়িয়ে যাওয়া আবার কথোপকথন থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়া, আপনি একসাথে উপভোগ করতেন এমন ক্রিয়া-কলাপগুলো থেকে বেরিয়ে আসা এসব লক্ষণ থেকেই ডিভোর্স হয়েছে কিনা তা অনেক সময় বোঝাও যায়। ডিভোর্স হয়েছে কিনা কিভাবে বুঝবো পড়লেন স্বামী বিদেশে থাকা অবস্থায় স্ত্রীকে তালাক দিলে স্ত্রীর কি ইদ্দত পালন করতে হবে কিনা তা জানুন।

স্বামী বিদেশে থাকা অবস্থায় স্ত্রীকে তালাক দিলে স্ত্রীর কি ইদ্দত পালন করতে হবে

সাধারণভাবে বলা যায় যে তালাকের ইদ্দত দুই প্রকার হয়ে থাকে। সাধারণ মানুষের জন্য তালাক পরবর্তী তিনটি মাসিক পার হওয়া পর্যন্ত যাতে পূর্ববর্তী স্বামীর কোনপ্রকারের কোন রূপ শারীরিক ছাপ বা কোন প্রভাব স্ত্রীর শরীরে বা দৈহিক অস্তিত্বে না থাকে।

গর্ভবতী স্ত্রীর তালাকের ইদ্দত হচ্ছে সন্তান প্রসব হওয়ার সুতরাং দেশে বা প্রবাসে যেখানে স্বামী থাকুক না কেন স্ত্রীর তিনটি মাসিক পার করা ইদ্দত এর অংশ।

তাই বলা যায় স্বামী বিদেশ থাকা অবস্থায় স্ত্রীকে তালাক দিলে এই ইদ্দতটি পালন করতে হয়। স্বামী বিদেশে থাকা অবস্থায় স্ত্রীকে তালাক দিলে স্ত্রীর কি ইদ্দত পালন করতে হবে কিনা বুঝতে পারলেন একসাথে তিন তালাক দিলে কি তালাক হবে কিনা তা জানা যাক চলুন।

একসাথে তিন তালাক দিলে কি তালাক হবে

ইসলামের সবচেয়ে অপছন্দীয় বিষয়টি হলো তালাক। সংসার ভাঙা কে পছন্দ করেনা ইসলাম। তবে নিরুপায় হয়ে যদি কেউ তালাক দিতে চায় তাহলে ইসলাম অনুমতি দিয়েছে। অনেকেই মনে করেন যে তিন তালাক দিলে তালাক হয়ে যায় এটা একটি অসম্ভব ধারণা এটা কখনোই হয় না।

ইসলাম কখনোই একসঙ্গে তিন তালাক স্বীকৃতি দেয় না। অনেকেই মনে করে একসাথে তিন তালাক দিলেই তালাক হয়ে যায় সে ক্ষেত্রে এক বা দুই তালাক দিলে তালাক হয় না তাদের জন্য এই ধারণাটা ভুল বলে প্রমাণ করেছে ইসলাম।

তালাক দেওয়ার সঠিক পদ্ধতি হলো প্রথমে শুধু এক তালাক দেওয়া তারপর পরবর্তীতে যদি আবার প্রয়োজন হয় সে ক্ষেত্রে আরেকটা তালাক দেওয়া যাবে। কিন্তু তিন তালাক দিয়ে ফেলে তাদের দাম্পত্য জীবনে সম্পর্ক বহাল রাখার সকল পথ বন্ধ হয়ে যায় সে ক্ষেত্রে তারা চাইলেও আর এক হতে পারে না।

কিন্তু যারা এই একসাথে তিন তালাক দেওয়াকে জায়েজ না হলেও নাজায়েজ করে তাহলে তার স্ত্রীর উপর তিন তালা ঠিকই পতিত হয়। এক্ষেত্রে তার মৌখিকভাবে রিজু করার অধিকার অবশিষ্ট থাকেনা। তারা যদি পরবর্তীতে এক হতে চায় তাহলে তারা তখন একে অপরের জন্য হালাল হতে পারে না।

তাই সকল স্বামীর কর্তব্য প্রথম থেকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকা। মুখ দিয়ে কখনোই তিন তালা উচ্চারণ করা যাবে না। আর আগে যদি দুই তালাক দিয়ে থাকে সে ক্ষেত্রে পরবর্তীতে আর তিন তালাক না দেওয়া। একসাথে তিন তালাক দিলে কি তালাক হবে এবং বিদেশ থেকে তালাক দেওয়ার নিয়ম সবই জানালাম আপনাদের।

পরিশেষেঃ বিদেশ থেকে তালাক দেওয়ার নিয়ম ২০২৪ ও ভয় দেখানোর জন্য তালাক বললে কি তালাক হবে

আশাকরি আপনারা বিদেশে থাকা অবস্থায় তালাক কীভাবে দিবেন বিস্তারিত বুঝতে পেরেছেন। এইরকম তথ্য পেতে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

জানবো আমরা ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url