২০২৪ সালে সেফিক্সিম ২০০ এর দাম কত এবং cefixime 200 mg এর কাজ কি জানুন

সেফিক্সিম ২০০ এর দাম কত ও cefixime 200 mg এর কাজ কি নিয়েই আজকের আর্টিকেল। এছাড়াও সেফিক্সিম সিরাপ খাওয়ার নিয়মও জানবেন। cefixime 200 mg এর কাজ কি ও সেফিক্সিম ২০০ এর দাম কত জানার জন্য সম্পূর্ণ আর্টিকেল আপনাকে পড়তে হবে। তাহলে চলুন সেফিক্সিম ২০০ এর দাম কত এবং cefixime 200 mg এর কাজ কি জানা যাক।
সেফিক্সিম ২০০ এর দাম কত এবং cefixime 200 mg এর কাজ কি জানুন। জানবো আমরা। janbo amra
সেফিক্সিম ২০০ এর দাম কত এবং cefixime 200 mg এর কাজ কি জানুন
সেফিক্সিম ২০০ এর দাম কত এবং cefixime 200 mg এর কাজ কি শুধু জানবেন তা কিন্ত না। পাশাপাশি সেফিক্সিম ২০০ খাওয়ার নিয়ম ও সেফিক্সিম সিরাপ কিসের ঔষধ এবং সেফিক্সিম ২০০ এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও জানবেন। 

সূচিপত্রঃ সেফিক্সিম ২০০ এর দাম কত এবং cefixime 200 mg এর কাজ কি জানুন। 

ভূমিকাঃ 
আপনারা কখনই ঔষধ সম্পর্কে ভালোভাবে না জেনে খাবেন না। ঔষধ খেলে রোগ সারে কিন্তু নিয়মানুযায়ী বা সময়মতো না খেলে ঔষধ সারার পরিবর্তে বেশিও হতে পারে। চলুন তাহলে cefixime 200 mg এর কাজ কি এবং সেফিক্সিম ২০০ এর দাম কত জানা যাক।

সেফিক্সিম ২০০ এর দাম কত

সেফিক্সিম ২০০, ইবনে সিনা ফার্মিসিটিক্যালস লিমিটেড এর unit price 35.00 tk। Strip price 350.00 tk। সংবেদনশীল জীবাণু গুচ্ছের জন্য সেফিক্সিম ২০০ ঔষধ দিয়ে খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকে ডাক্তার। এই ওষুধটি মুখে সেবনযোগ্য একটি এন্টিবায়োটিক ঔষধ।

এই ওষুধটি খাওয়ার ফলে সহজেই অর্জিত প্লাজমা ঘনত্বে বহুবিধ গ্রাম পজিটিভ ও গ্রাম নেগেটিভ ব্যাকটেরিয়া কে ধ্বংস করে কাজ করে থাকে সেফিক্সিম ২০০ ওষুধ।

এই ওষুধটি ব্যাকটেরিয়ার কোষ প্রাচীর গঠনে বাধা প্রদান করে ব্যাকটেরিয়াকে মেরে ফেলে। এভাবে এই ওষুধটি এই রোগগুলো থেকে বাঁচাতে সাহায্য করে। সেফিক্সিম ২০০ এর দাম কত জানলেন এইবার জানুন সেফিক্সিম ২০০ কিসের ঔষধ।

সেফিক্সিম ২০০ কিসের ঔষধ

সেফিক্সিম ২০০ ওষুধটি হলো ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি কে বন্ধ করে এবং ব্যাকটেরিয়াকে ধ্বংস করে একটি অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ হিসেবে কাজ করে থাকে।

এই ওষুধটি যে রোগের জন্য ব্যবহার করা হয় সে রোগগুলো হল ব্রংকাইটিস, ফুসফুসের মধ্যে বায়ু চলাচলের পথের মধ্যে সংক্রমণ তৈরি হলে সেফিক্সিম২০০ ওষুধটি খেলে কাজ করে থাকে।

গনোরিয়া, এবং কান গলার টনসিল ইত্যাদি এই সংক্রমণ রোগগুলোর চিকিৎসার জন্য সেফিক্সিম২০০ ওষুধটি ডাক্তার খাওয়ার জন্য পরামর্শ দিয়ে থাকে। আর এই রোগ গুলো হলেই এই ওষুধটি খেতে হয়।

এই ওষুধটি এই রোগগুলোর জন্যই। সেফিক্সিম ২০০ কিসের ঔষধ জানলেন এইবার জেনে জেনে নিন cefixime 200 mg এর কাজ কি অর্থাৎ সেফিক্সিম ২০০ এর কাজ কি।

সেফিক্সিম ২০০ এর কাজ কি বা cefixime 200 mg এর কাজ কি

বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ বৃদ্ধি এবং প্রজননে হস্তক্ষেপ করে কাজ করে থাকে সেফিক্সিম২০০। এই ওষুধটি খাওয়ার ফলে ব্যাকটেরিয়া কোষ প্রাচীর গঠনে বাধা দিয়ে কাজ করে থাকে।

ব্যাকটেরিয়াকে দুর্বল করতে ও কাজ করে থাকে এবং অবশেষে তাদের ধ্বংসের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেয়ে নিরাময় করার জন্য সেফিক্সিম ২০০ কাজ করে থাকে। এভাবেই বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচার জন্য কাজ করে থাকে এই ওষুধ ।

এই ওষুধ ব্যাকটেরিয়ারজনিত রোগ যাদের দেখা দেয় ডাক্তার তাদের এই সেফিক্সিম২০০ ওষুধ টি খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকে। সেফিক্সিম ২০০ এর কাজ কি বা cefixime 200 mg এর কাজ কি জেনে নিলেন এইবার জানবেন সেফিক্সিম ২০০ খাওয়ার নিয়মগুলো।

সেফিক্সিম ২০০ খাওয়ার নিয়ম

সাধারণত এই ওষুধটি ডাক্তার যেভাবে নিয়ম অনুসারে খেতে বলে সেভাবেই খাওয়া উচিত। সে ক্ষেত্রে ডাক্তার পরামর্শ দিয়ে থাকেন ১২ বা ২৪ ঘন্টা অন্তর একবার করে এই ওষুধ নেওয়া হয়। এই ওষুধটি প্রতিদিন নিয়ম অনুসারে একই সময়ে নেওয়া উচিত।

যদি কোন কারণে ডোজটা মিস হয়ে যায় তাহলে সেই ডোজটা না নেওয়া উচিত পরবর্তীতে আবার নিয়ম অনুসারে শুরু করা উচিত। এই ঔষধটি সবার ক্ষেত্রে একই নিয়ম ডাক্তার পরামর্শ দেয় না সেক্ষেত্রে বয়স্ক প্রাপ্তবয়স্ক শিশু সকল ক্ষেত্রে আলাদা আলাদা নিয়ম অনুযায়ী ওষুধটা খেতে হয়। নিচে নিয়ম গুলো দেওয়া হলঃ 

  • বয়স্কদের বেলায় নির্দেশিত মাত্রা হলো ২০০-৪০০ মিলিগ্রাম ১-২ ক্যাপসুল একত্রে বা বিভক্ত মাত্রায় সেবন করতে হবে। 
  • শিশু অথবা ৬ মাস এর  ঊর্ধ্বে  শিশুদের ক্ষেত্রে এর মাত্রা দেওয়া হয়ে থাকে ৮ মিলিগ্রাম শিশুদের দেহের ওজনের উপরদৈনিক একক মাত্রায় অথবা  দুইটি বিভক্ত মাত্রায় শিশুর বয়স অনুযায়ী ডাক্তার সেবন করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।। 
  • সেক্ষেত্রে ১/২ থেকে ১বছর  ৭৫ মিলিগ্রাম 
  • ১-৪ বছর ১০০ মিলিগ্রাম 
  • ৫-১০ বছর ২০০ মিলিগ্রাম 
  • ১১-১২ বছর ৩০০ মিলিগ্রাম 
  • টাইফয়েড জ্বরের ক্ষেত্রে এর মাত্রা দেওয়া হয় ১০ মিলিগ্রাম  শিশুর বয়স অনুযায়ী দিনে ১৪ দিন পর্যন্ত। 
  • ৬ মাসের নিচে শিশুদের ক্ষেত্রে এর সেবন বিধির মাত্রা দেওয়া হয় না। এই ওষুধের এই শিশুদের ক্ষেত্রে সেবন বৃদ্ধির মাত্রা এখনো কার্যকরীতার প্রতিষ্ঠিত হয়নি। 
এইজন্য ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী যে নিয়ম দিয়েছে ডাক্তার সেই নিয়ম অনুযায়ী এই ওষুধ সেবন করতে হবে। সেফিক্সিম ২০০ খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে ভালোভাবে জানলেন এখন জানুন সেফিক্সিম সিরাপ কিসের ঔষধ।

সেফিক্সিম সিরাপ কিসের ঔষধ

সেফিক্সিম সিরাপ ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সৃষ্ট সংক্রমনের জন্য ব্যবহার হয়ে থাকে। এই ওষুধটি ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি কমাতে এবং হত্যা করে অ্যান্টিবায়োটিক ঔষধ হিসেবে কাজ করে থাকে।

সেফিক্সিম সিরাপ যে রোগগুলোর জন্য খাওয়া হয় সে রোগ গুলোর নাম হল ফুসফুসের বায়ু টিউব সংক্রমণ, গনোরিয়া অর্থাৎ একটি যৌন সংক্রমণিত রোগ এবং কান গলা টনসিল ইত্যাদি এ সকল রোগের জন্যই সেফিক্সিম সিরাপ টি খাওয়া হয়।

সেফিক্সিম সিরাপ ট্যাবলেট বা ক্যাপসুল আকারেই বেশি আসে। তাই বলা যায় এই ওষুধের ট্যাবলেট বা ক্যাপসুল যেই কাজ করে থাকে সেফিক্সিম সিরাপ ও সেই একই সকল রোগ ভালো করে থাকে।

ডাক্তার সিরাপ এর থেকে ট্যাবলেট বা ক্যাপসুল খাওয়ারই বেশি পরামর্শ দিয়ে থাকে কারণ ট্যাবলেট ও ক্যাপসুল এর জনপ্রিয়তা বেশি কিন্তু মাঝে মাঝে সিরাপও দেয়। তাই একই নিয়ম অনুসারে এই সিরাপ খেতে হয়। সেফিক্সিম সিরাপ কিসের ঔষধ জেনে নিলেন এইবার সেফিক্সিম সিরাপ খাওয়ার নিয়মটা জেনে নিন।

সেফিক্সিম সিরাপ খাওয়ার নিয়ম

  • সেফিক্সিম সিরাপ খাওয়ার আগে সিরাপের বোতলটি ভালোভাবে ঝাঁকিয়ে  নিতে হবে। সেফিক্সিম সিরাপ ২০০মিলিগ্রাম -৪০০মিলিগ্রাম একক বা বিভক্ত মাত্রায় ৭-১৪ দিন পর্যন্ত রোগের তীব্রতা অনুযায়ী সেবন করতে হয়। 
  • শিশুদের ক্ষেত্রে এই সেফিক্সিম সিরাপের মাত্রা ৮ মিলিগ্রাম প্রতি কেজি দেহের ওজন একক বা দুইটি  বিভুক্ত মাত্রায় ছাদ থেকে ১৪ দিন পর্যন্ত অথবা 
  • ১/২  বছর পর্যন্ত ৭৫ মিলিগ্রাম 
  • ১-৪ বছর পর্যন্ত ১০০ মিলিগ্রাম 
  • ৫-১০বছর পর্যন্ত ২০০ মিলিগ্রাম 
  • ১১-১২ বছর ৩০০ মিলিগ্রাম 
  • ২২ বছরের ঊর্ধ্বে পূর্ণ বয়স্ক মাত্রা হিসেবে এই ওষুধ খাওয়ার নিয়ম আছে। 
বিভিন্ন কারণে ওষুধের মাত্রা তারতম্য বিভিন্ন রকম হতে পারে এই জন্য আপনি ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী যে নিয়ম দিয়েছে সে নিয়ম মেনে আপনি ওষুধটি সেবন করবেন।

আপনার ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন এর নির্দেশনা বলি অনুসরণ করুন। সেফিক্সিম সিরাপ খাওয়ার নিয়ম জানলেন এখন জানবেন সেফিক্সিম ২০০ এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলো।

সেফিক্সিম ২০০ এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

সব ওষুধেরই পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থাকে তাই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী আমাদের ওষুধ সেবন করা উচিত এবং ঠিক নিয়ম অনুসারে। কিন্তু অনেক সময় ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় সেরকম সেফিক্সিম২০০ এরও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া আছে সেগুলো হলোঃ

  • পেটে ব্যথা, রক্তাক্ত বা জলযুক্ত ডায়রিয়া। 
  • প্রস্রাব কালো বা হলুদ বর্ণের দেখা দিলে, বিভ্রান্তি বা দুর্বলতা দেখা দিলে। 
  • রক্তে কণিকার সংখ্যা কম হলে দুর্বল ভাব, অসুস্থতা, জ্বর, ঠান্ডা লাগা, ফ্লুর মত  উপসর্গ, মুখের ঘা এবং ত্বকের ঘা বেড়ে যেতে পারে আবার সেই সাথে ত্বকের বর্ণ ফ্যাকাসে হতে পারে। 
  • অস্বাভাবিক রক্তপাত, সহজেই ক্ষত এবং মাথা ঘোরা ও হতে পারে। 
  • একটি লাল বা বেগুনি ত্বকের ফুসকুড়ি যা ছড়িয়ে পড়ে এবং ফুসকা তৈরি করে। 
  • খোসা ছাড়ে এবং ত্বকের তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। এরমধ্যে রয়েছে জ্বর গলা ব্যথা জ্বালাপোড়া এবং ত্বকের অস্বস্তির  ভাব। 
  • অল্প কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে তার মধ্যে হল সাধারণ ক্ষেত্রে যে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে বদহজম, পেটে ব্যথা, বমি বমি ভাব, চুলকানি ইত্যাদি। 
  • এই ওষুধটির পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া অল্প এবং মৃদু পরিমাণ এর পরিপাকতন্ত্রের প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে যেমন ডায়রিয়া, পায়খানার রং পরিবর্তন,  বমি বমি ভাব, পেটে ব্যথা ইত্যাদি এগুলো দেখা দিতে পারে। 

যদি এই গুলো দেখা দেয় তখন সাথে সাথে আপনার ডাক্তারের পরামর্শ দিতে হবে। সেফিক্সিম ২০০ এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া এবং সেফিক্সিম ২০০ এর দাম কত বুঝতে পারলেন নিশ্চয়। 

পরিশেষেঃ সেফিক্সিম ২০০ এর দাম কত এবং cefixime 200 mg এর কাজ কি

আশাকরি সেফিক্সিম সম্পর্কে আপনার প্রশ্নের উত্তর পেয়েছেন। এইরকম তথ্য পেতে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

জানবো আমরা ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url