এরিথ্রোমাইসিন কোন রোগের ঔষধ ও এরিথ্রোমাইসিন কিসের কাজ করে,খাওয়ার নিয়ম জানুন
এরিথ্রোমাইসিন কোন রোগের ঔষধ ও এরিথ্রোমাইসিন কিসের কাজ করে নিয়েই আজকের আর্টিকেল। এরিথ্রোমাইসিন কিসের কাজ করে ও এরিথ্রোমাইসিন কোন রোগের ঔষধ জানার জন্য সম্পূর্ন আর্টিকেল পড়ুন। তাহলে চলুন এরিথ্রোমাইসিন কোন রোগের ঔষধ এবং এরিথ্রোমাইসিন কিসের কাজ করে জানা যাক।
 |
| এরিথ্রোমাইসিন কোন রোগের ঔষধ ও এরিথ্রোমাইসিন কিসের কাজ করে। |
এরিথ্রোমাইসিন কোন রোগের ঔষধ ও এরিথ্রোমাইসিন কিসের কাজ করে জানার পাশাপাশি এরিথ্রোমাইসিন খাওয়ার নিয়ম ও এরিথ্রোমাইসিন এর দাম কত তা জানবেন। এছাড়াও এরিথ্রোমাইসিন এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ও এরিথ্রোমাইসিন খেলে কি মাথা ঘোরে তা জানবেন।
সূচিপত্রঃ এরিথ্রোমাইসিন কোন রোগের ঔষধ ও এরিথ্রোমাইসিন কিসের কাজ করে।
ভূমিকাঃআপনারা সব সময় চেষ্টা করবেন ঔষুধ খাওয়ার আগে অবশ্যই সেই ঔষধ টা সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নেওয়ার।
আর্টিকেলটিতে আপনি এরিথ্রোমাইসিন ট্যাবলেট এর কাজ কি ও এরিথ্রোমাইসিন সিরাপ এর কাজ কি এবং এরিথ্রোমাইসিন ৫০০ এর কাজ কি তা জানতে পারবেন। তাহলে চলুন এরিথ্রোমাইসিন কিসের কাজ করে জানার আগে এরিথ্রোমাইসিন কোন রোগের ঔষধ তা জেনে নেই।
এরিথ্রোমাইসিন কোন রোগের ওষুধ
এরিথ্রোমাইসিন ওষুধ হল একটি সংক্রমণজনিত অনেকগুলো ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের চিকিৎসার জন্য এরিথ্রোমাইসিন ব্যবহার করা হয় এ ওষুধটি একটি এন্টিবায়োটিক জনিত ওষুধ। এর মধ্যে রয়েছে শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ, ত্বকের সংক্রমণ,শ্রেণী প্রদাহ রোগ, এবং সিফিলিস।
এগুলো রোগের জন্য এই ওষুধটি ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়। এটি গর্ভাবস্থায় নবজাতকের মধ্যে গ্রুপ বি সংক্রমণ প্রতিরোধ করার জন্য ও ব্যবহার করা যেতে পারে। সেই সাথে অন্তিক চলন বিলম্ব না উন্নতিতে ব্যবহার করা হয়।
নবজাতকের চোখের সংক্রমণ রোধ করতে প্রসবের পরে নিয়মিতভাবে একটি চোখের মলম দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। এগুলো অশোকের ক্ষেত্রেই এই ওষুধটি ব্যবহার করা হয়। এরিথ্রোমাইসিন কোন রোগের ওষুধ জানলেন এরিথ্রোমাইসিন কিসের কাজ করে এই বিষয়টি জানুন এখন।
এরিথ্রোমাইসিন কিসের কাজ করে
এরিথ্রোমাইসিন একটি এন্টিবায়োটিক ঔষধ। অনেকগুলো ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের কারণে এই ওষুধটি ব্যবহার করা হয়। আর এই সংক্রমণজনিত ব্যাকটেরিয়া ভালো করতে এরিথ্রোমাইসিন কাজ করে থাকে। এরমধ্যে রয়েছে শাস্ত্রের সংক্রমণ, ত্বকের সংক্রমণ চোখের সংক্রমণ ইত্যাদি।
এই ওষুধটি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রয়োজনীয় ওষুধের তালিকায় রয়েছে। এই ওষুধ কি ব্যাকটেরিয়া বিচ্ছিন্ন করার কাজে এক নাম্বার কাজ করে থাকে। আরো রোগ আছে যেমন পেলভিন প্রদাহ জনিত রোগ এবং সিফিলিস এই ব্যাকটেরিয়া গুলো ভালো করতে এরিথ্রোমাইসিন কাজ করে থাকে।
নবজাতকের ক্ষেত্রে চোখের সংক্রমণ ভালো করতে এরিথ্রোমাইসিন কাজ করে থাকে। তাই বলা যায় সংক্রমণজনিত রোগ ভালো করতে এরিথ্রোমাইসিন কাজ করে থাকে। এরিথ্রোমাইসিন কিসের কাজ করে জেনেছেন এরিথ্রোমাইসিন খাওয়ার নিয়ম কি তা জানুন এইবার।
এরিথ্রোমাইসিন খাওয়ার নিয়ম
সাধারণত সব ঔষধি ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী খেতে হবে। এই ওষুধটি সাধারণত প্রতি 6 ঘন্টা দিনে চারবার, আবার প্রতি আট ঘণ্টায় দিনে তিনবার অথবা প্রতি ১২ ঘন্টায় দিনে দুইবার এইভাবে পর্যায়ক্রমে ডাক্তার নিয়ম অনুযায়ী পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
কিন্তু এটি এন্টিবায়োটিক ঔষধ তাই বেশি দীর্ঘ সময় ধরে খাওয়া উচিত নয় আস্তে আস্তে এই ওষুধটি ছাড়ার চেষ্টা করতে হবে এবং প্রতিনিয়ত অল্প পরিমাণের দোষ গ্রহণ করতে হবে। এজন্য এই ওষুধ ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী খেতে হবে।
২ দুই বছর থেকে আট বছর ২৫০ মিলিগ্রাম ছয় ঘন্টা অন্তর অথবা ওজনের প্রতি কেজিতে প্রতিদিন বিভক্ত মাত্রার ডাক্তার পরামর্শ দিয়ে থাকে সেই নিয়মে এই ওষুধ সেবন করতে হবে। এরিথ্রোমাইসিন খাওয়ার নিয়ম পড়ে নিলেন এরিথ্রোমাইসিন ৫০০ এর কাজ কি সেই বিষয়টা এখন জানুন।
এরিথ্রোমাইসিন ৫০০ এর কাজ কি
এরিথ্রোমাইসিন ৫০০ একটি অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ। এই ওষুধটি বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়া দারা সৃষ্ট সংক্রমণের জন্য ব্যবহার করা হয় এবং এই ব্যাকটেরিয়াজ জনিত সংক্রমণের হাত থেকে আচার জন্য এরিথ্রোমাইসিন ৫০০ কাজ করে থাকে।
এই ওষুধটি সাধারণত ঠান্ডা, ফ্লু ভাইরাস ঘটিত সংক্রমণের ক্ষেত্রে ডাক্তার পরামর্শ দিয়ে থাকে না আর এটি এই ধরনের রোগের জন্য কাজও করে না। এই ওষুধটি শুধুমাত্র ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সংক্রমণজনিত বিরুদ্ধে কাজ করে থাকে।
আর এ ধরনের রোগের ক্ষেত্রেই এরিথ্রোমাইসিন ৫০০ডাক্তার ব্যবহারের পরামর্শ দেয়। এরিথ্রোমাইসিন ৫০০ এর কাজ কি তা জানালাম আপনাদের এরিথ্রোমাইসিন ট্যাবলেট এর কাজ কি সেই বিষয়টা জেনে নিন এখন।
এরিথ্রোমাইসিন ট্যাবলেট এর কাজ কি
এরিথ্রোমাইসিন ট্যাবলেট এর কাজ হল একটি মাইক্রোলাইড অ্যান্টিবায়োটিক অনেকগুলো চিকিৎসার জন্যই কাজ করে থাকে এবং এর উপকারও পাওয়া যায়।
এই ওষুধটি ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ, ত্বকের সংক্রমণ, স্বতন্ত্রের সংক্রমণ, ক্যামিডিয়া সংক্রমণ, সিফিলিস এবং পেলভিক প্রদাহর রোগ থেকে বাঁচার কাজ করে থাকে এরিথ্রোমাইসিন ট্যাবলেট।
এরিথ্রোমাইসিন ট্যাবলেট অ্যান্টিবায়োটিক ঔষধ যা ব্যাকটেরিয়া ও সংক্রমণজনিত রোগ ভালো করতে কাজ করে থাকে। তাই কোন একটি রোগের জন্য বা নির্দিষ্ট শুধু একটি রোগের জন্য এই ওষুধটি ব্যবহার করব এমন নয়।
আমাদের অনেকগুলো ব্যাকটেরিয়াজ জনিত রোগ হয়ে থাকে সে ক্ষেত্রে সেই ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগগুলোর নানা রকম সমস্যা এবং নানা রকম নামও রয়েছে তাই এরিথ্রোমাইসিন ট্যাবলেট এই সংক্রমণজনিত অনেকগুলো ব্যাকটেরিয়ারজনিত রোগের ক্ষেত্রে কাজ করে থাকে।
ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী আমাদের এই রোগ দেখা এ ডাক্তারি পরামর্শ অনুযায়ী আমাদেরকে এই ট্যাবলেট সেবন করতে হবে। এরিথ্রোমাইসিন ট্যাবলেট এর কাজ কি বুজতে পারলেন নিশ্চয় এরিথ্রোমাইসিন সিরাপ এর কাজ কি তা জানুন এখন।
এরিথ্রোমাইসিন সিরাপ এর কাজ কি
এই ওষুধটি নিরাপদ। ব্যাপক ধরনের ক্লিনিকাল সংক্রমণের চিকিৎসার এরিথ্রোমাইসিন সিরাপ খুব কার্যকরী। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই শিশুদের জন্য ৮ বছরের ওপরে এদেরকে এরিথ্রোমাইসিন সিরাপ খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকে ডাক্তার।
বৃদ্ধদের জন্য ট্যাবলেট দিয়ে থাকে। আট বছরের ওপরে তাদেরকে ডাক্তার এই ওষুধটি ২৫০-৫০০ মিলিগ্রাম প্রতি ছয় ঘন্টায় মৃদু থেকে মাঝারি মাত্রার সংক্রমণের ক্ষেত্রে দিয়ে থাকে। আর মারাত্মক সংক্রমণের ক্ষেত্রে এর পরিমাণ দিয়ে থাকে চার গ্রাম পর্যন্ত বৃদ্ধদের ক্ষেত্রে।
ডাক্তাররা শরীরের ওজনের উপর বিভক্ত মাত্রায় এই ওষুধটি দিয়ে থাকে। তাই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী এই ওষুধটি সেবন করতে হবে। এরিথ্রোমাইসিন সিরাপ এর কাজ কি জেনে নিলেন এরোথ্রোমাইসিন এর দাম কত তা জানুন এখন।
এরোথ্রোমাইসিন এর দাম কত
এরোথ্রোমাইসিন এর দাম হল এটা অনেক কোম্পানির কে কোম্পানি যেমন দাম ধরে থাকে তার মধ্যে বেক্সিমকো ফার্মাসিটিক্যালস লিমিটেডের মূল্য হল unit price 35 tk strip 105 tk করে ধরা হয়। এই ওষুধটি নিউমেনিয়া রোগে ব্যবহার করা হয়ে থাকে ডাক্তার পরামর্শ দিয়ে থাকে।
নিউমেনিয়া এবং হিমোফিলাস ইনফ্লুয়েঞ্জা সৃষ্ট ফুসফুস সংক্রমণের একটি সাধারণ উপকার দিয়ে থাকে। আবার কানের সংক্রমণের ক্ষেত্রে ও ডাক্তারের ওষুধটি পরামর্শ দিয়ে থাকে। তাই বাজারের যেকোনো ফার্মেসিতে গেলেই এই ওষুধটি পেয়ে থাকবেন। এরোথ্রোমাইসিন এর দাম কত পড়লেন এইবার এরিথ্রোমাইসিন খেলে কি মাথা ঘোরে তা জানুন।
এরিথ্রোমাইসিন খেলে কি মাথা ঘোরে
এই ওষুধটি এন্টিবায়োটিক ওষুধ তাই যদি কারো শরীর বেশি দুর্বল হয়ে থাকে তাহলে এই ওষুধটি খেলে মাথা ঘোরার ভাব হতে পারে। এন্টিবায়োটিক ওষুধ এর মাত্রা বেশি এইজন্য যাদের শরীর দুর্বল তারা এই ওষুধটি যখন সেবন করবেন তখন পুষ্টিকর খাবার খাদ্য তালিকায় রাখবেন তাহলে এই মাথা ঘোরা ভাব দেখা দেবে না।
তাই বলা যায় এরিথ্রোমাইসিন এই ওষুধটি খেলে কারো কারো ক্ষেত্রে মাথা ঘোরা দেখা দিতে পারে কিন্তু সবার ক্ষেত্রে না। এরিথ্রোমাইসিন খেলে কি মাথা ঘোরে জেনেছেন এরিথ্রোমাইসিন এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াসমূহ জানা যাক চলুন।
এরিথ্রোমাইসিন এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
এরেট্রোমাইসিন একটি নিরাপদ ওষুধ তাই এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া খুবই অল্প পরিমাণে দেখা দেয়। যদি ভুলভাল নিয়মে এ ওষুধটি খেয়ে ফেলেন তাহলে এর যা পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দেবে তা হল বমি বমি ভাব, পেটের ব্যথা বা অস্থিরতা, অস্বচ্ছন্দতা, এলার্জির মাত্রা ও বেরে যেতে পারে।
এইজন্য বলা যায় এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া খুবই অল্প কিন্তু সঠিক নিয়মে খেলে বা ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী এ ওষুধ সেবন করলে কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ায় দেখা যায় না। এরিথ্রোমাইসিন এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ও এরিথ্রোমাইসিন কোন রোগের ঔষধ সবই জানালাম আপনাদের।
পরিশেষেঃ এরিথ্রোমাইসিন কোন রোগের ঔষধ ও এরিথ্রোমাইসিন কিসের কাজ করে এবং খাওয়ার নিয়ম
আশাকরি আপনারা এরিথ্রোমাইসিন সম্পর্কে সকল তথ্য বিস্তারিত পেয়েছেন। এইরকম তথ্য পেতে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন।
জানবো আমরা ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url