আমেরিকা যেতে ielts কত পয়েন্ট লাগে ও বাংলাদেশ থেকে কত টাকা লাগে 2024

আমেরিকা যেতে ielts কত পয়েন্ট লাগে ও বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যেতে কত টাকা লাগে এই বিষয়গুলো নিয়েই আলোচনা করতে যাচ্ছি। বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যেতে কত টাকা লাগে ও আমেরিকা যেতে ielts কত পয়েন্ট লাগে জানার জন্য ভালোভাবে পড়ুন। তাহলে চলুন আমেরিকা যেতে ielts কত পয়েন্ট লাগে জেনে নেওয়া যাক। 
আমেরিকা যেতে ielts কত পয়েন্ট লাগে ও বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যেতে কত টাকা লাগে। জানবো আমরা। janbo amra
আমেরিকা যেতে ielts কত পয়েন্ট লাগে ও বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যেতে কত টাকা লাগে।
আমেরিকা যেতে ielts কত পয়েন্ট লাগে ও বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যেতে কত টাকা লাগে জানার পাশাপাশি আমেরিকার ভিসা পাওয়ার যোগ্যতা ২০২৪ এবং আমেরিকার ভিজিট ভিসা পাওয়ার যোগ্যতা সম্পর্কেও জানতে পারবেন।

সূচিপত্রঃ আমেরিকা যেতে ielts কত পয়েন্ট লাগে ও বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যেতে কত টাকা লাগে।

ভূমিকাঃ 
আপনারা যারা আমেরিকা যেতে চাচ্ছেন তাদের জন্য আর্টিকেলটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমেরিকা যাওয়ার খরচ, যোগ্যতা আরো বিভিন্ন বিষয়সমূহ এই আর্টিকেল থেকে বিস্তারিত জানতে পারবেন। চলুন বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যেতে কত টাকা লাগে জানার আগে আমেরিকা যেতে ielts কত পয়েন্ট লাগে সেই বিষয়টি জেনে নেওয়া যাক। 

আমেরিকা যেতে ielts কত পয়েন্ট লাগে

IELTS মানে হলো ইংরেজি ভাষার দক্ষতার পরীক্ষা। ielts এর মাধ্যমে আপনি ইংরেজি ভাষায় কতটা পারদর্শি তা পরীক্ষা করা যায়। এই পরীক্ষার মাধ্যমে আপনি ইংরেজি সোনা, বলা, এবং লেখার দক্ষ এবং পারদর্শী তা মূল্যায়ন করা হয়ে থাকে।

আমেরিকাতে যেতে ielts পয়েন্ট হলো এই পয়েন্ট বিভিন্ন ক্যাটাগরির ভিসার উপর নির্ভর করে হয়ে থাকে। যেমনঃ 
  • ভিজিট ভিসার ক্ষেত্রে পয়েন্ট লাগে সাধারণত ielts 5.5-6.0 স্কোর লাগে।
  • স্টুডেন্ট ভিসার ক্ষেত্রে পয়েন্ট লাগে ielts বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য 6.5-8.0 স্কোর লাগে। আবার কিছু বিশ্ববিদ্যালয় এর পয়েন্ট নাই ielts 5.5 স্কোর গ্রহণ করে।
  • কাজের ভিসার ক্ষেত্রে পয়েন্ট লাগে ielts স্কোর নির্ভর করে চাকরির ক্যাটাগরির উপর। তবে এর স্কোর 6.0 এর বেশি হলে ভালো হয়।
এই পয়েন্টের উপর ভিত্তি করে আমেরিকার ielts পয়েন্ট নিয়ে থাকে।

বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যেতে কত টাকা লাগে

দেশ থেকে আমেরিকা যেতে আনুমানিক প্রায় ১৫ থেকে ৩০ লক্ষ্য টাকা লাগে। তবে কেউ যদি স্টুডেন্ট ভিসায় যেতে চায় সেক্ষেত্রে তার খরচ লাগে ৫ থেকে ১৫ লক্ষ টাকার মধ্যেই যাওয়া সম্ভব। আমেরিকা পৃথিবীর অন্যতম সুন্দর দেশ এবং শক্তিশালী দেশ। 

বিশ্বের অধিকাংশ অর্থনৈতিক ও প্রশাসনিক শক্তির উৎস হল আমেরিকা। বাংলাদেশের যারা বসবাস করে তারা সবাই আমেরিকায় যাওয়ার স্বপ্ন দেখে। তাই সবাই আমেরিকা বিভিন্ন উদ্দেশ্যেই যেয়ে থাকে কেউ কাজ করতে যায়, কেউ পড়াশোনার জন্য যায়, কেউবা আবার চিকিৎসা, ভ্রমণের উদ্দেশ্যেও, যেয়ে থাকে। এজন্য আমেরিকা কে সবচেয়ে সুন্দর দেশ বলা হয়ে থাকে।

আমেরিকার ভিসা পাওয়ার যোগ্যতা ২০২৪

সারা বিশ্বের উন্নত দেশগুলো মধ্যে প্রথম স্থানে অবস্থান করেছে আমেরিকা।তাই এখন অনেকেই আমেরিকা যাওয়ার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। এখন আমেরিকা যাওয়ার জন্য নানা রকমের উপায় রয়েছে। কিন্তু এখন মানুষ অবৈধভাবে আমেরিকা যেয়ে থাকে। 

কিন্তু ২০২৪ সাল থেকে অবৈধভাবে আমেরিকা যাওয়ার সব রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে। যার কারনে এখন মানুষ বৈধভাবে আমেরিকা যাওয়ার প্রকাশ করছে। এইজন্য আমেরিকা যাওয়ার জন্য যোগ্যতার প্রয়োজন হয়। যোগ্যতা না থাকলে আমেরিকা যেতে পারবেন না। আমেরিকা ভিসা পাওয়ার যোগ্যতা গুলো হলঃ 
  • আমেরিকার স্টুডেন্ট ভিসা, আমেরিকার ভিজিট ভিসা,আমেরিকার কাজের ভিসা। এই ভিসা গুলোর জন্য যোগ্যতার প্রয়োজন হয়।
  • আমেরিকার স্টুডেন্ট ভিসার জন্য সর্বনিম্ন বয়স ১৪ হতে হবে। আর সর্বোচ্চ বয়স ৭৯ এর মধ্যে যেতে হবে এরাই স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার যোগ্য হবে।
  • আমেরিকার ভিজিট ভিসার জন্য আবেদনকারীর বয়সের কোন নির্দিষ্ট সীমা নেই।
  • আমেরিকার কাজের ভিসার জন্য প্রতিষ্ঠানের কাজের সার্কুলার অনুযায়ী আবেদন করতে পারবেন। তবে কাজ অনুযায়ী সর্বনিম্ন বয়স হতে হবে ১৮ থেকে২১ বছর।
অনেকের মনে আমেরিকা নিয়ে অনেক স্বপ্ন আছে কেউবা কাজের উদ্দেশ্যে কেউবা ভ্রমণের উদ্দেশ্যে আবার কেউবা উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ার জন্য আমেরিকা যাওয়ার জন্য স্বপ্ন দেখে। তাই তাদের যদি যোগ্যতা থেকে থাকে তাহলে তারা তাদের উদ্দেশ্য অনুযায়ী ভিসা গুলো পেয়ে থাকবে।

আমেরিকার স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার যোগ্যতা

শিক্ষা গ্রহণের জন্য আমেরিকার বিশ্বের অন্যতম দেশ। আপনি যদি শিক্ষা গ্রহণের জন্য আমেরিকা যেতে চান সেক্ষেত্রে আপনার যদি সে যোগ্যতা থাকে তাহলে আপনি খুব সহজেই আমেরিকার স্টুডেন্ট ভিসা পেতে পারেন। আর এই আমেরিকার স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার জন্য যে যোগ্যতা গুলো প্রয়োজন সেগুলো হলোঃ 
  • আপনার প্রথমে একটি বৈধ পাসপোর্ট লাগবে ।
  • এরপর আপনার আমেরিকা কোন ভর্তি প্রতিষ্ঠান একটি বৈধ লেটার বা আবেদনপত্র লাগবে।
  • আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেটগুলো লাগবে।
  • আপনি ইংরেজি শিক্ষায় পারদর্শী নাকি সে বিষয়ে আপনার সার্টিফিকেট লাগবে। (IELTS,TOEFL, GRE)
  • শিক্ষার্থীর বয়সসীমা ১৪- ৭৯ বছরের মধ্যে হতে হবে।
  • থাকা খাওয়ার, টিউশন এবং অন্যান্য খরচ বহন করার সামর্থ্য প্রমাণ (ব্যাংক স্টেটমেন্ট, স্কলারশিপ) এগুলোর প্রয়োজন হয়ে থাকে।
  • শিক্ষা শেষে দেশে ফিরে যাওয়ার পরিকল্পনা এবং কর্মজীবনের লক্ষ্য থাকতে হবে।
  • আপনার পুলিশ ভেরিফিকেশন সার্টিফিকেট ও থাকতে হবে।
  • আপনার মেডিকেল রিপোর্ট সার্টিফিকেট থাকতে হবে।
এই যোগ্যতা গুলো থাকলে আপনি খুব সহজেই আমেরিকার স্টুডেন্ট ভিসা পেয়ে যাবেন।

আমেরিকার ভিজিট ভিসা পাওয়ার যোগ্যতা

স্বপ্নের দেশ আমেরিকা ভ্রমণ করার সবারই অনেক ইচ্ছা থাকে। এজন্য অনেকেই ভেবে থাকেন আমেরিকা ভ্রমণ করা অনেক কঠিন। আবার অনেকেই ভাবেন ভিসা পাওয়া অনেক কঠিন। কিন্তু আপনার সঠিক যোগ্যতা ও তথ্য থাকলে আপনি খুব সহজেই আমেরিকার ভিজিট ভিসা পেয়ে যাবেন। 

আমেরিকা যাওয়ার ভিজিট ভিসার জন্য আপনার যে সব যোগ্যতা লাগবে সেগুলো হলঃ
  • আপনি যে সেখানে ট্রাভেল এর উদ্দেশ্যে যাচ্ছেন সে ট্রাভেল রেকর্ডের প্রমাণ লাগবে।
  • আপনার বৈধ পাসপোর্ট লাগবে
  • আপনার ইংরেজি দক্ষতার সার্টিফিকেট লাগবে
  • আপনার ব্যাংক স্টেটমেন্ট লাগবে
  • আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট লাগবে।
  • পুলিশ ভেরিফিকেশন সার্টিফিকেট লাগবে আপনার।
  • আপনার মেডিকেল রিপোর্ট সার্টিফিকেট লাগবে।
এই যোগ্যতাগুলো থাকলে আপনি খুব সহজেই আমেরিকার ভিজিট ভিসা পেয়ে যাবেন।

আমেরিকার কাজের ভিসা পাওয়ার যোগ্যতা

যারা কাজের জন্য অর্থ উপার্জনের জন্য আমেরিকা যেতে চান তারা কাজের ভিসার মাধ্যমে আমেরিকা যেতে পারবেন। অনেকের মনেই এই আমেরিকা নিয়ে এক অদ্ভুত আকর্ষণ। 

উন্নত জীবনযাপন, আকর্ষণীয় বেতন, এবং পেশাগত উন্নয়নের সুযোগ এই সব কিছু কাজের ক্ষেত্রেই আমেরিকাকে আরো আকর্ষণ করে তোলে। এই স্বপ্নের দেশে কর্মজীবন শুরু করার জন্য প্রথমেই প্রয়োজন আপনার কাজের ভিসা। আর এই কাজের ভিসা পাওয়ার জন্য আপনার কিছু যোগ্যতার প্রয়োজন হবে। 

আমেরিকার কাজের ভিসা পাওয়ার জন্য আপনার যে যোগ্যতা গুলো প্রয়োজন সেগুলো হলোঃ
  • প্রথমেই আপনার বৈধ পাসপোর্ট লাগবে।
  • আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট লাগবে (এইচ এস সি)
  • আপনার ইংরেজি ভাষার দক্ষতার সার্টিফিকেট লাগবে।
  • পুলিশ ভেরিফিকেশন সার্টিফিকেট লাগবে।
  • মেডিকেল রিপোর্ট সার্টিফিকেট লাগবে।
  • আমেরিকার কোন চাকরির প্রতিষ্ঠান থেকে চাকরির অফার লেটার বা আবেদন পত্র।
  • স্কিল সার্টিফিকেট লাগবে।
  • আপনার কাজের অভিজ্ঞতার প্রমাণ লাগবে।
আপনার এই যোগ্যতা গুলো থাকলে আপনি খুব সহজেই কাজের উদ্দেশ্যে আমেরিকার কাজের ভিসা পেয়ে যাবেন।

আমেরিকার কাজের ভিসার খরচ কত

সাধারণভাবে কাজের ভিসার ক্ষেত্রে আমেরিকার ভিসার খরচ সবচেয়ে বেশি। এই ভিসা পাওয়ার জন্য অনেক কঠিন তাই। তাই এই ভিসা পাওয়া অনেক কঠিন ও জটিল প্রক্রিয়া। তাই কাজের ভিসা পাওয়ার জন্য কোম্পানির জব অফার লাগবে। 

এরপর আমেরিকাতে আইনজীবী নিয়োগ করে ওয়ার্ক পারমিট করতে হয়। কাজের ভিসার ক্ষেত্রে আমেরিকা যেতে প্রায় ২৫ লক্ষ্য টাকা থেকে ৩৫ লক্ষ্য টাকা লাগে। 

আপনার যদি পরিচিত কেউ আমেরিকাতে থেকে থাকে সে ক্ষেত্রে আপনার কম খরচে লাগতে পারে কিন্তু যদি আপনি কোন দালালের মাধ্যমে পড়ে যান সে ক্ষেত্রে আপনার বেশি টাকা লাগবে। 

এজন্য আপনার উচিত ভালো মাধ্যমে আমেরিকাতে যাওয়া। তাহলে আপনার কম খরচ এর মধ্যে আপনি আমেরিকা তে খুব ভালোভাবে যেতে পারবেন। আপনার কোন সমস্যা হবে না।

আমেরিকা যেতে কত বছর বয়স লাগে

অনেকেই অনেক কারণে আমেরিকা যেয়ে থাকে সে ক্ষেত্রে তার বয়স সেরকম অনুযায়ী লাগে। কেউ আমেরিকা যেতে চান উচ্চশিক্ষার জন্য, কেউ ভিজিট ভিসার জন্য, কেউবা চাকরির সুযোগের জন্য আমেরিকা যায়। আমেরিকা যেতে কত বছর লাগে তা হলঃ 

কাজের ভিসার ক্ষেত্রে

কাজের ভিসার ক্ষেত্রে আমেরিকা যেতে বয়স লাগে প্রতিষ্ঠানের চাকরির সার্কুলার অনুযায়ী সর্বনিম্ন বয়স ১৮ থেকে ২১ বছর হয়ে থাকে।

স্টুডেন্ট ভিসার ক্ষেত্রে

স্টুডেন্ট ভিসার ক্ষেত্রে আমেরিকা যেতে বয়স লাগে আবেদনকারীর বয়স কমপক্ষে 14 বছর হতে হবে।

ভিজিট ভিসার ক্ষেত্রে

ভিজিট ভিসার ক্ষেত্রে আমেরিকা যেতে আবেদনকারীর বয়সের কোন নির্দিষ্ট সীমা নেই। যেকোনো বয়সের মানুষ ভিজিট ভিসার ক্ষেত্রে আমেরিকা যেতে পারবে।

পরিশেষেঃ আমেরিকা যেতে ielts কত পয়েন্ট লাগে ও বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যেতে কত টাকা লাগে

আশাকরি আপনারা আমেরিকা যাওয়ার ক্ষেত্রে বিভিন্ন তথ্য বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। নিয়মিত প্রয়জনীয় তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

জানবো আমরা ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url