আমেরিকা যেতে ielts কত পয়েন্ট লাগে ও ভিসা পাওয়ার যোগ্যতা ২০২৫

আমেরিকার কাজের ভিসার খরচ কত আমেরিকা যেতে ielts কত পয়েন্ট লাগে ও স্কলারশিপ এর বিষয়সহ আরো বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আজকের আর্টিকেলে আপনাদের সাথে আলোচনা করবো। এই বিষয়গুলো আপনার জানা থাকলে আমেরিকা যাওয়ার ক্ষেত্রে অনেকটাই সুবিধা পাবেন।
আমেরিকা যেতে ielts কত পয়েন্ট লাগে ও আমেরিকার ভিসা পাওয়ার যোগ্যতা। জানবো আমরা। janbo amra
 আমেরিকা যেতে ielts কত পয়েন্ট লাগে ও আমেরিকার ভিসা পাওয়ার যোগ্যতা। 

আমেরিকা যেতে ielts কত পয়েন্ট লাগে জানার পাশাপাশি আমেরিকার ভিসা পাওয়ার যোগ্যতা ২০২৫, যেতে কত টাকা লাগে ও যেতে কত বয়স লাগে তাও জানতে পারবেন আপনি।

সূচিপত্রঃ আমেরিকা যেতে ielts কত পয়েন্ট লাগে ও আমেরিকার ভিসা পাওয়ার যোগ্যতা ২০২৫।

আমেরিকা যেতে ielts কত পয়েন্ট লাগে

IELTS মানে হলো ইংরেজি ভাষার দক্ষতার পরীক্ষা। ielts এর মাধ্যমে আপনি ইংরেজি ভাষায় কতটা পারদর্শি তা পরীক্ষা করা যায়। এই পরীক্ষার মাধ্যমে আপনি ইংরেজি সোনা, বলা, এবং লেখার দক্ষ এবং পারদর্শী তা মূল্যায়ন করা হয়ে থাকে।

আমেরিকাতে যেতে ielts পয়েন্ট হলো এই পয়েন্ট বিভিন্ন ক্যাটাগরির ভিসার উপর নির্ভর করে হয়ে থাকে। যেমনঃ 
  • ভিজিট ভিসার ক্ষেত্রে পয়েন্ট লাগে সাধারণত ielts 5.5-6.0 স্কোর লাগে।
  • স্টুডেন্ট ভিসার ক্ষেত্রে পয়েন্ট লাগে ielts বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য 6.5-8.0 স্কোর লাগে। আবার কিছু বিশ্ববিদ্যালয় এর পয়েন্ট নাই ielts 5.5 স্কোর গ্রহণ করে।
  • কাজের ভিসার ক্ষেত্রে পয়েন্ট লাগে ielts স্কোর নির্ভর করে চাকরির ক্যাটাগরির উপর। তবে এর স্কোর 6.0 এর বেশি হলে ভালো হয়।
এই পয়েন্টের উপর ভিত্তি করে আমেরিকার ielts পয়েন্ট নিয়ে থাকে।

আমেরিকার ভিসা পাওয়ার যোগ্যতা ২০২৫

সারা বিশ্বের উন্নত দেশগুলো মধ্যে প্রথম স্থানে অবস্থান করেছে আমেরিকা।তাই এখন অনেকেই আমেরিকা যাওয়ার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। এখন আমেরিকা যাওয়ার জন্য নানা রকমের উপায় রয়েছে। কিন্তু এখন মানুষ অবৈধভাবে আমেরিকা যেয়ে থাকে। 


কিন্তু ২০২৫ সাল থেকে অবৈধভাবে আমেরিকা যাওয়ার সব রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে। যার কারনে এখন মানুষ বৈধভাবে আমেরিকা যাওয়ার প্রকাশ করছে। এইজন্য আমেরিকা যাওয়ার জন্য যোগ্যতার প্রয়োজন হয়। যোগ্যতা না থাকলে আমেরিকা যেতে পারবেন না। আমেরিকা ভিসা পাওয়ার যোগ্যতা গুলো হলঃ 
  • আমেরিকার স্টুডেন্ট ভিসা, আমেরিকার ভিজিট ভিসা,আমেরিকার কাজের ভিসা। এই ভিসা গুলোর জন্য যোগ্যতার প্রয়োজন হয়।
  • আমেরিকার স্টুডেন্ট ভিসার জন্য সর্বনিম্ন বয়স ১৪ হতে হবে। আর সর্বোচ্চ বয়স ৭৯ এর মধ্যে যেতে হবে এরাই স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার যোগ্য হবে।
  • আমেরিকার ভিজিট ভিসার জন্য আবেদনকারীর বয়সের কোন নির্দিষ্ট সীমা নেই।
  • আমেরিকার কাজের ভিসার জন্য প্রতিষ্ঠানের কাজের সার্কুলার অনুযায়ী আবেদন করতে পারবেন। তবে কাজ অনুযায়ী সর্বনিম্ন বয়স হতে হবে ১৮ থেকে২১ বছর।
অনেকের মনে আমেরিকা নিয়ে অনেক স্বপ্ন আছে কেউবা কাজের উদ্দেশ্যে কেউবা ভ্রমণের উদ্দেশ্যে আবার কেউবা উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ার জন্য আমেরিকা যাওয়ার জন্য স্বপ্ন দেখে। তাই তাদের যদি যোগ্যতা থেকে থাকে তাহলে তারা তাদের উদ্দেশ্য অনুযায়ী ভিসা গুলো পেয়ে থাকবে।

বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যেতে কত টাকা লাগে

দেশ থেকে আমেরিকা যেতে আনুমানিক প্রায় ১৫ থেকে ৩০ লক্ষ্য টাকা লাগে। তবে কেউ যদি স্টুডেন্ট ভিসায় যেতে চায় সেক্ষেত্রে তার খরচ লাগে ৫ থেকে ১৫ লক্ষ টাকার মধ্যেই যাওয়া সম্ভব। আমেরিকা পৃথিবীর অন্যতম সুন্দর দেশ এবং শক্তিশালী দেশ। 

বিশ্বের অধিকাংশ অর্থনৈতিক ও প্রশাসনিক শক্তির উৎস হল আমেরিকা। বাংলাদেশের যারা বসবাস করে তারা সবাই আমেরিকায় যাওয়ার স্বপ্ন দেখে। 

তাই সবাই আমেরিকা বিভিন্ন উদ্দেশ্যেই যেয়ে থাকে কেউ কাজ করতে যায়, কেউ পড়াশোনার জন্য যায়, কেউবা আবার চিকিৎসা, ভ্রমণের উদ্দেশ্যেও, যেয়ে থাকে। এজন্য আমেরিকা কে সবচেয়ে সুন্দর দেশ বলা হয়ে থাকে।

IELTS এ কত পেলে স্কলারশিপ পাওয়া যায়

IELTS-এ কত স্কোর পেলে স্কলারশিপ পাওয়া যায় তা নির্ভর করে যে বিশ্ববিদ্যালয় বা প্রতিষ্ঠানে আবেদন করবেন তার শর্তের উপর। সাধারণত, স্কলারশিপ পাওয়ার জন্য ভালো একাডেমিক রেজাল্টের পাশাপাশি IELTS-এ একটি ভালো স্কোর থাকা জরুরি।

সাধারণ দিকনির্দেশনাঃ

১। সাধারণত ৬.৫ থেকে ৭.০+ স্কোর দরকার

* বেশিরভাগ স্কলারশিপের জন্য IELTS স্কোর ৬.৫ বা তার বেশি প্রয়োজন হয়।

* কিছু ক্ষেত্রে ৭.০ বা তার বেশি স্কোর থাকলে প্রতিযোগিতায় এগিয়ে থাকা যায়।

২। বিভিন্ন স্কলারশিপ প্রোগ্রামে ভিন্ন স্কোর প্রয়োজন হতে পারে

* চেভেনিং স্কলারশিপ (Chevening Scholarship): IELTS স্কোর ৬.৫ বা বেশি।

* DAAD স্কলারশিপ (জার্মানি): IELTS স্কোর ৬.০ থেকে ৭.০।

* কমনওয়েলথ স্কলারশিপ: স্কোর সাধারণত ৬.৫ বা তার বেশি চাওয়া হয়।

* ইরাসমাস মুনডুস স্কলারশিপ: প্রোগ্রামের উপর নির্ভর করে, তবে সাধারণত ৬.৫ বা ৭.০+।

৩। সেকশনাল রিকোয়ারমেন্টঃ

কিছু স্কলারশিপ প্রোগ্রামে প্রতিটি সেকশনে (Reading, Writing, Listening, Speaking) ন্যূনতম স্কোর থাকতে হবে, যেমন ৬.০ বা তার বেশি।

গুরুত্বপূর্ণ টিপসঃ

* যে স্কলারশিপে আবেদন করতে চান, সেটির অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে নির্দিষ্ট IELTS রিকোয়ারমেন্ট দেখুন।

* ভালো স্কোরের পাশাপাশি একাডেমিক রেজাল্ট, SOP (Statement of Purpose), রেফারেন্স লেটারও গুরুত্বপূর্ণ।

আমেরিকান বিশ্ববিদ্যালয়ে কি আইইএলটিএস লাগে

আমেরিকান বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য সাধারণত TOEFL বা IELTS স্কোর জমা দিতে হয়, যদি আপনার মাতৃভাষা ইংরেজি না হয়। তবে এটি নির্ভর করে বিশ্ববিদ্যালয় এবং প্রোগ্রামের উপর। 

কিছু বিশ্ববিদ্যালয় IELTS এর পরিবর্তে TOEFL, Duolingo English Test, অথবা অন্যান্য বিকল্প গ্রহণ করে। আবার, অনেক ক্ষেত্রে যদি আপনার মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাগ্রহণ ইংরেজি মাধ্যমে হয়ে থাকে, তাহলে তারা ইংরেজি দক্ষতার প্রমাণ চাওয়া নাও লাগতে পারে।

IELTS এর প্রয়োজনীয়তা এড়ানোর কিছু সাধারণ শর্ত

১। আপনার মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বা স্নাতক পড়াশোনা যদি ইংরেজি মাধ্যমে হয়ে থাকে।

২। কিছু বিশ্ববিদ্যালয় Duolingo English Test বা TOEFL iBT এর মতো বিকল্প গ্রহণ করে।

৩। নির্দিষ্ট কিছু প্রোগ্রামে ভাষা দক্ষতার প্রমাণ চাওয়া নাও হতে পারে।

বিশেষ করে যেই বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করতে চান, তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট চেক করুন বা অ্যাডমিশন অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।

আইইএলটিএস ছাড়া কি আমেরিকায় পড়াশোনা করা যায়

হ্যাঁ, আইইএলটিএস ছাড়া আমেরিকায় পড়াশোনা করা সম্ভব। তবে এর জন্য কিছু বিশেষ পরিস্থিতি এবং বিকল্প রয়েছে, যেমনঃ

১। ইংরেজি মাধ্যমের শিক্ষাগত পটভূমিঃ যদি আপনিইংরেজি মাধ্যমে উচ্চ মাধ্যমিক বা স্নাতক পর্যায়ে পড়াশোনা করে থাকেন, তাহলে অনেক বিশ্ববিদ্যালয় আপনাকে আইইএলটিএস বা টোফেল ছাড়াই ভর্তি গ্রহণ করতে পারে।

২। ইংলিশ প্রফিসিয়েন্সি টেস্ট বাদে অন্য পরীক্ষাঃ কিছু বিশ্ববিদ্যালয় নিজস্ব ইংলিশ প্রফিসিয়েন্সি টেস্ট নেয়, যা আইইএলটিএস বা টোফেলের বিকল্প হিসেবে গ্রহণযোগ্য।

৩। কন্ডিশনাল অ্যাডমিশন প্রোগ্রামঃ অনেক বিশ্ববিদ্যালয় কন্ডিশনাল অ্যাডমিশন প্রদান করে, যেখানে আপনাকে তাদের ইংরেজি ভাষার কোর্স (ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ প্রোগ্রাম) সম্পন্ন করতে হবে।

৪। ডুয়োলিঙ্গো টেস্ট বা PTE:  কিছু বিশ্ববিদ্যালয় ডুয়োলিঙ্গো ইংলিশ টেস্ট বা পিয়ারসন টেস্ট অফ ইংলিশ (PTE) গ্রহণ করে। এটি তুলনামূলক সহজ এবং কম খরচে করা যায়।

৫। বিশেষ চুক্তি বা স্কলারশিপ প্রোগ্রামঃ কিছু স্কলারশিপ প্রোগ্রাম বা শিক্ষাগত অংশীদারিত্বের অধীনে ভাষা দক্ষতার প্রমাণ প্রয়োজন হয় না।

IELTS করতে কত টাকা লাগে

IELTS পরীক্ষার জন্য খরচ সাধারণত 18,000 থেকে 22,000 টাকা পর্যন্ত হয়, যা পরীক্ষার ধরন এবং কেন্দ্রভেদে ভিন্ন হতে পারে। বাংলাদেশে ব্রিটিশ কাউন্সিল, IDP, বা অন্য অনুমোদিত সংস্থা থেকে IELTS পরীক্ষার ফি নির্ধারণ করা হয়।

IELTS পরীক্ষা দিতে হলে কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হবে এবং খরচ ছাড়াও অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্য জেনে নেওয়া দরকার। এখানে বিস্তারিত দেওয়া হলোঃ

১। IELTS পরীক্ষার ফি (বাংলাদেশে)

IELTS Academic বা General Training

ফিঃ ২১,০০০ টাকা (প্রায়)। এটি সাধারণত শিক্ষার্থী এবং অভিবাসনের জন্য প্রয়োজন হয়।

IELTS for UKVI (UK Visa and Immigration)

ফিঃ ২৪,০০০ টাকা (প্রায়)। এটি যুক্তরাজ্যে কাজ, পড়াশোনা বা বসবাসের জন্য নির্দিষ্ট।

IELTS Life Skills (A1 বা B1)

ফিঃ ১৯,০০০ টাকা (প্রায়)। এটি নির্দিষ্ট ভিসা আবেদনের জন্য ব্যবহার হয়।

২। পরীক্ষার কেন্দ্র

বাংলাদেশে প্রধানত ব্রিটিশ কাউন্সিল এবং IDP বাংলাদেশ IELTS পরীক্ষা পরিচালনা করে। কেন্দ্রগুলো ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেটসহ বিভিন্ন শহরে রয়েছে।

৩। পরীক্ষার ধরন

* পেপার-বেইসড IELTS: প্রশ্নপত্রের উত্তর লিখতে হয়।

* কম্পিউটার-বেইসড IELTS: কম্পিউটারে উত্তর দিতে হয়।

* স্পিকিং টেস্টঃ মুখোমুখি সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে নেওয়া হয়।

৪। রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া

* ব্রিটিশ কাউন্সিল বা IDP-এর ওয়েবসাইট থেকে সরাসরি রেজিস্ট্রেশন করা যায়।

প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস

* পাসপোর্ট (পরিচয়পত্র)।

* রেজিস্ট্রেশন ফি।

৫। অতিরিক্ত খরচ

* প্রস্তুতিমূলক কোর্স (যদি নেন): ৫,০০০-২০,০০০ টাকা।

* স্টাডি ম্যাটেরিয়াল: ১,৫০০-৫,০০০ টাকা।

* পরীক্ষার পুনর্মূল্যায়ন (যদি প্রয়োজন হয়): প্রায় ১০,০০০-১২,০০০ টাকা।

৬। ফলাফল

পরীক্ষার ফলাফল সাধারণত পরীক্ষার ১৩ দিন পর (পেপার-বেইসড) বা ৩-৫ দিন পর (কম্পিউটার-বেইসড) প্রকাশিত হয়।

আপনার নির্দিষ্ট প্রয়োজন অনুযায়ী প্রস্তুতি নিতে এবং বাজেট নির্ধারণ করতে ব্রিটিশ কাউন্সিল বা IDP বাংলাদেশের অফিসিয়াল সাইটে বিস্তারিত যাচাই করতে পারেন।

আমেরিকার স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার যোগ্যতা

শিক্ষা গ্রহণের জন্য আমেরিকার বিশ্বের অন্যতম দেশ। আপনি যদি শিক্ষা গ্রহণের জন্য আমেরিকা যেতে চান সেক্ষেত্রে আপনার যদি সে যোগ্যতা থাকে তাহলে আপনি খুব সহজেই আমেরিকার স্টুডেন্ট ভিসা পেতে পারেন। আর এই আমেরিকার স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার জন্য যে যোগ্যতা গুলো প্রয়োজন সেগুলো হলোঃ 
  • আপনার প্রথমে একটি বৈধ পাসপোর্ট লাগবে ।
  • এরপর আপনার আমেরিকা কোন ভর্তি প্রতিষ্ঠান একটি বৈধ লেটার বা আবেদনপত্র লাগবে।
  • আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেটগুলো লাগবে।
  • আপনি ইংরেজি শিক্ষায় পারদর্শী নাকি সে বিষয়ে আপনার সার্টিফিকেট লাগবে। (IELTS,TOEFL, GRE)
  • শিক্ষার্থীর বয়সসীমা ১৪- ৭৯ বছরের মধ্যে হতে হবে।
  • থাকা খাওয়ার, টিউশন এবং অন্যান্য খরচ বহন করার সামর্থ্য প্রমাণ (ব্যাংক স্টেটমেন্ট, স্কলারশিপ) এগুলোর প্রয়োজন হয়ে থাকে।
  • শিক্ষা শেষে দেশে ফিরে যাওয়ার পরিকল্পনা এবং কর্মজীবনের লক্ষ্য থাকতে হবে।
  • আপনার পুলিশ ভেরিফিকেশন সার্টিফিকেট ও থাকতে হবে।
  • আপনার মেডিকেল রিপোর্ট সার্টিফিকেট থাকতে হবে।
এই যোগ্যতা গুলো থাকলে আপনি খুব সহজেই আমেরিকার স্টুডেন্ট ভিসা পেয়ে যাবেন।

আমেরিকার ভিজিট ভিসা পাওয়ার যোগ্যতা

স্বপ্নের দেশ আমেরিকা ভ্রমণ করার সবারই অনেক ইচ্ছা থাকে। এজন্য অনেকেই ভেবে থাকেন আমেরিকা ভ্রমণ করা অনেক কঠিন। আবার অনেকেই ভাবেন ভিসা পাওয়া অনেক কঠিন। কিন্তু আপনার সঠিক যোগ্যতা ও তথ্য থাকলে আপনি খুব সহজেই আমেরিকার ভিজিট ভিসা পেয়ে যাবেন। 

আমেরিকা যাওয়ার ভিজিট ভিসার জন্য আপনার যে সব যোগ্যতা লাগবে সেগুলো হলঃ
  • আপনি যে সেখানে ট্রাভেল এর উদ্দেশ্যে যাচ্ছেন সে ট্রাভেল রেকর্ডের প্রমাণ লাগবে।
  • আপনার বৈধ পাসপোর্ট লাগবে
  • আপনার ইংরেজি দক্ষতার সার্টিফিকেট লাগবে
  • আপনার ব্যাংক স্টেটমেন্ট লাগবে
  • আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট লাগবে।
  • পুলিশ ভেরিফিকেশন সার্টিফিকেট লাগবে আপনার।
  • আপনার মেডিকেল রিপোর্ট সার্টিফিকেট লাগবে।
এই যোগ্যতাগুলো থাকলে আপনি খুব সহজেই আমেরিকার ভিজিট ভিসা পেয়ে যাবেন।

আমেরিকার কাজের ভিসা পাওয়ার যোগ্যতা

যারা কাজের জন্য অর্থ উপার্জনের জন্য আমেরিকা যেতে চান তারা কাজের ভিসার মাধ্যমে আমেরিকা যেতে পারবেন। অনেকের মনেই এই আমেরিকা নিয়ে এক অদ্ভুত আকর্ষণ। 

উন্নত জীবনযাপন, আকর্ষণীয় বেতন, এবং পেশাগত উন্নয়নের সুযোগ এই সব কিছু কাজের ক্ষেত্রেই আমেরিকাকে আরো আকর্ষণ করে তোলে। এই স্বপ্নের দেশে কর্মজীবন শুরু করার জন্য প্রথমেই প্রয়োজন আপনার কাজের ভিসা। আর এই কাজের ভিসা পাওয়ার জন্য আপনার কিছু যোগ্যতার প্রয়োজন হবে। 

আমেরিকার কাজের ভিসা পাওয়ার জন্য আপনার যে যোগ্যতা গুলো প্রয়োজন সেগুলো হলোঃ
  • প্রথমেই আপনার বৈধ পাসপোর্ট লাগবে।
  • আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট লাগবে (এইচ এস সি)
  • আপনার ইংরেজি ভাষার দক্ষতার সার্টিফিকেট লাগবে।
  • পুলিশ ভেরিফিকেশন সার্টিফিকেট লাগবে।
  • মেডিকেল রিপোর্ট সার্টিফিকেট লাগবে।
  • আমেরিকার কোন চাকরির প্রতিষ্ঠান থেকে চাকরির অফার লেটার বা আবেদন পত্র।
  • স্কিল সার্টিফিকেট লাগবে।
  • আপনার কাজের অভিজ্ঞতার প্রমাণ লাগবে।
আপনার এই যোগ্যতা গুলো থাকলে আপনি খুব সহজেই কাজের উদ্দেশ্যে আমেরিকার কাজের ভিসা পেয়ে যাবেন।

আমেরিকার কাজের ভিসার খরচ কত

সাধারণভাবে কাজের ভিসার ক্ষেত্রে আমেরিকার ভিসার খরচ সবচেয়ে বেশি। এই ভিসা পাওয়ার জন্য অনেক কঠিন তাই। তাই এই ভিসা পাওয়া অনেক কঠিন ও জটিল প্রক্রিয়া। তাই কাজের ভিসা পাওয়ার জন্য কোম্পানির জব অফার লাগবে। 

এরপর আমেরিকাতে আইনজীবী নিয়োগ করে ওয়ার্ক পারমিট করতে হয়। কাজের ভিসার ক্ষেত্রে আমেরিকা যেতে প্রায় ২৫ লক্ষ্য টাকা থেকে ৩৫ লক্ষ্য টাকা লাগে। 

আপনার যদি পরিচিত কেউ আমেরিকাতে থেকে থাকে সে ক্ষেত্রে আপনার কম খরচে লাগতে পারে কিন্তু যদি আপনি কোন দালালের মাধ্যমে পড়ে যান সে ক্ষেত্রে আপনার বেশি টাকা লাগবে। 

এজন্য আপনার উচিত ভালো মাধ্যমে আমেরিকাতে যাওয়া। তাহলে আপনার কম খরচ এর মধ্যে আপনি আমেরিকা তে খুব ভালোভাবে যেতে পারবেন। আপনার কোন সমস্যা হবে না।

আমেরিকা যেতে কত বছর বয়স লাগে

অনেকেই অনেক কারণে আমেরিকা যেয়ে থাকে সে ক্ষেত্রে তার বয়স সেরকম অনুযায়ী লাগে। কেউ আমেরিকা যেতে চান উচ্চশিক্ষার জন্য, কেউ ভিজিট ভিসার জন্য, কেউবা চাকরির সুযোগের জন্য আমেরিকা যায়। আমেরিকা যেতে কত বছর লাগে তা হলঃ 

কাজের ভিসার ক্ষেত্রে

কাজের ভিসার ক্ষেত্রে আমেরিকা যেতে বয়স লাগে প্রতিষ্ঠানের চাকরির সার্কুলার অনুযায়ী সর্বনিম্ন বয়স ১৮ থেকে ২১ বছর হয়ে থাকে।

স্টুডেন্ট ভিসার ক্ষেত্রে

স্টুডেন্ট ভিসার ক্ষেত্রে আমেরিকা যেতে বয়স লাগে আবেদনকারীর বয়স কমপক্ষে 14 বছর হতে হবে।

ভিজিট ভিসার ক্ষেত্রে

ভিজিট ভিসার ক্ষেত্রে আমেরিকা যেতে আবেদনকারীর বয়সের কোন নির্দিষ্ট সীমা নেই। যেকোনো বয়সের মানুষ ভিজিট ভিসার ক্ষেত্রে আমেরিকা যেতে পারবে।

আমেরিকা যেতে ielts কত পয়েন্ট লাগে সম্পরর্কে বহুল জিজ্ঞাসিত কিছু ছোট প্রশ্ন এবং উত্তরঃ

১। IELTS কি স্কলারশিপের জন্য একমাত্র শর্ত?

উত্তর : না, স্কলারশিপ পাওয়ার জন্য একাডেমিক রেজাল্ট, গবেষণা প্রস্তাব, এবং অন্যান্য যোগ্যতাও প্রয়োজন।

২। IELTS প্রস্তুতির জন্য কতদিন সময় লাগে?

উত্তর : এটি ব্যক্তির উপর নির্ভরশীল। গড়ে ২-৩ মাস সময় যথেষ্ট হতে পারে।

৩। IELTS পরীক্ষার ধরন কী?

উত্তর : দুটি ধরন রয়েছে-Academic (শিক্ষার জন্য) এবং General Training (ইমিগ্রেশনের জন্য)।

৪। IELTS এর স্কোর কতদিন বৈধ থাকে?

উত্তর : স্কোর দুই বছরের জন্য বৈধ।

৫। IELTS রিটেক করা যায় কি?

উত্তর : হ্যাঁ, পরীক্ষায় আশানুরূপ ফল না পেলে আপনি পুনরায় পরীক্ষা দিতে পারেন।

৬। IELTS পরীক্ষার জন্য কি বয়সসীমা আছে?

উত্তর : IELTS পরীক্ষার জন্য নির্দিষ্ট কোন বয়সসীমা নেই। তবে সাধারণত ১৬ বছর বা তার বেশি বয়সের পরীক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করতে পারে।

পরিশেষেঃ আমেরিকা যেতে ielts কত পয়েন্ট লাগে ও বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যেতে কত টাকা লাগে

আশাকরি আপনারা আমেরিকা যাওয়ার ক্ষেত্রে বিভিন্ন তথ্য বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। এইরকম তথ্য পেতে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন এবং আমাদের সার্ভিস সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

জানবো আমরা ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url