দক্ষিণ কোরিয়ায় মসজিদের সংখ্যা কত ও দক্ষিণ কোরিয়ার মুসলমানদের বসবাস কোথায় জানুন
দক্ষিণ কোরিয়ায় মসজিদের সংখ্যা কত ও দক্ষিণ কোরিয়ার মুসলমানদের বসবাস কোথায় এসব নিয়েই আজকের আর্টিকেল। দক্ষিণ কোরিয়ার মুসলমানদের বসবাস কোথায় ও দক্ষিণ কোরিয়ায় মসজিদের সংখ্যা কত জানার জন্য ভালোভাবে পড়ুন আর্টিকেলটি। দেরি না করে দক্ষিণ কোরিয়ায় মসজিদের সংখ্যা কত এবং দক্ষিণ কোরিয়ার মুসলমানদের বসবাস কোথায় জানা যাক চলুন।
 |
| দক্ষিণ কোরিয়ায় মসজিদের সংখ্যা কত ও দক্ষিণ কোরিয়ার মুসলমানদের বসবাস কোথায়। |
দক্ষিণ কোরিয়ায় মসজিদের সংখ্যা কত ও দক্ষিণ কোরিয়ার মুসলমানদের বসবাস কোথায় জানার পাশাপাশি দক্ষিণ কোরিয়া মুসলিম জনসংখ্যা কত তা জানবেন। তাছাড়াও উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় ধর্ম কি ও দক্ষিণ কোরিয়া কি মুসলিমদের জন্য নিরাপদ কিনা তাও জানবেন।
সূচিপত্রঃ দক্ষিণ কোরিয়ায় মসজিদের সংখ্যা কত ও দক্ষিণ কোরিয়ার মুসলমানদের বসবাস কোথায়।
ভূমিকাঃ
আপনারা এই আর্টিকেল থেকে দক্ষিণ কোরিয়া সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য জানতে পারবেন। দক্ষিণ কোরিয়ায় কি ধর্মীয় স্বাধীনতা আছে এই বিষয়টিও অন্তর্ভুক্ত থাকবে আর্টিকেলটিতে। তাহলে চলুন দক্ষিণ কোরিয়ার মুসলমানদের বসবাস কোথায় জানার আগে দক্ষিণ কোরিয়ায় মসজিদের সংখ্যা কত জানা যাক।
দক্ষিণ কোরিয়ার মসজিদ
দক্ষিণ কোরিয়ার দেশটি হল নাগরিক সুবিধা ও উন্নত জীবন যাপনের দেশ। দক্ষিণ কোরিয়া দেশটিতে মুসলিম জনসংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। দক্ষিণ কোরিয়ায় বাইরের দেশ থেকে যারা কাজ করতে আসে তাদের মধ্যে অনেকেই মুসলমান।
তাই সেখানকার মুসলমান সংখ্যা বর্তমানে হয়েছে ৬০ হাজার স্থায়ী ও দেড় লাখ বিদেশি কর্মজীবী মুসলমান বাস করে দেশটিতে। তাই দক্ষিণ কোরিয়ায় বর্তমানে এখন মসজিদের সংখ্যা রয়েছে 15 টি, আবার পাঁচটি ইসলামিক সেন্টার ও নামাজের স্থান একশটি রয়েছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রথম মসজিদটির নাম হল হেনাম ডং। এটি অবস্থিত দক্ষিণ কোরিয়ার শিউলি। ১৯৭৪ সালে অক্টোবর মাসে মসজিদটি নির্মাণ কাজ শুরু হয়। মসজিদটি নির্মাণের অর্থ কয়েকটি মুসলিম দেশের অর্থায়নে শুরু করা হয়।
মসজিদটি দেখতে সুন্দর বলে মসজিদটিকে বিশ্বের অন্যতম ও সুন্দর মসজিদ হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছে। নামাজের জন্য নির্ধারিত স্থানটি ৪২৭ বর্গমিটার প্রশস্ত দ্বিতীয় তলাটি নামাজের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
মহিলাদের জন্য তৃতীয় তলা নামাজের ব্যবস্থা করা হয় আর প্রথম তলায় রয়েছে মিটিং রুম ও কোরিয়ান মুসলিম ফেডারেশনের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে। পুরা মসজিদের বাইরে ১৩৬২ বর্গমিটারের দুই তলা ভবনটিকে মিলনায়তনের জন্য ব্যবহার করা হয়।
এই ভবনটির তৃতীয় তলায় আবার নির্মাণ করা হয় উন্নত ব্যাংকের আর্থিক সহায়তায়। মিলন আয়তনে বর্তমানে এখন মাদ্রাসা পরিচালনা ও (এডুকেশন ইনস্টিটিউশন ফর মুসলিম চিলড্রেন) এই অন্যান্য কাজগুলো সম্পাদনে এটি ব্যবহার করা হচ্ছে। দক্ষিণ কোরিয়ার মসজিদ সম্পর্কে কিছু তথ্য জানলেন দক্ষিণ কোরিয়ার মসজিদের সংখ্যা কত তা জানা যাক চলুন।
দক্ষিণ কোরিয়ার মসজিদের সংখ্যা কত
ইসলাম ধর্ম পালনে মুসলমানদের জন্য দক্ষিণ কোরিয়া ১৭টি মসজিদ রয়েছে। ইসলাম ধর্ম পালনে ছয়টি ইসলামিক সেন্টার রয়েছে। যেখানে ইসলামী শিক্ষা দেওয়া হয়। এছাড়াও রয়েছে নামাজের জন্য দেশটিতে ১১০ টি স্থানের ব্যবস্থা।
১৯৬৯ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার সরকার জমি বরাদ্দ দিয়েছে মসজিদ ও ইসলামের সেন্টার গড়ে তোলার জন্য। দক্ষিণ কোরিয়ার ঐতিহ্য বহন করে এসেছে সিউল কেন্দ্রীয় মসজিদ টি। দক্ষিণ কোরিয়ায় দেশটিতে ৭০ হাজার মানুষ ইসলাম ধর্ম পালন করে।
আবার যারা বিভিন্ন দেশ থেকে দক্ষিণ কোরিয়ায় শ্রমিক হিসেবে বা বিভিন্ন কাজের উদ্দেশ্যে যায় তাদের সংখ্যা প্রায় মুসলিম এর দেড় লাখের মতো। দক্ষিণ কোরিয়ার মসজিদের সংখ্যা কত জেনে নিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার মুসলমানদের বসবাস কোথায় সেই বিষয়টা এইবার জানা যাক তাহলে।
দক্ষিণ কোরিয়ার মুসলমানদের বসবাস কোথায়
দক্ষিণ কোরিয়ার বেশিরভাগ মুসলিমরাই সিউলে বসবাস করে। সিউল হলো দক্ষিণ কোরিয়ার বৃহত্তম শহর ও রাজধানী। বিশ্বের দশটি ধনী শহরের মধ্যে সিউল হল একটি। সেখানে মুসলমান জনসংখ্যা দিনদিনই বৃদ্ধি পাচ্ছে।
তাই দক্ষিণ কোরিয়ার সবচেয়ে বড় মসজিদটি সিউলে অবস্থিত। এছাড়াও দক্ষিণ কোরিয়ার অন্যান্য শহরগুলোতেও ছোট ছোট মসজিদ রয়েছে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছোট মসজিদ ও করা হয়েছে। এখানে শব্দ দূষণের আইনটি খুব কঠিন বলে জানা যায়।
তাই বলা যায় যে কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া ধর্ম পালনের কোনরকম বাজে উচ্চ শব্দ সেখানে করা যাবে না। তাই বলা হয় এটি শুধুমাত্র ধর্ম পালনও নয় সব ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। দক্ষিণ কোরিয়ার মুসলমানদের বসবাস কোথায় বুঝতে পারলেন আশাকরি দক্ষিণ কোরিয়ার মুসলিম জনসংখ্যা কত তা পড়ে নিন এখন চলুন।
দক্ষিণ কোরিয়ার মুসলিম জনসংখ্যা কত
দক্ষিণ কোরিয়ার অধিকাংশ মুসলিম সিউল এ বসবাস করে। তাই দক্ষিণ কোরিয়া সারাদেশে অনেক কয়টি মসজিদ রয়েছে। প্রায় ১০০,০০০ মুসলমান বাস করে দক্ষিণ কোরিয়ায়। এদের মধ্যে রয়েছে ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ বিদেশীরা।
আর মোট মুসলিম জনসংখ্যা ৪০% বাস করে সিউলে। এই দেশটিতে প্রতিবছর মুসলমানদের জন্য দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রমজান মাসে ইফতারের আয়োজন করে থাকে। এভাবে দেশটিতে মুসলিম জনসংখ্যার হার বৃদ্ধি পাচ্ছে।
আবার যারা শ্রমিক হিসাবে বাইরের দেশ থেকে কাজ করতে আসে প্রবাসী তাদের মধ্যে অনেকেই মুসলিম। তাই দেশটিতে প্রবাসী মুসলিমদের সংখ্যা ও অনেক দিন যাচ্ছে বৃদ্ধি পাচ্ছে। দক্ষিণ কোরিয়ার মুসলিম জনসংখ্যা কত জানালাম আপনাদের উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় ধর্ম কি সেই সম্পর্কে কিছু তথ্য জেনে নিন এখন।
উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় ধর্ম কি
উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় ধর্ম বলতে সরকার দ্বারা পছন্দ করা একমাত্র ধর্ম হলো চন্ডোইজম। এর আবার রাজনৈতিক প্রতিনিধিত্ব রয়েছে কারণ স্বর্গীয় পথের তরুণ দ্বারা পার্টি হিসেবে রাজনৈতিক দল তাই। পূর্ব এশিয়ার রাষ্ট্র হল উত্তর কোরিয়া।
২০২০ সালের ধর্ম অনুযায়ী সেখানকার ধর্মীয় জনসংখ্যা ৭৩% হলো ধর্মহীন, চন্ডোইজম ধর্ম এর সংখ্যা হল ১৩%,শামানিজম এর সংখ্যা হল ১২%,বৌদ্ধ ধর্ম এর সংখ্যা হল ১.৫% এবং অন্যান্য ধর্মাম্বলির সংখ্যা হল ০.৫%। উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় ধর্ম কি পড়েছেন দক্ষিণ কোরিয়া কি মুসলিমদের জন্য নিরাপদ তা জানা যাক তাহলে এখন।
দক্ষিণ কোরিয়া কি মুসলিমদের জন্য নিরাপদ
বলা যায় যে দক্ষিণ কোরিয়াতে কোন ঘৃণাত্মক বা খারাপ ব্যবহারের মত কোন গোষ্ঠী বসবাস করে না। তাই মুসলিমদের সাথে খুব সামান্যই সন্ত্রাসী সম্পর্ক রয়েছে। তা নাই বললেই চলে। তাই আপনি যদি সর্বদা সৌজন্যমূলক এবং ন্যায় সঙ্গত আচরণ করা হবে বলে মনে করা যায়।
এই দিক থেকে আপনি নিরাপদে থাকবেন। মুসলিমদের সংখ্যা দক্ষিণ কোরিয়াতে খুবই কম ধরা যায়। দক্ষিণ কোরিয়াতে বর্তমানে জানা যায় যে দেড় লক্ষাধিক মুসলিম রয়েছে এর মধ্যে বেশিরভাগই অভিবাসী। অনেকেই আবার বলেন দক্ষিণ কোরিয়াতে ইসলাম পালন করা অনেক কঠিন।
তাই যতই কঠিন হোক অনেকেই তাদের ইসলামের শান্তির জন্য এই ধর্মই পালন করে যায়। আর এভাবেই দক্ষিণ কোরিয়াতে ইসলামের সামাজিক মাধ্যম নানা আঙ্গিকে ইসলামকে তুলে ধরার চেষ্টা করে। দক্ষিণ কোরিয়া কি মুসলিমদের জন্য নিরাপদ জেনেছেন দক্ষিণ কোরিয়ায় কি ধর্মীয় স্বাধীনতা আছে এই বিষয় টাও আপনার জানা প্রয়োজন।
দক্ষিণ কোরিয়ায় কি ধর্মীয় স্বাধীনতা আছে
দক্ষিণ কোরিয়ার ধর্ম সাধারণত সরকারের অনুশীলন হিসেবে অধিকার কে সম্মান করে। তাই যে যার ধর্ম স্বাধীনভাবে এখানে পালন করতে পারে। তাই সবাই বলে দক্ষিণ কোরিয়ার ধর্মীয় স্বাধীনতা খুব ভালো। অন্যান্য আরো যেকোন দেশ রয়েছে সেগুলো থেকে অনেক ভালো।
এইখানে ধর্ম পালনের কোনরকম বাধা দেওয়া হয় না। যে যার ধর্ম নিয়ম মেনে সুন্দর ভাবে পালন করতে পারে। তাই বলা যায় দক্ষিণ কোরিয়ায় আজ পর্যন্ত কোনরকম ধর্ম নিয়ে সহিংসতা হয়নি। দক্ষিণ কোরিয়ায় কি ধর্মীয় স্বাধীনতা আছে ও দক্ষিণ কোরিয়ায় মসজিদের সংখ্যা কত সবই জানালাম আপনাদের।
পরিশেষেঃ দক্ষিণ কোরিয়ায় মসজিদের সংখ্যা কত ও দক্ষিণ কোরিয়ার মুসলমানদের বসবাস কোথায়
আশাকরি দক্ষিণ কোরিয়া সম্পর্কে উপরোকত তথ্য গুলো ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন। এইরকম তথ্য পেতে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন।
জানবো আমরা ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url