বিদেশ থেকে বিকাশে টাকা আসতে কতদিন সময় লাগে ও পাঠানোর নিয়ম
বিদেশ থেকে বিকাশে টাকা পাঠানোর নিয়ম বিদেশ থেকে বিকাশে টাকা আসতে কতদিন সময়
লাগে ও বিদেশ থেকে বিকাশে টাকা পাঠানোর খরচ কত এই বিষয়গুলো নিয়েই আজকের আর্টিকেল।
বিদেশ থেকে বিকাশে টাকা পাঠানোর খরচ কত ও বিদেশ থেকে বিকাশে টাকা আসতে কতদিন সময়
লাগে জানার জন্য ভালোভাবে পড়ুন।
বিদেশ থেকে বিকাশে টাকা আসতে কতদিন সময় লাগে। |
বিদেশ থেকে বিকাশে টাকা আসতে কতদিন সময় লাগে জানার পাশাপাশি বিকাশে রেমিটেন্স
বোনাস কত তা জানতে পারবেন।
সূচিপত্রঃ বিদেশ থেকে বিকাশে টাকা আসতে কতদিন সময় লাগে।
- বিদেশ থেকে বিকাশে টাকা আসতে কতদিন সময় লাগে
- বিদেশ থেকে বিকাশে টাকা পাঠানোর নিয়ম বা উপায়
- লেনদেনের সময় দ্রুত করার টিপস।
- বিদেশ থেকে বিকাশে টাকা পাঠানোর খরচ
- বিদেশ থেকে বিকাশে টাকা পাঠানোর সময় সাধারণত নিম্নলিখিত ধাপগুলো অনুসরণ করতে হয়।
- লেনদেনের অবস্থা ট্র্যাক করার উপায়
- বিদেশ থেকে দিনে কত টাকা পাঠানো যায়?
- বিকাশে রেমিটেন্স বোনাস কত?
- বিকাশের রেমিটেন্স বোনাস সম্পর্কে আরো কিছু বিস্তারিত তথ্য।
- বিদেশ থেকে বিকাশে টাকা আসতে কতদিন সময় লাগে সম্পর্কে কিছু প্রশ্ন এবং তার উত্তর।
বিদেশ থেকে বিকাশে টাকা আসতে কতদিন সময় লাগে
বিদেশ থেকে প্রবাসী ভাইবোনেরা নিজের আত্মীয়-স্বজন বন্ধুবান্ধব এবং কাছের মানুষের
কাছে টাকা পাঠিয়ে থাকে। আর বিদেশ থেকে টাকা পাঠানোর সবচেয়ে সহজ উপায় হচ্ছে
বিকাশ অ্যাপের মাধ্যমে। আমরা অনেকেই জানি না বিদেশ থেকে বিকাশ অ্যাপের মাধ্যমে
টাকা আসতে কত দিন সময় লাগে।
বিদেশ থেকে বিকাশ অ্যাপের মাধ্যমে টাকা আসতে সাধারণত কয়েক সেকেন্ডের থেকে ৩০
মিনিট পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে এটি ২৪ থেকে ৪৮ ঘন্টা
সময় পর্যন্ত সময় নিয়ে থাকে। এটি নির্ভর করে প্রেরণকারীর দেশের ব্যাংক এবং
লেনদেনের সময়সূচির ওপর।
বিদেশ থেকে বিকাশে টাকা পাঠানোর নিয়ম বা উপায়
বিদেশ থেকে বিকাশে টাকা পাঠানোর জন্য কিছু নির্দিষ্ট উপায় রয়েছে। নিচে
বিস্তারিত ধাপে ধাপে দেওয়া হলোঃ
১। বিকাশের অনুমোদিত রেমিট্যান্স পার্টনারদের মাধ্যমে
বিকাশ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক রেমিট্যান্স পার্টনারের সাথে কাজ করে। আপনি যেকোনো
পার্টনারের মাধ্যমে টাকা পাঠাতে পারেন। প্রধান রেমিট্যান্স পার্টনারগুলো হল:
- Western Union
- MoneyGram
- Transfast
- Remitly
- Xoom (PayPal)
২। প্রক্রিয়া
ধাপ ১ঃ
বিদেশ থেকে আপনার রেমিট্যান্স পার্টনারের মাধ্যমে টাকা পাঠান। প্রেরকের প্রয়োজন
হবে:
- প্রাপকের নাম (যেমন বিকাশ একাউন্টের নামে)
- বিকাশ একাউন্ট নম্বর
- প্রাপকের সঠিক ঠিকানা
ধাপ ২ঃ
টাকা পাঠানোর পর, প্রাপক বিকাশ অ্যাপ বা ইউএসএসডি কোড (*247#) ব্যবহার করে টাকা
গ্রহণ করতে পারবেন।
ধাপ ৩ঃ
টাকা বিকাশ একাউন্টে জমা হলে, প্রাপক সেখান থেকে সহজেই ক্যাশ আউট বা পেমেন্ট
করতে পারবেন।
৩। অনলাইন রেমিট্যান্স সেবাঃ
বিদেশ থেকে সহজে টাকা পাঠানোর জন্য অনলাইন প্ল্যাটফর্ম যেমনঃ
- Remitly
- Xoom
ব্যবহার করতে পারেন। এসব প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে সরাসরি বিকাশ একাউন্টে টাকা
পাঠানো যায়।
৪। বিকাশ কাস্টমার কেয়ারঃ
যদি প্রক্রিয়া সম্পর্কে কোনো সমস্যায় পড়েন, বিকাশের কাস্টমার কেয়ার
(+88016247) এ যোগাযোগ করতে পারেন।
বিদেশ থেকে টাকা পাঠানোর ক্ষেত্রে সবসময় নিশ্চিত করুন যে, প্রেরক নির্ভরযোগ্য
ও বৈধ মাধ্যম ব্যবহার করছেন।
লেনদেনের সময় দ্রুত করার টিপসঃ
লেনদেনের সময় দ্রুত করার জন্য নিচের টিপসগুলো অনুসরণ করতে পারেনঃ
১। অনলাইনে লেনদেনের সুবিধা ব্যবহার করুন
অনলাইনে ব্যাংকিং, মোবাইল ব্যাংকিং বা ই-ওয়ালেটের মাধ্যমে লেনদেন করলে সময়
বাঁচে। বিকাশ, নগদ, রকেট, উপায় ইত্যাদি ব্যবহার করতে পারেন।
২। প্রয়োজনীয় তথ্য প্রস্তুত রাখুন
লেনদেনের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য যেমন অ্যাকাউন্ট নম্বর, রেফারেন্স নম্বর, এবং
সঠিক পরিমাণ আগে থেকে প্রস্তুত রাখুন।
৩। ব্যস্ত সময় এড়িয়ে চলুন
ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ভিড়ের সময় (সকাল ১০টা-দুপুর ১টা) এড়িয়ে যাওয়ার
চেষ্টা করুন।
৪। প্রযুক্তি-সক্ষম থাকুন
ডেবিট/ক্রেডিট কার্ড, QR কোড স্ক্যানিং, বা NFC পেমেন্টের মতো দ্রুত পদ্ধতি
ব্যবহার করুন।
৫। স্বয়ংক্রিয় বিল পরিশোেধ সেটআপ করুন
বিল পেমেন্টের ক্ষেত্রে অটো পেমেন্ট ফিচার ব্যবহার করলে প্রতিবার ম্যানুয়ালি
পেমেন্ট করার প্রয়োজন পড়ে না।
৬। একাধিক লেনদেন একত্রে করুন
একাধিক লেনদেন একবারে সম্পন্ন করার চেষ্টা করুন যাতে বারবার সময় নষ্ট না হয়।
৭। সঠিক প্ল্যাটফর্ম নির্বাচন করুন
যে অ্যাপ বা পদ্ধতি আপনার এলাকায় দ্রুত কাজ করে তা বেছে নিন। উদাহরণস্বরূপ,
মোবাইল ব্যাংকিংয়ে দ্রুত ট্রান্সফারের সুবিধা বিবেচনা করুন।
৮। ক্যাশলেস লেনদেন করুন
ক্যাশ ব্যবহারের পরিবর্তে ইলেকট্রনিক পেমেন্ট পদ্ধতি ব্যবহার করুন, যেমন UPI বা
ই-ওয়ালেট।
৯। পাসওয়ার্ড এবং PIN প্রস্তুত রাখুন
লেনদেনের সময় পাসওয়ার্ড বা PIN মনে রাখুন এবং নিরাপদভাবে ব্যবহার করুন।
১০। কাস্টমার সাপোের্ট ব্যবহার করুন
সমস্যা হলে দ্রুত সমাধানের জন্য কাস্টমার সাপোের্ট বা হেল্পলাইনে যোগাযোগ করুন।
এই টিপসগুলো অনুসরণ করলে আপনার লেনদেন আরও দ্রুত ও সহজ হয়ে উঠবে।
বিদেশ থেকে বিকাশে টাকা পাঠানোর খরচ
বিদেশ থেকে বিকাশে টাকা পাঠানোর খরচ, সাধারণত টাকা পাঠানোর মাধ্যম, প্রেরকের
দেশ এবং প্রেরণ পরিমাণের ওপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হতে পারে।
সাধারণত বিকাশ পার্টনারদের ( যেমন, Xoom, WorldRemit, Remitly) মাধ্যমে টাকা
পাঠানোর সময় প্রেরক কে একটি ট্রান্সফার ফি দিতে হয়। এই সেই সাধারণত ১% থেকে
৫ % হতে পারে। যা প্রেরিত পরিমাণ ও দেশের উপর নির্ভর করে।
বিকাশ থেকে বিদেশে টাকা পাঠানোর খরচ বিভিন্ন ফ্যাক্টরের ওপর নির্ভর করে এবং
তা এক এক সার্ভিসে একেক রকম হতে পারে। এখানে কিছু সাধারণ তথ্য দেওয়া হলো :
১। ট্রান্সফার ফিঃ
বিকাশের সঙ্গে যেসব আন্তর্জাতিক মানি ট্রান্সফার সার্ভিস কাজ করে, তাদের
প্রতিটির একটি নির্দিষ্ট ট্রান্সফার ফি থাকে। ধারণা তো এই ফি ১% থেকে ৫ % হতে
পারে।
২। রেমিটেন্স রেটঃ
প্রেরণের সময় বিনিময় হার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বিকাশের সঙ্গে
সংযুক্ত সার্ভিস প্রোভাইডাররা নির্দিষ্ট বিনিময় হার দেয়, যা বাজার দর এর
চেয়ে কিছুটা কম হতে পারে।
৩। সার্ভিস চার্জঃ
কিছু সার্ভিস প্রোভাইডার তাদের সার্ভিস চার্জ যুক্ত করতে পারে যা মূল
ট্রান্সফার সি এর সঙ্গে যুক্ত হয়।
৪। প্রমোশন ও অফারঃ
কিছু সময় বিভিন্ন সার্ভিস প্রোভাইডার প্রমোশন বা অফার দেয় যার মাধ্যমে
ট্রান্সফার ফি কমে যেতে পারে বা ফি ফ্রি হতে পারে।
৫। দেশ ও প্রেরণের পরিমাণ
এই দেশ থেকে টাকা পাঠানো হচ্ছে এবং যে পরিমাণ টাকা পাঠানো হচ্ছে তার উপর
ভিত্তি করে ফি ও চার্জ ভিন্ন হতে পারে। যেমন : কিছু দেশে ছোট পরিমাণে টাকা
পাঠালে ফি বেশি হতে পারে।
নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা পাঠানোর আগে যে সার্ভিসটি ব্যবহার করবেন তার ওয়েবসাইট
বা অ্যাপ থেকে নির্দিষ্ট ফি, চার্জ এবং বিনিময় হাত জেনে নেওয়া জরুরী।
বিদেশ থেকে বিকাশে টাকা পাঠানোর সময় সাধারণত নিম্নলিখিত ধাপগুলো
অনুসরণ করতে হয়ঃ
১। প্রেরণকারী সংস্থাঃ বিদেশ থেকে টাকা পাঠানোর সময় প্রেরণকারী একটি অনুমোদিত মানি ট্রান্সফার
সার্ভিস বা ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা পাঠাতে হবে। যেমন : ওয়েস্টার্ন, রিয়া,
ইউনিয়ন, ট্রান্সফাস্ট ইত্যাদি।
২। লেনদেন প্রক্রিয়াঃ প্রেরণকারী তার মোবাইল অ্যাপ বা সংশ্লিষ্ট এজেন্টের মাধ্যমে
প্রাপকের বিকাশ একাউন্ট নাম্বার দিয়ে টাকা পাঠায়। এই লেনদেনটি
প্রক্রিয়াজাত হওয়ার পর পরই বিকাশ একাউন্টে টাকা জমা হয়।
৩। সময়সীমাঃ অধিকাংশ ক্ষেত্রে, টাকা জমা হওয়ার প্রক্রিয়া খুব দ্রুত হয়।
সাধারণত কয়েক সেকেন্ড থেকে ৩০ মিনিটের মধ্যে টাকা বিকাশ একাউন্টে পৌঁছে
যায়। তবে যদি লেনদেনের সময় কোন সমস্যার সম্মুখীন হয়, যেমনঃ ব্যাংকিং
সময়সূচী বা প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে তাহলে এটি ২৪ থেকে ৪৮ ঘন্টা পর্যন্ত
সময় নিতে পারে।
৪। নোটিফিকেশনঃ প্রাপক টাকা পাওয়ার পর সাথে সাথে বিকাশ থেকে একটি এসএমএস বা
নোটিফিকেশন পান যাতে লেনদেনের পরিমাণ ও অন্যান্য তথ্য উল্লেখ থাকে।
যদিও অধিকাংশ সময় লেনদেন দ্রুততার সাথে সম্পন্ন হয়, তবে বিশেষ
পরিস্থিতিতে প্রাপকের কাছে টাকা পৌঁছাতে ২৪ থেকে ৪৮ ঘন্টা সময় লাগতে পারে।
যদি এর চেয়েও বেশি সময় লাগে তবে অবশ্যই প্রেরণকারী এবং প্রাপকে তাদের
রেমিটেন্স সেবা প্রধান কারী প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।
লেনদেনের অবস্থা ট্র্যাক করার উপায়
লেনদেনের অবস্থা ট্র্যাক করার জন্য বিভিন্ন উপায় রয়েছে।
এটি নির্ভর করে আপনি কোন ধরণের লেনদেন করছেন তার উপর। নিচে কয়েকটি সাধারণ উপায়
দেওয়া হলোঃ
১। ব্যাংকিং লেনদেন
- মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাপসঃ আপনার ব্যাংকের অ্যাপ বা মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাপ ব্যবহার করে লেনদেন ট্র্যাক করতে পারেন।
- এসএমএস নোটিফিকেশনঃ ব্যাংক থেকে প্রাপ্ত এসএমএস বার্তায় লেনদেনের তথ্য দেখতে পারেন।
- ব্যাংকের কাস্টমার সার্ভিসঃ সরাসরি ব্যাংকের হেল্পলাইনে ফোন করে তথ্য জেনে নিতে পারেন।
২। মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস (MFS)
যেমন: বিকাশ, নগদ, রকেট
- অ্যাপ: MFS সার্ভিসের অ্যাপ ব্যবহার করে ট্রানজেকশনের স্টেটাস চেক করতে পারেন।
- ইউএসএসডি কোড: নির্দিষ্ট কোড ব্যবহার করে ট্রানজেকশনের তথ্য জানা যায়।
- কাস্টমার কেয়ার: লেনদেন নিয়ে কোনো সমস্যা হলে তাদের কাস্টমার কেয়ারে যোগাযোগ করুন।
বিদেশ থেকে দিনে কত টাকা পাঠানো যায়?
বিদেশ থেকে দিনে কত টাকা পাঠানো যায় তা নির্ভর করে আপনার ব্যবহৃত মানি
ট্রান্সফার পরিষেবা, প্রেরণকারীর দেশের নিয়ম, এবং বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক
(বাংলাদেশ ব্যাংক)-এর নির্ধারিত নিয়ম-কানুনের উপর। সাধারণতঃ
১। মানি ট্রান্সফার পরিষেবাঃ
যেমন ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন মানিগ্রাম বা অন্যান্য পরিষেবাগুলো নির্দিষ্ট লিমিট
আরোপ করে।
* অধিকাংশ ক্ষেত্রে একদিনে $১০,০০০ (প্রায় ১১ লক্ষ টাকা) পর্যন্ত পাঠানো যায়।
২। ব্যাংক ট্রান্সফারঃ
ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে টাকা পাঠালে প্রেরকের দেশের ব্যাংক ও বাংলাদেশের
ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী লিমিট নির্ধারিত হয়।
৩। বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়মঃ
*দেশে রেমিট্যান্স পাঠানোর জন্য বিশেষ কোনো লিমিট নেই, তবে ট্যাক্স এবং
অন্যান্য রিপোর্টিং উদ্দেশ্যে বড় অঙ্কের লেনদেন (যেমন $১০,০০০-এর বেশি) জানাতে
হতে পারে।
আপনার নির্দিষ্ট লেনদেনের জন্য ব্যবহৃত মাধ্যমের নিয়ম এবং শর্তাবলী দেখে
নিশ্চিত হওয়া জরুরি।
বিকাশে রেমিটেন্স বোনাস কত?
বর্তমানে বিকাশে রেমিটেন্স গ্রাহকের জন্য বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অফার দেওয়া হয়।
এই বোনাসের পরিমাণ নির্ভর করে বিকাশের প্রচারণা ও ক্যাম্পিং এর উপর।
বিকাশের রেমিটেন্স গ্রহণ করলে ১০০ টাকা থেকে ১০০০ টাকা পর্যন্ত বোনাস পাওয়া যেতে
পারে। তবে এই সীমিত সময়ের জন্য হয়ে থাকে। এই বোনাসের পরিমাণ বিভিন্ন হতে পারে
এবং এর শর্তাবলীও আলাদা হতে পারে।
বিকাশের বোনাসের কিছু সাধারণ শর্তবলী হতে পারেঃ
১। একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ রেমিটেন্স গ্রহণে বোনাস প্রযোজ্য।
২। একজন গ্রাহক নির্দিষ্ট সময়ে একবারই বোনাস পেতে পারেন।
৩। টাকা সরাসরি বিকাশ একাউন্টে জমা হয় এবং তা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ব্যবহারের
জন্য প্রযোজ্য হতে পারে।
বিকাশের রেমিটেন্স বোনাস সম্পর্কে আরো কিছু বিস্তারিত তথ্য দেওয়া
হলঃ
১। বোনাসের পরিমাণঃ
বিকাশের রেমিটেন্স গ্রহণের বোনাসের পরিমাণ সাধারণত ১০০ থেকে ১০০০ টাকা পর্যন্ত
হতে পারে। তবে নির্দিষ্ট প্রচারণা বা ক্যাম্পেইনের উপর নির্ভর করে বোনাসের পরিমাণ
বিভিন্ন হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, কোন কোন ক্ষেত্রে প্রথমবার রেমিটেন্স গ্রহণে
একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ বোনাস দেওয়া হতে পারে। যেমন ২৫০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা।
২। অফার চলাকালীন সময়ঃ
বিকাশের রেমিটেন্স বোনাস অফার সাধারণত নির্দিষ্ট সময়ের জন্য চালু থাকে।
উদাহরণস্বরূপ, ঈদ, পহেলা বৈশাখ বা অন্যান্য জাতীয় ও ধর্মীয় উৎসবের সময় এই
ধরনের অফার বেশি দেখা যায়।
৩। বোনাস ব্যবহারের শর্তাবলীঃ
* বোনাসের টাকা বিকাশ একাউন্টে জমা হওয়ার পর সাধারণত তা সরাসরি ব্যবহার করা
যায়। যেমনঃ মোবাইল রিচার্জ, বিল পরিশোধ, অথবা অন্য বিকাশ একাউন্টে ট্রান্সফার।
* কিছু বোনাসের ক্ষেত্রে টাকা উত্তোলন করা যেতে পারে। তবে কিছু ক্ষেত্রে
শুধুমাত্র নির্দিষ্ট সেবার জন্য বোনাস ব্যবহারযোগ্য হতে পারে।
৪। ক্যাম্পেইন ঘোষণাঃ
বিকাশ তাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ, এসএমএস এবং ইমেইলের মাধ্যমে এসব ক্যাম্পেইনের
ঘোষণা করে থাকে। তাই সর্বশেষ বোনাস অফার সম্পর্কে জানতে বিকাশের সাথে নিয়মিত
আপডেট রাখা জরুরী।
এগুলো হলো কিছু প্রধান দিক যা বিকাশের রেমিটেন্স বোনাস সম্পর্কে জানা উচিত।
সর্বশেষ এবং নির্ভুল তথ্যের জন্য বিকাশের কাস্টমার কেয়ার অথবা অফিসিয়াল থেকে
যাচাই করা উচিত।
বিদেশ থেকে বিকাশে টাকা আসতে কতদিন সময় লাগে সম্পর্কে কিছু প্রশ্ন এবং তার উত্তরঃ
১। প্রশ্ন : বিদেশ থেকে বিকাশে টাকা পাঠানোর জন্য কোন কোন দেশ থেকে সেবা
পাওয়া যায়?
উত্তর: বেশিরভাগ প্রধান নেই যেমন সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত,
যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর সহ আরো অনেক দেশ থেকে বিদেশ
থেকে বিকাশের মাধ্যমে টাকা পাঠানো যায়।
২। প্রশ্ন : কোন কোন মাধ্যম ব্যবহার করে বিদেশ থেকে বিকাশে টাকা পাঠানো
যায়?
উত্তর : ওয়ের্স্টান ইউনিয়ন, মানিগ্রাম, রিয়া মানি ট্রান্সফার এবং
অন্যান্য রেমিটেন্স সার্ভিস এর মাধ্যমে বিদেশ থেকে বিকাশে টাকা পাঠানো যায়।
৩। প্রশ্ন : বিদেশ থেকে বিকাশে পাঠানো টাকা কোথায় পাওয়া যাবে?
উত্তর : পাঠানো টাকা সরাসরি আপনার বিকাশ মোবাইল একাউন্টে জমা হবে, যা আপনি
যেকোনো বিকাশ এজেন্ট বা এটিএম থেকে তুলতে পারবেন।
৪। প্রশ্ন : বিকাশে বিদেশ থেকে পাঠানো টাকা নিরাপত্তা কেমন?
উত্তর : বিকাশ রেমিটেন্স প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ নিরাপদ এবং সুরক্ষিত।
বিকাশের সমস্ত লেনদেন SSL এনক্রিপশন প্রযুক্তি দ্বারা সুরক্ষিত।
৫। প্রশ্ন : বিদেশ থেকে পাঠানো টাকা বিকাশের জমা না হলে কি করতে হবে?
উত্তর : এমন ক্ষেত্রে বিকাশের কাস্টমার কেয়ার বা হেল্পলাইন নাম্বারে
যোগাযোগ করুন অথবা নিকটস্থ বিকাশ কেয়ার সেন্টারে গিয়ে সাহায্য নিন।
৬। প্রশ্ন : বিদেশ থেকে টাকা পাঠানোর সময় কি কোন তথ্য জমা দিতে হয়?
উত্তর : হ্যাঁ, প্রেরণকারীকে আপনার বিকাশ নাম্বার, নাম এবং কোন কোন
ক্ষেত্রে NID বা পাসপোর্ট এর তথ্য প্রদান করতে হতে পারে।
পরিশেষেঃ বিদেশ থেকে বিকাশে টাকা আসতে কতদিন সময় লাগে
আশাকরি বিকাশে টাকা পাঠানোর নিয়ম, টাকা পাঠাতে কত সময় লাগে, কম সময়ে টাকা পাঠানোর
উপায় ইত্যাদি বিষয়গুলো ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন। এইরকম তথ্য পেতে আমাদের
ওয়েবসাইট ভিজিট করুন নিয়মিত এবং আমাদের
সার্ভিস সম্পর্কে জানতে এখানে
ক্লিক করুন।
জানবো আমরা ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url