দক্ষিণ কোরিয়া ভিসা প্রসেসিং ২০২৪ ও কোন চাকরির বেতন সবচেয়ে বেশি
দক্ষিণ কোরিয়া ভিসা প্রসেসিং ২০২৪ এবং দক্ষিণ কোরিয়ায় কোন চাকরির বেতন সবচেয়ে বেশি এইসব বিষয়গুলো নিয়েই আজকের আর্টিকেল। দক্ষিণ কোরিয়ায় কোন চাকরির বেতন সবচেয়ে বেশি ও ২০২৪ সালে দক্ষিণ কোরিয়া ভিসা প্রসেসিং সম্পর্কে জানতে পড়ুন আর্টিকেলটি। তাহলে চলুন দক্ষিণ কোরিয়া ভিসা প্রসেসিং ২০২৪ ও নানা বিষয় জানা যাক।
দক্ষিণ কোরিয়া ভিসা প্রসেসিং ২০২৪ ও কোন চাকরির বেতন সবচেয়ে বেশি। |
দক্ষিণ কোরিয়া ভিসা প্রসেসিং ২০২৪ ও দক্ষিণ কোরিয়ায় কোন চাকরির বেতন সবচেয়ে বেশি জানার পাশাপাশি দক্ষিণ কোরিয়া ভিসা লটারি, ভিসা পেতে কতদিন লাগে তা জানতে পারবেন।
সূচিপত্রঃ দক্ষিণ কোরিয়া ভিসা প্রসেসিং ২০২৪ ও কোন চাকরির বেতন সবচেয়ে বেশি।
ভূমিকাঃ
আপনারা যারা দক্ষিণ কোরিয়া যেতে ইচ্ছুক তাদের জন্য এই আর্টিকেলটি খুবই গুরুত্বপূর্ন। এই আর্টিকেল থেকে আপনি দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়া সম্পর্কে নানা বিষয়সমূহ বিস্তারিত জানতে পারবেন। আর দেরি না করে দক্ষিণ কোরিয়া ভিসা প্রসেসিং ২০২৪ সম্পর্কে আলোচনা শুরু করা যাক।
দক্ষিণ কোরিয়া ভিসা ২০২৪
পৃথিবীতে নিজের দেশ ছেড়ে যে কোন দেশে যাওয়ার জন্যই পাসপোর্ট ভিসার প্রয়োজন রয়েছে।তেমনি দক্ষিণ কোরিয়াতে যাওয়ার জন্য ভিসার প্রয়োজন রয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়াতে যাওয়ার জন্য বর্তমানে একটি ভিসা পদ্ধতি চালু হয়েছে। যার নাম "ডিজিটাল নোম্যাড ভিসা"।
ভিসার ধরণ
দক্ষিণ কোরিয়াতে যাওয়ার জন্য ভিসার ধরনের ভিন্নতা রয়েছে। যে দেখতে যে কারণে বা উদ্দেশ্যে দক্ষিণ কোরিয়াতে যেতে চাই তার ভিসার ক্ষেত্রে সেইসব শর্তগুলো পূরণ করতে হবে।
১। স্টুডেন্ট ভিসা
স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে যাওয়ার জন্য কোনরকম লটারি প্রয়োজন হয় না। তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে স্টুডেন্ট হিসেবে কিছু যোগ্যতা থাকতে হবে। তাহলে আপনি কাগজপত্র জমা দিয়ে খুব সহজেই দক্ষিণ কোরিয়াতে পাড়ি দিতে পারবেন।
২। বিজনেস ভিসা
আপনি যদি একজন ব্যবসায়ী হয়ে থাকেন তাহলে আপনি খুব সহজেই ৫ লাখ ডলার বিনিয়োগ করে দক্ষিণ কোরিয়াতে যাওয়ার জন্য বিজনেস ভিসা পেয়ে যাবেন কোন প্রকার লটারি ছাড়াই। এখানে যাওয়ার জন্য আপনি দুই রকমের ভিসা পেয়ে যাবেন। একটি হলো ৯০ দিনের জন্য যেটি কম সময়ের এবং অপরটি হলো ৯০ দিনের বেশি সময়ের জন্য যেটি বেশি সময়ের।
৩। ওয়ার্ক পারমিট ভিসা
আপনি যদি কাজের জন্য দক্ষিণ কোরিয়া যেতে চান তাহলে কয়েকটি ধাপ পার করে আপনি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়া যেতে পারেন। এই ভিসাকে ইপিএস ভিসা বলা হয়ে থাকে। এই বিষয় নিয়ে অবশ্যই আপনাকে সরকারিভাবে দক্ষিণ কোরিয়া যেতে হবে।
এই ভিসা লটারি ছাড়া পাওয়া সম্ভব না। আপনি যদি দক্ষিণ কোরিয়াতে কাজের জন্য ভিসা পেয়ে যান তাহলে আপনি সেখানে গিয়ে খুব ভালো একটি চাকরি করে জীবনযাপন করতে পারবেন।
ইউরোপ, আমেরিকা, কানাডা থেকে কোন অংশেই কম না, দক্ষিণ কোরিয়া। আপনার যদি কাজ পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকে থাকে তাহলে আপনি সেখানে গিয়ে মাসে বেশ মোটা টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
৪। টুরিস্ট ভিসা
টুরিস্ট ভিসা সাধারণত মানুষকে ৯০ দিনের জন্য দেওয়া হয়ে থাকে। আপনি যদি দক্ষিণ কোরিয়ার কোথাও ঘুরতে যেতে চান তাহলে আপনাকে টুরিস্ট ভিসার মাধ্যমে যেতে হবে। তবে টুরিস্ট ভিসার জন্য কোনরকম লটারি প্রয়োজন হয় না।
কিন্তু আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে দক্ষিণ কোরিয়া যেতে চান তাহলে অবশ্যই টুরিস্ট ভিসার প্রয়োজন রয়েছে। আবার অনেকে আছে, যারা ট্যুরিস্ট ভিসা নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়াতে গিয়ে কাজ করছেন। দক্ষিণ কোরিয়া ভিসা ২০২৪ সম্পর্কে জানলেন এইবার ভিসা প্রসেসিং সম্পর্কে জেনে নিন।
দক্ষিণ কোরিয়া ভিসা প্রসেসিং
দক্ষিণ কোরিয়ার ভিসা প্রসেসিং সম্পন্ন করার জন্য আপনাকে কয়েকটি ধাপ পার করতে হবে।
১। ভিসার ধরন নির্বাচন
আপনি দক্ষিণ কোরিয়াতে যাওয়ার জন্য কোন ধরনের ভিসা নির্বাচন করতে চান আর ধরন নির্বাচন করতে হবে। যেমনঃ স্টুডেন্ট ভিসা, ওয়ার্ক ভিসা, বিজনেস ভিসা, টুরিস্ট ভিসা।
২। অনলাইন ফর্ম পূরণ
আপনি যদি অনলাইনে ফরম পূরণ করতে চান তাহলে আপনাকে বোয়াসেল ওয়েবসাইটে গিয়ে অনলাইন ফর্ম পূরণের জন্য যেসব শর্ত এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জামা দেওয়ার নির্দেশনা রয়েছে সেগুলো করে তথ্য দিয়ে অনলাইনে মাধ্যমে ফরমটি পূরণ করে জমা দিতে হবে।
৩। অফলাইনে ফরম পূরণ
অফলাইনে ফরম পূরণের জন্য আপনাকে প্রথমে বোয়েসেলের মাধ্যমে দক্ষিণ কোরিয়ার দূতাবাসের এসে ফরম পূরণ করতে হবে। তারপর কয়েক সপ্তাহের মধ্যে আপনার ভিসা প্রসেসিং এর কাজ শেষ হবে।
৪। প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট
সাধারণত প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট এর মধ্যে রয়েছে। পাসপোর্ট,ভিসা,পাসপোর্ট সাইজ ছবি,ব্যাংক স্টেটমেন্ট,ইনভিটেশন লেটার (যদি প্রয়োজন হয়) এবং অন্যান্য কাগজপত্র।
৫। ভিসা ফি প্রদান
ভিসার আবেদন ফি ভিসার কারণ অনুযায়ী আলাদা হতে পারে।ভিসার আবেদন ফি জমা দিতে হবে।
৬। দূতাবাসে আবেদন জমা
প্রয়োজনীয় সকল ডকুমেন্ট এবং ভিসা ফর্ম নিয়ে দূতাবাসে আবেদন জমা দিতে হবে।
৭। ভিসা ইন্টারভিউ
অনেক সময় ভিসার জন্য ইন্টারভিউ এর প্রয়োজন হয়। যদি সেটির প্রয়োজন হয় তাহলে আপনাকে সেখান থেকে অবশ্যই তারিখ এবং সময় জানিয়ে দেওয়া হবে।
৮। প্রসেসিং এবং আবেদন
প্রসেসিং শেষ হওয়ার জন্য কয়েক সপ্তাহ সময় রাখতে পারে।যদি ভিসা প্রসেসিং এর কাজ শেষ হয়ে যায় তাহলে আপনাকে দূতাবাস থেকে জানিয়ে দেওয়া হবে।
আপনি যদি দক্ষিণ কোরিয়ার ভিসা প্রসেসিং সম্পর্কে আরো ডিটেলস এবং ভালোভাবে জানতে চান তাহলে আপনি অনলাইনে দক্ষিণ কোরিয়ার ভিসা প্রসেসিং ওয়েবসাইট গুলো দেখতে পারেন। দক্ষিণ কোরিয়া ভিসা প্রসেসিং সম্পর্কে জেনেছেন বেতন সবচেয়ে বেশি কোন চাকরিতে তা জানুন এখন।
দক্ষিণ কোরিয়ায় কোন চাকরির বেতন সবচেয়ে বেশি?
দক্ষিণ কোরিয়ায় বিভিন্ন চাকরির ওপর নির্ভর করে বেতন দেওয়া হয়। তবে দক্ষিণ কোরিয়ায় কোন কোন চাকরির বেতন সবচেয়ে বেশি তাই এখানে দেওয়া হলোঃ
১। প্রকৌশলী ও প্রযুক্তিবিদ
অন্যান্যদের তুলনায় এদের বেতন তুলনামূলক বেশি।যেমন : সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার,আইটি সেক্টরের চাকরিজীবীদের।
২। আইনজীবী
দক্ষিণ কোরিয়ায় আইনজীবীদের সরকারিভাবে বেতন দেওয়া হয়।এদের বেতন বেশি।বিশেষ করে অভিজ্ঞতা এবং উচ্চতর আইনজীবীর ক্ষেত্রে।
৩। ব্যাংকিং এবং ফাইনান্স সেক্টর
অন্যান্যদের তুলনায় যারা ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকার এবং ফিনান্সিয়াল অ্যানালিস্টে রয়েছেন এদের বেতন অনেক বেশি।
৪। চিকিৎসা ও সার্জন
যারা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এবং সার্জন রয়েছে এদের বেতন তুলনামূলক বেশি
৫। মার্কেটিং
যারা বড় কোন কোম্পানিতে উচ্চপদস্থ সেলসম্যান এবং মার্কেটিং ব্যবস্থাপনায় রয়েছেন তাদের বেতন তুলনামূলক বেশি।
মূলত এইসব বিষয়গুলোতে উচ্চ বেতন ছাড়াও বিভিন্ন প্রকার সুযোগ সুবিধা প্রদান করা হয়ে থাকে। দক্ষিণ কোরিয়ায় কোন চাকরির বেতন সবচেয়ে বেশি তা বুঝতে পেরেছেন আশাকরি এখন প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক চলুন।
দক্ষিণ কোরিয়ার ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট
- পূর্ণাঙ্গ ভিসা আবেদন
- একটি বৈধ পাসপোর্ট (যার মেয়াদ অবশ্যই ভিসার মেয়াদের তুলনায় ৬ মাস বেশি হতে হবে)
- পাসপোর্ট সাইজের ছবি
- মেডিকেল সার্টিফিকেট
- ভিসা ফি
- ভিসা প্রসেসিং ফি
- ব্যাংক স্টেটমেন্ট
- ইনভাইটেশন লেটার (যদি প্রয়োজন পড়ে)
- জাতীয় পরিচয় পত্র
- বার্থ সার্টিফিকেট
দক্ষিণ কোরিয়াতে যাওয়ার জন্য দুই রকম ভাবে ভিসার আবেদন করা যায়। একটি সরকারিভাবে অপরটি বেসরকারিভাবে। যদি আপনি সরকারিভাবে দক্ষিণ কোরিয়াতে যেতে পারেন তাহলে আপনার খরচ অনেক কম পড়বে আর বেসরকারি ভাবে গেলে তুলনামূলক খরচ বেশি হয়।
আগে দক্ষিণ কোরিয়াতে যাওয়ার জন্য ভিসা প্রসেসিং অনেক কষ্টসাধ্য ছিল কিন্তু বর্তমানে সরকার সেটি অনেক সোজা করে দিয়েছেন। আপনি দক্ষিণ কোরিয়াতে যাওয়ার জন্য অনলাইন এবং অফলাইন দুইভাবেই আবেদন করতে পারেন।
মেনে আবেদন করার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করে সেগুলো অনলাইনে এর মাধ্যমে জমা দিতে হবে এবং পরবর্তীতে ভিসা প্রসেসিং ফি দিয়ে কনফার্ম করতে হবে। আর যদি আপনি অফলাইনে করতে চান তাহলে সরকারিভাবে করতে হবে।
সরকারি ভাবে দক্ষিণ কোরিয়ার দূতাবাসে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট জমা দিতে দিতে হবে। এরপরে কয়েক সপ্তাহের মধ্যে আপনার ভিসা প্রসেসিং এর কাজ শেষ হয়ে যাবে। দক্ষিণ কোরিয়ার ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট সম্পর্কে জেনেছেন দক্ষিণ কোরিয়া ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া সম্পর্কে কিছু তথ্য বিস্তারিত জেনে নিন।
দক্ষিণ কোরিয়া ভিসা আবেদন
দক্ষিণ কোরিয়াতে ভিসার আবেদন করার আগে আপনাকে নিশ্চিত হতে হবে আপনি কোন ভিসায় কোরিয়াতে যাবেন। কোরিয়াতে যাওয়ার জন্য উদ্দেশ্যের উপর ভিত্তি করে ভিসার ধরন আলাদা হয়।
দক্ষিণ কোরিয়ার ভিসা আবেদন করার জন্য আপনাকে কয়েকটি ধাপ পার করতে হবে।
১। ভিসার ধরন
প্রথমে আপনাকে ভিসার ধরন ঠিক করে নিতে হবে। কোন ভাষায় দক্ষিণ কোরিয়াতে যাবেন সেটি প্রথমে বাছাই করতে হবে। যেমনঃ
- স্টুডেন্ট ভিসা
- টুরিস্ট ভিসা
- বিজনেস ভিসা
- ওয়ার্ক পারমিট ভিসা
এটা ধরন অনুযায়ী আলাদা আলাদাভাবে আবেদন করতে হবে।
ভিসার আবেদন করার জন্য অবশ্যই কিছু ডকুমেন্টের প্রয়োজন রয়েছে। যেগুলো আপনার সম্পর্কে সঠিক তথ্য দিতে সাহায্য করবে।
- পাসপোর্ট
- পাসপোর্ট সাইজের ছবি
- পূরনকৃত ভিসা আবেদন ফর্ম
- রিটার্ন টিকিটের কপি
- ব্যাংক স্টেটমেন্ট
- জাতীয় পরিচয় পত্র
- ইনভিটেশন লেটার (যদি প্রয়োজন পড়ে)
এইসব প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট দিয়ে আপনাকে ভিসার আবেদন করতে হবে।
৩। আবেদন ফরম পূরণ
আবেদন ফরমটি দক্ষিণ কোরিয়ার দূতাবাসের ওয়েবসাইট থেকে নিতে হবে এবং সঠিক তথ্য দিয়ে ফরম পূরণ করে জমা দিতে হবে।
৪। ভিসা ফি জমা
আবেদন ফরমের সাথে অবশ্যই নির্ধারিত ভিসা ফি জমা দিতে হবে।
৫। ইন্টারভিউ
কিছু কিছু ক্ষেত্রে ইন্টারভিউয়ের জন্য ভিসা অফিস থেকে ডাকা হয়।তবে সব সময় ইন্টারভিউ দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে না।
৬। ভিসা প্রাপ্তি
ভিসার কার্যক্রম শেষ হয়ে গেলে ভিসা অফিস থেকে আপনাকে জানানো হবে। কার্যক্রম শেষ হতে কয়েক সপ্তাহ সময় লাগে।
এইভাবে ভিসার আবেদন আজকে শেষ করার পরে আপনি দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়ার ভিসাটি পেয়ে যাবেন।আপনি ভিসার আবেদন সম্পর্কে আরো ডিটেইলস জানতে চাইলে কি কোরিয়ার ওয়েবসাইটগুলোতে সার্চ করতে পারেন। দক্ষিণ কোরিয়া ভিসা আবেদন জেনে নিলেন ভিসা লটারি নিয়ে কিছু বিষয় এখন জেনে নিন।
দক্ষিণ কোরিয়া ভিসা লটারি
আপনি খুব সহজেই মোবাইল অথবা কম্পিউটারের মাধ্যমে লটারির আবেদন করতে পারবেন।আপনাকে বোয়েসেল ওয়েবসাইটের মাধ্যমে দক্ষিণ কোরিয়াতে যাওয়ার জন্য লটারি আবেদন করতে হবে।
প্রাথমিক পর্যায়ে আবেদন করার জন্য আপনাকে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য এবং পাসপোর্টের যাবতীয় তথ্য দিতে হবে। আপনি যদি প্রাথমিক পর্যায়ে আবেদনে উপনীত হন তাহলে আপনাকে চূড়ান্ত পর্যায়ে লটারির আবেদন নিশ্চিত করার জন্য ৫০০ টাকা ফ্রি দিয়ে লটারি টি নিশ্চিত করতে হবে।
লটারির ক্ষেত্রে অনেকেই কিছু ভুল করে থাকেন। এই ভুলগুলো হলে আপনার লটারির কার্যক্রম বাধাপাপ তো হবে এবং আপনার অ্যাপ্লিকেশনটি সাবমিট হবে না। দক্ষিণ কোরিয়ায় লটারির আবেদন করার জন্য অনেক মানুষ থাকে।
মাত্র ৪৮ ঘণ্টা সময় থাকে আবেদন করার। এই সময় তাড়াহুড়া করলে অনেক ভুল হতে পারে। যেমনঃ নামের বানান, পাসপোর্ট আইডি নাম্বার, NID নাম্বার ইত্যাদি। ভুলগুলো যেন না হয় সেই দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
দক্ষিণ কোরিয়াতে যাওয়ার জন্য লটারির প্রয়োজন পড়ে। কিন্তু সব ক্ষেত্রে অর্থাৎ সব ভিসার ক্ষেত্রে লটারি প্রয়োজন পড়ে না। দক্ষিণ কোরিয়া ভিসা লটারি সম্পর্কে জেনেছেন কতদিন লাগে ভিসা পেতে তা আলোচনা করা যাক চলুন।
দক্ষিণ কোরিয়ার ভিসা পেতে কতদিন লাগে?
দক্ষিণ কোরিয়ার ভিসা পেতে কতদিন লাগবে সেই সময়সীমা নির্ভর করে আপনার ভিসার ধরণের ওপর।আপনি ঠিক কোন উদ্দেশ্য নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়াতে যেতে চান তার ওপর নির্ভর করে আপনার ভিসা দেওয়া হবে এবং ভিসার ওপর নির্ভর করবে ভিসাটি হাতে পেতে আপনার ঠিক কতদিন সময় লাগবে।
১। স্টুডেন্ট ভিসাঃ স্টুডেন্ট ভিসা পেতে সর্বচ্চো ২ থেকে ৪ সপ্তাহ সময় লাগে।
২। টুরিস্ট ভিসাঃ টুরিস্ট ভিসা খুব দ্রুত পাওয়া যায়। ৫ থেকে ১০ দিনের মধ্যে।
৩। ওয়ার্ক ভিসাঃ ওয়ার্ক ভিসা একটু সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। এর জন্য ২ থেকে ৬ সপ্তাহ সময় লাগে।আবার কখনো কখনো এর থেকে বেশি সময়ও লাগতে পারে।
মোটকথা এটা বলা যায় দিশা ধরনের ওপর নির্ভর করে ভিসা পেতে ঠিক কতদিন সময় লাগবে। দক্ষিণ কোরিয়ার ভিসা পেতে কতদিন লাগে বুঝতে কোন সমস্যা নেই আমার মনে হয় দক্ষিণ কোরিয়া বর্তমান বেতন কত তা জানুন এখন।
দক্ষিণ কোরিয়া বর্তমান বেতন কত?
দক্ষিণ কোরিয়ার বেতন নির্ভর করে সেখানকার মানুষের কাজের ওপর। বিভিন্ন পেশার মানুষের বেতন ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে।
তবে দক্ষিণ কোরিয়ার বর্তমান গড় বেতন ৩,৮৯০,০০০ দক্ষিণ কোরিয়ান ওন। যা প্রায় ২৯৪৭ মার্কিন ডলারের সমান।
এছাড়াও দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউল এ গড় বার্ষিক বেতন প্রায় ৫২,৩১৯,৪০০ দক্ষিণ কোরিয়ান ওন। যা প্রায় 39650 মার্কিন ডলারের সমান। যা পৃথিবীর অন্যান্য দেশে তুলনায় অনেক বেশি।
এছাড়াও পেশা গড় বেতন ভিন্ন হয়। যেমনঃ ব্যাংকিং খাতে ৪,২৫০,০০০,স্বাস্থ্য সেবা খাতে ৫,৮০০,০০০ এবং নির্মাণ খাতে ২,৪১০,০০০। এছাড়াও গড় বাৎসরিক বেতন বিভিন্ন দেশে ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। দক্ষিণ কোরিয়া বর্তমান বেতন কত জানলেন স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন প্রক্রিয়াটি এখন জেনে নিন।
দক্ষিণ কোরিয়া স্টুডেন্ট ভিসার জন্য কিভাবে আবেদন করব?
দক্ষিণ কোরিয়াতে স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রথমে ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে।এজন্য কিছু শর্ত প্রযোজ্যঃ
১। ভার্সিটি নির্বাচনঃ প্রথমে আপনাকে দক্ষিণ কোরিয়ার একটি ভার্সিটিতে চয়েস দিতে হবে।সেই ভার্সিটিতে ভর্তি হতে হবে।ভার্সিটিতে ভর্তি হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট ভার্সিটির ওয়েবসাইট থেকে সংগ্রহ করতে হবে।
২। ভর্তি চিঠিঃ যদি ভার্সিটিতে ভর্তি নিশ্চিত হয়ে যায় তাহলে তাদের দেওয়া ওয়েবসাইট থেকে চিঠিটি সংগ্রহ করতে হবে।
৩। প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট সংগ্রহঃ
যেসব ডকুমেন্ট স্টুডেন্ট ভিসার জন্য প্রয়োজন
- পূর্ণাঙ্গ পুরনকৃত ভিসার আবেদন ফরম
- পাসপোর্ট
- পাসপোর্ট সাইজের ছবি
- ভর্তির চিঠি
- ফি প্রদানের প্রমাণ পত্র
- ব্যাংক স্টেটমেন্ট
- শিক্ষা সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট
সমস্ত ডকুমেন্ট এবং ফি প্রদানের প্রমাণ সহ নিকটস্থ দক্ষিণ কোরিয়ান দূতাবাসে গিয়ে সকল কিছু জমা দিতে হবে।
৫। ইন্টারভিউ
কোন কোন ক্ষেত্রে ইন্টারভিউের প্রয়োজন পড়ে।
৬। ভিসা প্রাপ্তি
আবেদন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হলে এবং সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে।নির্দিষ্ট সময় মেনে ভিসা প্রদান করা হবে।
এছাড়াও যদি কোন প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টের প্রয়োজন পড়ে তাহলে নিকটস্থ দূতাবাস থেকে তথ্য সংগ্রহ করতে হবে। দক্ষিণ কোরিয়া স্টুডেন্ট ভিসার জন্য কিভাবে আবেদন করব ও দক্ষিণ কোরিয়া ভিসা প্রসেসিং ২০২৪ সবই জানালাম আপনাদের।
জানবো আমরা ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url