মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসা বেতন কত ও কোন কাজের চাহিদা বেশি
ফ্যাক্টরি ভিসায় মালয়েশিয়া যাওয়ার নিয়ম মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসা বেতন কত এই
আর্টিকেলটির টাইটেল। আপনি নিশ্চয় এখন বুঝতে পারছেন আর্টিকেলটি কি সম্পর্কে লিখা।
তাহলে চলুন বিস্তারিত জানা যাক।
মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসা বেতন কত ও মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরিতে কোন কাজের চাহিদা বেশি। |
মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসা বেতন কত জানার পাশাপাশি মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরিতে
কোন কাজের চাহিদা বেশি এটি ছারাও আরো বিভিন্ন বিষয় জানতে পারবেন।
সূচিপত্রঃ মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসা বেতন কত ও মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরিতে কোন কাজের চাহিদা বেশি।
- মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসা বেতন কত
- মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরিতে কোন কাজের চাহিদা বেশি
- ফ্যাক্টরি ভিসায় মালয়েশিয়া যাওয়ার নিয়ম
- মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসা আবেদন করার নিয়ম
- মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসা সর্বনিম্ন বেতন কত
- মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি শ্রমিকের বেতন কত
- মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসার দাম কত
- মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসা পেতে কি কি লাগে
- মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসায় যেতে কত টাকা লাগে
- মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসার আবেদন ফি কত
- মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসা বেতন কত সম্পর্কে বহুল জিজ্ঞাসিত কিছু প্রশ্ন এবং উত্তর
মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসা বেতন কত
মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসায় কর্মরত শ্রমিকদের বেতন তাদের অভিজ্ঞতা, দক্ষতা এবং
কাজের ধরন অনুযায়ী ভিন্ন হতে পারে। সাধারণতঃ
১। বেতন কাঠামোঃ
- নতুন শ্রমিকদের বেতনঃ প্রাথমিকভাবে প্রতি মাসে ১,২০০ থেকে ১,৫০০ মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত।
- বাংলাদেশি টাকায় আনুমানিকঃ ৩০,০০০ - ৩৭,৫০০ টাকা।
- অভিজ্ঞ শ্রমিকদের বেতনঃ প্রতি মাসে ১,৬০০ থেকে ২,২০০ মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত।
- বাংলাদেশি টাকায় আনুমানিকঃ ৪০,০০০ - ৫৫,০০০ টাকা।
২। ওভারটাইম সুবিধাঃ
অনেক ফ্যাক্টরিতে ওভারটাইম কাজের সুযোগ থাকে।
- ওভারটাইম রেটঃ সাধারণত প্রতি ঘণ্টায় ৮ - ১২ মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত।
- মাসিক অতিরিক্ত আয় হতে পারে ৫০০ - ১,০০০ রিঙ্গিত।
৩। বেতন ছাড়াও সুযোগ-সুবিধাঃ
- থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা অনেক ক্ষেত্রে কোম্পানি প্রদান করে।
- পরিবহন সুবিধাও কোম্পানি থেকে দেওয়া হয়।
- চিকিৎসা সুবিধা এবং ইনস্যুরেন্স।
৪। কাজের ধরনঃ
ফ্যাক্টরি কাজের ধরন অনুসারে বেতন পরিবর্তিত হতে পারে।
সাধারণত কাজের ধরনঃ
- ইলেকট্রনিকস অ্যাসেম্বলি।
- খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ।
- প্লাস্টিক বা মেটাল কারখানার কাজ।
৫। অভিজ্ঞতার গুরুত্বঃ
অভিজ্ঞ এবং দক্ষ কর্মীদের জন্য বেতন তুলনামূলক বেশি।
৬। ফি এবং খরচঃ
- ভিসা প্রসেসিং ফি: ২,০০,০০০ - ৩,০০,০০০ টাকা (বাংলাদেশি এজেন্সির মাধ্যমে)।
- ফ্লাইট এবং অন্যান্য খরচ এই ফি-এর অন্তর্ভুক্ত হতে পারে।
সঠিক তথ্যের জন্য আপনার নির্দিষ্ট নিয়োগকর্তা বা ভিসা প্রসেসিং এজেন্সির সাথে
যোগাযোগ করুন। মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসা বেতন কত তা জানালাম আপনাদের
এখন কোন কাজের চাহিদা বেশি তা জেনে নিন।
মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরিতে কোন কাজের চাহিদা বেশি
মালয়েশিয়ার ফ্যাক্টরিগুলিতে সাধারণত নিম্নলিখিত কাজের চাহিদা বেশি দেখা
যায়ঃ
১। ইলেকট্রনিক্স শিল্প
- প্রোডাকশন অপারেটর
- কোয়ালিটি চেকার
- প্যাকেজিং কর্মী
২। কন্সট্রাকশন
- সাইট লেবার
- কার্পেন্টার
- ওয়েল্ডার
- প্লাম্বার
৩। ম্যানুফ্যাকচারিং ও প্রোডাকশন
- মেশিন অপারেটর
- অ্যাসেম্বলি লাইন কর্মী
- টেকনিশিয়ান
৪। এগ্রিকালচার (কৃষি)
- পাম অয়েল প্ল্যান্টেশন
- ফল ও শাকসবজি সংগ্রহকারী
৫। ফুড প্রসেসিং
- ফুড প্যাকেজিং
- ফুড প্রসেসিং অপারেটর
৬। সার্ভিস সেক্টর
- ক্লিনার
- হাউজকিপিং
- নিরাপত্তা প্রহরী
চাহিদার কারণঃ
মালয়েশিয়ায় শ্রমিক সংকটের কারণে বিদেশি কর্মীদের ওপর নির্ভরশীলতা বেশি। বিশেষত
দক্ষ এবং অদক্ষ উভয় ধরনের শ্রমিকের চাহিদা রয়েছে। মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরিতে
কোন কাজের চাহিদা বেশি বুঝতে পারলেন নিশ্চয় এইবার এই ভিসায় যাওয়ার নিয়মটা দেখে
নিন।
ফ্যাক্টরি ভিসায় মালয়েশিয়া যাওয়ার নিয়ম
মালয়েশিয়ায় ফ্যাক্টরি ভিসায় যাওয়ার জন্য কিছু নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া অনুসরণ
করতে হয়। এটি সাধারণত কাজের ভিসা (Employment Visa) নামে পরিচিত। নিচে
প্রক্রিয়াটি ধাপে ধাপে বর্ণনা করা হলোঃ
১। কাজের অফার পাওয়াঃ
- একটি বৈধ মালয়েশিয়ান ফ্যাক্টরি বা কোম্পানি থেকে কাজের অফার পেতে হবে।
- কোম্পানিটি মালয়েশিয়ার অভিবাসন বিভাগের (Immigration Department) অনুমোদিত হতে হবে।
২। কোম্পানির স্পন্সরশিপঃ
কোম্পানি আপনার জন্য ফ্যাক্টরি ভিসার আবেদন করবে। তারা মালয়েশিয়ান সরকারের
কাছে আপনার কাজের অনুমতি (Work Permit) চাইবে।
৩. মেডিকেল পরীক্ষাঃ
* ভিসার জন্য আবেদন করার আগে নিজের দেশে একটি স্বীকৃত মেডিকেল সেন্টারে
স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে হবে।
* মেডিকেল পরীক্ষার রিপোের্ট পজিটিভ হলে পরবর্তী ধাপে যেতে পারবেন।
৪। পাসপোর্ট ও প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট প্রস্তুতঃ
- বৈধ পাসপোর্ট (অন্তত ৬ মাসের মেয়াদ থাকা আবশ্যক)।
- কাজের চুক্তিপত্র (Employment Contract)।
- মেডিকেল রিপোর্ট।
- পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
৫। রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে আবেদনঃ
- মালয়েশিয়ার সরকার অনুমোদিত রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে ভিসা প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে।
- এজেন্সি আপনার জন্য ভিসা প্রসেসিং ফি এবং অন্যান্য খরচ নির্ধারণ করবে।
৬। ফিঙ্গারপ্রিন্ট ও বায়োমেট্রিক রেজিস্ট্রেশনঃ
- বায়োমেট্রিক ডেটা এবং ফিঙ্গারপ্রিন্ট নিবন্ধন করতে হবে।
- এটি নির্ধারিত মালয়েশিয়ান ভিসা সেন্টারে করা হয়
৭। ভিসা অনুমোদন ও টিকিট ক্রয়ঃ
- ভিসা অনুমোদন হলে পাসপোর্টে স্ট্যাম্প করা হবে।
- ভিসা পাওয়ার পর মালয়েশিয়ায় যাওয়ার জন্য ফ্লাইট টিকিট কিনতে হবে।
৮। মালয়েশিয়ায় পৌঁছানোর পর প্রক্রিয়াঃ
- মালয়েশিয়ায় পৌঁছানোর পর ইমিগ্রেশন ক্লিয়ার করতে হবে।
- কোম্পানির প্রতিনিধি আপনাকে রিসিভ করবে এবং কাজের জায়গায় নিয়ে যাবে।
- কাজ শুরু করার আগে স্থানীয় স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং অন্যান্য কাগজপত্র সম্পন্ন করতে হতে পারে।
প্রয়োজনীয় সতর্কতাঃ
- ভুয়া বা অবৈধ এজেন্সি থেকে দূরে থাকুন।
- নিশ্চিত করুন যে কোম্পানি বৈধভাবে কাজ করছে।
- সব কাগজপত্রের কপি নিজের কাছে রাখুন।
অনুমোদিত রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে যোগাযোগ করুন বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ায়
ফ্যাক্টরি ভিসার জন্য অনুমোদিত এজেন্সির তথ্য বাংলাদেশ সরকারের প্রবাসী
কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে পাওয়া যায়। ফ্যাক্টরি
ভিসায় মালয়েশিয়া যাওয়ার নিয়ম জানলেন এখন এই ভিসার জন্য আবেদন করার নিয়মটা
জেনে নিন।
মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসা আবেদন করার নিয়ম
মালয়েশিয়ার ফ্যাক্টরি ভিসা আবেদন করার জন্য সাধারণত নির্দিষ্ট নিয়ম-কানুন এবং
ডকুমেন্টেশন প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হয়। এখানে মালয়েশিয়ার ফ্যাক্টরি ভিসার জন্য
আবেদনের ধাপগুলো দেওয়া হলোঃ
১। নিয়োগদাতার অফার (Employment Offer)
- প্রথমে মালয়েশিয়ার কোনও ফ্যাক্টরি থেকে চাকরির অফার পেতে হবে।
- মালয়েশিয়ার কোম্পানি আপনাকে ভিসার জন্য স্পন্সর করবে।
২। ডকুমেন্ট প্রস্তুতি
আপনাকে নিম্নলিখিত ডকুমেন্টগুলো প্রস্তুত করতে হবে:
- বৈধ পাসপোর্ট (মেয়াদ কমপক্ষে ৬ মাস থাকতে হবে)।
- পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
- মালয়েশিয়ার কোম্পানির চাকরির অফার লেটার।
- মেডিকেল রিপোর্ট (স্বাস্থ্য পরীক্ষার সনদ)।
- পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট।
৩। ভিসার আবেদন প্রক্রিয়া
- মালয়েশিয়ার নিয়োগকারী কোম্পানি ভিসার জন্য মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন বিভাগে আবেদন করবে।
- Calling Visa Letter ইস্যু করা হবে মালয়েশিয়া থেকে।
- কোম্পানির অনুমোদিত এজেন্টের মাধ্যমে আবেদন প্রক্রিয়া পরিচালিত হবে।
৪। মেডিকেল টেস্ট
- মালয়েশিয়া যাওয়ার আগে বাংলাদেশে অনুমোদিত মেডিকেল সেন্টারে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে হবে।
- পরীক্ষায় ফিট প্রমাণিত হলে ভিসা প্রক্রিয়া এগিয়ে যাবে।
৫। ভিসা স্ট্যাম্পিং
- মালয়েশিয়ার দূতাবাসে ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে।
- আবেদন করার সময় প্রয়োজনীয় ফি জমা দিতে হবে।
৬। ট্রেনিং ও ওরিয়েন্টেশন
মালয়েশিয়া সরকার অনুমোদিত কিছু প্রতিষ্ঠানে প্রাক-যাত্রার প্রশিক্ষণ
(Pre-Departure Orientation) নিতে হতে পারে।
৭। ফ্লাইট ও ভ্রমণ
ভিসা পাওয়ার পর নির্ধারিত তারিখে মালয়েশিয়ায় ভ্রমণ করতে পারবেন।
অতিরিক্ত তথ্যঃ
- এজেন্সির মাধ্যমে আবেদন করলে তাদের ফি সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে নিন।
- ভিসা জালিয়াতি বা প্রতারণা থেকে সাবধান থাকুন।
আপনার আবেদন প্রক্রিয়া শুরু করার আগে মালয়েশিয়ার দূতাবাস বা সংশ্লিষ্ট রিক্রুটিং
এজেন্সির সাথে যোগাযোগ করে সঠিক তথ্য জেনে নিন। মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসা
আবেদন করার নিয়ম জানালাম এই ভিসায় সবচেয়ে কম বেতন কত তা জানা যাক চলুন।
মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসা সর্বনিম্ন বেতন কত
মালয়েশিয়ার ফ্যাক্টরি ভিসায় শ্রমিকদের বেতন সাধারণত কাজের ধরন, অভিজ্ঞতা এবং
কোম্পানির উপর নির্ভর করে ভিন্ন হয়। সর্বনিম্ন বেতন প্রায় ১,৫০০ রিঙ্গিত থেকে
২,৫০০ রিঙ্গিত পর্যন্ত হতে পারে, যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৩৭,০০০ থেকে ৬২,০০০
টাকার সমান।
(Visa Check BD) এছাড়া, নিয়মিত ওভারটাইম করলে মাসিক আয় ৮০,০০০ থেকে ১,২০,০০০
টাকা পর্যন্ত হতে পারে। (Beton Update) তবে, বেতন কাঠামো কোম্পানি এবং কাজের ধরন
অনুযায়ী ভিন্ন হতে পারে। মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসা সর্বনিম্ন বেতন কত
জানলেন এইবার জেনে নিন শ্রমিকের বেতন কত।
মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি শ্রমিকের বেতন কত
মালয়েশিয়ায় ফ্যাক্টরি শ্রমিকদের বেতন কাজের ধরন, অভিজ্ঞতা এবং কোম্পানির ভিত্তিতে
ভিন্ন হতে পারে।
সাধারণতঃ
১। প্রাথমিক বেতনঃ
- সাধারণত, মালয়েশিয়ায় শ্রমিকদের ন্যূনতম বেতন প্রতি মাসে ১,৫০০ থেকে ১,৯০০ রিঙ্গিত হয়ে থাকে।
- বাংলাদেশি মুদ্রায় এটি প্রায় ৪০,০০০ থেকে ৫০,০০০ টাকা।
- কিছু ক্ষেত্রে কোম্পানি এবং অবস্থান অনুযায়ী বেতন ভিন্ন হতে পারে।
২। ওভারটাইম আয়ঃ
- ফ্যাক্টরি শ্রমিকদের জন্য ওভারটাইম আয়ের একটি বড় সুযোগ রয়েছে।
- নিয়মিত ওভারটাইম করলে মাসিক মোট বেতন ৭০,০০০ থেকে ৯০,০০০ টাকা বা তার বেশি হতে পারে।
৩। সুবিধাসমূহঃ
- বেশিরভাগ ফ্যাক্টরি শ্রমিকদের বিনামূল্যে থাকা এবং খাবারের ব্যবস্থা দেওয়া হয়।
- কাজের পরিবেশ সাধারণত নিয়ন্ত্রিত এবং সুনির্দিষ্ট নিয়মের মধ্যে থাকে।
- মেডিকেল সুবিধা এবং কর্মক্ষেত্রে সুরক্ষা সরঞ্জাম সরবরাহ করা হয়।
৪। কাজের সময়ঃ
- সাধারণ কাজের সময় ৮ ঘণ্টা।
- সপ্তাহে ৬ দিন কাজ করতে হয়।
- ওভারটাইম সাধারণত সপ্তাহের দিন এবং ছুটির দিনে হয়ে থাকে।
৫। বেতন বৃদ্ধির সুযোগঃ
- দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে বেতন ধীরে ধীরে বাড়তে পারে।
- কিছু কোম্পানি বার্ষিক বেতন বৃদ্ধির সুযোগ দেয়।
৬। চ্যালেঞ্জঃ
- মালয়েশিয়ায় শ্রমিকদের কাজ কখনো কখনো শারীরিকভাবে কষ্টকর হতে পারে।
- ওয়ার্ক পারমিট ও চুক্তিভিত্তিক নিয়মকানুন মেনে চলতে হয়।
মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি শ্রমিকের বেতন কত পড়লেন এই ভিসার দাম কত তা অবশ্যই জানা
প্রয়োজন আপনার।
মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসার দাম কত
মালয়েশিয়ার ফ্যাক্টরি ভিসার খরচ এজেন্সি, ভিসার ধরন এবং অন্যান্য ফি-এর ওপর
নির্ভর করে ভিন্ন হতে পারে। সাধারণত, সরকারি ব্যবস্থাপনায় এই ভিসা পেতে ৫ থেকে ৬
লাখ টাকা খরচ হয়।
(Probashi Tech) বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় খরচ কিছুটা বেশি হতে পারে, যা ৬ থেকে ৭
লাখ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। (Visa Check BD) তবে, কিছু সূত্রে বেসরকারি
ব্যবস্থাপনায় খরচ ৯ লাখ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।
এখানে বিস্তারিতভাবে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উল্লেখ করা হলোঃ
১। সরকারি ভিসা প্রক্রিয়াঃ
সরকারি ব্যবস্থাপনায় মালয়েশিয়ার ফ্যাক্টরি ভিসার জন্য সাধারণত খরচ হয় ৫-৬ লাখ
টাকা। এই প্রক্রিয়ায় সাধারণত খরচের মধ্যে থাকে।
- মেডিকেল পরীক্ষা
- ভিসা প্রসেসিং ফি
- বিমানের টিকিট
- মালয়েশিয়ার কোম্পানির নিয়োগপত্র (অফার লেটার)
২। বেসরকারি এজেন্সিঃ
বেসরকারি এজেন্সি সাধারণত বেশি খরচ নিয়ে থাকে
- এজেন্সির মাধ্যমে ফ্যাক্টরি ভিসার খরচ ৬-৭ লাখ টাকা বা তার বেশি হতে পারে।
- অতিরিক্ত চার্জ যুক্ত হতে পারে, যেমন ডকুমেন্টেশন ফি এবং এজেন্সি সার্ভিস চার্জ।
৩। ভিসার ধরন এবং মেয়াদঃ
- দীর্ঘমেয়াদী ভিসাঃ দীর্ঘ মেয়াদী চুক্তিভিত্তিক ভিসার খরচ তুলনামূলকভাবে বেশি।
- স্বল্পমেয়াদী ভিসাঃ এই ভিসার খরচ কিছুটা কম হতে পারে।
৪। অতিরিক্ত খরচঃ
- বিমা ফিঃ মালয়েশিয়ায় কাজ করার জন্য বিমা থাকা বাধ্যতামূলক।
- বসবাসের খরচঃ ভিসা ফি ছাড়াও প্রথম মাসের থাকা-খাওয়ার জন্য আলাদা খরচ প্রস্তুত রাখতে হয়।
৫। বিশ্বাসযোগ্য এজেন্সি নির্বাচন
বিশ্বস্ত এবং অনুমোদিত এজেন্সি ছাড়া ভিসা প্রসেস না করানো উচিত। অনেক সময় অল্প
খরচ দেখিয়ে প্রতারণার ঘটনা ঘটে।
আপনার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট খরচ জানতে, স্থানীয় ভিসা প্রক্রিয়াকারী সংস্থা বা
মালয়েশিয়া দূতাবাসের সাথে যোগাযোগ করা বুদ্ধিমানের কাজ হবে। মালয়েশিয়া
ফ্যাক্টরি ভিসার দাম কত বুঝতে পারলেন আশাকরি এইবার জেনে নিন ভিসা পেতে কি
লাগে।
মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসা পেতে কি কি লাগে
মালয়েশিয়ায় ফ্যাক্টরি ভিসা (ওয়ার্ক পারমিট) পেতে বেশ কিছু ধাপ অনুসরণ করতে হয়
এবং প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস জমা দিতে হয়। নিচে প্রয়োজনীয় শর্তাবলী এবং ডকুমেন্টস
দেওয়া হলো:
প্রয়োজনীয় শর্তাবলীঃ
১। বয়সঃ: সাধারণত ১৮ থেকে ৪৫ বছরের মধ্যে হতে হবে।
২। স্বাস্থ্য পরীক্ষাঃ মেডিকেল সার্টিফিকেট প্রয়োজন, যা প্রমাণ করে আপনি
শারীরিকভাবে কাজ করার উপযুক্ত।
৩। চাকরির অফারঃ মালয়েশিয়ার কোনো কোম্পানি থেকে চাকরির অফার লেটার থাকতে
হবে।
৪। পাসপোর্টের মেয়াদঃ ন্যূনতম ১৮ মাসের মেয়াদ থাকা আবশ্যক।
৫। পুলিশ ক্লিয়ারেন্সঃ আপনার বিরুদ্ধে কোনো ফৌজদারি মামলা নেই তার প্রমাণ।
প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টসঃ
১। পাসপোর্টঃ বৈধ পাসপোর্টের কপি।
২। চাকরির অফার লেটারঃ মালয়েশিয়ার কোম্পানি থেকে ইস্যুকৃত লেটার।
৩। মেডিকেল রিপোর্টঃ অনুমোদিত মেডিকেল সেন্টার থেকে সনদ।
৪। ফটোঃ পাসপোর্ট সাইজ ছবি।
৫। এন্ট্রি পারমিটঃ মালয়েশিয়ায় প্রবেশের জন্য ভিসার আবেদন।
৬। চুক্তিপত্রঃ নিয়োগকর্তার সঙ্গে সাক্ষরিত চুক্তিপত্র।
৭। আইডি কার্ড কপিঃ আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি।
প্রক্রিয়াঃ
১। চাকরি খোঁজাঃ মালয়েশিয়ার কোনো ফ্যাক্টরি কোম্পানির সাথে যোগাযোগ
করে কাজ নিশ্চিত করুন।
২। চাকরিদাতা সংস্থার দায়িত্বঃ মালয়েশিয়ার কোম্পানি ভিসার জন্য
আবেদন করবে।
৩। স্থানীয় এজেন্সিঃ বাংলাদেশি রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে
প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা যেতে পারে।
৪। ভিসা ইস্যুঃ মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন থেকে ভিসা ইস্যু হলে তা আপনার
পাসপোর্টে সিল দেয়া হবে।
৫। ফ্লাইটঃ ভিসা পাওয়ার পর ফ্লাইটের জন্য প্রস্তুতি নিন।
মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসা পেতে কি কি লাগে জানলেন এই ভিসায় যেতে আনুমানিক কত
খরচ হয় তা জেনে নিন।
মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসায় যেতে কত টাকা লাগে
মালয়েশিয়ার ফ্যাক্টরি ভিসায় যেতে খরচের পরিমাণ ভিসার ধরন, এজেন্সি, এবং অন্যান্য
আনুষঙ্গিক খরচের উপর নির্ভর করে ভিন্ন হতে পারে।
সাধারণত, সরকারিভাবে মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসায় যেতে আনুমানিক ৫ থেকে ৬ লাখ টাকা
এবং বেসরকারিভাবে ৬ থেকে ৭ লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে।
(Probashi Tech) তবে, এজেন্সি এবং অন্যান্য খরচের ভিত্তিতে এই খরচ ৮ থেকে ১০ লাখ
টাকা পর্যন্ত হতে পারে।
মালয়েশিয়ায় ফ্যাক্টরি শ্রমিকদের বেতন সাধারণত ১,২০০ থেকে ১,৫০০ মালয়েশিয়ান
রিঙ্গিতের মধ্যে হয়ে থাকে, যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৩০,০০০ থেকে ৩৭,৫০০ টাকার
সমান। মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসায় যেতে কত টাকা লাগে বুঝতে পারলেন এখন
জেনে নিন এই ভিসার আবেদন ফি সম্পর্কে।
মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসার আবেদন ফি কত
মালয়েশিয়ার ফ্যাক্টরি ভিসার আবেদন ফি নির্দিষ্ট নয়; এটি বিভিন্ন খরচের সমন্বয়ে
নির্ধারিত হয়।
ফি সম্পর্কিত ধারণাঃ
১। সরকারি ফি
মালয়েশিয়ার ফ্যাক্টরি ভিসার সরাসরি খরচ ৫-৬ লাখ টাকার মধ্যে হতে পারে। এর
মধ্যে অন্তর্ভুক্ত থাকেঃ
- ভিসা আবেদন ফি
- মেডিকেল পরীক্ষা
- পুলিশ ক্লিয়ারেন্স
- বিমানের টিকেট
২। বেসরকারি এজেন্সি ফিঃ
- বেসরকারি এজেন্সির মাধ্যমে গেলে খরচ বাড়তে পারে, যা ৭ থেকে ১২ লাখ টাকার মধ্যে হতে পারে।
- এজেন্সির সেবার ওপর নির্ভর করে অতিরিক্ত খরচ প্রযোজ্য।
৩। প্রতি মাসের বেতন (এভারেজ) ঃ
- মাসিক বেতন ১,২০০-১,৫০০ মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত (প্রায় ৩০,০০০-৪০,০০০ টাকা) হতে পারে।
- ওভারটাইম থাকলে আয় বাড়তে পারে।
মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসা বেতন কত সম্পর্কে বহুল জিজ্ঞাসিত কিছু প্রশ্ন এবং উত্তর
১। মালয়েশিয়ার ফ্যাক্টরি ভিসা কী?
উত্তর: মালয়েশিয়ার ফ্যাক্টরি ভিসা হলো একটি ওয়ার্ক পারমিট, যা সাধারণত
কারখানার শ্রমিকদের জন্য প্রযোজ্য। এটি বৈধভাবে মালয়েশিয়ায় কাজ করার অনুমতি
দেয়।
২। ফ্যাক্টরি ভিসার মেয়াদ কতদিন?
উত্তর: ফ্যাক্টরি ভিসার মেয়াদ সাধারণত ১ থেকে ৩ বছর হয়। মেয়াদ শেষে ভিসা
নবায়ন করা যায়।
৩। মালয়েশিয়ায় শ্রমিকের মাসিক বেতন কত?
উত্তর: মালয়েশিয়ার ফ্যাক্টরিতে মাসিক বেতন সাধারণত ১২০০-২০০০ মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত
(MYR) হয়, ওভারটাইম সহ প্রায় ২২০০-২৫০০ MYR পর্যন্ত আয় করা সম্ভব।
৪। মেডিকেল চেকআপ বাধ্যতামূলক কি?
উত্তর: হ্যাঁ, মালয়েশিয়ার জন্য মেডিকেল চেকআপ বাধ্যতামূলক। এটি বাংলাদেশ এবং
মালয়েশিয়া উভয় দেশেই করতে হয়।
৫। মালয়েশিয়ায় যাওয়ার জন্য কি প্রশিক্ষণ প্রয়োজন?
উত্তর: অনেক ক্ষেত্রেই নির্দিষ্ট কোনো প্রশিক্ষণের প্রয়োজন হয় না।তবে কিছু কাজের
জন্য বেসিক স্কিলস ট্রেনিং প্রয়োজন হতে পারে।
পরিশেষেঃ মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসা বেতন কত ও মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরিতে কোন কাজের চাহিদা বেশি।
আপনারা যারা মালয়েশিয়া যাওয়ার চিন্তাভাবনা করছেন তাদের অবশ্যই উপরোক্ত বিষয়গুলো
জানা উচিত। এইরকম তথ্য পেতে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট
ভিজিট করুন এবং আমাদের সার্ভিস সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন।
জানবো আমরা ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url