আমেরিকার ভিসা পাওয়ার যোগ্যতা ও যেতে কত টাকা খরচ হয়
আমেরিকার ভিসার খরচ আমেরিকার ভিসা পাওয়ার যোগ্যতা ও আমেরিকা যেতে কত টাকা খরচ হয় এই বিষয়গুলো নিয়েই আর্টিকেলটি লিখা, চলুন জেনে নেওয়া যাক তাহলে।
আমেরিকার ভিসা পাওয়ার যোগ্যতা ও আমেরিকা যেতে কত টাকা খরচ হয়। |
সূচিপত্রঃ আমেরিকার ভিসা পাওয়ার যোগ্যতা ও আমেরিকা যেতে কত টাকা খরচ হয়।
- আমেরিকার ভিসা পাওয়ার যোগ্যতা
- আমেরিকা যেতে কত টাকা খরচ হয়
- আমেরিকার ওয়ার্ক পারমিট ভিসার দাম কত
- আমেরিকার টুরিস্ট ভিসা পেতে কতদিন লাগে
- আমেরিকায় ওয়ার্ক পারমিট করতে কত টাকা লাগে
- আমেরিকার ট্রানজিট ভিসা পেতে কত দিন লাগে
- আমেরিকার ভিসার খরচ
আমেরিকার ভিসা পাওয়ার যোগ্যতা
আপনি যদি আমেরিকায় যেতে চান সে ক্ষেত্রে আপনার কিছু যোগ্যতা থাকতে হবে তাহলে আপনি আমেরিকায় যেতে পারবেন। কারণ একটি উন্নত দেশে যেতে হলে আপনি যোগ্যতা ছাড়া কখনোই সেখানে যেতে পারবেন না।
তাই আমেরিকায় যেতে চাইলে ভিসার আবেদন করার জন্য আপনার কিছু যোগ্যতা থাকা লাগবে অবশ্যই। আমেরিকার ভিসার জন্য যা যা যোগ্যতা লাগবে তা হল
- আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা সর্বনিম্ন এইচএসসি পাশের সার্টিফিকেট লাগবে।
- আপনাকে ইংরেজি ভাষায় পারদর্শী অবশ্যই হতে হবে।
- আপনি যে জন্য আমেরিকায় যাবেন তার ওপর নির্ভর করে আপনার সকল কাগজপত্র লাগবে।
- তাই বলা হয় আপনার ভিসা ক্যাটাগরির উপর আপনার যোগ্যতার কাগজপত্র লেগে থাকবে।
- আপনার ব্যাংক একাউন্টের স্টেটমেন্ট লাগবে।
এই যোগ্যতাগুলো থাকলে আপনি খুব সহজেই আমেরিকার ভিসা পেয়ে যাবেন। আমেরিকার ভিসা পাওয়ার যোগ্যতা জানলেন কত টাকা খরচ হয় তা জানা যাক চলুন।
আমেরিকা যেতে কত টাকা খরচ হয়
আমেরিকা হল পৃথিবীর সুন্দরতম ও উন্নত দেশ। অর্থনৈতিক ও প্রশাসনিক শক্তির উৎস হল আমেরিকা। তাই অনেকেই অনেক কাজের জন্য আমেরিকায় যেতে চাই। কেউ কাজ করার উদ্দেশ্যে কেউ আমেরিকা ভ্রমণের ক্ষেত্রে আবার কেউ পড়াশোনার জন্য।
তাই আপনি যে উদ্দেশ্যে আমেরিকায় যাবেন তার উপর আপনার খরচ হবে।আপনি যে দেশ থেকে আমেরিকায় যাবেন তার উপর আপনার ভিসার খরচ হবে।
তাই আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে আমেরিকায় যেতে চান সে ক্ষেত্রে আপনার বর্তমানে খরচ হবে ১৫ থেকে ৩০ লক্ষ টাকার মত। আপনি যদি স্টুডেন্ট ভিসার ক্ষেত্রে যেতে চান সেক্ষেত্রে আপনার খরচ হবে ৫ থেকে ১৫ লক্ষ টাকা খরচ হবে।
এই খরচের মধ্যে আপনার পুরোপুরি খরচের টাকা লেগে থাকে আর বাড়তি কোন টাকা লাগে না। এভাবে আপনার আমেরিকা যেতে খরচ লাগবে কত তার উপর নির্ভর করে থাকে। আমেরিকা যেতে কত টাকা খরচ হয় বুঝতে পারলেন নিশ্চয় এখন ওয়ার্ক পারমিট ভিসার দাম জেনে নেওয়া যাক।
আমেরিকার ওয়ার্ক পারমিট ভিসার দাম কত
আমেরিকার কাজের ভিসা ও ওয়ার্ক পারমিট ভিসা মূলত একই। তাই আমেরিকার ওয়ার্ক পারমিট ভিসার দাম কত নির্ধারণ করা যায় না। একেক মাধ্যমে একেক দাম হয়ে থাকে।
আপনি আমেরিকায় গিয়ে যে কোম্পানিতে জয়েন করবেন কাজের জন্য সেই কোম্পানি যদি আপনার সকল খরচ বহন করে থাকে তাহলে আপনার ভিসা খরচ কম হবে। পক্ষান্তরে আপনার যদি সে কোম্পানি ভিসা খরচ বা অন্যান্য খরচ কোন খরচই বহন না করে তাহলে আপনার বেশি টাকা লাগবে।
সে ক্ষেত্রে ধরা যায় আপনার ভিসা খরচ লাগবে আনুমানিক ৮ লক্ষ টাকা। আমেরিকার ওয়ার্ক পারমিট ভিসার দাম কত জেনে নিয়েছেন এখন টুরিস্ট ভিসা পাওয়ার সময়কাম জানা যাক চলুন।
আমেরিকার টুরিস্ট ভিসা পেতে কতদিন লাগে
আপনি যখন আমেরিকার টুরিস্ট ভিসার জন্য আবেদন করবেন আমেরিকার দূতাবাসে। তখন আমেরিকার দূতাবাস যে তারিখে আবেদনটি গ্রহণ করবে আপনার সে তারিখ থেকে ভিসা প্রক্রিয়াকরণের প্রায় 21 কার্যদিবস পর্যন্ত সময় লেগে থাকে।
তারপর আবার আপনার পাসপোর্টটি ফেরত দেবে তার জন্য ১ থেকে ৩ কার্যদিবস পর্যন্ত সময় নেবে। আপনার ভিসা প্রক্রিয়াকরণ সম্পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত এবং আপনাকে আপনার পাসপোর্ট ফেরত না দেওয়া পর্যন্ত তারা আপনাকে দৃঢ়ভাবে পরামর্শ দিয়ে থাকবে।
অন্যান্য ভিসার তুলনায় আমেরিকান টুরিস্ট ভিসা আপনি অতি সহজেই পেয়ে যাবেন। দ্রুত সময়ের মধ্যে আপনি আমেরিকার টুরিস্ট ভিসা পাবেন।
তাই আপনি যখন আবেদন করবেন তখন আপনার ডকুমেন্টও সঠিক তথ্য অনুযায়ী আবেদন করলে আপনার এই ভিসা পেতে কোনরকম অসুবিধা হবে না। আমেরিকার টুরিস্ট ভিসা পেতে কতদিন লাগে জানালাম এরপর ওয়ার্ক পারমিট করতে কত খরচ হয় তা জানুন।
আমেরিকায় ওয়ার্ক পারমিট করতে কত টাকা লাগে
আমেরিকায় ওয়ার্ক পারমিট বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে যেমন ফ্রম 1থেকে 765 এর ক্ষেত্রে ফাইলিং ফি হলো $520।গ্রীন কার্ড ও মুলতুবী ফার্মের জন্য 1থেকে 485 ফ্রম। আর ফাইল করতে খরচ হয় $ 260।একটি ওয়ার্ক পারমিট হল একটি বিদেশী দেশে কাজ করার অনুমতি।
বিদেশী দেশের জন্য যদি কেউ কাজ করতে চাই সে ক্ষেত্রে ওয়ার্ক পারমিট নিতে হয়। আর এই ওয়ার্ক পারমিট এর মাধ্যমে বিদেশে কাজ করার সুযোগ হয়।
যারা আমেরিকায় যেয়ে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতে চান তারা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে কাজ করতে পারবেন। আমেরিকায় ওয়ার্ক পারমিট করতে কত টাকা লাগে জানলেন ট্রাঞ্জুট ভিসা সম্পর্কে জানুন এখন।
আমেরিকার ট্রানজিট ভিসা পেতে কত দিন লাগে
আপনি আবেদন করার পর আপনার আবেদন সফল হয়েছে কিনা ১৫ দিনের মধ্যে আপনাকে তা জানানো হবে। আবার দেখা যায় অনেক সময় ৩০ দিনের সময় লেগে যেতে পারে। আরো অতিরিক্ত যদি তারা সময় নিয়ে থাকে সে ক্ষেত্রে ৪৫ দিন পর্যন্ত সময় নেয়।
তাই আপনি যে আবেদন করেছেন সে আবেদন এর উপর নির্ভর করে আপনার ট্রানজিট ভিসা পাওয়া কত সময় লাগে তা নির্ভর করে। আমেরিকার ট্রানজিট ভিসা পেতে কত দিন লাগে জানিয়েছি এখন আমেরিকার ভিসার খরচ সম্পর্কে জানা যাক চলুন।
আমেরিকার ভিসার খরচ
আমেরিকার ভিসার খরচ ভিসা ক্যাটাগরির উপর নির্ভর করে হয়ে থাকে। আপনি যে ভিসার মাধ্যমে আমেরিকা যাবেন তার উপর নির্ভর করে আমেরিকার ভিসার খরচ হয়।
আপনি যেই ভিসার আবেদন করেন না কেন আবেদন করার জন্য ফি লাগে DS -160। এটাকে বলা হয় আমেরিকার ভিসার অফিসিয়াল দাম। আমেরিকায় যাওয়ার জন্য বিভিন্ন ভিসার ক্যাটাগরি রয়েছে যেমন
- স্টুডেন্ট ভিসাঃ স্টুডেন্ট ভিসার ক্ষেত্রে আপনার খরচ হবে $160।
- টুরিস্ট ভিসাঃ টুরিস্ট ভিসার ক্ষেত্রে আপনার খরচ পড়বে $160।
- ওয়ার্ক পারমিটঃ ওয়ার্ক পারমিট ভিসার ক্ষেত্রে আপনার খরচ পড়বে $190।
- মেডিকেল ভিসাঃ মেডিকেল ভিসার ক্ষেত্রে আপনার খরচ পড়বে $160।
তাই বলা হয় আমেরিকার ভিসার খরচ ভিসা ক্যাটাগরির উপর নির্ভর করে হয়ে থাকে। আমেরিকার ভিসার খরচ ও আমেরিকার ভিসা পাওয়ার যোগ্যতা সবই জানালাম আপনাদের।
পরিশেষেঃ আমেরিকার ভিসা পাওয়ার যোগ্যতা ও যেতে কত টাকা খরচ হয়
এইরকম তথ্য পেতে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন এবং আমাদের সার্ভিস সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন।
জানবো আমরা ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url