মালয়েশিয়ার রাজ্য কয়টি ও মালয়েশিয়ার প্রশাসনিক কাঠামো
মালয়েশিয়ার রাজ্য কয়টি ও কি কি ও মালয়েশিয়ার প্রশাসনিক কাঠামোগুলো আজকের আর্টিকেলে আলোচনা করতে যাচ্ছি আপনাদের সাথে। আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে আপনি মালয়েশিয়ার রাজ্য, অঞ্চল আরো বিভিন্ন বিষয়ে জানতে পারবেন, তাহলে চলুন জানা যাক।
![]() |
মালয়েশিয়ার রাজ্য কয়টি ও কি কি ও মালয়েশিয়ার প্রশাসনিক কাঠামো। |
সূচিপত্রঃ মালয়েশিয়ার রাজ্য কয়টি ও কি কি ও মালয়েশিয়ার প্রশাসনিক কাঠামো।
মালয়েশিয়ার রাজ্য কয়টি ও কি কি
মালয়েশিয়ায় মোট ১৩টি রাজ্য এবং ৩টি ফেডারাল টেরিটরি রয়েছে। রাজ্যগুলো হলোঃ
মালয়েশিয়ার রাজ্যসমূহ
১। জোহর (Johor)
অবস্থানঃ মালয় উপদ্বীপের দক্ষিণ প্রান্তে।
রাজধানীঃ জোহর বাহরু।
পরিচিতিঃ পর্যটন এবং কৃষি খাতে সমৃদ্ধ।
২। কেদাহ (Kedah)
অবস্থানঃ উত্তরে থাইল্যান্ডের সীমান্তে।
রাজধানীঃ আলোর সেতার।
পরিচিতিঃ ধান চাষের জন্য বিখ্যাত, "Malaysia's Rice Bowl" নামে পরিচিত।
৩। কেলান্তান (Kelantan)
অবস্থানঃ উত্তর-পূর্ব মালয় উপদ্বীপে।
রাজধানীঃ কোটা ভরু।
পরিচিতিঃ ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতি এবং মসজিদসমূহের জন্য বিখ্যাত।
৪। মেলাকা (Malacca)
অবস্থানঃ মালাক্কা প্রণালীর তীরে।
রাজধানীঃ মেলাকা সিটি।
পরিচিতিঃ ঐতিহাসিক স্থাপত্য এবং ঔপনিবেশিক ইতিহাস।
৫। নেগেরি সেমবিলান (Negeri Sembilan)
অবস্থানঃ মালয় উপদ্বীপের পশ্চিমে।
রাজধানীঃ সেরেম্বান।
পরিচিতিঃ মিনাংকাবাউ ঐতিহ্যের জন্য বিখ্যাত।
৬। পাহাং (Pahang)
অবস্থানঃ মালয় উপদ্বীপের পূর্বে।
রাজধানীঃ কুয়ান্তান।
পরিচিতিঃ তামান নেগারা (জাতীয় উদ্যান) এবং ক্যামেরন হাইল্যান্ডস।
৭। পেনাং (Penang)
অবস্থানঃ উত্তর-পশ্চিম উপকূলে।
রাজধানীঃ জর্জটাউন।
পরিচিতিঃ ঐতিহাসিক এবং আধুনিক স্থাপত্যের মিশ্রণ।
৮। পেরাক (Perak)
অবস্থানঃ মালয় উপদ্বীপের পশ্চিমে।
রাজধানীঃ ইপোহ।
পরিচিতিঃ প্রাকৃতিক গুহা এবং প্রাচীন টিন শিল্প।
৯। পেরলিস (Perlis)
অবস্থানঃ মালয়েশিয়ার সবচেয়ে ছোট রাজ্য, উত্তরে থাইল্যান্ডের সীমান্ত।
রাজধানীঃ কানগার।
পরিচিতিঃ কৃষি এবং শান্তিপূর্ণ পরিবেশ।
১০। সাবাহ (Sabah)
অবস্থানঃ বোর্নিও দ্বীপের উত্তরে।
রাজধানীঃ কোটা কিনাবালু।
পরিচিতিঃ মাউন্ট কিনাবালু এবং সমৃদ্ধ জীববৈচিত্র্য।
১১। সারাওয়াক (Sarawak)
অবস্থানঃ বোর্নিও দ্বীপের পশ্চিমে।
রাজধানীঃ কুচিং।
পরিচিতিঃ গভীর জঙ্গল এবং সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য।
১২। সেলাঙ্গর (Selangor)
অবস্থানঃ কুয়ালালামপুরকে ঘিরে।
রাজধানীঃ শাহ আলম।
পরিচিতিঃ আধুনিক শিল্প এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন।
১৩। তেরেঙ্গানু (Terengganu)
অবস্থানঃ মালয় উপদ্বীপের পূর্ব উপকূলে।
রাজধানীঃ কুয়ালা তেরেঙ্গানু।
পরিচিতিঃ চমৎকার দ্বীপ এবং ঐতিহ্যবাহী হস্তশিল্প।
ফেডারাল টেরিটরি (Federal Territories):
১। কুয়ালালামপুর (Kuala Lumpur)
পরিচিতিঃ মালয়েশিয়ার রাজধানী এবং প্রধান বাণিজ্যিক কেন্দ্র।
২। পুত্রাজায়া (Putrajaya)
পরিচিতিঃ প্রশাসনিক রাজধানী, আধুনিক স্থাপত্য এবং লেক।
৩। লাবুয়ান (Labuan)
পরিচিতিঃ আন্তর্জাতিক ব্যবসা ও আর্থিক কেন্দ্র।
মালয়েশিয়ার গঠন
১৩টি রাজ্য তাদের নিজস্ব সাংবিধানিক সুলতান বা গভর্নর দ্বারা পরিচালিত হয়। তিনটি
ফেডারাল টেরিটরি সরাসরি কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে পরিচালিত হয়।
মালয়েশিয়ার রাজ্য এবং মালয়েশিয়ার প্রশাসনিক কাঠামো সম্পর্কে বিস্তারিত
মালয়েশিয়ার দুই ভৌগোলিক অঞ্চল
মালয়েশিয়াকে প্রধানত দুটি ভৌগোলিক অঞ্চলে ভাগ করা হয়।
১। পশ্চিম মালয়েশিয়া (Peninsular Malaysia)
এখানে ১১টি রাজ্য এবং ২টি ফেডারাল টেরিটরি (কুয়ালালামপুর ও পুত্রাজায়া) অবস্থিত।
২। পূর্ব মালয়েশিয়া (East Malaysia)
বোর্নিও দ্বীপে অবস্থিত। এখানে ২টি রাজ্য (সাবাহ এবং সারাওয়াক) এবং ১টি ফেডারাল
টেরিটরি (লাবুয়ান) অবস্থিত।
প্রতিটি অঞ্চলের পরিচিতি
পশ্চিম মালয়েশিয়ার রাজ্যগুলো
আবহাওয়াঃ উষ্ণমণ্ডলীয় আবহাওয়া।
উন্নয়নঃ অধিকাংশ অর্থনৈতিক এবং বাণিজ্যিক উন্নয়ন এই অঞ্চলে কেন্দ্রীভূত।
পূর্ব মালয়েশিয়ার রাজ্যগুলো
প্রকৃতিঃ গভীর বন, পাহাড়, এবং জীববৈচিত্র্যের জন্য বিখ্যাত।
স্থানীয় সংস্কৃতিঃ আদিবাসী গোষ্ঠী যেমন ইবান, কাডাজান, এবং মুরুটের সমৃদ্ধ
সংস্কৃতি।
মালয়েশিয়ার রাজ্যগুলোর ঐতিহ্যবাহী উৎসব
১। হারি রায়া ঈদুল ফিতরিঃ মুসলিমদের সবচেয়ে বড় উৎসব।
২। থাইপুসামঃ হিন্দুদের অন্যতম বড় উৎসব।
৩। চাইনিজ নিউ ইয়ারঃ চীনা সম্প্রদায়ের প্রধান উৎসব।
৪। গাওয়াই ফেস্টিভ্যালঃ সারাওয়াকের আদিবাসীদের ফসল কাটার উৎসব।
৫। কাামাতান ফেস্টিভ্যালঃ সাবাহ অঞ্চলে পালিত হয়।
ভাষা ও সংস্কৃতি
মালয়েশিয়া মাল্টি-এথনিক এবং মাল্টি-কালচারাল দেশ। প্রধান ভাষা বাহাসা মালয়ু, তবে
ইংরেজি, ম্যান্ডারিন, এবং তামিলও ব্যাপকভাবে প্রচলিত।
জানবো আমরা ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url