সৌদি আরব থেকে আমেরিকা যাওয়ার উপায় ও যেতে কত টাকা লাগে

সৌদি আরব থেকে আমেরিকা সৌদি আরব থেকে আমেরিকা যাওয়ার উপায় ও যেতে কত টাকা লাগে তা এই আর্টিকেলটিতে আপনাদের বিস্তারিত জানাবো চলুন।
সৌদি আরব থেকে আমেরিকা যাওয়ার উপায় ও সৌদি আরব থেকে আমেরিকা যেতে কত টাকা লাগে। জানবো আমরা। janbo amra
সৌদি আরব থেকে আমেরিকা যাওয়ার উপায় ও সৌদি আরব থেকে আমেরিকা যেতে কত টাকা লাগে
সৌদি আরব থেকে আমেরিকা যাওয়ার উপায় জানার পাশাপাশি যেতে কি কি যোগ্যতা লাগে, আমেরিকার ভিসার রিসিট নাম্বার ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সম্পর্কেও জানতে পারবেন। 

সূচিপত্রঃ সৌদি আরব থেকে আমেরিকা যাওয়ার উপায়

সৌদি আরব থেকে আমেরিকা যাওয়ার উপায়

সৌদি আরব থেকে আমেরিকা যাওয়ার জন্য কয়েকটি সাধারণ উপায় রয়েছে। এটি ভ্রমণের উদ্দেশ্য (পর্যটন, শিক্ষা, কাজ, বা অভিবাসন) এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের ওপর নির্ভর করে। নিচে বিস্তারিত দেওয়া হলোঃ

১। ভিসা সংগ্রহ করা

আমেরিকায় যাওয়ার জন্য সঠিক ভিসা প্রয়োজন। সৌদি আরবের বাসিন্দাদের জন্য সাধারণত এই ভিসাগুলো প্রয়োজন হতে পারেঃ

পর্যটন ভিসা (B1/B2): পর্যটন বা ব্যবসায়িক ভ্রমণের জন্য।

ছাত্র ভিসা (F1): আমেরিকায় পড়াশোনা করতে চাইলে।

কাজের ভিসা (H1B): আমেরিকায় কাজের জন্য।

ইমিগ্র্যান্ট ভিসা: স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য।

২। ভ্রমণের প্রস্তুতি

১। ফ্লাইট বুকিং: সৌদি আরব থেকে বিভিন্ন এয়ারলাইন্সের সরাসরি বা সংযোগ ফ্লাইট রয়েছে। যেমন:

ক. সৌদি এয়ারলাইন্স (Saudi Airlines)

খ. এমিরেটস (Emirates)

গ. কাতার এয়ারওয়েজ (Qatar Airways)

৩। পাসপোর্ট ও অন্যান্য কাগজপত্র

পাসপোর্ট, ভিসা, এবং প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস প্রস্তুত রাখতে হবে।

৪। মেডিকেল এবং ইন্স্যুরেন্স

ভ্রমণের আগে স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং ভ্রমণ ইন্স্যুরেন্স নেওয়া জরুরি।

৫। ভিসার ধরন ও আবেদন প্রক্রিয়া

সৌদি আরব থেকে আমেরিকা যাওয়ার জন্য সঠিক ভিসা বেছে নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।

পর্যটন ভিসা (B1/B2):

ভিসা আবেদন করুন U.S. Department of State এর ওয়েবসাইটে।

প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
  • পাসপোর্ট (কমপক্ষে ৬ মাসের বৈধতা থাকতে হবে)।
  • DS-160 ফর্ম পূরণ।
  • ভিসা আবেদন ফি পরিশোেধ (প্রায় $160)।
  • সাক্ষাৎকারের জন্য দূতাবাসে উপস্থিত হোন।
ছাত্র ভিসা (F1)

ক. আমেরিকান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভর্তি নিশ্চিত হলে 1-20 ফর্ম পাওয়া যাবে।

খ. SEVIS ফি ($350) পরিশোধ করুন।

গ. দূতাবাসে সাক্ষাৎকারের জন্য আবেদন করুন।

কাজের ভিসা (H1B)

ক.আমেরিকান কোম্পানি থেকে কাজের অফার পেতে হবে।

খ. স্পনসরশিপের মাধ্যমে আবেদন করুন।

ইমিগ্র্যান্ট ভিসা

ক. পরিবার পুনর্মিলন, গ্রিন কার্ড লটারি, বা স্পন্সরশিপের মাধ্যমে স্থায়ী বসবাসের সুযোগ।

৬। ফ্লাইট বুকিং ও যাত্রা পরিকল্পনা

ক. সরাসরি ফ্লাইট নেই, তবে ট্রানজিট ফ্লাইটের মাধ্যমে যাওয়া যায়।

জনপ্রিয় এয়ারলাইন

ক. এমিরেটস (দুবাই হয়ে)।

খ. কাতার এয়ারওয়েজ (দোহা হয়ে)।

গ. তুর্কিশ এয়ারলাইনস (ইস্তাম্বুল হয়ে)।

সৌদি আরবের জেদ্দা বা রিয়াদ থেকে আমেরিকার বড় শহরগুলোতে (নিউ ইয়র্ক, লস অ্যাঞ্জেলেস, শিকাগো) ফ্লাইট পাওয়া যায়।

৭। ইমিগ্রেশন প্রসেস

সৌদি আরব ছাড়ার সময়

সৌদি ইমিগ্রেশনে পাসপোর্ট এবং ভিসা যাচাই করা হবে।

আমেরিকায় পৌঁছানোর পর

ক. মার্কিন কাস্টমস এবং বর্ডার প্রোটেকশন (CBP) অফিসারদের সঙ্গে সাক্ষাৎ।

খ. প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস (1-20 ফর্ম, ভিসা, কাজের অনুমোদন পত্র) দেখান।

৮। আবশ্যক তথ্য ও প্রস্তুতি

স্বাস্থ্য পরীক্ষা

ক. নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে মেডিকেল রিপোের্ট প্রয়োজন হতে পারে।

খ. কোভিড-১৯ সম্পর্কিত বিধি মেনে চলুন।

ভ্রমণ ইন্স্যুরেন্স

যেকোনো জরুরি পরিস্থিতির জন্য ইন্স্যুরেন্স রাখুন।

৯। ভ্রমণের উদ্দেশ্য অনুযায়ী সহায়তা

পর্যটনঃ ভ্রমণ পরিকল্পনা করুন এবং যাত্রার স্থানগুলো চিহ্নিত করুন।

শিক্ষাঃ আগেই হোস্টেল বা থাকার জায়গা ঠিক করুন।

কাজঃ স্পনসর কোম্পানির সব নিয়ম মেনে চলুন।

সৌদি আরব থেকে আমেরিকা যাওয়ার উপায় জেনে নিলেন এখন আমেরিকা যেতে কত টাকা লাগে তাও জেনে নেওয়া প্রয়োজন আপনাদের। 

সৌদি আরব থেকে আমেরিকা যেতে কত টাকা লাগে

সৌদি আরব থেকে আমেরিকায় ভ্রমণের জন্য খরচ কয়েকটি বিষয়ের ওপর নির্ভর করে। এর মধ্যে রয়েছেঃ

১। বিমান টিকিটের মূল্য

একমুখী টিকিট: সাধারণত ৪০,০০০ থেকে ৯০,০০০ বাংলাদেশি টাকার মধ্যে হতে পারে।

রিটার্ন টিকিট: ৭০,০০০ থেকে ১,৫০,০০০ টাকার মধ্যে হতে পারে।

২। ভিসা প্রসেসিং খরচ

আমেরিকার ভিসা ফি (বিজনেস বা ট্যুরিস্ট): প্রায় $১৬০ (বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১৮,০০০ টাকা)।

অতিরিক্ত সেবা ফি বা অন্যান্য খরচ যোগ হতে পারে।

৩। অন্যান্য খরচ

ক. ট্রানজিট হোটেল বা অতিরিক্ত যাতায়াত খরচ।

খ. বিমানের ক্লাস (ইকোনমি, বিজনেস, বা ফার্স্ট ক্লাস)।

বিমান টিকিটের দাম ভ্রমণের তারিখ এবং বুকিংয়ের সময়ের ওপর নির্ভর করে। বিস্তারিত জানার জন্য জনপ্রিয় ওয়েবসাইট যেমন Skyscanner বা Google Flights ব্যবহার করতে পারেন। সৌদি আরব থেকে আমেরিকা যেতে কত টাকা লাগে বুঝতে পারলেন নিশ্চয় এখন জেনে নিন আমেরিকা ভিসা পাওয়া যাবে কিনা। 

সৌদি আরব থেকে আমেরিকা ভিসা পাওয়া যাবে কি

সৌদি আরব থেকে আমেরিকার ভিসা পাওয়া সম্ভব, তবে এর জন্য আপনাকে নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে। সৌদি আরবে বসবাসকারী ব্যক্তি আমেরিকার দূতাবাস বা কনস্যুলেটে ভিসার আবেদন করতে পারেন। এখানে কয়েকটি ধাপ দেওয়া হলো:

১। ভিসার ধরন নির্ধারণ করুন

আপনি কোন কারণে আমেরিকায় যেতে চান (যেমন: ভ্রমণ, পড়াশোনা, কাজ) তার ওপর ভিত্তি করে ভিসার ধরন (B1/B2, F1, H1B, ইত্যাদি) নির্ধারণ করতে হবে।

২। DS-160 ফর্ম পূরণ করুন

ক. আমেরিকার ভিসার জন্য DS-160 নামক একটি অনলাইন ফর্ম পূরণ করতে হবে।

খ. DS-160 ফর্ম পূরণের লিঙ্ক

৩। ভিসা ফি জমা দিন

প্রাসঙ্গিক ভিসা ফি জমা দিতে হবে এবং এর রসিদ সংরক্ষণ করতে হবে।

৪। ইন্টারভিউ অ্যাপয়েন্টমেন্ট

সৌদি আরবে অবস্থিত আমেরিকান দূতাবাস বা কনস্যুলেট (যেমন রিয়াদ, জেদ্দা, বা ধাহরান) থেকে ইন্টারভিউয়ের তারিখ ঠিক করুন।

৫। প্রয়োজনীয় নথিপত্র প্রস্তুত করুন
  • বৈধ পাসপোর্ট
  • পাসপোর্ট সাইজের ছবি
  • DS-160 কনফার্মেশন পৃষ্ঠা
  • ভিসা ফি জমার রসিদ
  • আপনার ভ্রমণের উদ্দেশ্যের প্রমাণপত্র (যেমন: ইনভিটেশন লেটার, ব্যাংক স্টেটমেন্ট, চাকরির কাগজপত্র)।
৬। ইন্টারভিউ দিন

নির্ধারিত তারিখে দূতাবাসে গিয়ে ইন্টারভিউ দিন।

আপনার আবেদন যাচাই করার পর, যদি সবকিছু সঠিক থাকে, তাহলে আপনাকে ভিসা প্রদান করা হবে। সৌদি আরব থেকে আমেরিকা ভিসা পাওয়া যাবে কিনা জেনে নিয়েছেন এইবার জানা যাক আমেরিকা যেতে যোগ্যতা কেমন লাগে। 

আমেরিকা যেতে কি কি যোগ্যতা লাগে

আমেরিকা যেতে যে ধরনের ভিসা বা উদ্দেশ্যে আপনি যাচ্ছেন তার উপর নির্ভর করে প্রয়োজনীয় যোগ্যতা এবং শর্ত ভিন্ন হতে পারে। নিচে প্রধান ভিসা ধরনের জন্য প্রয়োজনীয় যোগ্যতার সংক্ষিপ্ত তালিকা দেওয়া হলোঃ

১। স্টুডেন্ট ভিসা (F-1/M-1)

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি নিশ্চিতকরণ: আমেরিকার কোনো স্বীকৃত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে ভর্তি নিশ্চিত করতে হবে।

ভর্তি প্রমাণপত্র (1-20): শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে পাওয়া ফর্ম 1-20 প্রয়োজন।

আর্থিক সক্ষমতা: পড়াশোনা এবং জীবিকার জন্য পর্যাপ্ত অর্থ রয়েছে তা প্রমাণ করতে হবে।

ইংরেজি দক্ষতা: TOEFL, IELTS বা সমমানের পরীক্ষা দিয়ে ইংরেজি ভাষার দক্ষতা প্রমাণ করতে হবে।

২। পর্যটক বা ব্যবসায়িক ভিসা (B-1/B-2)

পর্যটনের উদ্দেশ্য বা ব্যবসা: পরিষ্কারভাবে জানাতে হবে কেন আপনি আমেরিকা যাচ্ছেন।

আর্থিক সামর্থ্য: সফরের ব্যয়ভার বহন করার সামর্থ্য থাকতে হবে।

ফেরত আসার ইচ্ছা: আপনার নিজ দেশে ফেরত আসার ইচ্ছা এবং প্রমাণ দেখাতে হবে (যেমন: চাকরি, পরিবার, সম্পত্তি)।

৩। কর্মসংস্থান ভিসা (H-1B, L-1, ইত্যাদি)

কর্মসংস্থান চুক্তি: আমেরিকান কোনো প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে কাজের অফার থাকতে হবে।

যোগ্যতা: প্রাসঙ্গিক শিক্ষা এবং দক্ষতা থাকতে হবে।

স্পনসর প্রতিষ্ঠান: আপনার জন্য ভিসা স্পন্সর করতে রাজি একটি প্রতিষ্ঠান থাকতে হবে।

৪। ইমিগ্রেশন ভিসা (গ্রিন কার্ড)

স্পন্সর: পরিবার বা কর্মসংস্থানের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে।

ডিভি লটারি: ডাইভার্সিটি ভিসা লটারি প্রোগ্রামের মাধ্যমে আবেদন করলে উচ্চ মাধ্যমিক বা সমমানের শিক্ষা প্রয়োজন।

সাধারণ শর্তঃ
  • বৈধ পাসপোর্ট।
  • অপরাধমূলক রেকর্ড না থাকা।
  • স্বাস্থ্য পরীক্ষার নথি (যদি প্রয়োজন হয়)।
  • আমেরিকার ভিসার আবেদন ফি প্রদান।
আপনার উদ্দেশ্য অনুযায়ী আমেরিকান দূতাবাসের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে পরামর্শ নিতে পারেন। আমেরিকা যেতে কি কি যোগ্যতা লাগে পড়ে নিলেন, যাওয়ার জন্য দরকারী কাগজপত্র সম্পর্কেও বিস্তারিত জেনে নিন। 

সৌদি আরব থেকে আমেরিকা যেতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

সৌদি আরব থেকে আমেরিকা ভ্রমণের জন্য যেসব কাগজপত্র প্রয়োজন, তা নির্ভর করে ভ্রমণের উদ্দেশ্য এবং আপনার ভিসার ধরণের ওপর। সাধারণত প্রয়োজনীয় কাগজপত্রগুলো হলো:

১। পাসপোর্ট

বৈধ পাসপোর্ট, যার মেয়াদ অন্তত ৬ মাস থাকতে হবে।

২। ভিসা

যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের জন্য প্রয়োজনীয় বৈধ ভিসা। ভিসার ধরণ ভ্রমণের উদ্দেশ্যের উপর নির্ভর করবে (যেমন: পর্যটন, শিক্ষাগত, কর্মসংস্থান ইত্যাদি)।

৩। ভিসা আবেদন ফি রসিদ

* DS-160 ফর্ম পূরণের পর জমা দেওয়া আবেদন ফি-এর রসিদ।

8। DS-160 কনফারমেশন পৃষ্ঠা

অনলাইনে DS-160 ফর্ম পূরণ করে কনফারমেশন পৃষ্ঠা প্রিন্ট করতে হবে।

৫। ফ্লাইট টিকিট

আমেরিকায় যাওয়ার এবং (যদি প্রয়োজন হয়) ফেরার ফ্লাইটের টিকিট।

৬। কোভিড-১৯ সম্পর্কিত কাগজপত্র

সাম্প্রতিক ভ্রমণ নীতি অনুযায়ী কোভিড-১৯ টিকার সনদ বা পরীক্ষার রিপোের্ট প্রয়োজন হতে পারে।

৭। ব্যাংক স্টেটমেন্ট

যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণের সময় খরচ বহন করতে পারবেন তা প্রমাণ করার জন্য সাম্প্রতিক ব্যাংক স্টেটমেন্ট।

৮। স্পন্সর লেটার (যদি প্রযোজ্য হয়)

যদি কেউ আপনাকে স্পন্সর করে, তবে স্পন্সরের কাছ থেকে একটি আমন্ত্রণপত্র বা অ্যাফিডেভিট অফ সাপোর্ট।

৯। বীমা (যদি প্রয়োজন হয়)

ভ্রমণ বা স্বাস্থ্য বীমা।

১০। অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
  • কাজের প্রমাণপত্র (যদি কর্মসংস্থানের জন্য যান)।
  • শিক্ষাগত নথি (যদি শিক্ষার জন্য যান)।
  • আমন্ত্রণপত্র (যদি কারও আমন্ত্রণে যান)।
টিপস

ক. প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ভালোভাবে চেক করুন এবং যথাসময়ে আমেরিকান দূতাবাস বা কনস্যুলেটের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।

খ. সৌদি আরবের আইন অনুযায়ী ভ্রমণের অনুমতি এবং কাগজপত্র সংগ্রহের প্রক্রিয়া নিশ্চিত করুন।

সৌদি আরব থেকে আমেরিকা যেতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র কি লাগবে তা জেনেছেন এইবার ভিসার রিসিট নাম্বার সম্পর্কে জেনে নিন। 

সৌদিতে আমেরিকার ভিসার রিসিট নাম্বার কত

সৌদিতে আমেরিকার ভিসার জন্য রিসিট নাম্বারটি হলো একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য যা আপনি ভিসা ফি প্রদানের পর পান। এই রিসিট নাম্বারটি আপনি ভিসার আবেদন ফর্ম পূরণ করতে এবং ভিসা সাক্ষাৎকারের সময় ব্যবহার করবেন। এটি সাধারণত আপনার পেমেন্ট রিসিটে পাওয়া যায়।

রিসিট নাম্বার কোথায় পাবেন

অনলাইনে পেমেন্ট করলেঃ ব্যাংকের মাধ্যমে পেমেন্টের পরে আপনাকে একটি রিসিট দেওয়া হবে, যেখানে রিসিট নাম্বার থাকবে।

ক্যাশ পেমেন্ট করলেঃ আপনার পেমেন্ট স্লিপে বা রিসিটে নাম্বারটি উল্লেখ থাকবে।

এলিগ্রা/সিস্টেমে পেমেন্ট করলেঃ আপনার ইমেইল বা অনলাইন প্রোফাইলে পেমেন্ট ডিটেইলসে রিসিট নাম্বারটি দেখতে পারবেন।

যদি আপনি রিসিট নাম্বার খুঁজে না পান, তবে সেই ব্যাংক বা পেমেন্ট সার্ভিস প্রোভাইডারের সাথে যোগাযোগ করুন, যেখানে পেমেন্টটি সম্পন্ন করেছেন।

নোট: রিসিট নাম্বারটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ, তাই এটি সংরক্ষণ করুন।

সৌদিতে আমেরিকার ভিসার রিসিট নাম্বার কত তা জানালাম আপনাদের এখন জানুন সৌদি আরবে ভিসা ছাড়া যাওয়ার উপায়সমূহ সম্পর্কে।

ভিসা ছাড়াই সৌদি আরব যেভাবে যাবেন

সাধারণত সৌদি আরবে প্রবেশের জন্য ভিসা বাধ্যতামূলক। তবে কিছু নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে ভিসা ছাড়াই সৌদি আরবে প্রবেশ সম্ভব হতে পারে। যেমন:

১। ট্রানজিট যাত্রা

যদি আপনার ফ্লাইট সৌদি আরবের কোনো এয়ারপোর্টে ট্রানজিট হয় এবং আপনি এয়ারপোর্টের বাইরে না যান, তাহলে ভিসার প্রয়োজন হয় না। তবে এই সময়সীমা সাধারণত ১২-২৪ ঘণ্টার মধ্যে সীমাবদ্ধ।

২। বিশেষ কার্যক্রম বা চুক্তি

কিছু নির্দিষ্ট দেশ বা অঞ্চল সৌদি আরবের সঙ্গে বিশেষ চুক্তির আওতায় ভিসা ছাড়া প্রবেশের অনুমতি পেতে পারে। তবে বাংলাদেশ এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত নয়।

৩। উমরাহ বা হজ ভিসার বিকল্প ব্যবস্থা

২০২৩ সালে সৌদি আরব উমরাহ ভ্রমণের জন্য বিশেষ ই-ভিসা প্রদান করেছে, যা সহজে অনলাইনে করা যায়। এছাড়া উপসাগরীয় সহযোগিতা কাউন্সিলের (GCC) সদস্য দেশের নাগরিকদের কিছু ক্ষেত্রে ভিসা ছাড়াই প্রবেশের সুবিধা রয়েছে।

৪। সৌদি এয়ারলাইন্সের বিশেষ ট্রানজিট প্রোগ্রাম

কিছু সময়ে সৌদি এয়ারলাইন্স তাদের যাত্রীদের জন্য ফ্রি ট্রানজিট ভিসার সুযোগ দিয়ে থাকে। তবে এটি নির্দিষ্ট সময় ও শর্তের ভিত্তিতে প্রযোজ্য।

আপনার যদি সৌদি আরব ভ্রমণের পরিকল্পনা থাকে, তবে স্থানীয় সৌদি দূতাবাস বা কনস্যুলেট অফিসে যোগাযোগ করে ভিসা প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া ভালো। ভিসা ছাড়াই সৌদি আরব যেভাবে যাবেন ও সৌদি আরব থেকে আমেরিকা যাওয়ার উপায় সবই জানালাম আপনাদের। 

সৌদি আরব থেকে আমেরিকা যাওয়ার উপায় সম্পর্কে কিছু প্রশ্ন এবং তার উত্তর

১। সৌদি আরব থেকে আমেরিকা যেতে কী ভিসা লাগে?

উত্তর : হ্যাঁ, আমেরিকা যেতে অবশ্যই ভিসা প্রয়োজন।

২। কোন ভিসা প্রয়োজন?

উত্তর : উদ্দেশ্যের উপর ভিত্তি করে পর্যটক, স্টুডেন্ট, বা কাজের ভিসা।

৩। ভিসার জন্য কী কাগজপত্র লাগে?

উত্তর : পাসপোর্ট, DS-160 ফর্ম, ছবি, ফি জমার রসিদ এবং প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস।

৪। ভিসার খরচ কত?

উত্তর : ভিসা ফি $160 (প্রায় ৬০০ সৌদি রিয়াল)।

৫। টিকিটের খরচ কত?

উত্তর : একমুখী টিকিট $800-$2000 (প্রায় ৩০০০-৭৫০০ সৌদি রিয়াল)।

৬। ভিসা ছাড়া আমেরিকা যাওয়া সম্ভব কি?

উত্তর : না, এটি অবৈধ।

পরিশেষেঃ সৌদি আরব থেকে আমেরিকা যাওয়ার উপায় ও যেতে কত টাকা লাগে

আপনারা যারা সৌদি থেকে আমেরিকা যেতে চাচ্ছেন তারা এই আর্টিকেল থেকে পেয়ে গেছেন আশাকরি। এইরকম তথ্য পেতে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন এবং আমাদের সার্ভিস সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

জানবো আমরা ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url