ওমানের পুরো মুদ্রার নাম কি
ওমানের মুদ্রা ওমানের পুরো মুদ্রার নাম কি তা এই আর্টিকেলে আপনাদের বিস্তারিত জানাবো চলুন।
![]() |
ওমানের পুরো মুদ্রার নাম কি। |
সূচিপত্রঃ ওমানের পুরো মুদ্রার নাম কি।
ওমানের পুরো মুদ্রার নাম কি
ওমানের পুরো মুদ্রার নাম ওমানি রিয়াল (Omani Rial -OMR)।
ওমানের মুদ্রার নাম ওমানি রিয়াল (Omani Rial - OMR), যা দেশটির সরকার কর্তৃক
পরিচালিত ওমান সেন্ট্রাল ব্যাংক ইস্যু করে।
ওমানি রিয়াল সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্যঃ
১। প্রতীকঃ ৭.১. (আরবি) বা OMR
(আন্তর্জাতিকভাবে)।
২। উপ-মুদ্রাঃ ১ ওমানি রিয়াল =
১০০০ বাইসা (Baisa)।
৩। মুদ্রা ও নোটের মানঃ
ক. কয়েন: ৫, ১০, ২৫, ৫০, ১০০ বাইসা।
খ. নোট: ১, ৫, ১০, ২০, ৫০ রিয়াল।
৪। মুদ্রার ইতিহাসঃ
ক. ১৯৭০ সালে ওমানি রিয়াল চালু হয়।
খ. এর আগে, গালফ রুপি ও তারও আগে ভারতীয় রুপি প্রচলিত ছিল।
৫। মান ও বিনিময় হারঃ
ক. ওমানি রিয়াল বিশ্বের অন্যতম মূল্যবান মুদ্রাগুলোর একটি।
খ. এটি সাধারণত মার্কিন ডলারের সাথে পেগ (Pegged) থাকে, প্রায় ১ OMR = ২.৬০ USD
ওমানি রিয়ালের ইতিহাস
ক. ১৯৭০ সালের আগে ওমানে গালফ রুপি (Gulf Rupee) চালু ছিল, যা ভারতীয় রুপির সাথে
সংযুক্ত ছিল।
খ. ১৯৭০ সালে সুলতান কাবুস বিন সাঈদের ক্ষমতায় আসার পর নতুন মুদ্রা চালুর
সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
গ. ১৯৭৩ সালে ওমানি রিয়াল আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হয়, যা মার্কিন ডলারের সাথে পেগ
করা হয়।
মুদ্রার বৈশিষ্ট্যঃ
১। ব্যাংক নোট (কাগজের নোট) ঃ
বর্তমানে ওমানে যে নোটগুলো প্রচলিত আছে, সেগুলো হলোঃ
ক. ১ রিয়াল
খ. ৫ রিয়াল
গ. ১০ রিয়াল
ঘ. ২০ রিয়াল
ঙ. ৫০ রিয়াল
বৈশিষ্ট্যঃ
ক. প্রতিটি নোটে সুলতান কাবুস বা সুলতান হাইতামের ছবি থাকে।
খ. ওমানের ঐতিহ্যবাহী স্থাপত্য, ইতিহাস ও সংস্কৃতির প্রতিচ্ছবি এতে তুলে ধরা হয়।
গ. নোটগুলোর নিরাপত্তার জন্য জলছাপ (Watermark), হোলোগ্রাম, উজ্জ্বল কালি ও
মাইক্রোপ্রিন্টিং ব্যবহার করা হয়।
২। কয়েন (মুদ্রা ঃ
ওমানে ব্যবহৃত কয়েনগুলো সাধারণত বাইসা (Baisa)-তে প্রকাশিত হয়। প্রচলিত কয়েনগুলোর
মান:
ক. ৫ বাইসা
খ. ১০ বাইসা
গ. ২৫ বাইসা
ঘ. ৫০ বাইসা
ঙ. ১০০ বাইসা (১/১০ রিয়াল)
ওমানি রিয়ালের বিনিময় হার
ওমানি রিয়াল বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী মুদ্রা। সাধারণতঃ
ক. ১ OMR ≈ ২.৬০ USD (মার্কিন ডলার)
খ. ১ OMR ≈ ২১৫-২২০ BDT (বাংলাদেশি টাকা) [পরিবর্তনশীল]
ওমানি রিয়ালের বৈশিষ্ট্য যা এটিকে শক্তিশালী করে তুলেছেঃ
১। প্রাকৃতিক সম্পদঃ
ওমানের প্রধান অর্থনৈতিক উৎস হলো তেল ও গ্যাস, যা দেশটির মুদ্রাকে স্থিতিশীল
রাখে।
২। ডলারের সাথে সংযুক্তঃ
ওমানি রিয়াল মার্কিন ডলারের সাথে সংযুক্ত থাকায় বিনিময় হার স্থিতিশীল থাকে।
৩। কম সরবরাহ, উচ্চ মূল্যঃ
অন্যান্য অনেক দেশের তুলনায় ওমান কম পরিমাণে মুদ্রা ছাপে, ফলে এর মূল্য বেশি
থাকে।
জানবো আমরা ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url