মালয়েশিয়া কিভাবে যাব
মালয়েশিয়া কিভাবে যাব বিস্তারিত জানুন।
![]() |
মালয়েশিয়া কিভাবে যাব |
মালয়েশিয়া কিভাবে যাব
মালয়েশিয়া যেতে হলে আপনাকে একটি বৈধ ভিসা পেতে হবে।
মালয়েশিয়া ভ্রমণের উদ্দেশ্যের উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন ধরনের ভিসা রয়েছে, যেমন:
১। পর্যটন বা ভিজিট ভিসা
এটি স্বল্পমেয়াদী ভ্রমণের জন্য দেওয়া হয়। সাধারণত ৩০ দিন বা ৩ মাসের জন্য অনুমোদিত হয়।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:
ক. পাসপোর্ট (ন্যূনতম ৬ মাসের মেয়াদ থাকতে হবে)
খ. মালয়েশিয়ার ট্যুরিস্ট ভিসার আবেদন ফর্ম
গ. পাসপোর্ট সাইজ ছবি
ঘ. ব্যাংক স্টেটমেন্ট (শেষ ৬ মাসের)
ঙ. হোটেল বুকিং কনফার্মেশন
চ. ফ্লাইট টিকিট (যাওয়া ও আসার)
ছ. কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন সার্টিফিকেট (যদি প্রয়োজন হয়)
কিভাবে আবেদন করবেন?
ক. বাংলাদেশে মালয়েশিয়ার দূতাবাস বা অনুমোদিত এজেন্টের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে।
খ. অনলাইনেও কিছু ভিসার আবেদন করা যায় (ই-ভিসা বা ই-এন্ট্রি ভিসা)।
২। ওয়ার্ক পারমিট (কর্মসংস্থান ভিসা)
যদি আপনি চাকরি বা ব্যবসার উদ্দেশ্যে মালয়েশিয়া যেতে চান, তাহলে একটি ওয়ার্ক পারমিট প্রয়োজন।
ধাপ:
ক. চাকরি পাওয়া: মালয়েশিয়ার কোনো কোম্পানি থেকে চাকরির অফার নিতে হবে।
খ. নিয়োগকর্তা পারমিট আবেদন করবে: কোম্পানির পক্ষ থেকে মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন দপ্তরে ওয়ার্ক পারমিটের জন্য আবেদন করতে হবে।
গ. ভিসা আবেদন: অনুমোদনের পর বাংলাদেশে মালয়েশিয়ান দূতাবাস থেকে ভিসা নিতে হবে।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:
* নিয়োগপত্র (Job Offer Letter)
* পাসপোর্ট
* স্বাস্থ্য পরীক্ষা রিপোর্ট
* পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট
* কোম্পানির স্পন্সরশিপ ডকুমেন্ট
৩। স্টুডেন্ট ভিসা
যদি আপনি মালয়েশিয়ায় পড়াশোনা করতে চান, তাহলে স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে।
প্রক্রিয়া:
ক. মালয়েশিয়ার স্বীকৃত কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে হবে।
খ. বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অফার লেটার পাওয়ার পর ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিতে হবে।
গ. অনুমোদন পেলে বাংলাদেশে মালয়েশিয়ান দূতাবাসে গিয়ে ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:
* ভর্তি নিশ্চিতকরণের চিঠি
* পাসপোর্ট
* ব্যাংক স্টেটমেন্ট
* মেডিকেল সার্টিফিকেট
* পুলিশ ক্লিয়ারেন্স
৪।। ব্যবসা বা বিনিয়োেগ ভিসা
যারা মালয়েশিয়ায় ব্যবসা করতে চান, তারা বিনিয়োেগ ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:
* ব্যবসার কাগজপত্র
* বিনিয়োগের তথ্য
* ট্যাক্স ফাইল
* ব্যাংক স্টেটমেন্ট
মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য অন্যান্য তথ্য:
ক. অর্থনৈতিক অবস্থা: মালয়েশিয়া একটি উন্নয়নশীল দেশ, যার বৈদেশিক বাণিজ্য ও শিল্প খাত দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাছাড়া, এটি পর্যটন ও ব্যবসার জন্য আকর্ষণীয় গন্তব্য।
খ. ট্রানজিট/ল্যান্ডিং: বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়া সরাসরি ফ্লাইট পাওয়া যায়। মালয়েশিয়া এয়ারলাইনস, বাংলাদশ এয়ারলাইন্স, এয়ার এশিয়া, মালিন্দো এয়ারলাইনস ইত্যাদি এয়ারলাইন্সগুলি বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়া সরাসরি ফ্লাইট পরিচালনা করে।
গ. বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষা: মালয়েশিয়া আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য অনেক জনপ্রিয় গন্তব্য। বিভিন্ন শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয় যেমন ইউনিভার্সিটি মালায়, ইউনিভার্সিটি কেবাঙ্গসান মালয়েশিয়া, এবং ইউনিভার্সিটি টেকনোলজি মালায় (UTM) শিক্ষা ও গবেষণায় উচ্চমানের সুযোগ প্রদান করে।
ঘ. ভিসা ফ্রি: অনেক দেশের নাগরিকদের জন্য মালয়েশিয়া ৩০ দিনের জন্য ভিসা মুক্ত প্রবেশের সুযোগ দেয়। তবে, বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য সাধারণত ভিসা প্রয়োজন।
ঙ. স্থানীয় যোগাযোগ ব্যবস্থা: মালয়েশিয়ায় মেট্রো, বাস, ট্যাক্সি এবং রাইড শেয়ারিং পরিষেবা (Grab) জনপ্রিয়।
মালয়েশিয়ার ভ্রমণে অতিরিক্ত গুরুত্বপূর্ণ টিপস:
ক. মালয়েশিয়ার স্থানীয় ভাষা: মালয়েশিয়ার সরকারি ভাষা মালায়ালাম, তবে ইংরেজি ভাষাও ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। স্থানীয় ভাষা শিখলে আরও সহজ হবে।
খ. মুদ্রা: মালয়েশিয়ার মুদ্রা হচ্ছে মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত (MYR)।
গ. সময়: মালয়েশিয়া বাংলাদেশের থেকে ২ ঘণ্টা এগিয়ে (GMT +8)1
ঘ. নিরাপত্তা: মালয়েশিয়া নিরাপদ দেশ হলেও পর্যটকদের কিছু সাধারণ নিরাপত্তা সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত, বিশেষ করে জনবহুল স্থানগুলোতে।
ঙ. অর্থ বিনিময়: বাংলাদেশী টাকা থেকে রিঙ্গিতে রূপান্তর করার জন্য ব্যাংক বা মানি এক্সচেঞ্জ সুবিধা ব্যবহার করতে পারেন।
জানবো আমরা ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url