নাউজুবিল্লাহ মিন জালিক অর্থ বা নাউজুবিল্লাহ শব্দের অর্থ কি

নাউজুবিল্লাহ মিন জালিক অর্থ কি আজকের এই আর্টিকেলের আমরা বিস্তারিতভাবে জানবো। 

নাউজুবিল্লাহ মিন জালিক অর্থ কি।জানবো আমরা। janbo amra
নাউজুবিল্লাহ মিন জালিক অর্থ কি
নাউজুবিল্লাহ মিন জালিক অর্থ কি জানার সাথে সাথে নাউজুবিল্লাহ শব্দের অর্থ ও এটি কখন পড়তে হয় তা জানতে পারবেন। 

নাউজুবিল্লাহ মিন জালিক অর্থ কি

নাউজুবিল্লাহ মিন জালিক (نعوذ بالله من ذلك) একটি আরবি বাক্য। যার অর্থ হলো 'আমি আল্লাহর কাছ থেকে আশ্রয় চাই '।

এটি সাধারণত তখনই বলা হয় যখন কেউ খারাপ কথা বলে। অন্যায় বা কুফরি বিষয় উল্লেখ করে এবং এইসব কথা বলার পরে বা শোনার পরে আল্লাহর কাছ থেকে আশ্রয় চান। অর্থাৎ আমি এইসব থেকে আশ্রয় চাই বা বিরত থাকতে চাই।

ব্যাখ্যা ও অর্থ :

নাউজুবিল্লাহ : এর অর্থ আমি আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাই।

মিন জালিক : এর অর্থ "এ" থেকে বা "এ ধরনের বিষয় থেকে "।

উদাহরণস্বরূপ বলা যায়

কেউ যদি বলে, আমার আর নামাজ পড়তে ইচ্ছা করছে না।

তাহলে আপনি উত্তরে বলতে পারেন, ' নাউজুবিল্লাহ মিন জালিক '।
নাউজুবিল্লাহ মিন জালিক অর্থ কি জানালাম এইবার নাউজুবিল্লাহ এর অর্থ জানাবো আপনাদের। 

নাউজুবিল্লাহ শব্দের অর্থ কি

নাউজুবিল্লাহ (نعوذ بالله) একটি আরবি বাক্যাংশ, যা দুটি শব্দের সমন্বয়ে গঠিত:

نعوذ (নাউজু) – যার অর্থ "আমরা আশ্রয় চাই"।

بالله (বিল্লাহ) – যার অর্থ "আল্লাহর কাছে"।

যখন কেউ কোন কিছু খারাপ দেখে বা শুনে অথবা নিজেদের মাধ্যমে ভুলবশত প্রকাশ করে ফেলে তখন নাউজুবিল্লাহ বা নাউজুবিল্লাহ মিন জালিক বলে থাকে। 

অর্থাৎ এই বাক্যটির দ্বারা তিনি আল্লাহর কাছে থেকে আশ্রয় চেয়ে নেন। নাউজুবিল্লাহ এমন একটি গুনান্বিত দোয়া, যা আপনাকে আল্লাহর কাছে অন্যায় মূলক কাজ থেকে হেফাজত করে। এটি পড়লে আপনি অন্যায় থেকে রেহাই পেতে পারেন। 

এজন্য অবশ্যই আপনার নাউজুবিল্লাহ শব্দের অর্থ জানা উচিত। নাউজুবিল্লাহ শব্দের অর্থ কি জেনেছেন এখন নাউজুবিল্লাহ আস্তাগফিরুল্লাহ সম্পর্কে জেনে নিন। 

নাউজুবিল্লাহ আস্তাগফিরুল্লাহ

নাউজুবিল্লাহ আস্তাগফিরুল্লাহ" (نعوذ بالله أستغفر الله) দুটি ইসলামিক বাক্য। যা মুসলমানেরা ব্যবহার করেন যখন কোন খারাপ, অন্যায় বা কুফির বিষয় তারা বলেন বা শুনেন এবং এই বাক্য দ্বারা তারা আল্লাহর কাছ থেকে ক্ষমা প্রার্থনা করেন।

বাক্য দুটির অর্থ :

নাউজুবিল্লাহ( نَعُوذُ بِاللَّهِ) - এর অর্থ "আমি আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাই।" সাধারণত কোনো গুনাহ, কুফরি বা খারাপ কথা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য বলা হয়।

আস্তাগফিরুল্লাহ( أَسْتَغْفِرُ) - এর অর্থ " আমি আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই"।

সাধারণত নাউজুবিল্লাহ আস্তাগফিরুল্লাহ বলা হয়ে থাকে যখন কেউ কোন ইসলামবিরোধী, কুফরি বা অন্যায় কোন কথা শোনেন।

আবার যখন কোন বড় গুনাহর কথা মনে পড়ে আর আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতে হয়।

উদাহরণ স্বরূপ বলা যেতে পারে ;

কেউ যদি বলে, আমি আল্লাহকে বিশ্বাস করিনা।

তখন উত্তরে বলা যায়, নাউজুবিল্লাহ আস্তাগফিরুল্লাহ। আল্লাহ আমাদের রক্ষা করুন।
নাউজুবিল্লাহ আস্তাগফিরুল্লাহ সম্পর্কে জেনে নিলেন এইবার জানা যাক নাউজুবিল্লাহ পড়ার সময়। 

নাউজুবিল্লাহ মিন জালিক কখন পড়তে হয়

নাউজুবিল্লাহ মিন জালিক (نعوذ بالله من ذلك) একটি আরবি বাক্য। এর অর্থ "আমি আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাই "।

আমরা অনেকেই খারাপ অথবা অন্যায় কিছু দেখলে নাউজুবিল্লাহ মিন জালিক বলে থাকি কিন্তু অনেকে এর অর্থ জানি আবার অনেকে জানিনা। তাই আমাদের জানতে হবে কখন নাউজুবিল্লাহ মিন জালিক পড়তে হয়।

এটি সাধারণত তখন বলা হয় যখন কেউ কোন অন্যায় অথবা গুনাহ করে থাকে। যা একজন মুসলমানের জন্য অগ্রহণযোগ্য, যেটি করলে তার পাপ হবে। যেমন :

১। কোন অশুভ বা অন্যায় কথা শুনলে :

কেউ যদি ইসলাম বিরোধী, অন্যায়, কুফরি কথা বলে তখন তারা ওই কথা থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য নাউজুবিল্লাহ মিন জালিক বলে থাকে। যেন তারা আল্লাহর কাছে আশ্রয় পায়।

২। কোন মন্দ কাজ বা পাপ কাজের প্রসঙ্গ উঠলে :

যদি কোথাও কোনো পাপ কাজ বা গুনাহর কথা বলা হয় তাহলে অবশ্যই নাউজুবিল্লাহ বলা উচিত। এতে করে আপনি সে গুনাহর হাত থেকে রক্ষা পাবেন।

৩। কোন ভয়ানক ভবিষ্যৎ বাণী বা খারাপ কিছু শুনলে :

কখনো কেউ যদি অশুভ কিছু বলে বা খারাপ কিছু বলে ভবিষ্যৎবাণী করে তখন সকলকে নাউজুবিল্লাহ বলা উচিত। তখন আমরা আল্লাহর কাছ থেকে আশ্রয় চাইতে এই বাক্য ব্যবহার করতে পারি।

হাদিসে নাউজুবিল্লাহ মিন জালিক সম্পর্কে বর্ণনা রয়েছে।

এই বাক্যের সাথে সংশ্লিষ্ট কিছু দোয়া ও বাক্য:

ক. "আউযু বিল্লাহি মিন আশ-শাইতানির রাজিম" - আমি বিতাড়িত শয়তানের থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাচ্ছি।

খ."লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ" – শক্তি ও ক্ষমতা একমাত্র আল্লাহর।

এই বাক্যগুলি মুসলমানদের ঈমানকে মজবুত রাখতে ও পাপ থেকে দূরে থাকতে সাহায্য করে।
নাউজুবিল্লাহ মিন জালিক কখন পড়তে হয় জানালাম এইবার পড়ে নিন নাউজুবিল্লাহ বলার সময়। 

নাউজুবিল্লাহ কখন বলতে হয়

"নাউজুবিল্লাহ" (نَعُوذُ بِاللهِ) একটি আরবি শব্দগুচ্ছ, যার অর্থ হলো "আমি আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাই"।

এটি বলা হয় যখন কোনো খারাপ, আপত্তিকর বা নিন্দনীয় কথা, চিন্তা বা ঘটনা সামনে আসে। সাধারণত নিম্নলিখিত পরিস্থিতিতে এটি বলা হয়-

১। কোন খারাপ কথা বা অবমাননার কথা শোনা গেলে।

২। কেউ যদি আল্লাহ, নবী, ইসলামের বিরুদ্ধে কথা বলে তখন নাউজুবিল্লাহ বলতে হয়।

৩। কোন কুফরি বা গুনাহ মূলক কাজ দেখলে নাউজুবিল্লাহ বলতে হয়।

৪। কোন অশ্লীল বা অন্যায় কিছু চোখে পড়লে নাউজুবিল্লাহ বলতে হয়।

৫। ভয়ংকর কোন বিপদ, গজব বা শাস্তির কথা শুনলে নাউজুবিল্লাহ বলতে হয়।

৬। কোনরকম গুনাহ বা অপরাধের সাথে নিজের জড়িত হওয়ার সম্ভাবনা থাকলে নাউজুবিল্লাহ বলে সেখান থেকে দূরে সরে আসতে হবে।

মূলত মুসলিম ধর্মে এটি আল্লাহর কাছে শয়তানের অনিষ্ঠ থেকে আশ্রয় চাওয়ার জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে। নাউজুবিল্লাহ কখন বলতে হয় ও নাউজুবিল্লাহ মিন জালিক অর্থ কি সবই জানালাম আপনাদের।

পরিশেষেঃ নাউজুবিল্লাহ মিন জালিক অর্থ বা নাউজুবিল্লাহ শব্দের অর্থ কি 

আশাকরি আপনারা নাউজুবিল্লাহ শব্দের অর্থ ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন। এইরকম তথ্য পেতে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন এবং আমাদের সার্ভিস সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

জানবো আমরা ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url